alt

রাজনীতি

হাছান মাহমুদ: ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে’ প্রয়োজনে বিএনপির সাথে কাজ করতে প্রস্তুত

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন যে, দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে বিএনপির সাথে একযোগে কাজ করতে তার দল প্রস্তুত। সম্প্রতি লন্ডনভিত্তিক ‘চ্যানেল এস’ টেলিভিশনে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, “বিএনপি যে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের কথা বলছে, একটি অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলছে, সেটির সাথে আমরা একমত এবং প্রয়োজনে বিএনপির সাথে একযোগে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আমরা কাজ করব।” আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এটিই প্রথমবারের মতো দলটির শীর্ষ পর্যায়ের কেউ এমন মন্তব্য করলেন।

হাছান মাহমুদ তার বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বেশ কিছু বক্তব্যের সাথে একমত হওয়ার কথাও জানান। তিনি বলেন, “বিশেষ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব বলেছেন, ‘রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার আমরা কারা?’- এই যে প্রশ্ন তুলেছেন, আমি এটির সাথে একমত।”

প্রাক্তন তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, "রাষ্ট্রের অনেকগুলো সংস্কার দরকার। তবে এই সংস্কার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমেই হওয়া উচিত। এবং রাষ্ট্র সংস্কারের মূল দায়িত্বটাও তাদেরই হওয়া উচিত।"

তিনি উল্লেখ করেন যে, ২০০৭ সালে সেনা-নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়েও আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য একসঙ্গে আন্দোলন করেছিল। সেসময় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় একযোগে কাজের উদাহরণ টেনে হাছান মাহমুদ বর্তমান পরিস্থিতিতেও একসাথে কাজ করার সম্ভাবনা ব্যক্ত করেন।

তিনি আরও জানান, বিএনপির নেতারা এখন দ্রুত নির্বাচন চাচ্ছেন এবং একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছেন। তার মতে, রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা এবং সাংবিধানিক সংকট এড়াতে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর হওয়া উচিত।

হাছান মাহমুদ বলেন, "আমাদের রাষ্ট্রে একটি উচ্চ কক্ষ থাকা দরকার, যেটির মাধ্যমে বুদ্ধিজীবী ও নাগরিক সমাজকে রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে যুক্ত করা যাবে। এর মাধ্যমে তাদের অংশগ্রহণ রাষ্ট্র পরিচালনায় ভূমিকা রাখবে।"

তিনি আরও স্বীকার করেন যে, ক্ষমতায় থাকার সময় আওয়ামী লীগ সরকার কিছু ভুল করেছে। তিনি বলেন, “অবশ্যই রাষ্ট্র পরিচালনা করতে গিয়ে আমাদের ভুল ছিল। আমরা সেই ভুলগুলো স্বীকার করি এবং ভুল থেকে মানুষ শিক্ষা গ্রহণ করে।”

আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনামলে বিএনপিকে ২০১৪ এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনে আনতে না পারাকে রাজনৈতিক ব্যর্থতা হিসেবে উল্লেখ করেন হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, “যেহেতু আমরা দায়িত্বে ছিলাম, আমাদের এই জায়গায় ব্যর্থতা ছিল যে, আমরা বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে ব্যর্থ হয়েছি।”

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমি তাদের সবার উদ্দেশে বলব এই আঁধার কেটে যাবে এবং সহসা দেশে একটি সুস্থ স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসবে এবং জনগণের পাশে অতীতেও ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকব।”

তিনি আরও বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দলটি সচেতনভাবে নিশ্চুপ রয়েছে এবং সরকারের উপর কোন দায় চাপাতে চাইছে না।

পরিশেষে, বিএনপি নেতাদের সাম্প্রতিক বক্তব্য এবং রাষ্ট্রের পুনর্গঠনের বিষয়ে বিএনপির বিভিন্ন প্রস্তাবের প্রশংসা করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, “বাংলাদেশকে থেকে চিরতরের জন্য অস্বীকারের রাজনীতি, দ্বান্দ্বিক রাজনীতি, ঘৃণার রাজনীতি বিদায় হওয়া উচিত। দেশে একটি সহনশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি হোক।”

