এমএসএফ’র প্রতিবেদন
রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত ৪, শিকার ৯০১
নারী ও শিশু নির্যাতন ৩৯৫
কারা হেফাজতে মৃত্যু ১৪
সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা ৯
সমাপ্ত সেপ্টেম্বর মাসে সারা দেশে ৫০টি রাজনৈতিক সহিংসতা ও নির্বাচন পরবর্তী দ্বন্দ্বের ঘটনা ঘটেছে। এতে মোট ৪ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া সহিংসতার শিকার হয়েছেন ৯০১ জন মানুষ। মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) মানবাধিকার পরিস্থিতি মনিটরিং প্রতিবেদনে (১ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর) এসব তথ্য উঠে এসেছে।
সংবাদসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও প্রায় প্রতিটি ঘটনার ক্ষেত্রেই স্থানীয় হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডারদের মাধ্যমে ভেরিফাই করা হয়েছে। আজ শুক্রবার এমএসএফ’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অ্যাডভোকেট সুলতানা কামালের স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।
এমএসএফ বলছে, ‘রাজনৈতিক অঙ্গনে সরকার দলীয় ও বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মকান্ড ও কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহিংসতা, হানাহানি হতাহতের ঘটনাসহ নাগরিক জীবনে উৎকন্ঠা বেড়েছে। অপরদিকে ক্ষমতাসীন দলের নিজেদের মধ্যকার সংঘাত-হিংস্রতা নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বিকার। ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটেই চলেছে। সুষ্ঠূ রাজনীতি করার অধিকার থেকে জনগণ বঞ্চিত হচ্ছে পাশাপাশি ক্রমাগত রাজনীতির ওপর থেকে জনগণ আস্থা হারাচ্ছে।’
সংস্থাটি আরও বলছে, এ মাসে বিরোধী দল বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সারা দেশে সমাবেশ ও শোভাযাত্রাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালনকালে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে পুলিশ নির্ধিদায় কাঁদানে গ্যাস, গুলি, গ্যাসের শেল, ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে হতাহতের মতো ঘটনা আশংঙ্খাজনকভাবে বেড়েছে।
এছাড়া এমএসএফ’র প্রতিবেদনে মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা পর্যালোচনায় দেখা যায়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার, সাংবাদিকতা এবং মতামত প্রকাশের সংবিধানপ্রদত্ত অধিকার প্রয়োগের পথ রুদ্ধ করার বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে। অপর দিকে গণপিটুনির মত আইন হাতে তুলে নেয়ার ঘটনাও বৃদ্ধি পেয়েছে। নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা, ধর্ষণ, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, যৌন হয়রানি, নির্যাতন এবং হত্যার মতো ঘটনা ক্রমবর্ধমান হারে বেড়ে চলেছে।
সেই সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে, নির্যাতন ও হয়রানি, কারা হেফাজতে মৃত্যু অনেকটাই বেড়েছে ও সীমান্তে হতাহতের মতো ঘটনাও বন্ধ হয়নি বরং বৃদ্ধি পেয়েছে। সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা অপ্রতিরোধ্য ভাবে ঘটেই চলেছে। মানবাধিকার লংঘনের এই ঘটনাগুলো ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশান (এমএসএফ) গভীর ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করছে।
নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা
সেপ্টেম্বর মাসে ৩৯৫টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে যার মধ্যে ধর্ষণের ঘটনা ৬২টি, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ১৯টি, ধর্ষণ ও হত্যা ৪টি। এর মধ্যে ৬ জন প্রতিবন্ধি নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। যে ধর্ষণের শিকার ৬২ জনের মধ্যে ১৯ জন শিশু, ২৫ জন কিশোরী রয়েছে, অপরদিকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৬ জন কিশোরী এবং ধর্ষণ ও হত্যার শিকার ১ জন শিশু ও ৩ জন কিশোরী। ধর্ষণের চেষ্টা ২১টি, যৌন হয়রানি ৩৪টি ও শারীরিক নির্যাতনের ৬৩টি ঘটনা ঘটেছে। এসময়ে একজন শিশু, ১৯ জন কিশোরী ও ৪৯জন নারীসহ মোট ৬৯ জন আত্মহত্যা করেছেন। এদের মধ্যে তিন জন প্রতিবন্ধি নারী রয়েছে।
