২০০৬ সালে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় চাঞ্চল্যকর শহিদুল ইসলাম হত্যা মামলার প্রধান পরিকল্পনাকারী মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. শাহিন আলমকে (৩৮) মানিকগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
ছয় বছর আত্মগোপনে থাকার পর গত সোমবার রাতে মানিকগঞ্জের ঘিওরে স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে এসে ধরা পড়েন তিনি।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৪-এর অধিনায়ক ডিআইজি মোজাম্মেল হক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ২০০১ সালে আশুলিয়ার একটি গার্মেন্টেসে চাকরির সুবাদে শহিদুল ইসলাম ও আসামি মো. শাহিন আলমের মধ্যে সখ্য গড়ে ওঠে। শাহিন আলম ভিকটিমকে এনজিও প্রতিষ্ঠা করার প্রস্তাব দিলে ২০০৪ সালে ঢাকার ধামরাই থানাধীন গোয়াড়ীপাড়ায় ‘বাংলা সমাজ উন্নয়ন সংস্থা’ নামক একটি সঞ্চয় ও ক্ষুদ্র ঋণদান সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন তারা। তাদের প্রতিষ্ঠিত এনজিওতে লাভের পরিমাণ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় শাহিন সব লভ্যাংশ নিজে ভোগ করার জন্য ভিকটিমকে কিছু টাকার প্রস্তাব দিয়ে এনজিওটি নিজের করে নিতে চান। কিন্তু ভিকটিম তাতে রাজি হননি। এতে আসামি শাহিন ভিকটিমকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
ঘটনার ২০-২৫ দিন আগে শাহিন তার মামাতো ভাই টাঙ্গাইলের সন্ত্রাসী রাজা মিয়াকে নিয়ে ভিকটিমকে হত্যার পূর্ণ ছক আঁকেন। পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক ২০০৬ সালের ২০ মে ঘটনার দিন দুপুরের পর থেকেই শাহীন অফিসে বিভিন্ন কাজে ইচ্ছাপূর্বক কালক্ষেপণ করেন এবং একপর্যায়ে তার জন্য পাত্রী দেখতে যাওয়ার প্রস্তাব দেন ভিকটিমকে।
তিনি জানান, টাঙ্গাইল থেকে তার মামাতো ভাই ও অপর আসামি সাহেদ, কুদ্দুস, বিষ্ণু সুইপার এবং ড্রাইভার রহম আলী আসবে। ভিকটিমকে তাদের সঙ্গে পাত্রী দেখতে যাওয়ার প্রস্তাব দেন। রাত হয়ে যাওয়ায় ভিকটিম রাজি না হলে আসামিরা তাকে বাসায় নামিয়ে দিয়ে পাত্রী দেখতে যাওয়ার কথা বলেন। তখন ভিকটিম সরল বিশ্বাসে রাজি হয়ে তাদের সঙ্গে মাইক্রোবাসে ওঠেন। কিছু দূর যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শহিদুলকে শ্বাসরোধ করে নির্মমভাবে হত্যা করেন তারা।
ডিআইজি মোজাম্মেল হক বলেন, ২০০৬ সালের হত্যাকা-ের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর ২৩ মে এনজিও’র দুই নারী কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারা জানায় ভিকটিম শহিদুলের সঙ্গে আসামি শাহিনের এনজিও’র মালিকানা নিয়ে বিরোধ ছিল। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ শাহীনকে গ্রেপ্তার করলে আসামি শাহীন ভিকটিমকে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
তিনি বলেন, আসামি শাহীন আলম ১০ বছর হাজত খেটে ২০১৬ সালে জামিন নিয়ে আত্মগোপনে চলে যান এবং এই মামলায় আর কখনো হাজিরা দেননি। উক্ত মামলা তদন্ত করে গ্রেপ্তার দুই আসামি শাহিন আলম ও সাহেদ এবং পলাতক আসামি রাজা মিয়া, আ. কুদ্দুস, বিষ্ণু সুইপার, রহম আলী ড্রাইভার ও মাইক্রোবাসের মালিক সেলিমসহ মোট ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। পরে গত বছরের ১ ডিসেম্বর মো. শাহিন আলমকে মৃত্যুদ- এবং সাহেদ, রাজা মিয়া, আবদুল কুদ্দুস ও বিষ্ণু সুইপারকে যাবজ্জীবন কারাদ- দেন আদালত।
মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
২০০৬ সালে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় চাঞ্চল্যকর শহিদুল ইসলাম হত্যা মামলার প্রধান পরিকল্পনাকারী মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. শাহিন আলমকে (৩৮) মানিকগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
ছয় বছর আত্মগোপনে থাকার পর গত সোমবার রাতে মানিকগঞ্জের ঘিওরে স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে এসে ধরা পড়েন তিনি।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৪-এর অধিনায়ক ডিআইজি মোজাম্মেল হক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ২০০১ সালে আশুলিয়ার একটি গার্মেন্টেসে চাকরির সুবাদে শহিদুল ইসলাম ও আসামি মো. শাহিন আলমের মধ্যে সখ্য গড়ে ওঠে। শাহিন আলম ভিকটিমকে এনজিও প্রতিষ্ঠা করার প্রস্তাব দিলে ২০০৪ সালে ঢাকার ধামরাই থানাধীন গোয়াড়ীপাড়ায় ‘বাংলা সমাজ উন্নয়ন সংস্থা’ নামক একটি সঞ্চয় ও ক্ষুদ্র ঋণদান সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন তারা। তাদের প্রতিষ্ঠিত এনজিওতে লাভের পরিমাণ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় শাহিন সব লভ্যাংশ নিজে ভোগ করার জন্য ভিকটিমকে কিছু টাকার প্রস্তাব দিয়ে এনজিওটি নিজের করে নিতে চান। কিন্তু ভিকটিম তাতে রাজি হননি। এতে আসামি শাহিন ভিকটিমকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
ঘটনার ২০-২৫ দিন আগে শাহিন তার মামাতো ভাই টাঙ্গাইলের সন্ত্রাসী রাজা মিয়াকে নিয়ে ভিকটিমকে হত্যার পূর্ণ ছক আঁকেন। পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক ২০০৬ সালের ২০ মে ঘটনার দিন দুপুরের পর থেকেই শাহীন অফিসে বিভিন্ন কাজে ইচ্ছাপূর্বক কালক্ষেপণ করেন এবং একপর্যায়ে তার জন্য পাত্রী দেখতে যাওয়ার প্রস্তাব দেন ভিকটিমকে।
তিনি জানান, টাঙ্গাইল থেকে তার মামাতো ভাই ও অপর আসামি সাহেদ, কুদ্দুস, বিষ্ণু সুইপার এবং ড্রাইভার রহম আলী আসবে। ভিকটিমকে তাদের সঙ্গে পাত্রী দেখতে যাওয়ার প্রস্তাব দেন। রাত হয়ে যাওয়ায় ভিকটিম রাজি না হলে আসামিরা তাকে বাসায় নামিয়ে দিয়ে পাত্রী দেখতে যাওয়ার কথা বলেন। তখন ভিকটিম সরল বিশ্বাসে রাজি হয়ে তাদের সঙ্গে মাইক্রোবাসে ওঠেন। কিছু দূর যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শহিদুলকে শ্বাসরোধ করে নির্মমভাবে হত্যা করেন তারা।
ডিআইজি মোজাম্মেল হক বলেন, ২০০৬ সালের হত্যাকা-ের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর ২৩ মে এনজিও’র দুই নারী কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারা জানায় ভিকটিম শহিদুলের সঙ্গে আসামি শাহিনের এনজিও’র মালিকানা নিয়ে বিরোধ ছিল। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ শাহীনকে গ্রেপ্তার করলে আসামি শাহীন ভিকটিমকে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
তিনি বলেন, আসামি শাহীন আলম ১০ বছর হাজত খেটে ২০১৬ সালে জামিন নিয়ে আত্মগোপনে চলে যান এবং এই মামলায় আর কখনো হাজিরা দেননি। উক্ত মামলা তদন্ত করে গ্রেপ্তার দুই আসামি শাহিন আলম ও সাহেদ এবং পলাতক আসামি রাজা মিয়া, আ. কুদ্দুস, বিষ্ণু সুইপার, রহম আলী ড্রাইভার ও মাইক্রোবাসের মালিক সেলিমসহ মোট ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। পরে গত বছরের ১ ডিসেম্বর মো. শাহিন আলমকে মৃত্যুদ- এবং সাহেদ, রাজা মিয়া, আবদুল কুদ্দুস ও বিষ্ণু সুইপারকে যাবজ্জীবন কারাদ- দেন আদালত।