দেশে চলমান বিদ্যুৎ সংকট মোকাবিলায় ডিজেলের মাধ্যমে আবারও বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা হয়েছে। বৈশ্বিক নানা সংকটে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়ার কারণে গত ১৮ জুলাই থেকে দেশে ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন সাময়িক স্থগিত ঘোষণা করে সরকার।
বিদ্যুৎ সংকট মোকাবিলায় শুরু হয় এলাকাভিত্তিক পরিকল্পিত লোডশেডিং। এদিকে বিতরণ কোম্পানিগুলো চাহিদার চেয়ে কম বিদ্যুৎ পাওয়ায় গ্রাহক পর্যায়ে লোডশেডিং বেড়ে যায়। ফলে সমালোচনার মুখে পড়ে বিদ্যুৎ বিভাগ। লোডশেডিংয়ের সময় কমিয়ে আনতে প্রথমে সিরাজগঞ্জের কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রে ডিজেলের মাধ্যমে একটি ইউনিট চালু করা হয়। স্থগিত করা আরও কয়েকটি ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে পরবর্তীতে উৎপাদন শুরু করা হয়।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) আমদানিসহ দেশে ১৩৩৮৫ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়েছে ১২৮৫৬ মেগাওয়াট। পিডিবির হিসাব অনুযায়ী ঐদিন বিদ্যুৎ ঘাটতি ছিল ৫২৯ মেগাওয়াট। পিডিবির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, মঙ্গলবার ঢাকা জোনে মোট ৫০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ডিজেলভিত্তিক তিনটি কেন্দ্র থেকেই বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়েছে। একই দিন মোট ৫৩০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কুমিল্লা জোনের একটি এবং খুলনা জোনের দুটি ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রও উৎপাদনে ছিল।
তবে ভেড়ামারা রংপুর ও সৈয়দপুরের স্থাপিত পিডিবির ডিজেলভিত্তিক মোট ৬০ মেগাওয়াটের ছোট তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়নি।
বিদ্যুৎ বিভাগের এক কর্মকর্তা সংবাদকে বলেন, ‘সরকারের নির্দেশনায় ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বন্ধ করা হয়েছিল। সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক আবার চালু করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে ডিজেলের দাম কমে এসেছে। আবার ডলারের দাম হঠাৎ বেড়ে গিয়েছিল, সেটাও এখন কমেছে। সব মিলিয়ে ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো চালানোয় এখন তেমন জটিলতা নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডিজেলের দাম একটু বেশি হলেও কেন্দ্রগুলোকে বসিয়ে রেখে ক্যাপাসিটি চার্জ দেয়ার চেয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা তুলনামূলক সাশ্রয়ী হবে।’ পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, ‘ডিজেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো থেকে এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো। এজন্য যে পরিমাণ ডিজেল লাগত বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি অফিস, দোকানপাট, শপিংমল ও অ্যাপার্টমেন্টগুলোতে চালানো জেনারেটরে তার চেয়ে বেশি ডিজেল লাগছে। এতে একদিকে ডিজেলের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। অন্যদিকে এসব জেনারেটরে বেশি ডিজেল ব্যবহার করে কম বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।’
তাই লোডশেডিং পরিস্থিতি উন্নতি ও ডিজেলের কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করতে দক্ষ বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) এক কর্মকর্তা সংবাদকে বলেন, সরকার ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো পুনরায় চালু করায় গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিং কমে এসেছে।
শুক্রবার, ১৯ আগস্ট ২০২২
দেশে চলমান বিদ্যুৎ সংকট মোকাবিলায় ডিজেলের মাধ্যমে আবারও বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা হয়েছে। বৈশ্বিক নানা সংকটে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়ার কারণে গত ১৮ জুলাই থেকে দেশে ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন সাময়িক স্থগিত ঘোষণা করে সরকার।
বিদ্যুৎ সংকট মোকাবিলায় শুরু হয় এলাকাভিত্তিক পরিকল্পিত লোডশেডিং। এদিকে বিতরণ কোম্পানিগুলো চাহিদার চেয়ে কম বিদ্যুৎ পাওয়ায় গ্রাহক পর্যায়ে লোডশেডিং বেড়ে যায়। ফলে সমালোচনার মুখে পড়ে বিদ্যুৎ বিভাগ। লোডশেডিংয়ের সময় কমিয়ে আনতে প্রথমে সিরাজগঞ্জের কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রে ডিজেলের মাধ্যমে একটি ইউনিট চালু করা হয়। স্থগিত করা আরও কয়েকটি ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে পরবর্তীতে উৎপাদন শুরু করা হয়।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) আমদানিসহ দেশে ১৩৩৮৫ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়েছে ১২৮৫৬ মেগাওয়াট। পিডিবির হিসাব অনুযায়ী ঐদিন বিদ্যুৎ ঘাটতি ছিল ৫২৯ মেগাওয়াট। পিডিবির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, মঙ্গলবার ঢাকা জোনে মোট ৫০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ডিজেলভিত্তিক তিনটি কেন্দ্র থেকেই বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়েছে। একই দিন মোট ৫৩০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কুমিল্লা জোনের একটি এবং খুলনা জোনের দুটি ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রও উৎপাদনে ছিল।
তবে ভেড়ামারা রংপুর ও সৈয়দপুরের স্থাপিত পিডিবির ডিজেলভিত্তিক মোট ৬০ মেগাওয়াটের ছোট তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়নি।
বিদ্যুৎ বিভাগের এক কর্মকর্তা সংবাদকে বলেন, ‘সরকারের নির্দেশনায় ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বন্ধ করা হয়েছিল। সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক আবার চালু করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে ডিজেলের দাম কমে এসেছে। আবার ডলারের দাম হঠাৎ বেড়ে গিয়েছিল, সেটাও এখন কমেছে। সব মিলিয়ে ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো চালানোয় এখন তেমন জটিলতা নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডিজেলের দাম একটু বেশি হলেও কেন্দ্রগুলোকে বসিয়ে রেখে ক্যাপাসিটি চার্জ দেয়ার চেয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা তুলনামূলক সাশ্রয়ী হবে।’ পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, ‘ডিজেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো থেকে এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো। এজন্য যে পরিমাণ ডিজেল লাগত বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি অফিস, দোকানপাট, শপিংমল ও অ্যাপার্টমেন্টগুলোতে চালানো জেনারেটরে তার চেয়ে বেশি ডিজেল লাগছে। এতে একদিকে ডিজেলের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। অন্যদিকে এসব জেনারেটরে বেশি ডিজেল ব্যবহার করে কম বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।’
তাই লোডশেডিং পরিস্থিতি উন্নতি ও ডিজেলের কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করতে দক্ষ বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) এক কর্মকর্তা সংবাদকে বলেন, সরকার ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো পুনরায় চালু করায় গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিং কমে এসেছে।