বন্দুকযুদ্ধ, বিচারবর্হিভূত হত্যাকান্ড এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে অপহরণ
সেপ্টেম্বর মাসে বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড বা বন্দুকযুদ্ধের ৩টি ঘটনা ঘটেছে। কথিত গোলাগুলির তিনটির মধ্যে একটিতে র্যাবের গুলিতে ১ জন ও গুলিবিদ্ধ অবস্থায় অপর একজনের মৃতদেহ উদ্ধার ও পুলিশের গুলিতে একজন নিহত হয়। আহতসহ ছয় জনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে ৫ জন নাগরিককে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে মৃত্যু, নির্যাতন, অপতৎপরতার অভিযোগ
সেপ্টেম্বরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে ২ জনের মৃত্যু, গ্রেফতার এড়াতে পালানোর চেষ্টায় পানিতে ঝাপ দিয়ে ৩জন ও অপর একজনের পরে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া পুলিশের কিছু সদস্যের অনৈতিক কাজের পাশাপাশি তাঁদের অশোভন আচরণ, নির্যাতন, চাঁদাবাজি ও ছিনতাই, হয়রানিসহ বেশ কয়েকটি অপরাধের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
কারা হেফাজতে মৃত্যু
এ মাসে কারা হেফাজতে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। কারা হেফাজতে মৃতদের মধ্যে ৬ জন কয়েদি ও ৮ জন হাজতি রয়েছে। এমএসএফ মনে করে, কারাগারের অভ্যন্তরে চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতির পাশাপাশি, হেফাজতে মৃত্যুর সঠিকভাবে তদন্ত করা গুরুত্বপূর্ণ।
সীমান্তে হত্যা ও পরিস্থিতি
সীমান্তে হত্যা ও নির্যাতন বন্ধ বিএসএফ কর্তৃক কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দেয়া সত্বেও সীমান্ত হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনা বন্ধ হয়নি। এ মাসে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে তিন বাংলাদেশী নিহত ও সীমান্তে এলাকা থেকে চারটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অপরদিকে বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এসে গরু ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া উভয় পক্ষের নজরদারির অভাবে অবৈধ অনুপ্রবেশকালে আটকের ঘটনা ঘটেছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ব্যবহার/অপব্যবহার
এ মাসে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ১জন কিশোর, ২ জন রাজনৈতিক কর্মী (১ জন বিএনপি, ১ জন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন), ৩ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ১ জন যুবক সহ মোট ৭ জন গ্রেফতার হয়েছে। এ মাসে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ১২টি মামলা করা হয়েছে।
সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশে হামলা
সেপ্টেম্বর মাসে সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় অন্তত ১৯ জন সাংবাদিক নানাভাবে অপমান, নিপীড়ন, হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ১০ জন সাংবাদিক পেশাগত দায়িত্ব করতে গিয়ে আক্রমনের শিকার হয়ে আহত হয়েছেন।
সংখ্যালঘু নির্যাতন
এ মাসে ৯টি সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এগুলোর মধ্যে ১ টি ঘটনা উপাসনালয় ও মূর্তি ভাংচুর, ৫ টি ঘটনা সম্পত্তি, জমি ও ব্যবসা দখলের চেষ্টা ও হামলা,২ টি পরিবারের এবং ঘরবাড়ির উপর আক্রমনের ও ১ টি সাম্প্রদায়িক উসকানি ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে।
গণপিটুনি
সেপ্টেম্বর অন্তত ১৫টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, যেখানে ৯ নিহত ও গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন ৭ জন নারী ও ৭ জন ছাত্র শিক্ষক ও অন্যান্য যুবকেরা।
এমএসএফ’র প্রতিবেদন
শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২
রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত ৪, শিকার ৯০১
নারী ও শিশু নির্যাতন ৩৯৫
কারা হেফাজতে মৃত্যু ১৪
সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা ৯
সমাপ্ত সেপ্টেম্বর মাসে সারা দেশে ৫০টি রাজনৈতিক সহিংসতা ও নির্বাচন পরবর্তী দ্বন্দ্বের ঘটনা ঘটেছে। এতে মোট ৪ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া সহিংসতার শিকার হয়েছেন ৯০১ জন মানুষ। মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) মানবাধিকার পরিস্থিতি মনিটরিং প্রতিবেদনে (১ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর) এসব তথ্য উঠে এসেছে।
সংবাদসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও প্রায় প্রতিটি ঘটনার ক্ষেত্রেই স্থানীয় হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডারদের মাধ্যমে ভেরিফাই করা হয়েছে। আজ শুক্রবার এমএসএফ’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অ্যাডভোকেট সুলতানা কামালের স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।
এমএসএফ বলছে, ‘রাজনৈতিক অঙ্গনে সরকার দলীয় ও বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মকান্ড ও কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহিংসতা, হানাহানি হতাহতের ঘটনাসহ নাগরিক জীবনে উৎকন্ঠা বেড়েছে। অপরদিকে ক্ষমতাসীন দলের নিজেদের মধ্যকার সংঘাত-হিংস্রতা নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বিকার। ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটেই চলেছে। সুষ্ঠূ রাজনীতি করার অধিকার থেকে জনগণ বঞ্চিত হচ্ছে পাশাপাশি ক্রমাগত রাজনীতির ওপর থেকে জনগণ আস্থা হারাচ্ছে।’
সংস্থাটি আরও বলছে, এ মাসে বিরোধী দল বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সারা দেশে সমাবেশ ও শোভাযাত্রাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালনকালে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে পুলিশ নির্ধিদায় কাঁদানে গ্যাস, গুলি, গ্যাসের শেল, ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে হতাহতের মতো ঘটনা আশংঙ্খাজনকভাবে বেড়েছে।
এছাড়া এমএসএফ’র প্রতিবেদনে মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা পর্যালোচনায় দেখা যায়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার, সাংবাদিকতা এবং মতামত প্রকাশের সংবিধানপ্রদত্ত অধিকার প্রয়োগের পথ রুদ্ধ করার বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে। অপর দিকে গণপিটুনির মত আইন হাতে তুলে নেয়ার ঘটনাও বৃদ্ধি পেয়েছে। নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা, ধর্ষণ, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, যৌন হয়রানি, নির্যাতন এবং হত্যার মতো ঘটনা ক্রমবর্ধমান হারে বেড়ে চলেছে।
সেই সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে, নির্যাতন ও হয়রানি, কারা হেফাজতে মৃত্যু অনেকটাই বেড়েছে ও সীমান্তে হতাহতের মতো ঘটনাও বন্ধ হয়নি বরং বৃদ্ধি পেয়েছে। সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা অপ্রতিরোধ্য ভাবে ঘটেই চলেছে। মানবাধিকার লংঘনের এই ঘটনাগুলো ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশান (এমএসএফ) গভীর ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করছে।
নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা
সেপ্টেম্বর মাসে ৩৯৫টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে যার মধ্যে ধর্ষণের ঘটনা ৬২টি, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ১৯টি, ধর্ষণ ও হত্যা ৪টি। এর মধ্যে ৬ জন প্রতিবন্ধি নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। যে ধর্ষণের শিকার ৬২ জনের মধ্যে ১৯ জন শিশু, ২৫ জন কিশোরী রয়েছে, অপরদিকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৬ জন কিশোরী এবং ধর্ষণ ও হত্যার শিকার ১ জন শিশু ও ৩ জন কিশোরী। ধর্ষণের চেষ্টা ২১টি, যৌন হয়রানি ৩৪টি ও শারীরিক নির্যাতনের ৬৩টি ঘটনা ঘটেছে। এসময়ে একজন শিশু, ১৯ জন কিশোরী ও ৪৯জন নারীসহ মোট ৬৯ জন আত্মহত্যা করেছেন। এদের মধ্যে তিন জন প্রতিবন্ধি নারী রয়েছে।
