রাজধানীর গুলশানের সুবাস্তু টাওয়ারে জান্নাতুল নওরিন এশা (২২) নামের এক তরুণী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। শুক্রবার (৪ মার্চ) ভোর ছয়টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত এশা খুলনা জেলার সোনাডাঙ্গা থানার মজিদ সরণির ১২৫ নম্বর স্বর্নকোমল বাসার মৃত এরশাদ আলী সিকদারের মেয়ে। বর্তমানে গুলশানের শাহজাদপুর সুবাস্তু টাওয়ারের ৯/সি/২ নম্বর ফ্ল্যাটে থাকতেন।
নিহতের আত্মীয় সুমি আক্তার জানান, প্লাবন ঘোষ নামের এক ছেলের সঙ্গে তার দীর্ঘদিন প্রেম হয়। গতকাল দুজনের ঝগড়া এবং কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে এশা তার রুমে গিয়ে সিলিংফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, এশা সিটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছেন। গ্রামের বাড়ি খুলনা জেলার সোনাডাঙ্গা থানার দক্ষিণ সরণি রোড আবাসিক এলাকায়। বর্তমানে গুলশানের সুবাস্তু টাওয়ারের ৯/ সি/২ নম্বর ফ্ল্যাটে থাকতেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।
গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান বলেন, এশা মৃত এরশাদ শিকদারের দ্বিতীয় স্ত্রী শোভার মেয়ে বলে জানতে পেরেছি। তাঁর দুই হাতে ব্লেড দিয়ে কাটা ছিল। তিনি আরও বলেন, প্রেমঘটিত কারণে আত্মহত্যা করেছেন ওই তরুণী। তবে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, এরশাদ সিকদার একজন কুখ্যাত অপরাধী ও সিরিয়াল কিলার ছিলেন। খুন, অত্যাচার, চুরি-ডাকাতিসহ নানা অপরাধের জন্য ২০০০ সালের ৩০ এপ্রিল খুলনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারক এম হাসান ইমাম এরশাদ সিকদারের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেন। পরে ২০০৪ সালের ১০ মে রাত ১২টা ১ মিনিটে ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
শুক্রবার, ০৪ মার্চ ২০২২
রাজধানীর গুলশানের সুবাস্তু টাওয়ারে জান্নাতুল নওরিন এশা (২২) নামের এক তরুণী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। শুক্রবার (৪ মার্চ) ভোর ছয়টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত এশা খুলনা জেলার সোনাডাঙ্গা থানার মজিদ সরণির ১২৫ নম্বর স্বর্নকোমল বাসার মৃত এরশাদ আলী সিকদারের মেয়ে। বর্তমানে গুলশানের শাহজাদপুর সুবাস্তু টাওয়ারের ৯/সি/২ নম্বর ফ্ল্যাটে থাকতেন।
নিহতের আত্মীয় সুমি আক্তার জানান, প্লাবন ঘোষ নামের এক ছেলের সঙ্গে তার দীর্ঘদিন প্রেম হয়। গতকাল দুজনের ঝগড়া এবং কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে এশা তার রুমে গিয়ে সিলিংফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, এশা সিটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছেন। গ্রামের বাড়ি খুলনা জেলার সোনাডাঙ্গা থানার দক্ষিণ সরণি রোড আবাসিক এলাকায়। বর্তমানে গুলশানের সুবাস্তু টাওয়ারের ৯/ সি/২ নম্বর ফ্ল্যাটে থাকতেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।
গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান বলেন, এশা মৃত এরশাদ শিকদারের দ্বিতীয় স্ত্রী শোভার মেয়ে বলে জানতে পেরেছি। তাঁর দুই হাতে ব্লেড দিয়ে কাটা ছিল। তিনি আরও বলেন, প্রেমঘটিত কারণে আত্মহত্যা করেছেন ওই তরুণী। তবে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, এরশাদ সিকদার একজন কুখ্যাত অপরাধী ও সিরিয়াল কিলার ছিলেন। খুন, অত্যাচার, চুরি-ডাকাতিসহ নানা অপরাধের জন্য ২০০০ সালের ৩০ এপ্রিল খুলনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারক এম হাসান ইমাম এরশাদ সিকদারের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেন। পরে ২০০৪ সালের ১০ মে রাত ১২টা ১ মিনিটে ফাঁসি কার্যকর করা হয়।