বিএনপির প্রয়াত নেতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা প্রতিষ্ঠিত দল তৃণমূল বিএনপিতে যোগদান করেই দলটির শীর্ষ নেতৃত্বে চলে আসলেন বিএনপির সাবেক দুই নেতা শমসের মবিন চৌধুরী ও তৈমূর আলম খন্দকার। শমসের মবিন দলটির চেয়ারম্যান ও তৈমুর আলম মহাসচিব নির্বাচিত হন। এছাড়া দলটির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও নাজমুল হুদার মেয়ে অ্যাডভোকেট অন্তরা হুদা এক্সিকিউটিভ চেয়ারপারসন হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে তৃণমূল বিএনপির প্রথম জাতীয় কাউন্সিলে ‘কাউন্সিলরদের ভোটে’ তারা নির্বাচিত হন বলে দলটির পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়। শমসের মবিন ও তৈমূর আলম মঙ্গলবারই আনুষ্ঠানিকভাবে দলটিতে যোগ দিয়েছিলেন। সম্মেলন থেকে তৃণমূল বিএনপির ২৭ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এছাড়া আগামী সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেয়ার ঘোষণা দেন দলটির নেতারা।
শমসের মবিন চৌধুরী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে পররাষ্ট্র সচিবের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০১৫ সালে তিনি বিএনপি থেকে পদত্যাগের পর ২০১৮ সালে বিকল্পধারায় যোগদান করেন। নির্বাচনের আগে বিকল্পধারা আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরিক হিসেবে নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেয়। তখন জোটের মনোনয়ন না পেয়ে সিলেট-৬ আসনে বিকল্পধারার কুলা প্রতীকে নির্বাচনী মাঠে নামলেও পরে সরে গিয়ে মহাজোটের প্রার্থীকে সমর্থন জানান শমসের মবিন।
তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দিয়ে সমশের মবিন চৌধুরী বলেন, ‘তৃণমূল বিএনপি একটি স্বাধীন রাজনৈতিক দল। এই দলের চিন্তা-ভাবনা নিজেদের। এটি ‘কিংস পার্টি’ নয় এটি জনগণের পার্টি।’ তিনি আরও বলেন, দল পরিবর্তন হলেও তার রাজনৈতিক লক্ষ্য পরিবর্তন হয়নি। ‘জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায়’ তিনি কাজ করবেন।
আর তৃণমূলে যোগ দিয়ে মহাসচিব পদে আসা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ছিলেন। তিনি ২০২২ সালে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হওয়ায় বহিষ্কৃত হন।
তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দিয়ে তৈমূর আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিভিন্ন আন্দোলন, সংগ্রাম ও অনুষ্ঠানে আমি এই দলের পতাকা বহন করেছি। আমি মনে করছি আগে যে রাজনীতি করতাম সেই দলের সঙ্গে এই নামের ও আদর্শের মিল আছে এবং নাজমুল হুদা বিএনপির প্রতিষ্ঠাকারী সদস্য ছিলেন তিনিও এই দলের প্রতিষ্ঠাতা। এজন্য এই দলে আমি যোগ দিয়েছি। এই দলের প্রতিটি সদস্য তৃণমূলের অথরিটি কেউ কারও ওপরে খবরদারি করতে পারবে না।’
বিএনপির সরকারের দুইবারের মন্ত্রী নাজমুল হুদা দলটি থেকে বহিষ্কৃত হলে ২০১২ সালে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) নামে একটি দল গঠন করেন। পরে সেই দল থেকে বহিষ্কৃত হলে বাংলাদেশ ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স (বিএনএ) ও বাংলাদেশ মানবাধিকার পার্টি (বিএমপি) নামে দুটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন তিনি। এরপর তিনি ‘তৃণমূল বিএনপি’ গঠন করে একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধনের জন্য আবেদন করে।