বন্দুকযুদ্ধ, বিচারবর্হিভূত হত্যাকান্ড এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে অপহরণ
সেপ্টেম্বর মাসে বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড বা বন্দুকযুদ্ধের ৩টি ঘটনা ঘটেছে। কথিত গোলাগুলির তিনটির মধ্যে একটিতে র্যাবের গুলিতে ১ জন ও গুলিবিদ্ধ অবস্থায় অপর একজনের মৃতদেহ উদ্ধার ও পুলিশের গুলিতে একজন নিহত হয়। আহতসহ ছয় জনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে ৫ জন নাগরিককে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে মৃত্যু, নির্যাতন, অপতৎপরতার অভিযোগ
সেপ্টেম্বরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে ২ জনের মৃত্যু, গ্রেফতার এড়াতে পালানোর চেষ্টায় পানিতে ঝাপ দিয়ে ৩জন ও অপর একজনের পরে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া পুলিশের কিছু সদস্যের অনৈতিক কাজের পাশাপাশি তাঁদের অশোভন আচরণ, নির্যাতন, চাঁদাবাজি ও ছিনতাই, হয়রানিসহ বেশ কয়েকটি অপরাধের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
কারা হেফাজতে মৃত্যু
এ মাসে কারা হেফাজতে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। কারা হেফাজতে মৃতদের মধ্যে ৬ জন কয়েদি ও ৮ জন হাজতি রয়েছে। এমএসএফ মনে করে, কারাগারের অভ্যন্তরে চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতির পাশাপাশি, হেফাজতে মৃত্যুর সঠিকভাবে তদন্ত করা গুরুত্বপূর্ণ।
সীমান্তে হত্যা ও পরিস্থিতি
সীমান্তে হত্যা ও নির্যাতন বন্ধ বিএসএফ কর্তৃক কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দেয়া সত্বেও সীমান্ত হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনা বন্ধ হয়নি। এ মাসে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে তিন বাংলাদেশী নিহত ও সীমান্তে এলাকা থেকে চারটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অপরদিকে বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এসে গরু ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া উভয় পক্ষের নজরদারির অভাবে অবৈধ অনুপ্রবেশকালে আটকের ঘটনা ঘটেছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ব্যবহার/অপব্যবহার
এ মাসে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ১জন কিশোর, ২ জন রাজনৈতিক কর্মী (১ জন বিএনপি, ১ জন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন), ৩ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ১ জন যুবক সহ মোট ৭ জন গ্রেফতার হয়েছে। এ মাসে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ১২টি মামলা করা হয়েছে।
সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশে হামলা
সেপ্টেম্বর মাসে সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় অন্তত ১৯ জন সাংবাদিক নানাভাবে অপমান, নিপীড়ন, হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ১০ জন সাংবাদিক পেশাগত দায়িত্ব করতে গিয়ে আক্রমনের শিকার হয়ে আহত হয়েছেন।
সংখ্যালঘু নির্যাতন
এ মাসে ৯টি সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এগুলোর মধ্যে ১ টি ঘটনা উপাসনালয় ও মূর্তি ভাংচুর, ৫ টি ঘটনা সম্পত্তি, জমি ও ব্যবসা দখলের চেষ্টা ও হামলা,২ টি পরিবারের এবং ঘরবাড়ির উপর আক্রমনের ও ১ টি সাম্প্রদায়িক উসকানি ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে।
গণপিটুনি
সেপ্টেম্বর অন্তত ১৫টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, যেখানে ৯ নিহত ও গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন ৭ জন নারী ও ৭ জন ছাত্র শিক্ষক ও অন্যান্য যুবকেরা।