সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বিএনপি বুধবার ভোর ৬টা থেকে আবার সারাদেশে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ২৯ অক্টোবর থেকে মাঝে বিরতি দিয়ে হরতাল ও অবরোধ চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি। সমমনা জোট ও দলের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীও একই কর্মসূচি দিয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে ভার্চুয়াল সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ অভিযোগ করে বলেন, ‘‘রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দেশজুড়ে ভীতির রাজত্ব কায়েমের অশুভ উদ্দেশ্যে প্রতিদিন নৈরাজ্যে লিপ্ত হচ্ছে আওয়ামী লীগের দুষ্কৃতিকারী কর্মীরা।
দেশজুড়ে ‘অগ্নি সন্ত্রাস-নাশকতা’র ঘটনা ক্ষমতাসীনরাই ঘটাচ্ছে।
অথচ প্রত্যক্ষদর্শৗদের মতে অধিকাংশ ঘটনা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে বা বড় পুলিশ চেকপোস্টের কাছাকাছি ঘটছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।”
তিনি বলেন,তারা গণপরিবহনে অব্যাহতভাবে অগ্নিসংযোগ করছে আর নিরব দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এসব কর্মসূচিকে ঘিরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা প্রতিরোধে কিংবা প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে নিষ্ক্রিয় বলেও অভিযোগ করেন রিজভী।
তিনি বলেন, “প্রকৃতপক্ষে আমাদের বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে যে, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী ও তাদের আজ্ঞাবাহী পুলিশ সদস্যরা উদ্দেশ্যমূলকভাবে যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ার প্রচারিত বেশ কয়েকটি ভিডিও ফুটেজে চালক বা তাদের সহকারীদের বক্তব্যে স্পষ্ট যে, কীভাবে পুলিশ বা ছাত্রলীগ-যুবলীগের কর্মীরা তাদের বাসে আগুন দেয়ার জন্য দায়ী।”
উদাহরণ হিসেবে পর রিজভী কর্মসূচির মধ্যে গত কয়েকদিনের ঘটনা তুলে ধরেন।
তার দাবি, গত ৬ নভেম্বর চট্টগ্রামের আনোয়ারার চাতরি চৌমহনী বাজারে পুলিশ বক্সের কাছে, ৩১ অক্টোবর ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাবের কাছে ও বাংলা মোটর মোড়ে, ২৮ অক্টোবর কাকরাইলের কাছে বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা এবং ৬ নভেম্বর চট্টগ্রামে একটি ট্রাকে আগুন দেওয়ার ঘটনায় ফেনীর স্থানীয় যুবলীগ নেতা নুরুল উদ্দিন টিপুকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার ও ১৪ নভেম্বর নাটোরের তাশরীক জামান রিফাত নামে আওয়ামী লীগের কর্মীকে মুখোশসহ গ্রেপ্তারের পর তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, ‘‘দেশের সর্বত্র পুলিশ বা র্যাবের শত শত পেট্রোল টিম এবং বিজেবির শত শত প্লাটুন অস্ত্র সজ্জিত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে বিপুল অস্ত্রশস্ত্র সহযোগে পুলিশের পূর্ণাঙ্গ সুসংহত টহল। বাংলাদেশ যেন পরিণত হয়েছে এক যুদ্ধ ক্ষেত্রে।
‘‘এই নিশ্ছিন্দ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যেও বিরোধীদলের সদস্য কোনো প্রকার সহিংসতা বা অগ্নিসংযোগে কাজে লিপ্ত হবে এই দাবি সর্বত্রই হাস্যকর। বরং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল উপস্থিতির উদ্দেশ্য হয়তো আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। যেন তারা নিশ্চিন্তে যানবাহনে আগুন দিতে পারে, জনগণের জানমালের ক্ষতি সাধন করতে পারে এবং রাষ্ট্রীয় নৈরাজ্যের প্রেক্ষাপট তৈরিতে ভূমিকা রাখতে পারে।”
২০১৪ ও ২০১৫ সালের কিছু ঘটনা তুলে ধরে রিজভী বলেন, ‘‘ওদের এসব কর্মকাণ্ড বারবার প্রমাণিত হয়েছে, বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে এসেছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। কীভাবে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য বাসে অগ্নিসংযোগে লিপ্ত হয় আওয়ামী লীগের দুষ্কৃতিকারী নেতাকর্মীরা।”
তার দাবি, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে পুলিশ ৪৭৫ জনের অধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে এবং বিভিন্ন মামলায় ১ হাজার ৭২০ জনের বেশি নেতাকর্মীকে আসামি করেছে।
বুধবার সকাল ৬টা থেকে শুরু ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ সফল করার আহ্বান জানিয়ে এই বিএনপি নেতা বলেন, এই অবরোধ কর্মসূচি আমাদের দেশের গণতন্ত্র ও দেশের মানুষের মালিকানা ফিরিয়ে দেয়ার বৃহত্তর আন্দোলনের অংশ।
‘‘আমরা সত্যের পথে আছি, আমরা ন্যায়ের পথে আছি, আমরা মানুষের কল্যাণের পথে আছি, আমরা গণতান্ত্রিক দর্শনের পক্ষে আছি।”
মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০২৩
সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বিএনপি বুধবার ভোর ৬টা থেকে আবার সারাদেশে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ২৯ অক্টোবর থেকে মাঝে বিরতি দিয়ে হরতাল ও অবরোধ চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি। সমমনা জোট ও দলের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীও একই কর্মসূচি দিয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে ভার্চুয়াল সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ অভিযোগ করে বলেন, ‘‘রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দেশজুড়ে ভীতির রাজত্ব কায়েমের অশুভ উদ্দেশ্যে প্রতিদিন নৈরাজ্যে লিপ্ত হচ্ছে আওয়ামী লীগের দুষ্কৃতিকারী কর্মীরা।
দেশজুড়ে ‘অগ্নি সন্ত্রাস-নাশকতা’র ঘটনা ক্ষমতাসীনরাই ঘটাচ্ছে।
অথচ প্রত্যক্ষদর্শৗদের মতে অধিকাংশ ঘটনা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে বা বড় পুলিশ চেকপোস্টের কাছাকাছি ঘটছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।”
তিনি বলেন,তারা গণপরিবহনে অব্যাহতভাবে অগ্নিসংযোগ করছে আর নিরব দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এসব কর্মসূচিকে ঘিরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা প্রতিরোধে কিংবা প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে নিষ্ক্রিয় বলেও অভিযোগ করেন রিজভী।
তিনি বলেন, “প্রকৃতপক্ষে আমাদের বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে যে, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী ও তাদের আজ্ঞাবাহী পুলিশ সদস্যরা উদ্দেশ্যমূলকভাবে যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ার প্রচারিত বেশ কয়েকটি ভিডিও ফুটেজে চালক বা তাদের সহকারীদের বক্তব্যে স্পষ্ট যে, কীভাবে পুলিশ বা ছাত্রলীগ-যুবলীগের কর্মীরা তাদের বাসে আগুন দেয়ার জন্য দায়ী।”
উদাহরণ হিসেবে পর রিজভী কর্মসূচির মধ্যে গত কয়েকদিনের ঘটনা তুলে ধরেন।
তার দাবি, গত ৬ নভেম্বর চট্টগ্রামের আনোয়ারার চাতরি চৌমহনী বাজারে পুলিশ বক্সের কাছে, ৩১ অক্টোবর ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাবের কাছে ও বাংলা মোটর মোড়ে, ২৮ অক্টোবর কাকরাইলের কাছে বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা এবং ৬ নভেম্বর চট্টগ্রামে একটি ট্রাকে আগুন দেওয়ার ঘটনায় ফেনীর স্থানীয় যুবলীগ নেতা নুরুল উদ্দিন টিপুকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার ও ১৪ নভেম্বর নাটোরের তাশরীক জামান রিফাত নামে আওয়ামী লীগের কর্মীকে মুখোশসহ গ্রেপ্তারের পর তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, ‘‘দেশের সর্বত্র পুলিশ বা র্যাবের শত শত পেট্রোল টিম এবং বিজেবির শত শত প্লাটুন অস্ত্র সজ্জিত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে বিপুল অস্ত্রশস্ত্র সহযোগে পুলিশের পূর্ণাঙ্গ সুসংহত টহল। বাংলাদেশ যেন পরিণত হয়েছে এক যুদ্ধ ক্ষেত্রে।
‘‘এই নিশ্ছিন্দ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যেও বিরোধীদলের সদস্য কোনো প্রকার সহিংসতা বা অগ্নিসংযোগে কাজে লিপ্ত হবে এই দাবি সর্বত্রই হাস্যকর। বরং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল উপস্থিতির উদ্দেশ্য হয়তো আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। যেন তারা নিশ্চিন্তে যানবাহনে আগুন দিতে পারে, জনগণের জানমালের ক্ষতি সাধন করতে পারে এবং রাষ্ট্রীয় নৈরাজ্যের প্রেক্ষাপট তৈরিতে ভূমিকা রাখতে পারে।”
২০১৪ ও ২০১৫ সালের কিছু ঘটনা তুলে ধরে রিজভী বলেন, ‘‘ওদের এসব কর্মকাণ্ড বারবার প্রমাণিত হয়েছে, বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে এসেছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। কীভাবে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য বাসে অগ্নিসংযোগে লিপ্ত হয় আওয়ামী লীগের দুষ্কৃতিকারী নেতাকর্মীরা।”
তার দাবি, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে পুলিশ ৪৭৫ জনের অধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে এবং বিভিন্ন মামলায় ১ হাজার ৭২০ জনের বেশি নেতাকর্মীকে আসামি করেছে।
বুধবার সকাল ৬টা থেকে শুরু ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ সফল করার আহ্বান জানিয়ে এই বিএনপি নেতা বলেন, এই অবরোধ কর্মসূচি আমাদের দেশের গণতন্ত্র ও দেশের মানুষের মালিকানা ফিরিয়ে দেয়ার বৃহত্তর আন্দোলনের অংশ।
‘‘আমরা সত্যের পথে আছি, আমরা ন্যায়ের পথে আছি, আমরা মানুষের কল্যাণের পথে আছি, আমরা গণতান্ত্রিক দর্শনের পক্ষে আছি।”