alt

জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র দুর্বল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গণতন্ত্র নিয়ে সমস্যা। দেশটির গণতন্ত্র দুর্বল। তাই দেশটি গণতন্ত্রকে আরও সোচ্চার করতে দেশে-বিদেশে চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

বুধবার (২৯ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাকিদকের প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা চিঠিতে গণতন্ত্র-নির্বাচন প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন। এ বিষয়ে সরকার উদ্বেগ রয়েছে কী না, এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভূ-রাজনৈতিক কারণে আমাদের ইমেজ বেড়েছে। সবাই এখন আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে চায়, ব্যবসা বাড়াতে চায়। আমরা চাই স্বচ্ছ ও সুন্দর নির্বাচন হোক। যুক্তরাষ্ট্রও চায়। তাদের দেশে গণতন্ত্র নিয়ে সমস্যা। গত নির্বাচনে (মার্কিন নির্বাচন) তাদের দেশের অন্য দল বিশ্বাসই করেনি, আমেরিকার নির্বাচন স্বচ্ছ হয়েছে।

মোমেন বলেন, তাদের দেশে গণতন্ত্র দুর্বল। তাই তারা গণতন্ত্রকে আরও সোচ্চার করতে দেশে-বিদেশে চেষ্টা করছে। আমরাও চেষ্টা করছি। এসব যদি তারা বলেন, নাথিং রং। গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হওয়ার জন্য আমরা স্বচ্ছ ইনস্টিটিউশন তৈরে করেছি। স্বচ্ছ ব্যালেট বাক্স তৈরি করেছি, ছবিযুক্ত ভোটার আইডি করেছি।

গণতন্ত্রের জন্য বাংলাদেশের অন্যের কাছ থেকে সবক নিতে হবে না বলেও মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের জন্য আমাদের অন্যের কাছ থেকে সবক নিতে হবে না। কারণ, আমরাই একমাত্র দেশ যারা গণতন্ত্রের জন্য, ন্যায় বিচারের জন্য মানবিকতার জন্যে ৩০ লাখ লোক প্রাণ দিয়েছি। এটা অনেকে ভুলে যান, অন্য কেউ এত প্রাণ দেয় নাই।

‘বাংলাদেশের গণতন্ত্র অত্যন্ত পরিপক্ব। শেখ হাসিনার কারণে বাংলাদেশের গণতন্ত্র আরও শক্তিশালী হয়েছে।’ বক্তব্যে যোগ করেন মোমেন।

এ সময় মন্ত্রী বিএনপি সরকারের আমল তথা ২০০১-০৬ শাসন আমলে দেশে গণতন্ত্র ছিল না বলেও অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ২০০১-০৬ সালে গণতন্ত্র ছিল না। তখন জিহাদী ছিল, সন্ত্রাসী ছিল।

আগামী নির্বাচন স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য হওয়ার বার্তা দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, গত ১৪ বছরে শেখ হাসিনা সরকারে অধীনে অনেক নির্বাচন হয়েছে, সেগুলো স্বচ্ছ হয়েছে। এক হাজারের মধ্যে পাঁচটা হয়তো প্রশ্নবিদ্ধ, আর সব স্বচ্ছ হয়েছে। আমরা আশা করি, আগামীতেও আমাদের নির্বাচন স্বচ্ছ, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য হবে। শেখ হাসিনা সরকার সুন্দর ও স্বচ্ছ নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর।

তবে স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সরকারের একার পক্ষে করা সম্ভব নয় বলেও মনে করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা সরকারের একার দায়িত্ব নয়। যারা ভোটার তাদের দায়িত্ব, বিভিন্ন সরকারি কর্মচারী যারা নেতৃত্বে থাকবেন তাদের দায়িত্ব। আরও বড় দায়িত্ব হলো রাজনৈতিক দলের।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে স্বাধীনতা দিবসে পাওয়া শুভেচ্ছা বার্তা গণতন্ত্র কিংবা নির্বাচন প্রসঙ্গের উল্লেখে সরকার চাপ অনুভব করছে কী না? -এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা চাপ অনুভব করি না। আপনারা মিডিয়া চাপ অনুভব করতে পারেন। আমরা দেশের মানুষের জন্য যেটা ভালো, সেটাই করি। দেশি মানুষকে বিশ্বাস কির, বিদেশি কে মাতব্বরি করল, সেটা আমাদের…।

