’৭১ সালে পাকিস্তান বাহিনী যে পরিকল্পিত ও বিস্তৃত গণহত্যা করেছে তার ৫১ বছরেও জেনোসাইড বা গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মেলেনি। স্বীকৃতি না থাকায় পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীদের আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের মুখোমুখি করা যায়নি। সরকারিভাবে বিভিন্ন সময়ে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে উদ্যোগের কথা বলা হলেও তা থমকে আছে। বেসরকারি ব্যক্তি ও সংগঠনের উদ্যোগে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে গ্রহণ করা হয়েছে সমন্বিত কর্মসূচি। এ নিয়ে আজ জেনেভায় যে আলোচনা হবে তা খুব বেশি কাজে আসবে না বলে মত দেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির।
তিনি রোববার (২ অক্টোবর) সংবাদকে বলেন, ‘কালকে (আজ) উঠবে, সেটা হিতে বিপরীত হয় কিনা সেটা নিয়েও আমার শঙ্কা আছে। কারণ আমাদের প্রস্তাব ছিল প্রথমে জাতিসংঘের সদস্যদেশগুলোর সম্মতি নেয়া। তারপর জাতিসংঘে যাওয়া। এখানে পাকিস্তান শুধু একটা পার্টনার। তাদের সঙ্গে আমেরিকা ও চীনও আছে। সেই সঙ্গে মুসলিম উম্মাহ যেটা সেটাও পাকিস্তানের পক্ষে ছিল। কোন ধরনের প্রস্তুতি ছাড়া এমন একটা বড় ফোরামে কেন যাচ্ছে সেটা আমি বুঝতে পারছি না।’
বাংলাদেশের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি না থাকলেও জাতীয়ভাবে ২০১৭ সালের ১১ মার্চ সংসদে ২৫ মার্চকে ‘গণহত্যা দিবস’ ঘোষণার বিষয়টি সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়। সংসদে উত্থাপিত প্রস্তাবে বলা হয়, ‘সংসদের অভিমত এই যে, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে বর্বর পাকিস্তান সেনাবাহিনী কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যাকে স্মরণ করে ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস ঘোষণা করা হোক এবং আন্তর্জাতিকভাবে এ দিবসের স্বীকৃতি আদায়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হোক।’ এরপর থেকে জাতীয়ভাবে গণহত্যা দিবস পালন করা হচ্ছে।
“এই দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। ফলে মন্ত্রীরা পর্যন্ত বিভ্রান্ত হচ্ছেন, তারা অনেকেই জাতিসংঘে গিয়ে বলেছেন, ২৫ মার্চের আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস ঘোষণা করতে হবে।” ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে যখন প্রস্তাবটি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে উঠল তখন ‘৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস’ প্রস্তাবে তো বাংলাদেশ স্বাক্ষর করেছে’ বলেন শাহরিয়ার কবির।
ওই সময়ের ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ‘এই প্রস্তাব নেয়ার দু’দিন পরে আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে বসেছি। ওই প্রস্তাবে বলা ছিল ২৫ মার্চকে জাতীয় গণহত্যা দিবস ঘোষণা করতে হবে এবং দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির উদ্যোগ নিতে হবে। আমরা বলেছিলাম ২৫ তারিখের দিবস কেটে দিয়ে ৯ মাসের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির উদ্যোগ নিতে হবে। সেই সংশোধনীটি করা হয়নি।’
ব্যক্তি বা প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগের পাশাপাশি এখানে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ অনেক বেশি জরুরি। রাষ্ট্রের পক্ষে আন্তর্জাতিক ফোরামে যেভাবে বিষয়টি তুলে ধরা সম্ভব, ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে তা নয়। একাত্তরে যেসব দেশ আমাদের সহায়তা করেছিল, যেমন ভারত, তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন, পূর্ব ইউরোপীয় দেশগুলোর লেখক-বুদ্ধিজীবীদের কাছেও বিষয়টি তুলে ধরা প্রয়োজন। একই সঙ্গে তাদের মহাফেজখানায় যেসব তথ্য-প্রমাণ আছে, সেগুলোও সংগ্রহ করা প্রয়োজন।
আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার উপায় কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের যত বন্ধুরাষ্ট্র আছে তাদেরকে আমাদের স্বীকৃতির বিষয়ে বলতে হবে। তারপর সেই দেশের পার্লামেন্টগুলোতে লবিং করতে হবে। ধরেন, কানাডার পার্লামেন্টে ২৬ জন এমপি আছেন ভারতীয় বংশউদ্ভুত। তারা যদি আমাদের বিষয়টা যাতে ওই দেশের পার্লামেন্টে উঠায় সেজন্য তো ভারতের সঙ্গে তো লবিং করতে হবে। এখন প্রবাসী ভারতীয় যদি আমাদের সহায়তা করে তবে প্রাচ্যসহ অনেক দেশের সমর্থন পাওয়া সহজ হবে।’
‘২০১৮ সালে আমরা সুইডিশ পার্লামেন্টের এমপিদের সঙ্গে বসেছিলাম তারা আমাদের বলেছেন, তোমাদের সরকার যদি আমাদের ফরমাললি বলে তবে আমরা এটা পার্লামেন্টে আলোচনা করব। কিন্তু সরকার তো সবচেয়ে বড় যে মিত্র (ভারত) তাকেই জানায়নি। অন্যদেশ তো অনেক পরের কথা’ বলেন নির্মূল কমিটির সভাপতি।
“সে সময়ে বঙ্গভবনে এক অনুষ্ঠানে তৎকালীন ভারতীয় হাইকমিশনার (যিনি এখন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব) বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশ যখনই স্বীকৃতি চাইবে, ভারত তখনই স্বীকৃতি দেবে।’ কিন্তু বাংলাদেশ কেন স্বীকৃতি চাইছে না সেটা তো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলবে?” প্রশ্ন শাহরিয়ার কবিরের।
জেনোসাইডের স্বীকৃতির জন্য ‘এগ্রেসিভ ডিম্লোমেসি’ প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘এজন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বলেছিলাম একটা পৃথক সেল খুলতে বলেছিলাম যেখানে সচিব পর্যায়ের একজন প্রধান হয়ে দায়িত্ব পালন করবেন। সে সঙ্গে, তথ্য প্রমাণ যা ছড়িয়ে আছে সেটা এক জায়গায় করতে হবে। সেই বিষয়গুলো নিয়ে কোন দেশকে কীভাবে লবিং করতে হবে সেটার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিরা আছেন, সরকারের মন্ত্রীরা আছেন আর যেসব দেশ আমাদের বন্ধু প্রতীম সেসব দেশের সঙ্গে ধাপে ধাপে লবিং করতে হবে।’
‘কোন রকম লবিং করলাম না, সদস্যদেশগুলোর সঙ্গে আলোচনাও করলাম না সরাসরি জাতিসংঘে চলে গেলাম স্বীকৃতি দেন আমাদের গণহত্যার! বিষয়টা তো ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস করার মতো সহজ বিষয় না’ আক্ষেপ শাহরিয়ার কবিরের।
কবে থেকে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির বিষয়ে দাবি তুলছেন জানতে চাইলে বলেন, ‘২০০৪ কি ২০০৫ সালে আমি শহীদ মিনার থেকে ঘোষণা করেছিলাম। তখন থেকে আমরা ধারাবাহিকভাবে বলে যাচ্ছি।’
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের চিহ্নিত এবং আন্তর্জাতিক সংস্থায় এর স্বীকৃতির প্রশ্নে প্রবাসীরা আগে থেকেই সোচ্চার থাকলেও তা এখন প্রবল হয়ে উঠেছে। তা জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের এজেন্ডায় পরিণত হওয়ায় সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের সদরদপ্তরে ৫১তম অধিবেশনে আলোচনা সভা, যার নেতৃত্বে রয়েছে সুইজারল্যান্ডের প্রবাসী সংগঠন বাংলাদেশ সাপোর্ট গ্রুপ (বাসুগ) এবং বাংলাদেশি সংগঠন আমরা একাত্তর ও প্রজন্ম ’৭১। কয়েকদিন আগে পাকিস্তান বাহিনীর গণহত্যা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের টাইমস স্কোয়ারে র্যালি করেছে প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
