বিদ্যুৎ নিয়ে কিছুদিন আগে সে শঙ্কা ছিল, সেটি কেটে গেছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। তিনি বলেন, বিদ্যুতের গ্রাহক সেবায় এখন আমরা ভালো আছি। আমরা ভেড়ামারা থেকে বিদ্যুৎ পাচ্ছি, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ পাব, ভারতের আদানি থেকেও বিদ্যুৎ আসবে। ফলে আগামী বছর থেকে আমাদের বিদ্যুৎ সংকট অনেকটাই কেটে যাবে।’

আজ রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে নর্দার্ন ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (নেসকো) আয়োজিত সেমিনারে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। আগামী বছরগুলোতে ভালো ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারার আশাও প্রকাশ করেন তিনি।

বিদ্যুৎ ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখনও পিছিয়ে রয়েছে মন্তব্য করে নসরুল হামিদ বলেন, আমাদের এক্ষেত্রে অনেক কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আগামীতে সেচ ব্যবস্থাকে সৌর বিদ্যুতের আওতায় আনা হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান, নেসকো’র চেয়ারম্যান মহসিন চৌধুরী প্রমুখ। সেমিনারে বিতরণ খাতে চ্যালেঞ্জ শীর্ষক মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী জাকিউল ইসলাম।

প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘বিদ্যুতের পরিমাণ বাড়লে তার ব্যবহারও বাড়বে। ফলে ডিস্ট্রিবিউশন লাইনে ইনভেস্টমেন্ট বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে উত্তরাঞ্চলে প্রচুর খালি জায়গা রয়েছে। সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে নেসকোর যথাযথ ব্যবহার করতে পারে।’

নসরুল হামিদ বলেন, ‘উত্তরাঞ্চলে ২৭ হাজার সেচ পাম্প আছে। সেগুলোকে সোলার পাওয়ারের আওতায় আনতে হবে। ২০৪১ এ বাংলাদেশের লক্ষ্য হলো জ্বালানি খাতে ৪০ ভাগ ক্লিন এনার্জি বাস্তবায়ন করা। নেসকোর এ বিষয়ে খেয়াল রাখা উচিত। নেসকোর আওতাধীন এলাকাগুলোর স্কুলের ছাদের সোলার প্যানেল বসানোর প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিদ্যুৎ খাতে আগামীতে এগিয়ে যাওয়ার পথ হলো টেকনোলজি, যার বিকল্প নেই। যে যত দেরিতে যাবে, সে তত পিছিয়ে যাবে। পিজিসিবি, বিপিডিবি টেকনোলজিতে ঢুকতে পারেনি। এক্ষেত্রে নেসকো এগিয়ে গেছে। ফলে ২০১৬ জন্ম নেয়া প্রতিষ্ঠানটি খুব অল্প সময়ে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।’