ফের প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। চলতি ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে প্রতিটি উপজেলা সদরে এ পরীক্ষা হবে।
২০০৯ সালে পঞ্চম শ্রেণীতে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা (পিইসি) শুরু হয়। এতে আলাদা বৃত্তি পরীক্ষা বন্ধ রাখা হয়। প্রাথমিক সমাপনীর ফলের ভিত্তিতেই এতদিন শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেয়া হতো।
করোনা মহামারীর কারণে গত দু’বছর প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা নেয়া হয়নি। এই পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষাবিদদেরও ভিন্নমত ছিল। এর আলোকে নতুন শিক্ষাক্রমে এই সমাপনী পরীক্ষা আর না নেয়ার কথা বলা হয়েছে। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে প্রাথমিকে মেধা বৃত্তির জন্য শিক্ষার্থী বাছাই করতে পৃথক পরীক্ষার ব্যবস্থা পুনরায় আনা হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত সাংবাদিকদের জানান, দেশের সব স্কুলে পঞ্চম শ্রেণীর মোট শিক্ষার্থীর দশ শতাংশ প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। সমাপনী পরীক্ষা না হচ্ছে না; তবে আগামী ৮ ডিসেম্বর থেকে বার্ষিক মূল্যায়ন পরীক্ষা শুরু হবে।
শ্রেণীকক্ষ ও বার্ষিক মূল্যায়ন পরীক্ষার ভিত্তিতে মেধা যাচাইয়ে এগিয়ে থাকা দশ শতাংশ শিক্ষার্থী এই বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করতে, তাদের মেধার মূল্যায়নের জন্যই বৃত্তি পরীক্ষা নেয়া হবে।
গত ২৮ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয়ের এক সভায় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে মেধাবৃত্তি দেয়ার ‘বিকল্প মেধা যাচাই’ এর সিন্ধান্ত নেয়া হয়। এতে প্রচলিত নিয়ম ও পদ্ধতিতে প্রাথমিক বৃত্তি দেয়া অব্যাহত রাখার কথা বলা হয়।
এরপর ডিপিই থেকে সারাদেশের পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ও পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা জানতে চেয়ে গত ১ ডিসেম্বর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়। গতকালের মধ্যে এই তথ্যই মেইলে পাঠাতে বলা হয়।
সর্বশেষ ২০১৯ সালে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা হয়। ওই ফলাফলের ভিত্তিতে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৮০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেয়া হয়। এর মধ্যে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিপ্রাপ্তরা মাসে ৩০০ টাকা এবং সাধারণ বৃত্তিপ্রাপ্তরা মাসে ২২৫ টাকা করে পায়। অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত এই বৃত্তি দেয়া হয়।
সোমবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২২
ফের প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। চলতি ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে প্রতিটি উপজেলা সদরে এ পরীক্ষা হবে।
২০০৯ সালে পঞ্চম শ্রেণীতে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা (পিইসি) শুরু হয়। এতে আলাদা বৃত্তি পরীক্ষা বন্ধ রাখা হয়। প্রাথমিক সমাপনীর ফলের ভিত্তিতেই এতদিন শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেয়া হতো।
করোনা মহামারীর কারণে গত দু’বছর প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা নেয়া হয়নি। এই পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষাবিদদেরও ভিন্নমত ছিল। এর আলোকে নতুন শিক্ষাক্রমে এই সমাপনী পরীক্ষা আর না নেয়ার কথা বলা হয়েছে। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে প্রাথমিকে মেধা বৃত্তির জন্য শিক্ষার্থী বাছাই করতে পৃথক পরীক্ষার ব্যবস্থা পুনরায় আনা হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত সাংবাদিকদের জানান, দেশের সব স্কুলে পঞ্চম শ্রেণীর মোট শিক্ষার্থীর দশ শতাংশ প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। সমাপনী পরীক্ষা না হচ্ছে না; তবে আগামী ৮ ডিসেম্বর থেকে বার্ষিক মূল্যায়ন পরীক্ষা শুরু হবে।
শ্রেণীকক্ষ ও বার্ষিক মূল্যায়ন পরীক্ষার ভিত্তিতে মেধা যাচাইয়ে এগিয়ে থাকা দশ শতাংশ শিক্ষার্থী এই বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করতে, তাদের মেধার মূল্যায়নের জন্যই বৃত্তি পরীক্ষা নেয়া হবে।
গত ২৮ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয়ের এক সভায় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে মেধাবৃত্তি দেয়ার ‘বিকল্প মেধা যাচাই’ এর সিন্ধান্ত নেয়া হয়। এতে প্রচলিত নিয়ম ও পদ্ধতিতে প্রাথমিক বৃত্তি দেয়া অব্যাহত রাখার কথা বলা হয়।
এরপর ডিপিই থেকে সারাদেশের পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ও পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা জানতে চেয়ে গত ১ ডিসেম্বর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়। গতকালের মধ্যে এই তথ্যই মেইলে পাঠাতে বলা হয়।
সর্বশেষ ২০১৯ সালে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা হয়। ওই ফলাফলের ভিত্তিতে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৮০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেয়া হয়। এর মধ্যে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিপ্রাপ্তরা মাসে ৩০০ টাকা এবং সাধারণ বৃত্তিপ্রাপ্তরা মাসে ২২৫ টাকা করে পায়। অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত এই বৃত্তি দেয়া হয়।