কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে নাশকতার মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ বিএনপি, জামায়াতসহ অন্যান্য দলের হাজারের বেশি নেতাকর্মীর জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। এরমধ্যে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরাও রয়েছেন।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন আবেদন করা হলে শুনানি শেষে বিচারক তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। জামিন প্রাপ্ত উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান ওরফে শিমুল বিশ্বাস, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল আলম নীরব, দক্ষিণের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম মজনু, ১২ দলের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এমএ সালাম ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।
ইতোমধ্যে রুহুল কবির রিজভী, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে তারা কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে মুক্তি পান। বিএনপি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকেও মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে খালেদা জিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আপাতত বিএনপি চেয়ারপারসনের উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেওয়ার কার্যক্রম শুরু হবে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও বিভিন্ন মামলায় আটকদের মুক্তি দেওয়া শুরু হয়েছে এবং এরইমধ্যে অনেকে মুক্তি পেয়েছে।’
এর আগে সোমবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষনে রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় আটকসহ সব বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে।’
এবিষয়ে মঙ্গলবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আপনারা জানেন, ম্যাডাম খুব অসুস্থ। আমি মঙ্গলবার রাতে দেখা করেছি...। সুতরাং যখনই তিনি ফিট মনে করবেন, সুস্থবোধ করবেন, তখন তিনি জনগণের সামনে উপস্থিত হবেন।’
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনের বরাত দিয়ে দলটির মিডিয়া উইংসের সদস্য শায়রুল কবির জানান, ‘আপাতত হাসপাতালেই চিকিৎসা চলবে ম্যাডামের।’
এদিকে রাজধানীর পৃথক দুই মামলায় জামিন পেয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. হায়দার আলী ও মোহাম্মদ নুরুল হুদা চৌধুরীর আদালত এ জামিন মঞ্জুর করেন।
তার আইনজীবীরা জানান, সেতু ভবনে নাশকতার ঘটনায় বনানী থানার মামলায় এবং মেট্রোরেলে নাশকতার কাফরুল থানার মামলায় জামিন চেয়ে আবেদন করেন তারা। এ সময় আইনজীবী গোলাম সারোয়ার খান জুয়েল, নুর এরশাদ সিদ্দিকী, খাদেমুল ইসলাম, মো. পারভেজ, হাবিবুর রহমান ও শেখ শওকত হোসেন জামিন শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত এই দুই মামলায় জামিন মঞ্জুর করেন।
বুধবার, ০৭ আগস্ট ২০২৪
কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে নাশকতার মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ বিএনপি, জামায়াতসহ অন্যান্য দলের হাজারের বেশি নেতাকর্মীর জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। এরমধ্যে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরাও রয়েছেন।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন আবেদন করা হলে শুনানি শেষে বিচারক তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। জামিন প্রাপ্ত উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান ওরফে শিমুল বিশ্বাস, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল আলম নীরব, দক্ষিণের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম মজনু, ১২ দলের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এমএ সালাম ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।
ইতোমধ্যে রুহুল কবির রিজভী, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে তারা কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে মুক্তি পান। বিএনপি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকেও মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে খালেদা জিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আপাতত বিএনপি চেয়ারপারসনের উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেওয়ার কার্যক্রম শুরু হবে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও বিভিন্ন মামলায় আটকদের মুক্তি দেওয়া শুরু হয়েছে এবং এরইমধ্যে অনেকে মুক্তি পেয়েছে।’
এর আগে সোমবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষনে রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় আটকসহ সব বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে।’
এবিষয়ে মঙ্গলবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আপনারা জানেন, ম্যাডাম খুব অসুস্থ। আমি মঙ্গলবার রাতে দেখা করেছি...। সুতরাং যখনই তিনি ফিট মনে করবেন, সুস্থবোধ করবেন, তখন তিনি জনগণের সামনে উপস্থিত হবেন।’
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনের বরাত দিয়ে দলটির মিডিয়া উইংসের সদস্য শায়রুল কবির জানান, ‘আপাতত হাসপাতালেই চিকিৎসা চলবে ম্যাডামের।’
এদিকে রাজধানীর পৃথক দুই মামলায় জামিন পেয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. হায়দার আলী ও মোহাম্মদ নুরুল হুদা চৌধুরীর আদালত এ জামিন মঞ্জুর করেন।
তার আইনজীবীরা জানান, সেতু ভবনে নাশকতার ঘটনায় বনানী থানার মামলায় এবং মেট্রোরেলে নাশকতার কাফরুল থানার মামলায় জামিন চেয়ে আবেদন করেন তারা। এ সময় আইনজীবী গোলাম সারোয়ার খান জুয়েল, নুর এরশাদ সিদ্দিকী, খাদেমুল ইসলাম, মো. পারভেজ, হাবিবুর রহমান ও শেখ শওকত হোসেন জামিন শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত এই দুই মামলায় জামিন মঞ্জুর করেন।