alt

জাতীয়

পায়রা বন্ধ হওয়ায় বড় অঙ্কের লোকসানে পিডিবি

ফয়েজ আহমেদ তুষার : মঙ্গলবার, ০৬ জুন ২০২৩

কয়লার অভাবে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিরাট অঙ্কের লোকসানে পড়বে পিডিবি। চুক্তি অনুযায়ী, বিদ্যুৎকেন্দ্রটি যদি ৩০ দিন বসে থাকে সে ক্ষেত্রে পিডিবিকে কেন্দ্রভাড়া পরিশোধ করতে হবে প্রায় ২৪৫ কোটি টাকা।

এদিকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ থাকায় পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিচালনায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান বিসিপিসিএলেরও কিছুটা লোকসান হবে। এক মাস উৎপাদন বন্ধ থাকলে বাংলাদেশ-চীন যৌথ উদ্যোগে গঠিত এই কোম্পানিটি লোকসান গুনবে প্রায় ৩০ কোটি টাকা।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ও বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিপিসিএল) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

উৎপাদন বিবেচনায় পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও দক্ষতার বিচারেও দেশের অন্যতম সফল বিদ্যুৎকেন্দ্র এটি। গড়ে দেশের দৈনিক মোট চাহিদার প্রায় ১০ শতাংশ বিদ্যুৎ জোগান দেয় কেন্দ্রটি।

ডলার সংকটে সময়মতো কয়লা (জ্বালানি) আমদানি করতে না পারায় গত সোমবার পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন। জ্যৈষ্ঠের তীব্র গরমে ঘণ্টায় ঘন্টায় লোডশেডিংয়ে এমনিতেই মানুষের বেহাল দশা। পায়রার দুটি ইউনিটই বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সারাদেশে লোডশেডিং আরও বেড়ে যায়।

কয়লার (জ্বালানি) অভাবে গত ২৫ মে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটটি বন্ধ হয়ে যায়। বিসিপিসিএল সূত্র জানায়, গত ৫ জুন দুপুর ১২টার দিকে বন্ধ হয়ে যায় দ্বিতীয় ইউনিটটি। প্রতিটি ইউনিটের উৎপাদন সক্ষমতা ৬৬০ মেগাওয়াট করে।

সম্পূর্ণ আমদানিনির্ভর জ্বালানি (কয়লা) দিয়ে চলে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিসিপিসিএল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিচালনা করে। ডলার সংকটের কারণে আমদানি করা কয়লার বিল পরিশোধ করতে পারছিল না প্রতিষ্ঠানটি। বিশাল অঙ্কের বকেয়া জমে যাওয়ায় কয়লা সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিয়ে অনেক আগেই চিঠি দিয়েছিল সরবরাহকারী বিদেশি একটি প্রতিষ্ঠান।

এ কথা গত এপ্রিলে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছিল বিসিপিসিএল; যার অনুলিপি অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নরকেও দেয়া হয়েছিল।

চিঠিতে বিসিপিসিএল জানায়, ইতোপূর্বে বকেয়া পরিশোধের জন্য দফায় দফায় সোনালী ব্যাংক (বিসিপিসিএল-এর অ্যাকাউন্ট ব্যাংক) এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতা চাওয়া হলেও প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রার জোগান না পাওয়ায় বকেয়ার পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে।

বকেয়া দ্রুত পরিশোধ করা অত্যন্ত জরুরি উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়েছিল, ‘অন্যথায় বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে গ্রীষ্ম ও সেচ মৌসুমে ব্যাপকভাবে লোডশেডিংয়ের কারণে জাতীয় অর্থনীতি হুমকির সম্মুখীন হবে।’

আমদানি করা কয়লার বিল প্রায় ৩৯০ মার্কিন মিলিয়ন ডলার বকেয়ার মধ্যে মে মাসের শেষে ১০০ মিলিয়ন ডলার ব্যবস্থা করে দেয় সরকার। খোলা হয় এলসি।

