বৈশ্বিক পরিস্থিতির ব্যাপক পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে চীন ‘নিজস্ব সমাধান’ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের ৭৩তম বার্ষিকী উদযাপনে শনিবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, শান্তি, উন্নয়ন, সমতা, ন্যায্যতা, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার ক্ষেত্রে ‘মানবতার সার্বজনীন মূল্যবোধকে’ চীন লালন করে।
“এইসাথে যে কোনো ধরনের স্নায়ুযুদ্ধ মানসিকতা, দলবদ্ধ বিরোধ অথবা একতরফা নিষেধাজ্ঞাকে আমরা প্রত্যাখ্যান করি।”
পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেন্টারে চীনা দূতাবাসের ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
সরকারের সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা ছাড়াও রাজনীতিবিদ, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, সাংবাদিক, গবেষক, শিক্ষকসহ বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, “পৃথিবী এখন ব্যাপক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যেমনটা এক শতকেও দেখা যায়নি। শান্তি বা যুদ্ধ, উন্নতি বা অবনতি, মুক্ত কিংবা একঘরে, সহযোগিতা অথবা বিরোধ– যুবরাজ হ্যামলেটের চেয়ে বেশি প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আমরা। সময়ের এইসব প্রশ্নের উত্তর দিতে চীন নিজস্ব সমাধান তুলে ধরছে।”
বাংলাদেশ ও চীনের দক্ষ নেতৃত্বের কারণে ঢাকা-বেইজিং ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক যথেষ্ট মজবুত অবস্থায় আছে এবং চিরকাল তেমনটাই থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত।
তিনি বলেন, চীন বহুপক্ষীয়বাদে বিশ্বাস করে এবং বৈশ্বিক নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় কাজ করে। সেই সঙ্গে বৈশ্বিক উন্নয়নেও চীন উদ্যোগী। সেই প্রেক্ষাপটে বিশ্বের ১৪৯টি দেশকে সঙ্গে নিয়ে ২০১৩ সাল থেকে বেইজিং বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগ (বিআরআই) এগিয়ে নিচ্ছে। বাংলাদেশও এ উদ্যোগের অংশীদার।
লি জিমিং বলেন, “বিশ্ব শান্তি নিশ্চিত করতে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং গ্লোবাল সিকিউরিটি ইনিশিয়েটিভ (জিএসআই) প্রস্তাব করেছেন। যার মাধ্যমে আন্তর্জাতিকভাবে অভিন্ন, সমন্বিত, সহযোগিতামূলক এবং টেকসই নিরাপত্তা অর্জনে চীন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
“আমরা মনে করি, সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতার প্রশ্নে সকল দেশ একভাবে চিন্তা করবে। জাতিসংঘ সনদের যে মূল উদ্দেশ্য ও নীতি, তা সকলে মেনে চলবে। সকল দেশের যুক্তিসঙ্গত নিরাপত্তা উদ্যোগকে বিবেচনায় নিতে হবে। দেশগুলোর মধ্যে ভিন্নমত ও বিরোধের সমাধান হতে হবে আলোচনার মধ্য দিয়ে, শান্তিপূর্ণভাবে।”
বাংলাদেশ ও চীনের সম্পর্ক যথেষ্ট গভীর মন্তব্য করে লি জিমিং বলেন, “বাংলাদেশ ও বিশ্বের উন্নয়নে চীন পাশে থাকবে। চীনের ‘নবজীবন’ এবং বাংলাদেশের ‘সোনার বাংলা’র স্বপ্ন গভীরভাবে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত। দুই দেশের দক্ষ নেতৃত্বের মাধ্যমে চীন ও বাংলাদেশের বন্ধুত্বের বন্ধন মজবুত থাকবে, সে সম্পর্ক থাকবে চিরকাল।”
‘এক চীন নীতি’তে চীনের যে অবস্থান, তাতে বাংলাদেশও বিশ্বাস করে, সে কথা অনুষ্ঠানে মনে করিয়ে দেন পরিকল্পনামন্ত্রী মান্নান।
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরাতে চীনের সহযোগিতা প্রত্যাশা করে তিনি বলেন, “রোহিঙ্গারা যাতে শান্তিতে ও নিরাপদে ফেরত যেতে পারে, সে বিষয়ে চীন আমাদের সহায়তা করেছে। এ বিষয়ে আমরা চীনের কাছ থেকে আরও সহযোগিতা ও সহায়তা পেতে চাই।”
চীন বাংলাদেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে ‘নিরবচ্ছিন্ন সহায়তা করে যাচ্ছে’ মন্তব্য করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “আরও নতুন নতুন খাতে চীনের কাছ থেকে সহযোগিতা পেতে চাই আমরা, যাতে দুই দেশের জনগণেরই মঙ্গল হয়।”
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, চীন কখনোই কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ‘অংশ নেয় না বা নাক গলায় না’।