সৌদি আরবে ওমরা পালন করতে গিয়ে বাস দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া বাংলাদেশিদের মরদেহ দেশে ফেরানো নিয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, সরকারতো সবার মরদেহ নিয়ে আসে। যারা অস্বচ্ছল তাদের মরদেহ সরকার দেশে নিয়ে আসে।

ওমরা পালন করতে গিয়ে মারা যাওয়াদের মরদেহ সরকারি ব্যবস্থায় ফেরানোর প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা আমি এখন বলতে পারব না। আমাকে জেনে জানাতে হবে। সাধারণত বিদেশে মারা গেলে অস্বচ্ছলদের সরকারি পয়সায় মরদেহ নিয়ে আসি।

এর আগে, জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠান শেষে কানাডার ‘বেগম পাড়ায়’ সম্পদের পাহাড় গড়াদের তালিকা প্রকাশ করা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিদেশি সরকারদের একটি আইন আছে, প্রাইভেসি অ্যাক্ট। এ আইনের মাধ্যমে তারা আমাদের দেশের লোকেরা যারা টাকা নিয়ে গেছে, তাদের তথ্য দিতে নারাজ। ইনডিরেক্টলি তারা এটা নিরুৎসাহিত করে।

তিনি বলেন, টাকা নিয়ে ওইদেশে যারা যায় তাদের তথ্য বিদেশি সরকার আমাদের দেয় না। সরকারি তথ্য না হলে… আমরা যে তথ্য পেয়েছি, সেগুলো বেসরকারি তথ্য। বেসরকারি তথ্যের বেসিসে আপনি খুব একটা অ্যাকশন নিতে পারবেন না।

বিদেশি সরকারের কাছ থেকে বাংলাদেশ সরকার তথ্য চেয়েছে কী না? -জানতে চাইলে মোমেন বলেন, আমরা চেয়েছি, তারা তাল বাহানা করে। তারা একটা না একটা আইন দেখায়। তবে এটার দায়িত্ব কিন্তু দুদকের। তারা এগুলো দেখবে। তারা বড় সংস্থা, তাদের টাকা পয়সা আছে।

ছবি

রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান হলেন এম ইউ কবীর চৌধুরী

বাল্যবিবাহ রোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে : মানবাধিকার কমিশন

ছবি

১৫ বছরে আমাদের চাল আমদানি করতে হয়নি: এলজিআরডি মন্ত্রী

ছবি

শপথ নিলেন আপিল বিভাগের ৩ বিচারপতি

ছবি

যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী

ছবি

গ্যাস সংকটে আগামীর ‘ভরসা’ এলএনজি

ছবি

রানা প্লাজা ধসের ১১ বছর : ‘আমার স্বপ্নও ভেঙে গেছে’

ছবি

এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য

ছবি

থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা

ছবি

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ৩ নতুন বিচারক

ছবি

কক্সবাজারে ভোটার হওয়া রোহিঙ্গাদের তালিকা চায় হাই কোর্ট

ছবি

ব্যাংকক পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

ছবি

তাপপ্রবাহের এলাকা আরও বাড়বে

ছবি

ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী

ছবি

বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে ৫টি চুক্তি ও ৫টি সমঝোতা স্মারক সই

ছবি

ঢাকা ছাড়লেন কাতারের আমির

ছবি

সোমালি জলদস্যুদের দ্বারা জব্দ করা জাহাজ সংযুক্ত আরব আমিরাতে পৌঁছেছে; ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিকের সবাই নিরাপদ

ছবি

পদে থেকেই ইউপি চেয়ারম্যানরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন

ছবি

পদত্যাগ না করেই ইউপি চেয়ারম্যানরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন

ছবি

বান্দরবানের তিন উপজেলায় ভোট স্থগিত : ইসি সচিব

ছবি

তীব্র দাবদাহের মধ্যেও বিদ্যুৎ উৎপাদনে রেকর্ড , আছে লোড শেডিংও

ছবি

বাংলাদেশ-কাতার ১০ চুক্তি সই

ছবি

ঢাকা থেকে প্রধান ১৫টি রুটে ট্রেনের ভাড়া যত বাড়ল

ছবি

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে কাতারের আমির

ছবি

তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা বাড়লো আরও ৩ দিন, দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ

ছবি

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক আর্মি কমান্ড এর যৌথ অংশগ্রহণে টিএল-২০২৪ উদ্বোধন

ছবি

শিশু অধিকার বিষয়ক সচেতনতা সৃষ্টিতে মিডিয়ার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ--স্পীকার

ছবি

দু’দিনের সফরে কাতারের আমির ঢাকায়

ছবি

পাঁচ দিনের সফরে বুধবার থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

ছবি

৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া

ছবি

আনু মুহাম্মদের পায়ে ‌‘কম্বাইন্ড অপারেশন’ দরকার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ছবি

আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা

ছবি

তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা, বাড়লো আরও ৩ দিন

ছবি

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই কি এত তাপ?

ছবি

ভারতের উজানে পানি প্রত্যাহার করে নেয়ায় তিস্তা মরা খালে পরিনত হয়েছে

ছবি

তাপদাহ : হাসপাতাল প্রস্তুত রাখার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

tab

জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র দুর্বল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গণতন্ত্র নিয়ে সমস্যা। দেশটির গণতন্ত্র দুর্বল। তাই দেশটি গণতন্ত্রকে আরও সোচ্চার করতে দেশে-বিদেশে চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

বুধবার (২৯ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাকিদকের প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা চিঠিতে গণতন্ত্র-নির্বাচন প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন। এ বিষয়ে সরকার উদ্বেগ রয়েছে কী না, এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভূ-রাজনৈতিক কারণে আমাদের ইমেজ বেড়েছে। সবাই এখন আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে চায়, ব্যবসা বাড়াতে চায়। আমরা চাই স্বচ্ছ ও সুন্দর নির্বাচন হোক। যুক্তরাষ্ট্রও চায়। তাদের দেশে গণতন্ত্র নিয়ে সমস্যা। গত নির্বাচনে (মার্কিন নির্বাচন) তাদের দেশের অন্য দল বিশ্বাসই করেনি, আমেরিকার নির্বাচন স্বচ্ছ হয়েছে।

মোমেন বলেন, তাদের দেশে গণতন্ত্র দুর্বল। তাই তারা গণতন্ত্রকে আরও সোচ্চার করতে দেশে-বিদেশে চেষ্টা করছে। আমরাও চেষ্টা করছি। এসব যদি তারা বলেন, নাথিং রং। গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হওয়ার জন্য আমরা স্বচ্ছ ইনস্টিটিউশন তৈরে করেছি। স্বচ্ছ ব্যালেট বাক্স তৈরি করেছি, ছবিযুক্ত ভোটার আইডি করেছি।

গণতন্ত্রের জন্য বাংলাদেশের অন্যের কাছ থেকে সবক নিতে হবে না বলেও মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের জন্য আমাদের অন্যের কাছ থেকে সবক নিতে হবে না। কারণ, আমরাই একমাত্র দেশ যারা গণতন্ত্রের জন্য, ন্যায় বিচারের জন্য মানবিকতার জন্যে ৩০ লাখ লোক প্রাণ দিয়েছি। এটা অনেকে ভুলে যান, অন্য কেউ এত প্রাণ দেয় নাই।

‘বাংলাদেশের গণতন্ত্র অত্যন্ত পরিপক্ব। শেখ হাসিনার কারণে বাংলাদেশের গণতন্ত্র আরও শক্তিশালী হয়েছে।’ বক্তব্যে যোগ করেন মোমেন।