কিন্তু ইসি দলটির নিবন্ধন না দিলে আদালতের দ্বারস্থ হন নাজমুল হুদা। পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দলটির নিবন্ধন দেয় ইসি। নিবন্ধন পাওয়ার কয়েক দিনের মাথায় দলটির প্রতিষ্ঠাতা নাজমুল হুদা মৃত্যুবরণ করেন। পরে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন নাজমুল হুদার মেয়ে অন্তরা সেলিমা হুদা। তিনি দলটির পুনর্গঠনে প্রথম কাউন্সিলের উদ্যোগ নেন। বিএনপির সাবেক কয়েকজন নেতা দলটিতে যোগ দিতে পারেন এমন গুঞ্জন উঠলে রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ আলোচনা তৈরি হয়।
মঙ্গলবার প্রথম সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে অন্তরা বলেন, ‘দেশে একটি সুস্থ রাজনীতির প্রচলন করতে হবে। আশা করছি, সমশের মবিন চৌধুরী ও তৈমূর আলম খন্দকারের নেতৃত্বে তৃণমূল বিএনপি শক্তিশালী ও গতিশীল হবে।’
আংশিক কমিটিতে অন্য যারা আছেন
তৃণমূল বিএনপির নতুন কমিটিতে ভাইস চেয়ারপারসন নির্বাচিত হয়েছেন- কে এ জাহাঙ্গীর মজুমদার, মেজর (অব.) ডা. হাবিবুর রহমান, মোখলেসুর রহমান ফরহাদী, দীপক কুমার পালিত, মেনোয়াল সরকার ও ছালাম মাহমুদ।
দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন মো. আক্কাস আলী খান। যুগ্ম মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম, অ্যাডভোকেট মাসুদুর রহমান, ফয়েজ চৌধুরী, তালুকদার জহিরুল হক, রোখসানা আমিন সুরমা। কোষাধ্যক্ষ (ভাইস চেয়ারম্যান পদমর্যাদা) নির্বাচিত হয়েছেন শামীম আহসান।
সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন শাহজাহান সিরাজ (বরিশাল), আকবর খান (চট্টগ্রাম)। এছাড়া সহসাংগঠনিক সম্পাদক কামাল মোড়ল, দপ্তর সম্পাদক হিসেবে একে সাইদুর রহমান ও মো. রাজু মিয়া, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক হিসেবে কাজী ইব্রাহীম খলিল সবুজ, যুববিষয়ক সম্পাদক হিসেবে শাহাবউদ্দিন ইকবাল, আইনবিষয়ক সম্পাদক হিসেবে অ্যাডভোকেট আশানুর রহমান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক স্থপতি নাজমুস সাকিব, প্রচার ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক হিসেবে সাগর ঘোষ এবং স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক হিসেবে ফরহাদ হোসেন নির্বাচিত হয়েছেন।
তৈমূরের সিদ্ধান্তে ‘একমত নন’ ছোট ভাই খোরশেদ
এদিকে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের তৃণমূল বিএনপিতে যোগদানের সিদ্ধান্তে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন তার ছোট ভাই নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। গত সোমবার নিজের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করে গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছেন মহানগর যুবদলের সাবেক এই সভাপতি। গণমাধ্যমে দেয়া বিবৃতিতে খোরশেদ বলেন, ‘তৈমূর আলম খন্দকার আমাদের পরিবারের নীতিনির্ধারক। তবে তার বর্তমান রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের সঙ্গে আমরা একমত নই। তার এই সিদ্ধান্তে আমরা সন্তুষ্ট হতে পারিনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত দল। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বাধীন বিএনপি এখন মহাসমুদ্রের সমতুল্য। সেই মহাসমুদ্র থেকে আমার মতো নগণ্য ব্যক্তি না থাকলে দলের কিছু আসে যায় না। তবুও আমি আমৃত্যু বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের প্রতি আস্থাশীল হয়ে বিএনপিতেই থাকতে চাই। পদ-পদবি ছাড়াই দলের প্রাথমিক সদস্য হিসেবে থাকব। এমনকি বহিষ্কার করা হলেও আমি ধানের শীষের একজন ভোটার ও আদর্শের সৈনিক হিসেবে দলের সঙ্গে থাকব। সুতরাং যারা আমাকে ভালোবাসেন তাদের বলতে চাই, তৈমূর আলম খন্দকারের সিদ্ধান্তে বিভ্রান্ত না হতে। বরং তার সিদ্ধান্তের সঙ্গে আমরা নিজেরাই একমত নই। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।’
মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
বিএনপির প্রয়াত নেতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা প্রতিষ্ঠিত দল তৃণমূল বিএনপিতে যোগদান করেই দলটির শীর্ষ নেতৃত্বে চলে আসলেন বিএনপির সাবেক দুই নেতা শমসের মবিন চৌধুরী ও তৈমূর আলম খন্দকার। শমসের মবিন দলটির চেয়ারম্যান ও তৈমুর আলম মহাসচিব নির্বাচিত হন। এছাড়া দলটির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও নাজমুল হুদার মেয়ে অ্যাডভোকেট অন্তরা হুদা এক্সিকিউটিভ চেয়ারপারসন হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে তৃণমূল বিএনপির প্রথম জাতীয় কাউন্সিলে ‘কাউন্সিলরদের ভোটে’ তারা নির্বাচিত হন বলে দলটির পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়। শমসের মবিন ও তৈমূর আলম মঙ্গলবারই আনুষ্ঠানিকভাবে দলটিতে যোগ দিয়েছিলেন। সম্মেলন থেকে তৃণমূল বিএনপির ২৭ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এছাড়া আগামী সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেয়ার ঘোষণা দেন দলটির নেতারা।
শমসের মবিন চৌধুরী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে পররাষ্ট্র সচিবের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০১৫ সালে তিনি বিএনপি থেকে পদত্যাগের পর ২০১৮ সালে বিকল্পধারায় যোগদান করেন। নির্বাচনের আগে বিকল্পধারা আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরিক হিসেবে নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেয়। তখন জোটের মনোনয়ন না পেয়ে সিলেট-৬ আসনে বিকল্পধারার কুলা প্রতীকে নির্বাচনী মাঠে নামলেও পরে সরে গিয়ে মহাজোটের প্রার্থীকে সমর্থন জানান শমসের মবিন।
তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দিয়ে সমশের মবিন চৌধুরী বলেন, ‘তৃণমূল বিএনপি একটি স্বাধীন রাজনৈতিক দল। এই দলের চিন্তা-ভাবনা নিজেদের। এটি ‘কিংস পার্টি’ নয় এটি জনগণের পার্টি।’ তিনি আরও বলেন, দল পরিবর্তন হলেও তার রাজনৈতিক লক্ষ্য পরিবর্তন হয়নি। ‘জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায়’ তিনি কাজ করবেন।
আর তৃণমূলে যোগ দিয়ে মহাসচিব পদে আসা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ছিলেন। তিনি ২০২২ সালে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হওয়ায় বহিষ্কৃত হন।
তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দিয়ে তৈমূর আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিভিন্ন আন্দোলন, সংগ্রাম ও অনুষ্ঠানে আমি এই দলের পতাকা বহন করেছি। আমি মনে করছি আগে যে রাজনীতি করতাম সেই দলের সঙ্গে এই নামের ও আদর্শের মিল আছে এবং নাজমুল হুদা বিএনপির প্রতিষ্ঠাকারী সদস্য ছিলেন তিনিও এই দলের প্রতিষ্ঠাতা। এজন্য এই দলে আমি যোগ দিয়েছি। এই দলের প্রতিটি সদস্য তৃণমূলের অথরিটি কেউ কারও ওপরে খবরদারি করতে পারবে না।’
বিএনপির সরকারের দুইবারের মন্ত্রী নাজমুল হুদা দলটি থেকে বহিষ্কৃত হলে ২০১২ সালে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) নামে একটি দল গঠন করেন। পরে সেই দল থেকে বহিষ্কৃত হলে বাংলাদেশ ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স (বিএনএ) ও বাংলাদেশ মানবাধিকার পার্টি (বিএমপি) নামে দুটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন তিনি। এরপর তিনি ‘তৃণমূল বিএনপি’ গঠন করে একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধনের জন্য আবেদন করে।