রোববার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২
বৈশ্বিক পরিস্থিতির ব্যাপক পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে চীন ‘নিজস্ব সমাধান’ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের ৭৩তম বার্ষিকী উদযাপনে শনিবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, শান্তি, উন্নয়ন, সমতা, ন্যায্যতা, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার ক্ষেত্রে ‘মানবতার সার্বজনীন মূল্যবোধকে’ চীন লালন করে।
“এইসাথে যে কোনো ধরনের স্নায়ুযুদ্ধ মানসিকতা, দলবদ্ধ বিরোধ অথবা একতরফা নিষেধাজ্ঞাকে আমরা প্রত্যাখ্যান করি।”
পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেন্টারে চীনা দূতাবাসের ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
সরকারের সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা ছাড়াও রাজনীতিবিদ, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, সাংবাদিক, গবেষক, শিক্ষকসহ বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, “পৃথিবী এখন ব্যাপক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যেমনটা এক শতকেও দেখা যায়নি। শান্তি বা যুদ্ধ, উন্নতি বা অবনতি, মুক্ত কিংবা একঘরে, সহযোগিতা অথবা বিরোধ– যুবরাজ হ্যামলেটের চেয়ে বেশি প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আমরা। সময়ের এইসব প্রশ্নের উত্তর দিতে চীন নিজস্ব সমাধান তুলে ধরছে।”
বাংলাদেশ ও চীনের দক্ষ নেতৃত্বের কারণে ঢাকা-বেইজিং ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক যথেষ্ট মজবুত অবস্থায় আছে এবং চিরকাল তেমনটাই থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত।
তিনি বলেন, চীন বহুপক্ষীয়বাদে বিশ্বাস করে এবং বৈশ্বিক নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় কাজ করে। সেই সঙ্গে বৈশ্বিক উন্নয়নেও চীন উদ্যোগী। সেই প্রেক্ষাপটে বিশ্বের ১৪৯টি দেশকে সঙ্গে নিয়ে ২০১৩ সাল থেকে বেইজিং বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগ (বিআরআই) এগিয়ে নিচ্ছে। বাংলাদেশও এ উদ্যোগের অংশীদার।
লি জিমিং বলেন, “বিশ্ব শান্তি নিশ্চিত করতে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং গ্লোবাল সিকিউরিটি ইনিশিয়েটিভ (জিএসআই) প্রস্তাব করেছেন। যার মাধ্যমে আন্তর্জাতিকভাবে অভিন্ন, সমন্বিত, সহযোগিতামূলক এবং টেকসই নিরাপত্তা অর্জনে চীন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
“আমরা মনে করি, সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতার প্রশ্নে সকল দেশ একভাবে চিন্তা করবে। জাতিসংঘ সনদের যে মূল উদ্দেশ্য ও নীতি, তা সকলে মেনে চলবে। সকল দেশের যুক্তিসঙ্গত নিরাপত্তা উদ্যোগকে বিবেচনায় নিতে হবে। দেশগুলোর মধ্যে ভিন্নমত ও বিরোধের সমাধান হতে হবে আলোচনার মধ্য দিয়ে, শান্তিপূর্ণভাবে।”
বাংলাদেশ ও চীনের সম্পর্ক যথেষ্ট গভীর মন্তব্য করে লি জিমিং বলেন, “বাংলাদেশ ও বিশ্বের উন্নয়নে চীন পাশে থাকবে। চীনের ‘নবজীবন’ এবং বাংলাদেশের ‘সোনার বাংলা’র স্বপ্ন গভীরভাবে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত। দুই দেশের দক্ষ নেতৃত্বের মাধ্যমে চীন ও বাংলাদেশের বন্ধুত্বের বন্ধন মজবুত থাকবে, সে সম্পর্ক থাকবে চিরকাল।”
‘এক চীন নীতি’তে চীনের যে অবস্থান, তাতে বাংলাদেশও বিশ্বাস করে, সে কথা অনুষ্ঠানে মনে করিয়ে দেন পরিকল্পনামন্ত্রী মান্নান।
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরাতে চীনের সহযোগিতা প্রত্যাশা করে তিনি বলেন, “রোহিঙ্গারা যাতে শান্তিতে ও নিরাপদে ফেরত যেতে পারে, সে বিষয়ে চীন আমাদের সহায়তা করেছে। এ বিষয়ে আমরা চীনের কাছ থেকে আরও সহযোগিতা ও সহায়তা পেতে চাই।”
চীন বাংলাদেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে ‘নিরবচ্ছিন্ন সহায়তা করে যাচ্ছে’ মন্তব্য করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “আরও নতুন নতুন খাতে চীনের কাছ থেকে সহযোগিতা পেতে চাই আমরা, যাতে দুই দেশের জনগণেরই মঙ্গল হয়।”
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, চীন কখনোই কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ‘অংশ নেয় না বা নাক গলায় না’।