এ সময় মন্ত্রী বিএনপি সরকারের আমল তথা ২০০১-০৬ শাসন আমলে দেশে গণতন্ত্র ছিল না বলেও অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ২০০১-০৬ সালে গণতন্ত্র ছিল না। তখন জিহাদী ছিল, সন্ত্রাসী ছিল।

আগামী নির্বাচন স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য হওয়ার বার্তা দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, গত ১৪ বছরে শেখ হাসিনা সরকারে অধীনে অনেক নির্বাচন হয়েছে, সেগুলো স্বচ্ছ হয়েছে। এক হাজারের মধ্যে পাঁচটা হয়তো প্রশ্নবিদ্ধ, আর সব স্বচ্ছ হয়েছে। আমরা আশা করি, আগামীতেও আমাদের নির্বাচন স্বচ্ছ, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য হবে। শেখ হাসিনা সরকার সুন্দর ও স্বচ্ছ নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর।

তবে স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সরকারের একার পক্ষে করা সম্ভব নয় বলেও মনে করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা সরকারের একার দায়িত্ব নয়। যারা ভোটার তাদের দায়িত্ব, বিভিন্ন সরকারি কর্মচারী যারা নেতৃত্বে থাকবেন তাদের দায়িত্ব। আরও বড় দায়িত্ব হলো রাজনৈতিক দলের।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে স্বাধীনতা দিবসে পাওয়া শুভেচ্ছা বার্তা গণতন্ত্র কিংবা নির্বাচন প্রসঙ্গের উল্লেখে সরকার চাপ অনুভব করছে কী না? -এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা চাপ অনুভব করি না। আপনারা মিডিয়া চাপ অনুভব করতে পারেন। আমরা দেশের মানুষের জন্য যেটা ভালো, সেটাই করি। দেশি মানুষকে বিশ্বাস কির, বিদেশি কে মাতব্বরি করল, সেটা আমাদের…।

সৌদি আরবে ওমরা পালন করতে গিয়ে বাস দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া বাংলাদেশিদের মরদেহ দেশে ফেরানো নিয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, সরকারতো সবার মরদেহ নিয়ে আসে। যারা অস্বচ্ছল তাদের মরদেহ সরকার দেশে নিয়ে আসে।

ওমরা পালন করতে গিয়ে মারা যাওয়াদের মরদেহ সরকারি ব্যবস্থায় ফেরানোর প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা আমি এখন বলতে পারব না। আমাকে জেনে জানাতে হবে। সাধারণত বিদেশে মারা গেলে অস্বচ্ছলদের সরকারি পয়সায় মরদেহ নিয়ে আসি।

এর আগে, জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠান শেষে কানাডার ‘বেগম পাড়ায়’ সম্পদের পাহাড় গড়াদের তালিকা প্রকাশ করা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিদেশি সরকারদের একটি আইন আছে, প্রাইভেসি অ্যাক্ট। এ আইনের মাধ্যমে তারা আমাদের দেশের লোকেরা যারা টাকা নিয়ে গেছে, তাদের তথ্য দিতে নারাজ। ইনডিরেক্টলি তারা এটা নিরুৎসাহিত করে।

তিনি বলেন, টাকা নিয়ে ওইদেশে যারা যায় তাদের তথ্য বিদেশি সরকার আমাদের দেয় না। সরকারি তথ্য না হলে… আমরা যে তথ্য পেয়েছি, সেগুলো বেসরকারি তথ্য। বেসরকারি তথ্যের বেসিসে আপনি খুব একটা অ্যাকশন নিতে পারবেন না।

বিদেশি সরকারের কাছ থেকে বাংলাদেশ সরকার তথ্য চেয়েছে কী না? -জানতে চাইলে মোমেন বলেন, আমরা চেয়েছি, তারা তাল বাহানা করে। তারা একটা না একটা আইন দেখায়। তবে এটার দায়িত্ব কিন্তু দুদকের। তারা এগুলো দেখবে। তারা বড় সংস্থা, তাদের টাকা পয়সা আছে।

back to top