বিএনপি এবার যদি নির্বাচনে না আসে তাহলে তাদের পরিণতি ২০১৩ সালের মতোই হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি একটানা আন্দোলন সংগ্রাম করছে। একই দাবি নিয়ে ২০১৩ সাল থেকে শুরু করেছে। শেখ হাসিনা পালাবার পথ পাবে না- এই একই কথ বারবার বলছে। বলছে, শেখ হাসিনার পতন না হলে তারা কোন নির্বাচনে যাবে না। বিএনপি যদি নির্বাচনে না আসে তাহলে তাদের ২০১৩ সালের পরিণতি হবে।’
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমরা শান্তি সমাবেশ কেন ডাকলাম? আজকেও বিক্ষোভ মিছিল! এখন বলছে, সেটা নাকি মহড়া। অক্টোবরে নাকি চূড়ান্ত আঘাত হানবে। আসুন আজ আমরা শপথ নিই, যেকোন আঘাতের বিরুদ্ধে অতীতে যেভাবে মোকাবিলা করেছি, আগামী দিনেও মোকাবিলা করবো।’
তিনি বলেন, ‘হেফাজতে ইসলাম নিয়েও মিথ্যাচার করছে বিএনপি। কিছু সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, কিছু লবিষ্ট, বিএনপি-জামায়াত ধর্মান্ধদের টাকা খেয়ে মিথ্যা রিপোর্ট দেয়। সেই আদিলুর রহমান টাকা খেয়ে মিথ্যা রিপোর্ট দিয়ে বিদেশিদের বিভ্রান্ত করে।’
ইউরোপীয় ইউনিয়নকে বাংলাদেশে টিম পাঠানোর আহ্বান জানিয়ে ক্ষমতাসীন দলের এই নেতা বলেন, ‘ইউরোপী ইউনিয়ন বিএনপির ভাষায় আরেকটি রেজুলেশন তারা নিয়েছে। আপনারা বাংলাদেশে টিম পাঠান। আপনারা বলেছেন বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার নাই, কথা বলার অধিকার নাই, মানবাধিকার হুমকির মুখে।’
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘মানবাধিকার কি শুধু মিথ্যাচার করা? আপনারা সংখ্যালঘুদের সঙ্গে কথা বলেন। বাংলাদেশের দুই- এক ভাগ সংখ্যালঘু যদি বলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তাদেরকে নিরাপত্তা দেয় নাই, সবচেয়ে ভালো অবস্থানে নাই, আমরা এ দেশে সরকারে থাকবো না।’
আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘এ দেশে হিন্দু, খ্রিস্টান, গারো চাকমা, প্রতিটি মানুষের, এই সংখ্যালঘুদের ৯৯ ভাগ আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়। তারা আওয়ামী লীগের পক্ষে তাদের অধিকার সবচেয়ে বেশি থাকে। নাগরিক হিসেবে সবচেয়ে বেশি অধিকার ভোগ করে।’
বিএনপি-জামায়াতকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, ‘তারা সবাই একাত্তরের পরাজিত শক্তির বংশধর। বিদেশি বন্ধুরা যারা বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন বলে খবর পাওয়া যায়, তাদেরকে বলবো, জনগণকে বিভ্রান্ত করবেন না। এ দেশের জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র থেকে বিরত থাকুন।’
সমাবেশে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বলেন, নির্বাচন ঘিরে সরকারের বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্রকারী একজোট হয়েছে। তাদের মোকাবিলায় নেতাকর্মীদের সজাগ থাকতে হবে। নৌকাকে আবারও জয়ী করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে সমাবেশ আরো বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
‘বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপ-রাজনীতি ও অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র’ এর বিরুদ্ধে এই শান্তি সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
জুমার নামাজের পর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে আসতে থাকেন। খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশে আসেন তারা। সমাবেশে আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের নেতাকর্মীরাও যোগ দেন।
শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
বিএনপি এবার যদি নির্বাচনে না আসে তাহলে তাদের পরিণতি ২০১৩ সালের মতোই হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি একটানা আন্দোলন সংগ্রাম করছে। একই দাবি নিয়ে ২০১৩ সাল থেকে শুরু করেছে। শেখ হাসিনা পালাবার পথ পাবে না- এই একই কথ বারবার বলছে। বলছে, শেখ হাসিনার পতন না হলে তারা কোন নির্বাচনে যাবে না। বিএনপি যদি নির্বাচনে না আসে তাহলে তাদের ২০১৩ সালের পরিণতি হবে।’
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমরা শান্তি সমাবেশ কেন ডাকলাম? আজকেও বিক্ষোভ মিছিল! এখন বলছে, সেটা নাকি মহড়া। অক্টোবরে নাকি চূড়ান্ত আঘাত হানবে। আসুন আজ আমরা শপথ নিই, যেকোন আঘাতের বিরুদ্ধে অতীতে যেভাবে মোকাবিলা করেছি, আগামী দিনেও মোকাবিলা করবো।’
তিনি বলেন, ‘হেফাজতে ইসলাম নিয়েও মিথ্যাচার করছে বিএনপি। কিছু সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, কিছু লবিষ্ট, বিএনপি-জামায়াত ধর্মান্ধদের টাকা খেয়ে মিথ্যা রিপোর্ট দেয়। সেই আদিলুর রহমান টাকা খেয়ে মিথ্যা রিপোর্ট দিয়ে বিদেশিদের বিভ্রান্ত করে।’
ইউরোপীয় ইউনিয়নকে বাংলাদেশে টিম পাঠানোর আহ্বান জানিয়ে ক্ষমতাসীন দলের এই নেতা বলেন, ‘ইউরোপী ইউনিয়ন বিএনপির ভাষায় আরেকটি রেজুলেশন তারা নিয়েছে। আপনারা বাংলাদেশে টিম পাঠান। আপনারা বলেছেন বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার নাই, কথা বলার অধিকার নাই, মানবাধিকার হুমকির মুখে।’
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘মানবাধিকার কি শুধু মিথ্যাচার করা? আপনারা সংখ্যালঘুদের সঙ্গে কথা বলেন। বাংলাদেশের দুই- এক ভাগ সংখ্যালঘু যদি বলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তাদেরকে নিরাপত্তা দেয় নাই, সবচেয়ে ভালো অবস্থানে নাই, আমরা এ দেশে সরকারে থাকবো না।’
আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘এ দেশে হিন্দু, খ্রিস্টান, গারো চাকমা, প্রতিটি মানুষের, এই সংখ্যালঘুদের ৯৯ ভাগ আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়। তারা আওয়ামী লীগের পক্ষে তাদের অধিকার সবচেয়ে বেশি থাকে। নাগরিক হিসেবে সবচেয়ে বেশি অধিকার ভোগ করে।’
বিএনপি-জামায়াতকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, ‘তারা সবাই একাত্তরের পরাজিত শক্তির বংশধর। বিদেশি বন্ধুরা যারা বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন বলে খবর পাওয়া যায়, তাদেরকে বলবো, জনগণকে বিভ্রান্ত করবেন না। এ দেশের জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র থেকে বিরত থাকুন।’
সমাবেশে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বলেন, নির্বাচন ঘিরে সরকারের বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্রকারী একজোট হয়েছে। তাদের মোকাবিলায় নেতাকর্মীদের সজাগ থাকতে হবে। নৌকাকে আবারও জয়ী করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে সমাবেশ আরো বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
‘বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপ-রাজনীতি ও অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র’ এর বিরুদ্ধে এই শান্তি সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
জুমার নামাজের পর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে আসতে থাকেন। খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশে আসেন তারা। সমাবেশে আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের নেতাকর্মীরাও যোগ দেন।