ছবি

গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করলে ইউনূসকেও ছাড় নয়: সারজিস

ছবি

*বিএনপি সরকার গঠন করলে প্রতিটি ক্যাম্পাসে নেতৃত্ব দেবে ছাত্রদল*

ছবি

ডিমলা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার, আওয়ামী লীগের দাবি ‘জয় বাংলা’ বলায় আটক

ছবি

সিলেটে আওয়ামী লীগ নেতা মিসবাহ উদ্দিন সিরাজের ওপর হামলা, মুক্তিপণ দিয়ে মুক্তি

ছবি

বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই: ফখরুল

ছবি

দেশে কোনো অপশক্তি আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না: ডা. শফিকুর

মামলা শেষ হলেই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান : মির্জা ফখরুল

ছবি

উপদেষ্টা নাহিদের বক্তব্য ‘রাজনীতিবিরোধী’: মির্জা ফখরুল

ছবি

আখাউড়া স্থলবন্দরে যুবদল-ছাত্রদলের লংমার্চ, নিরাপত্তা জোরদার

ছবি

আগরতলার অভিমুখে বিএনপির তিন সংগঠনের লং মার্চ শুরু

ছবি

আগরতলা অভিমুখে বিএনপির লংমার্চ সফল করতে প্রস্তুতি চূড়ান্ত

সখীপুরে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ৩১ জনের নামে আহত ছাত্রদল নেতার মামলা

ছবি

নির্বাচন বিলম্বে ষড়যন্ত্র বাড়বে: খন্দকার মোশাররফ

ছবি

গোপন সংগঠনের রাজনীতিকে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা ঘৃণা করে: ছাত্রদল সা. সম্পাদক

ছবি

ভারতীয় পণ্য বর্জনের আহ্বানে রাজশাহীতে চাদর পোড়ালেন রিজভী

ছবি

জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক হলেন সারজিস আলম

ছবি

ভারত কারো সাথে বন্ধুত্ব করতে পারে না: রিজভী

ছবি

ব্রিটিশ হাই কমিশনারের সঙ্গে বিএনপি ও জামায়াত নেতাদের পৃথক বৈঠক

ছবি

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের গ্রেপ্তারে আইনি নোটিস

ছবি

ভোটার তালিকার খসড়া প্রকাশের আগে এনআইডি সংশোধনের আহ্বান

ছবি

১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় হাই কোর্টে আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুরু

ছবি

জাতীয় পতাকা অবমাননার প্রতিবাদে ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশন অভিমুখে পদযাত্রা

ছবি

বিএনপি কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীদের ঢল

বৈরাচারের পতন হবে জেনেই আমরা ৩১ দফা দিয়েছিলাম - তারেক রহমান

ছবি

মিথ্যার বেড়াজাল তৈরি করেও সফল হতে পারছে না ভারত : রিজভী

সাম্প্রদায়িকতার ধোঁয়া তুলে উপমহাদেশে আধিপত্য কায়েম করতে চায় ভারত : রিজভী

ছবি

সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণে সব ধরনের ষড়যন্ত্র হচ্ছে: খন্দকার মোশাররফ

ছবি

২৮ ছাত্রসংগঠনের সভায় ঐক্যবদ্ধ ছাত্র আন্দোলনের আহ্বান

ছবি

ভারতীয় শাড়ি আগুনে পোড়ালেন রিজভী

ছবি

সংবিধান সংস্কারে বিএনপির ৬২ প্রস্তাব

ছবি

শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারে ট্রাইব্যুনালের নিষেধাজ্ঞা

ছবি

সাত বছরের দণ্ড থেকে গিয়াস উদ্দিন মামুনকে খালাস দিলেন হাইকোর্ট

ছবি

‘কল্পকাহিনীর’ প্রচার ঠেকাতে একজোট হওয়ার আহ্বান ইউনূসের

ছবি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার মাধ্যমে ৮০ শতাংশ সমস্যা নিরসন হবে: রাকিবুল ইসলাম

ছবি

দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে মুক্তিতে শিক্ষার সংস্কার জরুরি: শিবির সভাপতি

