দেশের পর্যটনশিল্পকে পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে নেওয়ার জন্য পর্যটন মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হচ্ছে।
এ বছরই ডিসেম্বরে এই মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ শেষ হবে।
ট্যুরিজম মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের পর্যটন নতুন যুগে প্রবেশ করবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পর্যটন ভবনে ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী এসব কথা বলেন।
এর আগে সকালে প্রতিমন্ত্রী বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের আয়োজিত একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা এবং বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের খাদ্য উৎসব ও লাইভ কুকিং শো উদ্বোধন করেন।
সকাল সোয়া ৮টায় আগারগাঁওয়ের পর্যটন ভবনের সামনে থেকে এই শোভাযাত্রা শুরু হয়। সকাল পৌনে ৯টা পর্যন্ত আগারগাঁওয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে এটি।
বাংলাদেশ পর্যটনকে একটা টার্গেট নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যথাসম্ভব আমাদের টার্গেটে পৌঁছাবো। এজন্য একটা মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে কাজ করছি। এটাই হোক আমাদের আজকের পর্যটন দিবসের প্রতিশ্রুতি।’
বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পর্যটনের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত আন্তরিক। তার নেতৃত্বে পর্যটনের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে আমরা কাজ করছি। সবাই মিলে এক সঙ্গে কাজ করলে আমাদের নির্দিষ্ট যে উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে, আমরা দ্রুতই সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারব। দেশের পর্যটনকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের পর্যটনে অপার সম্ভাবনা ও সুযোগ রয়েছে। আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, মূল্যবোধ ও প্রকৃতিসহ পর্যটনের সব উপাদান ও সুযোগ-সুবিধা সঠিকভাবে মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে। ব্র্যান্ডিং করতে হবে। দেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি বহির্বিশ্বে প্রচার করতে হবে। তাহলেই বিদেশি পর্যটকরা আমাদের পর্যটন গন্তব্যগুলো নিয়ে আকর্ষণ বোধ করবেন।’
বিশ্বের অনেক দেশ পর্যটনকে কেন্দ্র করে অনেক দূর এগিয়েছে জানিয়ে মাহবুব আলী বলেন, ‘আমাদের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় অনেক ইতিহাস-ঐতিহ্য আছে। সেগুলো আমাদের তুলে ধরতে হবে। যদিও আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস বিশ্ববাসীর সবার জানা।’
মাহবুব আলী বলেন, ‘কোভিড-১৯ মহামারির অভিজ্ঞতা বিশ্বের পর্যটনশিল্পকে নিয়ে নতুন করে ভাবার সুযোগ করে দিয়েছে। টেকসই ও ধারাবাহিক পর্যটন উন্নয়নে সৃজনশীলতা, উদ্ভাবন ও পণ্যের বহুমাত্রিকরণের কোনো বিকল্প নেই। দেশের পর্যটনশিল্পের সম্ভাবনার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে ও ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কার্যকরী কৌশল প্রণয়ন করা হচ্ছে। জেলায় পর্যটনের উন্নয়ন কাজ সমন্বয় করার জন্য একজন এডিসিকে পর্যটনের দায়িত্ব দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
পর্যটন নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে জানিয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন বলেন, ‘কোভিড পূর্ববর্তী যে অবস্থা ছিল আমরা সেখানে যেতে চাই না। তারচেয়ে অনেক এগিয়ে যেতে চাই। পর্যটনের উন্নয়নে মিডিয়া কিন্তু সরকার ও বেসরকারি খাতের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।’
গণমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সচিব বলেন, ‘আমি অনুরোধ করবো দেশের স্বার্থে আমরা যেন পজিটিভলি খবর প্রকাশ করি। পরিকল্পনা অনুযায়ী সবার সঙ্গে আলোচনা করে পর্যটন নিয়ে চূড়ান্ত পরিকল্পনা করা হয়েছে। ডিসেম্বরে সেই মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নে যাবো।’
বেসামরিক বিমান পরিবহণ পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
এ ছাড়া আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. আলী কদর, বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. অলিউল্লাহ এনডিসি, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহির মো. জাবের ও ট্যুরিজম পুলিশের ডিআইজি ইলিয়াস শরীফ প্রমুখ।
মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
দেশের পর্যটনশিল্পকে পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে নেওয়ার জন্য পর্যটন মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হচ্ছে।
এ বছরই ডিসেম্বরে এই মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ শেষ হবে।
ট্যুরিজম মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের পর্যটন নতুন যুগে প্রবেশ করবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পর্যটন ভবনে ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী এসব কথা বলেন।
এর আগে সকালে প্রতিমন্ত্রী বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের আয়োজিত একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা এবং বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের খাদ্য উৎসব ও লাইভ কুকিং শো উদ্বোধন করেন।
সকাল সোয়া ৮টায় আগারগাঁওয়ের পর্যটন ভবনের সামনে থেকে এই শোভাযাত্রা শুরু হয়। সকাল পৌনে ৯টা পর্যন্ত আগারগাঁওয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে এটি।
বাংলাদেশ পর্যটনকে একটা টার্গেট নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যথাসম্ভব আমাদের টার্গেটে পৌঁছাবো। এজন্য একটা মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে কাজ করছি। এটাই হোক আমাদের আজকের পর্যটন দিবসের প্রতিশ্রুতি।’
বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পর্যটনের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত আন্তরিক। তার নেতৃত্বে পর্যটনের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে আমরা কাজ করছি। সবাই মিলে এক সঙ্গে কাজ করলে আমাদের নির্দিষ্ট যে উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে, আমরা দ্রুতই সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারব। দেশের পর্যটনকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের পর্যটনে অপার সম্ভাবনা ও সুযোগ রয়েছে। আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, মূল্যবোধ ও প্রকৃতিসহ পর্যটনের সব উপাদান ও সুযোগ-সুবিধা সঠিকভাবে মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে। ব্র্যান্ডিং করতে হবে। দেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি বহির্বিশ্বে প্রচার করতে হবে। তাহলেই বিদেশি পর্যটকরা আমাদের পর্যটন গন্তব্যগুলো নিয়ে আকর্ষণ বোধ করবেন।’
বিশ্বের অনেক দেশ পর্যটনকে কেন্দ্র করে অনেক দূর এগিয়েছে জানিয়ে মাহবুব আলী বলেন, ‘আমাদের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় অনেক ইতিহাস-ঐতিহ্য আছে। সেগুলো আমাদের তুলে ধরতে হবে। যদিও আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস বিশ্ববাসীর সবার জানা।’
মাহবুব আলী বলেন, ‘কোভিড-১৯ মহামারির অভিজ্ঞতা বিশ্বের পর্যটনশিল্পকে নিয়ে নতুন করে ভাবার সুযোগ করে দিয়েছে। টেকসই ও ধারাবাহিক পর্যটন উন্নয়নে সৃজনশীলতা, উদ্ভাবন ও পণ্যের বহুমাত্রিকরণের কোনো বিকল্প নেই। দেশের পর্যটনশিল্পের সম্ভাবনার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে ও ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কার্যকরী কৌশল প্রণয়ন করা হচ্ছে। জেলায় পর্যটনের উন্নয়ন কাজ সমন্বয় করার জন্য একজন এডিসিকে পর্যটনের দায়িত্ব দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
পর্যটন নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে জানিয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন বলেন, ‘কোভিড পূর্ববর্তী যে অবস্থা ছিল আমরা সেখানে যেতে চাই না। তারচেয়ে অনেক এগিয়ে যেতে চাই। পর্যটনের উন্নয়নে মিডিয়া কিন্তু সরকার ও বেসরকারি খাতের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।’
গণমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সচিব বলেন, ‘আমি অনুরোধ করবো দেশের স্বার্থে আমরা যেন পজিটিভলি খবর প্রকাশ করি। পরিকল্পনা অনুযায়ী সবার সঙ্গে আলোচনা করে পর্যটন নিয়ে চূড়ান্ত পরিকল্পনা করা হয়েছে। ডিসেম্বরে সেই মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নে যাবো।’
বেসামরিক বিমান পরিবহণ পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
এ ছাড়া আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. আলী কদর, বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. অলিউল্লাহ এনডিসি, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহির মো. জাবের ও ট্যুরিজম পুলিশের ডিআইজি ইলিয়াস শরীফ প্রমুখ।