সাংবাদিকতা জগতের অন্যতম দিকপাল বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ‘সংবাদ’ সম্পাদক প্রয়াত বজলুর রহমানের ১৪ম মৃত্যুবার্ষিকী শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে প্রয়াত বজলুর রহমানের কবরে পুস্পার্ঘ অর্পন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে বজলুর রহমানের কবরে তার পরিবারের পক্ষে তার সহধর্মীনী সাবেক কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, বজলুর রহমান ফাউন্ডেশনের পক্ষে বেগম মতিয়া চৌধুরী ও কাশেম হুমায়ুন, সংবাদ পরিবারের পক্ষে ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কাশেম হুমায়ুন, ফটো জার্নালিষ্ট সোহরাব আলম প্রমুখ পুস্পার্ঘ অর্পন করেন। পুস্পস্তবক অর্পনের পর দোয়া ও বিশেষ মোনাজাত এবং গরীবদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।
‘সংবাদ’ সম্পাদক বজলুর রহমান ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
প্রয়াত বজলুর রহমান ১৯৪১ সালের ৩ আগস্ট ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর থানার চরনিয়ামতপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এমএ পাস করে ১৯৬১ সালে দৈনিক সংবাদে সহসম্পাদক হিসেবে সাংবাদিকতা শুরু করেন তিনি। পরে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এবং সম্পাদক হন। সুস্থ ও সচেতন সমাজ নির্মাণে সাংবাদিকতাকে হাতিয়ার হিসেবে গ্রহণ করেন তিনি। তিনি ছিলেন নির্লোভ, স্বপ্রতিভায় আলোকিত কৃতী মানুষ।
বজলুর রহমান সাংবাদিকতা পেশার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে যেমন তেমনি জাতীয় ক্রান্তিকালেও অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকর ভূমিকা পালন করেছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধ, তারও আগে ৬২’র ছাত্র আন্দোলন, ’৬৬ সালে ৬ দফা আন্দোলন, ’৬৮-৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭৫-এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন। ২০০৭-৮’র তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে গণতন্ত্রবিরোধী কর্মকা-ের বিরুদ্ধেও দৃঢ় অবস্থান নিয়েছিলেন তিনি।
বজলুর রহমান তার দীর্ঘ পেশাগত জীবনে সংবাদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ অলঙ্কৃত করা ছাড়াও সাংবাদিকতা পেশার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পরিচালনাগত দায়িত্বও পালন করেছেন। তিনি বাসস’র পরিচালনা পরিষদের সদস্য ছিলেন। এছাড়াও প্রেস ইনস্টিটিউট, প্রেস কাউন্সিলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ‘সংবাদ’ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি সাপ্তাহিক একতারও সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। দৈনিক ইত্তেফাকেও কিছুদিন কাজ করেছেন। ’৭১-এ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বজলুর রহমানের সম্পাদনায় ‘মুক্তিযুদ্ধ’ নামে একটি পত্রিকা প্রকাশিত হত। সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১২ সালে সরকার বজলুর রহমানকে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করেন।
শনিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২
সাংবাদিকতা জগতের অন্যতম দিকপাল বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ‘সংবাদ’ সম্পাদক প্রয়াত বজলুর রহমানের ১৪ম মৃত্যুবার্ষিকী শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে প্রয়াত বজলুর রহমানের কবরে পুস্পার্ঘ অর্পন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে বজলুর রহমানের কবরে তার পরিবারের পক্ষে তার সহধর্মীনী সাবেক কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, বজলুর রহমান ফাউন্ডেশনের পক্ষে বেগম মতিয়া চৌধুরী ও কাশেম হুমায়ুন, সংবাদ পরিবারের পক্ষে ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কাশেম হুমায়ুন, ফটো জার্নালিষ্ট সোহরাব আলম প্রমুখ পুস্পার্ঘ অর্পন করেন। পুস্পস্তবক অর্পনের পর দোয়া ও বিশেষ মোনাজাত এবং গরীবদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।
‘সংবাদ’ সম্পাদক বজলুর রহমান ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
প্রয়াত বজলুর রহমান ১৯৪১ সালের ৩ আগস্ট ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর থানার চরনিয়ামতপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এমএ পাস করে ১৯৬১ সালে দৈনিক সংবাদে সহসম্পাদক হিসেবে সাংবাদিকতা শুরু করেন তিনি। পরে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এবং সম্পাদক হন। সুস্থ ও সচেতন সমাজ নির্মাণে সাংবাদিকতাকে হাতিয়ার হিসেবে গ্রহণ করেন তিনি। তিনি ছিলেন নির্লোভ, স্বপ্রতিভায় আলোকিত কৃতী মানুষ।
বজলুর রহমান সাংবাদিকতা পেশার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে যেমন তেমনি জাতীয় ক্রান্তিকালেও অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকর ভূমিকা পালন করেছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধ, তারও আগে ৬২’র ছাত্র আন্দোলন, ’৬৬ সালে ৬ দফা আন্দোলন, ’৬৮-৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭৫-এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন। ২০০৭-৮’র তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে গণতন্ত্রবিরোধী কর্মকা-ের বিরুদ্ধেও দৃঢ় অবস্থান নিয়েছিলেন তিনি।
বজলুর রহমান তার দীর্ঘ পেশাগত জীবনে সংবাদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ অলঙ্কৃত করা ছাড়াও সাংবাদিকতা পেশার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পরিচালনাগত দায়িত্বও পালন করেছেন। তিনি বাসস’র পরিচালনা পরিষদের সদস্য ছিলেন। এছাড়াও প্রেস ইনস্টিটিউট, প্রেস কাউন্সিলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ‘সংবাদ’ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি সাপ্তাহিক একতারও সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। দৈনিক ইত্তেফাকেও কিছুদিন কাজ করেছেন। ’৭১-এ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বজলুর রহমানের সম্পাদনায় ‘মুক্তিযুদ্ধ’ নামে একটি পত্রিকা প্রকাশিত হত। সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১২ সালে সরকার বজলুর রহমানকে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করেন।