কিন্তু ইসি দলটির নিবন্ধন না দিলে আদালতের দ্বারস্থ হন নাজমুল হুদা। পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দলটির নিবন্ধন দেয় ইসি। নিবন্ধন পাওয়ার কয়েক দিনের মাথায় দলটির প্রতিষ্ঠাতা নাজমুল হুদা মৃত্যুবরণ করেন। পরে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন নাজমুল হুদার মেয়ে অন্তরা সেলিমা হুদা। তিনি দলটির পুনর্গঠনে প্রথম কাউন্সিলের উদ্যোগ নেন। বিএনপির সাবেক কয়েকজন নেতা দলটিতে যোগ দিতে পারেন এমন গুঞ্জন উঠলে রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ আলোচনা তৈরি হয়।
মঙ্গলবার প্রথম সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে অন্তরা বলেন, ‘দেশে একটি সুস্থ রাজনীতির প্রচলন করতে হবে। আশা করছি, সমশের মবিন চৌধুরী ও তৈমূর আলম খন্দকারের নেতৃত্বে তৃণমূল বিএনপি শক্তিশালী ও গতিশীল হবে।’
আংশিক কমিটিতে অন্য যারা আছেন
তৃণমূল বিএনপির নতুন কমিটিতে ভাইস চেয়ারপারসন নির্বাচিত হয়েছেন- কে এ জাহাঙ্গীর মজুমদার, মেজর (অব.) ডা. হাবিবুর রহমান, মোখলেসুর রহমান ফরহাদী, দীপক কুমার পালিত, মেনোয়াল সরকার ও ছালাম মাহমুদ।
দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন মো. আক্কাস আলী খান। যুগ্ম মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম, অ্যাডভোকেট মাসুদুর রহমান, ফয়েজ চৌধুরী, তালুকদার জহিরুল হক, রোখসানা আমিন সুরমা। কোষাধ্যক্ষ (ভাইস চেয়ারম্যান পদমর্যাদা) নির্বাচিত হয়েছেন শামীম আহসান।
সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন শাহজাহান সিরাজ (বরিশাল), আকবর খান (চট্টগ্রাম)। এছাড়া সহসাংগঠনিক সম্পাদক কামাল মোড়ল, দপ্তর সম্পাদক হিসেবে একে সাইদুর রহমান ও মো. রাজু মিয়া, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক হিসেবে কাজী ইব্রাহীম খলিল সবুজ, যুববিষয়ক সম্পাদক হিসেবে শাহাবউদ্দিন ইকবাল, আইনবিষয়ক সম্পাদক হিসেবে অ্যাডভোকেট আশানুর রহমান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক স্থপতি নাজমুস সাকিব, প্রচার ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক হিসেবে সাগর ঘোষ এবং স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক হিসেবে ফরহাদ হোসেন নির্বাচিত হয়েছেন।
তৈমূরের সিদ্ধান্তে ‘একমত নন’ ছোট ভাই খোরশেদ
এদিকে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের তৃণমূল বিএনপিতে যোগদানের সিদ্ধান্তে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন তার ছোট ভাই নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। গত সোমবার নিজের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করে গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছেন মহানগর যুবদলের সাবেক এই সভাপতি। গণমাধ্যমে দেয়া বিবৃতিতে খোরশেদ বলেন, ‘তৈমূর আলম খন্দকার আমাদের পরিবারের নীতিনির্ধারক। তবে তার বর্তমান রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের সঙ্গে আমরা একমত নই। তার এই সিদ্ধান্তে আমরা সন্তুষ্ট হতে পারিনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত দল। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বাধীন বিএনপি এখন মহাসমুদ্রের সমতুল্য। সেই মহাসমুদ্র থেকে আমার মতো নগণ্য ব্যক্তি না থাকলে দলের কিছু আসে যায় না। তবুও আমি আমৃত্যু বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের প্রতি আস্থাশীল হয়ে বিএনপিতেই থাকতে চাই। পদ-পদবি ছাড়াই দলের প্রাথমিক সদস্য হিসেবে থাকব। এমনকি বহিষ্কার করা হলেও আমি ধানের শীষের একজন ভোটার ও আদর্শের সৈনিক হিসেবে দলের সঙ্গে থাকব। সুতরাং যারা আমাকে ভালোবাসেন তাদের বলতে চাই, তৈমূর আলম খন্দকারের সিদ্ধান্তে বিভ্রান্ত না হতে। বরং তার সিদ্ধান্তের সঙ্গে আমরা নিজেরাই একমত নই। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।’