মানবাধিকার প্রতিবেদন
চলতি মার্চে দেশে ৩৬১ নারী ও শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ধর্ষণের ঘটনা ৭২টি, অ্যাসিড নিক্ষেপ একটি ও গণপিটুনিতে সাতজন নিহত হয়েছে। এছাড়া মার্চ মাসে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ১০ মামলায় প্রথম আলোর একজন সাংবাদিকসহ সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
আজ শুক্রবার (৩১ মার্চ) চলতি মাসের মানবাধিকার পরিস্থিতি সংক্রান্ত প্রতিবেদনে প্রকাশ করে সংগঠনটি। দেশের ১২টি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। ফাউন্ডেশন বলছে, ১ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সংঘটিত ঘটনার ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করা। প্রায় প্রতিটি ঘটনার ক্ষেত্রেই স্থানীয় হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডারদের মাধ্যমে তা যাচাই করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্চ মাসে রাজনৈতিক সহিংসতা কমলেও নির্বাচনী সহিংসতা ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে।বেড়েছে গণপিটুনির ঘটনাও।
প্রতিবেদনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিষয়ে বলা হয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রবলভাবে সমালোচিত। এ আইনে মামলার নামে হয়রানি কমেনি। ধারাবাহিকভাবে এর অপব্যবহার বেড়েই চলেছে। মার্চ মাসে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ১০ মামলায় দৈনিক প্রথম আলোর একজন সাংবাদিকসহ সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্চ মাসে কথিত বন্দুকযুদ্ধে একজন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। নারী ও পুরুষসহ ২৭ টি অজ্ঞাতপরিচয় মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সভা সমাবেশে বাধা দেওয়ার ৩১ টি ঘটনায় ৩৮৯ জন রাজনৈতিক সহিংসতার শিকার হয়েছেন। এছাড়া রাজনৈতিক মামলায় ১৭০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এমএসএফ মনে করে, এ আইনে যথেচ্ছ অপব্যবহারের মাধ্যমে মানুষের মতপ্রকাশে বাধা দেওয়া হচ্ছে ও মুখ বন্ধ করার ভয়ংকর অপতৎপরতা চালানো হচ্ছে। এ আইনের বাতিল চেয়েছে সংগঠনটি।
মানবাধিকার প্রতিবেদন
শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩
চলতি মার্চে দেশে ৩৬১ নারী ও শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ধর্ষণের ঘটনা ৭২টি, অ্যাসিড নিক্ষেপ একটি ও গণপিটুনিতে সাতজন নিহত হয়েছে। এছাড়া মার্চ মাসে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ১০ মামলায় প্রথম আলোর একজন সাংবাদিকসহ সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
আজ শুক্রবার (৩১ মার্চ) চলতি মাসের মানবাধিকার পরিস্থিতি সংক্রান্ত প্রতিবেদনে প্রকাশ করে সংগঠনটি। দেশের ১২টি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। ফাউন্ডেশন বলছে, ১ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সংঘটিত ঘটনার ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করা। প্রায় প্রতিটি ঘটনার ক্ষেত্রেই স্থানীয় হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডারদের মাধ্যমে তা যাচাই করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্চ মাসে রাজনৈতিক সহিংসতা কমলেও নির্বাচনী সহিংসতা ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে।বেড়েছে গণপিটুনির ঘটনাও।
প্রতিবেদনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিষয়ে বলা হয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রবলভাবে সমালোচিত। এ আইনে মামলার নামে হয়রানি কমেনি। ধারাবাহিকভাবে এর অপব্যবহার বেড়েই চলেছে। মার্চ মাসে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ১০ মামলায় দৈনিক প্রথম আলোর একজন সাংবাদিকসহ সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্চ মাসে কথিত বন্দুকযুদ্ধে একজন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। নারী ও পুরুষসহ ২৭ টি অজ্ঞাতপরিচয় মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সভা সমাবেশে বাধা দেওয়ার ৩১ টি ঘটনায় ৩৮৯ জন রাজনৈতিক সহিংসতার শিকার হয়েছেন। এছাড়া রাজনৈতিক মামলায় ১৭০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এমএসএফ মনে করে, এ আইনে যথেচ্ছ অপব্যবহারের মাধ্যমে মানুষের মতপ্রকাশে বাধা দেওয়া হচ্ছে ও মুখ বন্ধ করার ভয়ংকর অপতৎপরতা চালানো হচ্ছে। এ আইনের বাতিল চেয়েছে সংগঠনটি।