ছবি

গণহত্যা: আমু ও কামরুলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠাল ট্রাইব্যুনাল

tab

রাজনীতি

হাছান মাহমুদ: ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে’ প্রয়োজনে বিএনপির সাথে কাজ করতে প্রস্তুত

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন যে, দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে বিএনপির সাথে একযোগে কাজ করতে তার দল প্রস্তুত। সম্প্রতি লন্ডনভিত্তিক ‘চ্যানেল এস’ টেলিভিশনে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, “বিএনপি যে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের কথা বলছে, একটি অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলছে, সেটির সাথে আমরা একমত এবং প্রয়োজনে বিএনপির সাথে একযোগে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আমরা কাজ করব।” আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এটিই প্রথমবারের মতো দলটির শীর্ষ পর্যায়ের কেউ এমন মন্তব্য করলেন।

হাছান মাহমুদ তার বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বেশ কিছু বক্তব্যের সাথে একমত হওয়ার কথাও জানান। তিনি বলেন, “বিশেষ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব বলেছেন, ‘রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার আমরা কারা?’- এই যে প্রশ্ন তুলেছেন, আমি এটির সাথে একমত।”

প্রাক্তন তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, "রাষ্ট্রের অনেকগুলো সংস্কার দরকার। তবে এই সংস্কার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমেই হওয়া উচিত। এবং রাষ্ট্র সংস্কারের মূল দায়িত্বটাও তাদেরই হওয়া উচিত।"

তিনি উল্লেখ করেন যে, ২০০৭ সালে সেনা-নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়েও আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য একসঙ্গে আন্দোলন করেছিল। সেসময় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় একযোগে কাজের উদাহরণ টেনে হাছান মাহমুদ বর্তমান পরিস্থিতিতেও একসাথে কাজ করার সম্ভাবনা ব্যক্ত করেন।

তিনি আরও জানান, বিএনপির নেতারা এখন দ্রুত নির্বাচন চাচ্ছেন এবং একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছেন। তার মতে, রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা এবং সাংবিধানিক সংকট এড়াতে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর হওয়া উচিত।

হাছান মাহমুদ বলেন, "আমাদের রাষ্ট্রে একটি উচ্চ কক্ষ থাকা দরকার, যেটির মাধ্যমে বুদ্ধিজীবী ও নাগরিক সমাজকে রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে যুক্ত করা যাবে। এর মাধ্যমে তাদের অংশগ্রহণ রাষ্ট্র পরিচালনায় ভূমিকা রাখবে।"

তিনি আরও স্বীকার করেন যে, ক্ষমতায় থাকার সময় আওয়ামী লীগ সরকার কিছু ভুল করেছে। তিনি বলেন, “অবশ্যই রাষ্ট্র পরিচালনা করতে গিয়ে আমাদের ভুল ছিল। আমরা সেই ভুলগুলো স্বীকার করি এবং ভুল থেকে মানুষ শিক্ষা গ্রহণ করে।”

আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনামলে বিএনপিকে ২০১৪ এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনে আনতে না পারাকে রাজনৈতিক ব্যর্থতা হিসেবে উল্লেখ করেন হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, “যেহেতু আমরা দায়িত্বে ছিলাম, আমাদের এই জায়গায় ব্যর্থতা ছিল যে, আমরা বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে ব্যর্থ হয়েছি।”

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমি তাদের সবার উদ্দেশে বলব এই আঁধার কেটে যাবে এবং সহসা দেশে একটি সুস্থ স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসবে এবং জনগণের পাশে অতীতেও ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকব।”

তিনি আরও বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দলটি সচেতনভাবে নিশ্চুপ রয়েছে এবং সরকারের উপর কোন দায় চাপাতে চাইছে না।

পরিশেষে, বিএনপি নেতাদের সাম্প্রতিক বক্তব্য এবং রাষ্ট্রের পুনর্গঠনের বিষয়ে বিএনপির বিভিন্ন প্রস্তাবের প্রশংসা করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, “বাংলাদেশকে থেকে চিরতরের জন্য অস্বীকারের রাজনীতি, দ্বান্দ্বিক রাজনীতি, ঘৃণার রাজনীতি বিদায় হওয়া উচিত। দেশে একটি সহনশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি হোক।”

back to top