অভিযোগ উঠেছে, আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সমন্বয়হীনতা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের অবহেলার কারণেই কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে গেছে। যদিও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো নিজেদের দায় অস্বীকার করে বলছে, বৈশি^ক মন্দার পরিস্থিতিতে ডলার সংকটের কারণেই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চুক্তি অনুযায়ী, উৎপাদিত বিদ্যুতের দামের পাশাপাশি কেন্দ্রভাড়া বাবদ প্রতি মাসে পিডিবিকে ২৪৫ কোটি টাকা দিতে হবে। এখন বিদ্যুৎ উৎপাদন না করলেও নির্ধারিত কেন্দ্রভাড়া পরিশোধ করতে হবে পিডিবিকে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, পিডিবির চাহিদা অনুযায়ী নিরবচ্ছিন্নভাবে গড়ে প্রতিদিন ১ হাজার ২৪৪ মেগাওয়াট করে প্রায় তিন কোটি ইউনিট বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আসছিল কেন্দ্রটি। প্রতি মাসে এর পরিমাণ ছিল ৯০ কোটি ইউনিট। গড়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের বিক্রয়মূল্য ছিল ৫ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ৬ টাকার মতো।

প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ বিক্রি করে প্রতিষ্ঠানটির নিট মুনাফার প্রকৃত জানা না গেলেও নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানা যায়, সব ধরনের ব্যয় বাদ দিয়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতে তাদের নিট মুনাফা হতো ৫ থেকে ৬ শতাংশ। প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের গড়মূল্য সাড়ে ৫ টাকা এবং মুনাফা সাড়ে ৫ শতাংশ বিবেচনায় নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির এক মাসে মুনাফার পরিমাণ প্রায় ৩০ কোটি টাকা। কেন্দ্রটি বন্ধ থাকায় এ মুনাফা থেকে বঞ্চিত হবে বিসিপিসিএল।

এদিকে কয়লা কেনার জন্য সাড়ে ৬ শতাংশ সুদে ঋণ নেয় প্রতিষ্ঠানটি। গত ছয় মাসের বেশি সময় কয়লার বিল বকেয়া থাকায় সুদের পরিমাণও বেড়ে যাবে। বাড়তি এ সুদের অর্থ বিসিপিসিএলকেই পরিশোধ করতে হবে।

বর্তমানে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে পিডিবির বিদ্যুৎ ক্রয়ের প্রতি ইউনিটের গড়মূল্য প্রায় ১১ টাকা ৫০ পয়সা। যদিও পিডিবি এ বিদ্যুৎ লোকসান দিয়ে বিতরণ কোম্পানির কাছে বিক্রি করছে ৮ টাকা ১০ পয়সায়। পায়রা থেকে এক মাস বিদ্যুৎ কিনতে না পারলে পিডিবির লোকসান আরও বাড়বে।

সূত্রমতে, কয়লা দেশে পৌঁছানো এবং কেন্দ্র চালু করতে সব মিলে অন্তত এক মাসের মতো সময় লাগবে। কোন কারণে যদি কয়লা আসতে আরও দেরি হয়, তাহলে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে।

জানতে চাইলে বিসিপিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী এ এম খোরশেদুল আলম সংবাদকে বলেন, সিএমসিকে ১০০ মিলিয়ন পেমেন্ট দিয়ে এলসি খোলা হয়েছে। আমরা ১৫টি জাহাজের এলসি খুলেছি। প্রতিটি প্রায় ৩০-৩৫ হাজার মেট্রিক টন।

আশা করি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা ঝড়ের কবলে না পড়লে আগামী ২৫ তারিখের মধ্যেই প্রথম জাহাজটি এসে পড়বে। আমরাও উৎপাদন শুরু করতে পারব।

কেন্দ্রটি বন্ধ থাকাকালীন সিডিউল মেইনটেনেন্সের কাজ সেরে ফেলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে জানিয়ে খোরশেদুল আলম বলেন, বছরে একবার আবার দুই বছরে একবার বিভিন্ন ধরনের মেইনটেনেন্স আছে। এখন আমরা কিছু কাজ করে রাখবো যাতে আগামী দুই বছর একটানা কেন্দ্রটি উৎপাদনে থাকতে পারে।

এদিকে মঙ্গলবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রে ১৫ দিনের মধ্যে আবারও বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে। আর দুই সপ্তাহের মধ্যে দেশের বিদ্যুৎ সংকট কেটে যাবে।

বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশ-চীন পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিসিপিসিএল) পটুয়াখালীর পায়রায় ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লা-তাপভিত্তিক এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটির মালিকানায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড (এনডব্লিউপিজিসিএল) ও চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের (সিএমসি) সমান (৫০:৫০) অংশীদারিত্ব রয়েছে।