রোববার, ০২ অক্টোবর ২০২২
’৭১ সালে পাকিস্তান বাহিনী যে পরিকল্পিত ও বিস্তৃত গণহত্যা করেছে তার ৫১ বছরেও জেনোসাইড বা গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মেলেনি। স্বীকৃতি না থাকায় পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীদের আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের মুখোমুখি করা যায়নি। সরকারিভাবে বিভিন্ন সময়ে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে উদ্যোগের কথা বলা হলেও তা থমকে আছে। বেসরকারি ব্যক্তি ও সংগঠনের উদ্যোগে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে গ্রহণ করা হয়েছে সমন্বিত কর্মসূচি। এ নিয়ে আজ জেনেভায় যে আলোচনা হবে তা খুব বেশি কাজে আসবে না বলে মত দেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির।
তিনি রোববার (২ অক্টোবর) সংবাদকে বলেন, ‘কালকে (আজ) উঠবে, সেটা হিতে বিপরীত হয় কিনা সেটা নিয়েও আমার শঙ্কা আছে। কারণ আমাদের প্রস্তাব ছিল প্রথমে জাতিসংঘের সদস্যদেশগুলোর সম্মতি নেয়া। তারপর জাতিসংঘে যাওয়া। এখানে পাকিস্তান শুধু একটা পার্টনার। তাদের সঙ্গে আমেরিকা ও চীনও আছে। সেই সঙ্গে মুসলিম উম্মাহ যেটা সেটাও পাকিস্তানের পক্ষে ছিল। কোন ধরনের প্রস্তুতি ছাড়া এমন একটা বড় ফোরামে কেন যাচ্ছে সেটা আমি বুঝতে পারছি না।’
বাংলাদেশের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি না থাকলেও জাতীয়ভাবে ২০১৭ সালের ১১ মার্চ সংসদে ২৫ মার্চকে ‘গণহত্যা দিবস’ ঘোষণার বিষয়টি সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়। সংসদে উত্থাপিত প্রস্তাবে বলা হয়, ‘সংসদের অভিমত এই যে, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে বর্বর পাকিস্তান সেনাবাহিনী কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যাকে স্মরণ করে ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস ঘোষণা করা হোক এবং আন্তর্জাতিকভাবে এ দিবসের স্বীকৃতি আদায়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হোক।’ এরপর থেকে জাতীয়ভাবে গণহত্যা দিবস পালন করা হচ্ছে।
“এই দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। ফলে মন্ত্রীরা পর্যন্ত বিভ্রান্ত হচ্ছেন, তারা অনেকেই জাতিসংঘে গিয়ে বলেছেন, ২৫ মার্চের আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস ঘোষণা করতে হবে।” ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে যখন প্রস্তাবটি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে উঠল তখন ‘৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস’ প্রস্তাবে তো বাংলাদেশ স্বাক্ষর করেছে’ বলেন শাহরিয়ার কবির।
ওই সময়ের ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ‘এই প্রস্তাব নেয়ার দু’দিন পরে আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে বসেছি। ওই প্রস্তাবে বলা ছিল ২৫ মার্চকে জাতীয় গণহত্যা দিবস ঘোষণা করতে হবে এবং দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির উদ্যোগ নিতে হবে। আমরা বলেছিলাম ২৫ তারিখের দিবস কেটে দিয়ে ৯ মাসের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির উদ্যোগ নিতে হবে। সেই সংশোধনীটি করা হয়নি।’
ব্যক্তি বা প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগের পাশাপাশি এখানে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ অনেক বেশি জরুরি। রাষ্ট্রের পক্ষে আন্তর্জাতিক ফোরামে যেভাবে বিষয়টি তুলে ধরা সম্ভব, ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে তা নয়। একাত্তরে যেসব দেশ আমাদের সহায়তা করেছিল, যেমন ভারত, তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন, পূর্ব ইউরোপীয় দেশগুলোর লেখক-বুদ্ধিজীবীদের কাছেও বিষয়টি তুলে ধরা প্রয়োজন। একই সঙ্গে তাদের মহাফেজখানায় যেসব তথ্য-প্রমাণ আছে, সেগুলোও সংগ্রহ করা প্রয়োজন।
আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার উপায় কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের যত বন্ধুরাষ্ট্র আছে তাদেরকে আমাদের স্বীকৃতির বিষয়ে বলতে হবে। তারপর সেই দেশের পার্লামেন্টগুলোতে লবিং করতে হবে। ধরেন, কানাডার পার্লামেন্টে ২৬ জন এমপি আছেন ভারতীয় বংশউদ্ভুত। তারা যদি আমাদের বিষয়টা যাতে ওই দেশের পার্লামেন্টে উঠায় সেজন্য তো ভারতের সঙ্গে তো লবিং করতে হবে। এখন প্রবাসী ভারতীয় যদি আমাদের সহায়তা করে তবে প্রাচ্যসহ অনেক দেশের সমর্থন পাওয়া সহজ হবে।’
‘২০১৮ সালে আমরা সুইডিশ পার্লামেন্টের এমপিদের সঙ্গে বসেছিলাম তারা আমাদের বলেছেন, তোমাদের সরকার যদি আমাদের ফরমাললি বলে তবে আমরা এটা পার্লামেন্টে আলোচনা করব। কিন্তু সরকার তো সবচেয়ে বড় যে মিত্র (ভারত) তাকেই জানায়নি। অন্যদেশ তো অনেক পরের কথা’ বলেন নির্মূল কমিটির সভাপতি।
“সে সময়ে বঙ্গভবনে এক অনুষ্ঠানে তৎকালীন ভারতীয় হাইকমিশনার (যিনি এখন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব) বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশ যখনই স্বীকৃতি চাইবে, ভারত তখনই স্বীকৃতি দেবে।’ কিন্তু বাংলাদেশ কেন স্বীকৃতি চাইছে না সেটা তো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলবে?” প্রশ্ন শাহরিয়ার কবিরের।
জেনোসাইডের স্বীকৃতির জন্য ‘এগ্রেসিভ ডিম্লোমেসি’ প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘এজন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বলেছিলাম একটা পৃথক সেল খুলতে বলেছিলাম যেখানে সচিব পর্যায়ের একজন প্রধান হয়ে দায়িত্ব পালন করবেন। সে সঙ্গে, তথ্য প্রমাণ যা ছড়িয়ে আছে সেটা এক জায়গায় করতে হবে। সেই বিষয়গুলো নিয়ে কোন দেশকে কীভাবে লবিং করতে হবে সেটার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিরা আছেন, সরকারের মন্ত্রীরা আছেন আর যেসব দেশ আমাদের বন্ধু প্রতীম সেসব দেশের সঙ্গে ধাপে ধাপে লবিং করতে হবে।’
‘কোন রকম লবিং করলাম না, সদস্যদেশগুলোর সঙ্গে আলোচনাও করলাম না সরাসরি জাতিসংঘে চলে গেলাম স্বীকৃতি দেন আমাদের গণহত্যার! বিষয়টা তো ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস করার মতো সহজ বিষয় না’ আক্ষেপ শাহরিয়ার কবিরের।
কবে থেকে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির বিষয়ে দাবি তুলছেন জানতে চাইলে বলেন, ‘২০০৪ কি ২০০৫ সালে আমি শহীদ মিনার থেকে ঘোষণা করেছিলাম। তখন থেকে আমরা ধারাবাহিকভাবে বলে যাচ্ছি।’
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের চিহ্নিত এবং আন্তর্জাতিক সংস্থায় এর স্বীকৃতির প্রশ্নে প্রবাসীরা আগে থেকেই সোচ্চার থাকলেও তা এখন প্রবল হয়ে উঠেছে। তা জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের এজেন্ডায় পরিণত হওয়ায় সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের সদরদপ্তরে ৫১তম অধিবেশনে আলোচনা সভা, যার নেতৃত্বে রয়েছে সুইজারল্যান্ডের প্রবাসী সংগঠন বাংলাদেশ সাপোর্ট গ্রুপ (বাসুগ) এবং বাংলাদেশি সংগঠন আমরা একাত্তর ও প্রজন্ম ’৭১। কয়েকদিন আগে পাকিস্তান বাহিনীর গণহত্যা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের টাইমস স্কোয়ারে র্যালি করেছে প্রবাসী বাংলাদেশিরা।