মুন্সিগঞ্জের সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নে দীর্ঘদিন ধরে দুই গ্রপের সংঘাত-সংঘর্ষ চলছে । এলাকায় আধিপত্য ও প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই এক দিন পর পরই দুই গ্রপের সংঘর্ষ হয়। এক দল আরেক দলকে এলাকা ছাড়া করে। এসব সংঘর্ষের ঘটনায় অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের মহড়া চলে দুই দলেই। ফলে ভয়-আতংকে এলাকা পুরুষ শুন্য হয়ে পড়েছে।
কয়েকদিন পরপরই এমন ঘটলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ হতে অস্ত্র উদ্ধারের উদ্যোগ নেই বললেই চলে।
মোল্লাকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিপন হোসেন পাটোয়ারী এবং সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মহসিনা হক কল্পনার সমর্থক দুই গ্রুপের লোকজনের দ্বন্দে গোটা ইউনিয়ন আতঙ্কের জনপদে পরিণত হয়েছে।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের গ্রামে গ্রামে আগ্নেয়াস্ত্রের ঝনঝনানির দৃশ্য ছড়িয়ে পড়েছে। প্রকাশ্যে ব্যবহার করতে দেখা গেছে অত্যাধুনিক সব আগ্নেয়াস্ত্র। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে এসব অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে কোন তৎপরতা দেখা যায়নি।
গত শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ভোড়ের দিকে পূর্ব মাকহাটি গ্রামে দুই গ্রুপের লোকজন হামলা ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় ব্যাপক দেশী-বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার হয়। এ সম্পর্কে জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস্) আদিবুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষ চলাকালে আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহারের ছবি আমরা পেয়েছি। এ ব্যাপারে পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে। যাচাই-বাছাই চলছে। পুলিশ পদক্ষেপ নিবে শিগগিরই।
মোল্লাকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রিপন হোসেন পাটোয়ারী বলেন, শুক্রবার ভোরে পূর্ব মাকহাটি গ্রামে সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার লাভলী আক্তার ও সদর উপজেলা যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক খাইরুদ্দিন মোল্লার বাড়ি ভাঙচুর করে সাবেক চেয়ারম্যান মহসিনা হক কল্পনার লোকজন।
তার দাবি, জেলা বিএনপির সদস্য আতাউর রহমান মল্লিক, সদর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব সাজ্জাদুর রহমান জনি মল্লিক ও ইউনিয়ন যুবদলের সহ সভাপতি মিল্টন মল্লিকের নেতৃত্বে গেলো শুক্রবার তার সমর্থকদের বাড়ি-ঘরে এই হামলা চালানো হয়েছিলো।
বর্তমানে দুই গ্রুপই মুখো মুখি অবস্থানে রয়েছে যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটতে পারে। আর এসব কারনে কয়েকটি এলাকা পুরুষ শুন্য রয়েছে বলে জানা গেছে।
মোল্লাকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মহসিনা হক কল্পনা বলেন, আমি তো আর গ্রামে যাই না। রাজনীতি ছাইড়া দিয়া আইছি। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পর থেকে কংশপুরা, রাজারচর ও মাকহাটি গ্রামে আমার সমর্থকরা বাড়িঘর ছাড়া রয়েছেন। ইউপি চেয়ারম্যান রিপন হোসেন পাটোয়ারীর লোকজন আমার সমর্থকদের বাড়িঘর ছাড়া করেছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অস্ত্রসহ ছবি ছড়িয়ে পড়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যানের সমর্থক উজির আলী ও আওলাদ মোল্লা ককটেল বানাতে অর্থ জোগান দিচ্ছে।
মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
মুন্সিগঞ্জের সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নে দীর্ঘদিন ধরে দুই গ্রপের সংঘাত-সংঘর্ষ চলছে । এলাকায় আধিপত্য ও প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই এক দিন পর পরই দুই গ্রপের সংঘর্ষ হয়। এক দল আরেক দলকে এলাকা ছাড়া করে। এসব সংঘর্ষের ঘটনায় অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের মহড়া চলে দুই দলেই। ফলে ভয়-আতংকে এলাকা পুরুষ শুন্য হয়ে পড়েছে।
কয়েকদিন পরপরই এমন ঘটলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ হতে অস্ত্র উদ্ধারের উদ্যোগ নেই বললেই চলে।
মোল্লাকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিপন হোসেন পাটোয়ারী এবং সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মহসিনা হক কল্পনার সমর্থক দুই গ্রুপের লোকজনের দ্বন্দে গোটা ইউনিয়ন আতঙ্কের জনপদে পরিণত হয়েছে।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের গ্রামে গ্রামে আগ্নেয়াস্ত্রের ঝনঝনানির দৃশ্য ছড়িয়ে পড়েছে। প্রকাশ্যে ব্যবহার করতে দেখা গেছে অত্যাধুনিক সব আগ্নেয়াস্ত্র। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে এসব অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে কোন তৎপরতা দেখা যায়নি।
গত শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ভোড়ের দিকে পূর্ব মাকহাটি গ্রামে দুই গ্রুপের লোকজন হামলা ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় ব্যাপক দেশী-বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার হয়। এ সম্পর্কে জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস্) আদিবুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষ চলাকালে আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহারের ছবি আমরা পেয়েছি। এ ব্যাপারে পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে। যাচাই-বাছাই চলছে। পুলিশ পদক্ষেপ নিবে শিগগিরই।
মোল্লাকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রিপন হোসেন পাটোয়ারী বলেন, শুক্রবার ভোরে পূর্ব মাকহাটি গ্রামে সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার লাভলী আক্তার ও সদর উপজেলা যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক খাইরুদ্দিন মোল্লার বাড়ি ভাঙচুর করে সাবেক চেয়ারম্যান মহসিনা হক কল্পনার লোকজন।
তার দাবি, জেলা বিএনপির সদস্য আতাউর রহমান মল্লিক, সদর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব সাজ্জাদুর রহমান জনি মল্লিক ও ইউনিয়ন যুবদলের সহ সভাপতি মিল্টন মল্লিকের নেতৃত্বে গেলো শুক্রবার তার সমর্থকদের বাড়ি-ঘরে এই হামলা চালানো হয়েছিলো।
বর্তমানে দুই গ্রুপই মুখো মুখি অবস্থানে রয়েছে যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটতে পারে। আর এসব কারনে কয়েকটি এলাকা পুরুষ শুন্য রয়েছে বলে জানা গেছে।
মোল্লাকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মহসিনা হক কল্পনা বলেন, আমি তো আর গ্রামে যাই না। রাজনীতি ছাইড়া দিয়া আইছি। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পর থেকে কংশপুরা, রাজারচর ও মাকহাটি গ্রামে আমার সমর্থকরা বাড়িঘর ছাড়া রয়েছেন। ইউপি চেয়ারম্যান রিপন হোসেন পাটোয়ারীর লোকজন আমার সমর্থকদের বাড়িঘর ছাড়া করেছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অস্ত্রসহ ছবি ছড়িয়ে পড়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যানের সমর্থক উজির আলী ও আওলাদ মোল্লা ককটেল বানাতে অর্থ জোগান দিচ্ছে।