ইন্দোনেশিয়ার যে কোম্পানি পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা সরবরাহ করে সেই কোম্পানির কয়লার দাম পরিশোধ করে সিএমসি। কয়লা আমদানি সংক্রান্ত চুক্তি অনুযায়ী সিএমসি কয়লা ক্রয়ের ছয় মাস পরে বাংলাদেশ অর্থ পরিশোধ করতে পারবে। তবে ছয় মাস পার হয়ে গেলেও ডলার সংকটে বকেয়া পরিশোধ করেনি পায়রা কর্তৃপক্ষ। বড় অঙ্কের বকেয়া হওয়ায় চীনের বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ কয়লা ক্রয়ে নতুন করে এলসি খুলতে সিএমসিকে নিষেধাজ্ঞা দেয়। এই কারণে কয়লা আমদানিতে জটিলতায় পড়ে বিসিপিসিএল।

খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো সময় মতো ব্যবস্থা না নেয়ায় এই সংকট তৈরি হয়েছে। বিদ্যুতের মতো অতি জরুরি খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে যথা সময়ে ডলারের ব্যবস্থা করা উচিত ছিল। তাহলে কয়লা আমদানিতে সংকট তৈরি হতো না; পায়রার উৎপাদনও বন্ধ হতো না।

বেশকিছু দিন আগে থেকেই ঢাকায় দিনে, রাতে কিংবা ভোরে বিদ্যুৎ যাচ্ছে নিয়মিত বিরতিতে; ঘড়ির কাঁটায় মেপে মেপে কোথাও আসছে এক ঘণ্টা কোথাওবা এরও বেশি সময় পর। গ্রামের অবস্থা আরও খারপ। সম্প্রতি পায়রা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় লোডশেডিং আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার মেগাওয়াটে ঠেকেছে।

দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ না থাকায় বাসা ও অফিসে জেনারেটর চালাতে ডিজেলের চাহিদা বেড়ে গেছে। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্য। দাবদাহের মধ্যে ভ্যাপসা এ গরমে লোডশেডিংয়ের কারণে সবচেয়ে কষ্টে আছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা।

কয়লা কেনার টাকা বাকি রয়েছে কেন, মঙ্গলবার বাজেট অধিবেশনে সংসদ সদস্যের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, বৈশ্বিকভাবে জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় কিছুটা সময় লেগেছে। সময়মতো কয়লা আমদানি করা যায়নি। তবে, ইতোমধ্যে জ্বালানি তেল ও কয়লা কেনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

বর্তমানে প্রায় আড়াই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কম উৎপাদন হচ্ছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সংকট কাটাতে ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করার প্রক্রিয়া দ্রুত করা হচ্ছে।

ক্যাপটিভ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও আমদানিসহ দেশে স্থাপিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর উৎপাদন সক্ষমতা প্রায় ২৭ হাজার মেগাওয়াটের বেশি। তবে পূর্ণ সক্ষমতায় চলতে পারে না বেশির ভাগ বিদ্যুৎকেন্দ্র। গত ১৯ এপ্রিল দেশে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ১৫ হাজার ৬৬৪ মেগাওয়াট।

ছবি

১৫ বছরে আমাদের চাল আমদানি করতে হয়নি: এলজিআরডি মন্ত্রী

ছবি

শপথ নিলেন আপিল বিভাগের ৩ বিচারপতি

ছবি

যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী

ছবি

গ্যাস সংকটে আগামীর ‘ভরসা’ এলএনজি

ছবি

রানা প্লাজা ধসের ১১ বছর : ‘আমার স্বপ্নও ভেঙে গেছে’

ছবি

এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য

ছবি

থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা

ছবি

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ৩ নতুন বিচারক

ছবি

কক্সবাজারে ভোটার হওয়া রোহিঙ্গাদের তালিকা চায় হাই কোর্ট

ছবি

ব্যাংকক পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

ছবি

তাপপ্রবাহের এলাকা আরও বাড়বে

ছবি

ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী

ছবি

বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে ৫টি চুক্তি ও ৫টি সমঝোতা স্মারক সই

ছবি

ঢাকা ছাড়লেন কাতারের আমির

ছবি

সোমালি জলদস্যুদের দ্বারা জব্দ করা জাহাজ সংযুক্ত আরব আমিরাতে পৌঁছেছে; ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিকের সবাই নিরাপদ

ছবি

পদে থেকেই ইউপি চেয়ারম্যানরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন

ছবি

পদত্যাগ না করেই ইউপি চেয়ারম্যানরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন

ছবি

বান্দরবানের তিন উপজেলায় ভোট স্থগিত : ইসি সচিব

ছবি

তীব্র দাবদাহের মধ্যেও বিদ্যুৎ উৎপাদনে রেকর্ড , আছে লোড শেডিংও

ছবি

বাংলাদেশ-কাতার ১০ চুক্তি সই

ছবি

ঢাকা থেকে প্রধান ১৫টি রুটে ট্রেনের ভাড়া যত বাড়ল

ছবি

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে কাতারের আমির

ছবি

তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা বাড়লো আরও ৩ দিন, দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ

ছবি

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক আর্মি কমান্ড এর যৌথ অংশগ্রহণে টিএল-২০২৪ উদ্বোধন

ছবি

শিশু অধিকার বিষয়ক সচেতনতা সৃষ্টিতে মিডিয়ার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ--স্পীকার

ছবি

দু’দিনের সফরে কাতারের আমির ঢাকায়

ছবি

পাঁচ দিনের সফরে বুধবার থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

ছবি

৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া

ছবি

আনু মুহাম্মদের পায়ে ‌‘কম্বাইন্ড অপারেশন’ দরকার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ছবি

আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা

ছবি

তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা, বাড়লো আরও ৩ দিন

ছবি

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই কি এত তাপ?

ছবি

ভারতের উজানে পানি প্রত্যাহার করে নেয়ায় তিস্তা মরা খালে পরিনত হয়েছে

ছবি

তাপদাহ : হাসপাতাল প্রস্তুত রাখার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

ছবি

পিছিয়ে নেই নারীরাও তামিলনাড়ু থেকে ট্রাক নিয়ে বেনাপোল এলেন অন্নপূর্ণা

ছবি

দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকা আসছেন কাতারের আমির, ১১ টি চুক্তি-সমঝোতা

tab

জাতীয়

পায়রা বন্ধ হওয়ায় বড় অঙ্কের লোকসানে পিডিবি

ফয়েজ আহমেদ তুষার

মঙ্গলবার, ০৬ জুন ২০২৩

কয়লার অভাবে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিরাট অঙ্কের লোকসানে পড়বে পিডিবি। চুক্তি অনুযায়ী, বিদ্যুৎকেন্দ্রটি যদি ৩০ দিন বসে থাকে সে ক্ষেত্রে পিডিবিকে কেন্দ্রভাড়া পরিশোধ করতে হবে প্রায় ২৪৫ কোটি টাকা।

এদিকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ থাকায় পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিচালনায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান বিসিপিসিএলেরও কিছুটা লোকসান হবে। এক মাস উৎপাদন বন্ধ থাকলে বাংলাদেশ-চীন যৌথ উদ্যোগে গঠিত এই কোম্পানিটি লোকসান গুনবে প্রায় ৩০ কোটি টাকা।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ও বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিপিসিএল) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

উৎপাদন বিবেচনায় পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও দক্ষতার বিচারেও দেশের অন্যতম সফল বিদ্যুৎকেন্দ্র এটি। গড়ে দেশের দৈনিক মোট চাহিদার প্রায় ১০ শতাংশ বিদ্যুৎ জোগান দেয় কেন্দ্রটি।

ডলার সংকটে সময়মতো কয়লা (জ্বালানি) আমদানি করতে না পারায় গত সোমবার পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন। জ্যৈষ্ঠের তীব্র গরমে ঘণ্টায় ঘন্টায় লোডশেডিংয়ে এমনিতেই মানুষের বেহাল দশা। পায়রার দুটি ইউনিটই বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সারাদেশে লোডশেডিং আরও বেড়ে যায়।

কয়লার (জ্বালানি) অভাবে গত ২৫ মে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটটি বন্ধ হয়ে যায়। বিসিপিসিএল সূত্র জানায়, গত ৫ জুন দুপুর ১২টার দিকে বন্ধ হয়ে যায় দ্বিতীয় ইউনিটটি। প্রতিটি ইউনিটের উৎপাদন সক্ষমতা ৬৬০ মেগাওয়াট করে।

সম্পূর্ণ আমদানিনির্ভর জ্বালানি (কয়লা) দিয়ে চলে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিসিপিসিএল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিচালনা করে। ডলার সংকটের কারণে আমদানি করা কয়লার বিল পরিশোধ করতে পারছিল না প্রতিষ্ঠানটি। বিশাল অঙ্কের বকেয়া জমে যাওয়ায় কয়লা সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিয়ে অনেক আগেই চিঠি দিয়েছিল সরবরাহকারী বিদেশি একটি প্রতিষ্ঠান।

এ কথা গত এপ্রিলে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছিল বিসিপিসিএল; যার অনুলিপি অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নরকেও দেয়া হয়েছিল।

