সর্বশেষ ২০০৬ সালে ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে মিছিল-সমাবেশ করেছিল ইসলামি ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। এরপর থেকে দীর্ঘ ১৭ বছর তাদেরকে ক্যাম্পাসে দেখা যায়নি। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা আসলে পুরোপুরি।কোনঠাসা হয়ে পড়ে সংগঠনটি। বিভিন্ন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে শিবির সন্দেহে শিক্ষার্থীদের নির্যাতন করা হলেও শিবিরের পক্ষ থেকে এসব বিষয়ে তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির বিষয়ে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর সাথে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে অংশ নেয় শিবিরের ঢাবি শাখার সভাপতি সাদিক কায়ুম। এর মাধ্যমে ১৭ বছর পর প্রকাশ্যে এলো সংগঠনটি।
আলোচনা শেষে ছাত্রশিবিরের ঢাবি শাখার সভাপতি সাদিক কায়েম বলেন, আমরা শুধু আলোচনা করেছি। এখানে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে আমাদের প্রস্তাব ছিল আমরা রাজনীতি বন্ধ চাই না। আমরা রাজনীতির সংস্কার চাই। আমরা মেধার ভিত্তিতে ছাত্র রাজনীতি চাই। ছাত্ররা দেশ গড়বে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় আরেকটু স্থিতিশীল হলেই দ্রুত ডাকসু নির্বাচন দেওয়ার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সাদিক কায়েম বলেন, আমরা ইনক্লুসিভ ছাত্র রাজনীতি চাই। এখানে কোনো বিভাজন থাকবে না। শিক্ষার্থীরা তাদের কথা বলার অধিকার পাবে, স্বাধীনতা পাবে। প্রত্যেকেই তাদের আদর্শ চর্চা করবে কিন্তু কেউ কাউকে বলপ্রয়োগ করে চাপিয়ে দিতে পারবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতির সংস্কার কেমন হবে তা নিয়ে আমরা শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সকল ছাত্রসংগঠনগুলোকে নিয়ে একটি পলিসি ডিসকাশনের আহ্বান করেছি। সেখানে ছাত্রসংগঠনগুলো তাদের মতামত তুলে ধরবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিবির শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়াকে প্রাধান্য দেবে।
রাজনীতি নিষিদ্ধের বিষয়ে তিনি আরো বলেন, এখনও কোনও সিদ্ধান্ত আসেনি। এটা সিন্ডিকেটে আলোচনা হয়েছে। আমরা কী ভাবছি জানতে চেয়েছেন। এর আগে হলগুলোতে ভিজিট করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেছেন। পাশাপাশি কিছু জরিপও হয়েছে। এই জরিপগুলোও উনাদের কাছে এসেছে। এখন ছাত্রসংগঠনের নেতৃবৃন্ধ যারা রয়েছেন তাদের সাথে উনারা বসেছেন।
তিনি আরো বলেন, আমাদের অন্যতম একটা দাবি ছিলো খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন দেওয়া। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের যে গেস্টরুম ও গণরুম ব্যবস্থা ছিলো তা বিলুপ্ত করার জন্য আমরা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই। মেধা এবং প্রয়োজনের ভিত্তিতে সবার জন্য সিটের যে নতুন বন্দোবস্ত হয়েছে তা যেন চলমান থাকে এবং এ জায়গাগুলোতে প্রশাসনকে আরো শক্তিশালী করা হয় সেই আহ্বান জানাই।
শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ ২০০৬ সালে ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে মিছিল-সমাবেশ করেছিল ইসলামি ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। এরপর থেকে দীর্ঘ ১৭ বছর তাদেরকে ক্যাম্পাসে দেখা যায়নি। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা আসলে পুরোপুরি।কোনঠাসা হয়ে পড়ে সংগঠনটি। বিভিন্ন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে শিবির সন্দেহে শিক্ষার্থীদের নির্যাতন করা হলেও শিবিরের পক্ষ থেকে এসব বিষয়ে তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির বিষয়ে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর সাথে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে অংশ নেয় শিবিরের ঢাবি শাখার সভাপতি সাদিক কায়ুম। এর মাধ্যমে ১৭ বছর পর প্রকাশ্যে এলো সংগঠনটি।
আলোচনা শেষে ছাত্রশিবিরের ঢাবি শাখার সভাপতি সাদিক কায়েম বলেন, আমরা শুধু আলোচনা করেছি। এখানে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে আমাদের প্রস্তাব ছিল আমরা রাজনীতি বন্ধ চাই না। আমরা রাজনীতির সংস্কার চাই। আমরা মেধার ভিত্তিতে ছাত্র রাজনীতি চাই। ছাত্ররা দেশ গড়বে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় আরেকটু স্থিতিশীল হলেই দ্রুত ডাকসু নির্বাচন দেওয়ার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সাদিক কায়েম বলেন, আমরা ইনক্লুসিভ ছাত্র রাজনীতি চাই। এখানে কোনো বিভাজন থাকবে না। শিক্ষার্থীরা তাদের কথা বলার অধিকার পাবে, স্বাধীনতা পাবে। প্রত্যেকেই তাদের আদর্শ চর্চা করবে কিন্তু কেউ কাউকে বলপ্রয়োগ করে চাপিয়ে দিতে পারবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতির সংস্কার কেমন হবে তা নিয়ে আমরা শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সকল ছাত্রসংগঠনগুলোকে নিয়ে একটি পলিসি ডিসকাশনের আহ্বান করেছি। সেখানে ছাত্রসংগঠনগুলো তাদের মতামত তুলে ধরবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিবির শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়াকে প্রাধান্য দেবে।
রাজনীতি নিষিদ্ধের বিষয়ে তিনি আরো বলেন, এখনও কোনও সিদ্ধান্ত আসেনি। এটা সিন্ডিকেটে আলোচনা হয়েছে। আমরা কী ভাবছি জানতে চেয়েছেন। এর আগে হলগুলোতে ভিজিট করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেছেন। পাশাপাশি কিছু জরিপও হয়েছে। এই জরিপগুলোও উনাদের কাছে এসেছে। এখন ছাত্রসংগঠনের নেতৃবৃন্ধ যারা রয়েছেন তাদের সাথে উনারা বসেছেন।
তিনি আরো বলেন, আমাদের অন্যতম একটা দাবি ছিলো খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন দেওয়া। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের যে গেস্টরুম ও গণরুম ব্যবস্থা ছিলো তা বিলুপ্ত করার জন্য আমরা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই। মেধা এবং প্রয়োজনের ভিত্তিতে সবার জন্য সিটের যে নতুন বন্দোবস্ত হয়েছে তা যেন চলমান থাকে এবং এ জায়গাগুলোতে প্রশাসনকে আরো শক্তিশালী করা হয় সেই আহ্বান জানাই।