চিঠিতে বিসিপিসিএল জানায়, ইতোপূর্বে বকেয়া পরিশোধের জন্য দফায় দফায় সোনালী ব্যাংক (বিসিপিসিএল-এর অ্যাকাউন্ট ব্যাংক) এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতা চাওয়া হলেও প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রার জোগান না পাওয়ায় বকেয়ার পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে।

বকেয়া দ্রুত পরিশোধ করা অত্যন্ত জরুরি উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়েছিল, ‘অন্যথায় বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে গ্রীষ্ম ও সেচ মৌসুমে ব্যাপকভাবে লোডশেডিংয়ের কারণে জাতীয় অর্থনীতি হুমকির সম্মুখীন হবে।’

আমদানি করা কয়লার বিল প্রায় ৩৯০ মার্কিন মিলিয়ন ডলার বকেয়ার মধ্যে মে মাসের শেষে ১০০ মিলিয়ন ডলার ব্যবস্থা করে দেয় সরকার। খোলা হয় এলসি।

অভিযোগ উঠেছে, আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সমন্বয়হীনতা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের অবহেলার কারণেই কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে গেছে। যদিও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো নিজেদের দায় অস্বীকার করে বলছে, বৈশি^ক মন্দার পরিস্থিতিতে ডলার সংকটের কারণেই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চুক্তি অনুযায়ী, উৎপাদিত বিদ্যুতের দামের পাশাপাশি কেন্দ্রভাড়া বাবদ প্রতি মাসে পিডিবিকে ২৪৫ কোটি টাকা দিতে হবে। এখন বিদ্যুৎ উৎপাদন না করলেও নির্ধারিত কেন্দ্রভাড়া পরিশোধ করতে হবে পিডিবিকে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, পিডিবির চাহিদা অনুযায়ী নিরবচ্ছিন্নভাবে গড়ে প্রতিদিন ১ হাজার ২৪৪ মেগাওয়াট করে প্রায় তিন কোটি ইউনিট বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আসছিল কেন্দ্রটি। প্রতি মাসে এর পরিমাণ ছিল ৯০ কোটি ইউনিট। গড়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের বিক্রয়মূল্য ছিল ৫ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ৬ টাকার মতো।

প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ বিক্রি করে প্রতিষ্ঠানটির নিট মুনাফার প্রকৃত জানা না গেলেও নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানা যায়, সব ধরনের ব্যয় বাদ দিয়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতে তাদের নিট মুনাফা হতো ৫ থেকে ৬ শতাংশ। প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের গড়মূল্য সাড়ে ৫ টাকা এবং মুনাফা সাড়ে ৫ শতাংশ বিবেচনায় নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির এক মাসে মুনাফার পরিমাণ প্রায় ৩০ কোটি টাকা। কেন্দ্রটি বন্ধ থাকায় এ মুনাফা থেকে বঞ্চিত হবে বিসিপিসিএল।

এদিকে কয়লা কেনার জন্য সাড়ে ৬ শতাংশ সুদে ঋণ নেয় প্রতিষ্ঠানটি। গত ছয় মাসের বেশি সময় কয়লার বিল বকেয়া থাকায় সুদের পরিমাণও বেড়ে যাবে। বাড়তি এ সুদের অর্থ বিসিপিসিএলকেই পরিশোধ করতে হবে।

বর্তমানে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে পিডিবির বিদ্যুৎ ক্রয়ের প্রতি ইউনিটের গড়মূল্য প্রায় ১১ টাকা ৫০ পয়সা। যদিও পিডিবি এ বিদ্যুৎ লোকসান দিয়ে বিতরণ কোম্পানির কাছে বিক্রি করছে ৮ টাকা ১০ পয়সায়। পায়রা থেকে এক মাস বিদ্যুৎ কিনতে না পারলে পিডিবির লোকসান আরও বাড়বে।

সূত্রমতে, কয়লা দেশে পৌঁছানো এবং কেন্দ্র চালু করতে সব মিলে অন্তত এক মাসের মতো সময় লাগবে। কোন কারণে যদি কয়লা আসতে আরও দেরি হয়, তাহলে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে।

জানতে চাইলে বিসিপিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী এ এম খোরশেদুল আলম সংবাদকে বলেন, সিএমসিকে ১০০ মিলিয়ন পেমেন্ট দিয়ে এলসি খোলা হয়েছে। আমরা ১৫টি জাহাজের এলসি খুলেছি। প্রতিটি প্রায় ৩০-৩৫ হাজার মেট্রিক টন।

আশা করি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা ঝড়ের কবলে না পড়লে আগামী ২৫ তারিখের মধ্যেই প্রথম জাহাজটি এসে পড়বে। আমরাও উৎপাদন শুরু করতে পারব।

কেন্দ্রটি বন্ধ থাকাকালীন সিডিউল মেইনটেনেন্সের কাজ সেরে ফেলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে জানিয়ে খোরশেদুল আলম বলেন, বছরে একবার আবার দুই বছরে একবার বিভিন্ন ধরনের মেইনটেনেন্স আছে। এখন আমরা কিছু কাজ করে রাখবো যাতে আগামী দুই বছর একটানা কেন্দ্রটি উৎপাদনে থাকতে পারে।

এদিকে মঙ্গলবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রে ১৫ দিনের মধ্যে আবারও বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে। আর দুই সপ্তাহের মধ্যে দেশের বিদ্যুৎ সংকট কেটে যাবে।

বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশ-চীন পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিসিপিসিএল) পটুয়াখালীর পায়রায় ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লা-তাপভিত্তিক এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটির মালিকানায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড (এনডব্লিউপিজিসিএল) ও চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের (সিএমসি) সমান (৫০:৫০) অংশীদারিত্ব রয়েছে।

ইন্দোনেশিয়ার যে কোম্পানি পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা সরবরাহ করে সেই কোম্পানির কয়লার দাম পরিশোধ করে সিএমসি। কয়লা আমদানি সংক্রান্ত চুক্তি অনুযায়ী সিএমসি কয়লা ক্রয়ের ছয় মাস পরে বাংলাদেশ অর্থ পরিশোধ করতে পারবে। তবে ছয় মাস পার হয়ে গেলেও ডলার সংকটে বকেয়া পরিশোধ করেনি পায়রা কর্তৃপক্ষ। বড় অঙ্কের বকেয়া হওয়ায় চীনের বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ কয়লা ক্রয়ে নতুন করে এলসি খুলতে সিএমসিকে নিষেধাজ্ঞা দেয়। এই কারণে কয়লা আমদানিতে জটিলতায় পড়ে বিসিপিসিএল।

খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো সময় মতো ব্যবস্থা না নেয়ায় এই সংকট তৈরি হয়েছে। বিদ্যুতের মতো অতি জরুরি খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে যথা সময়ে ডলারের ব্যবস্থা করা উচিত ছিল। তাহলে কয়লা আমদানিতে সংকট তৈরি হতো না; পায়রার উৎপাদনও বন্ধ হতো না।

বেশকিছু দিন আগে থেকেই ঢাকায় দিনে, রাতে কিংবা ভোরে বিদ্যুৎ যাচ্ছে নিয়মিত বিরতিতে; ঘড়ির কাঁটায় মেপে মেপে কোথাও আসছে এক ঘণ্টা কোথাওবা এরও বেশি সময় পর। গ্রামের অবস্থা আরও খারপ। সম্প্রতি পায়রা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় লোডশেডিং আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার মেগাওয়াটে ঠেকেছে।

দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ না থাকায় বাসা ও অফিসে জেনারেটর চালাতে ডিজেলের চাহিদা বেড়ে গেছে। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্য। দাবদাহের মধ্যে ভ্যাপসা এ গরমে লোডশেডিংয়ের কারণে সবচেয়ে কষ্টে আছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা।

কয়লা কেনার টাকা বাকি রয়েছে কেন, মঙ্গলবার বাজেট অধিবেশনে সংসদ সদস্যের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, বৈশ্বিকভাবে জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় কিছুটা সময় লেগেছে। সময়মতো কয়লা আমদানি করা যায়নি। তবে, ইতোমধ্যে জ্বালানি তেল ও কয়লা কেনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

বর্তমানে প্রায় আড়াই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কম উৎপাদন হচ্ছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সংকট কাটাতে ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করার প্রক্রিয়া দ্রুত করা হচ্ছে।

ক্যাপটিভ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও আমদানিসহ দেশে স্থাপিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর উৎপাদন সক্ষমতা প্রায় ২৭ হাজার মেগাওয়াটের বেশি। তবে পূর্ণ সক্ষমতায় চলতে পারে না বেশির ভাগ বিদ্যুৎকেন্দ্র। গত ১৯ এপ্রিল দেশে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ১৫ হাজার ৬৬৪ মেগাওয়াট।

back to top