দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বারবার বাধাগ্রস্ত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
তিনি বলেন, “বারবার আমরা দেখছি—এ দেশে গণতন্ত্র হোঁচট খেয়েছে, ব্যক্তিতান্ত্রিক স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এ দেশে; সেগুলো যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে। এর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো সংগ্রাম করেছে, বিএনপি অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করেছে।”
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের শুরুতে তিনি এ কথা বলেন।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ আরও বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে জাতীয় সনদ তৈরি করা; যাতে করে বাংলাদেশে একটি স্থায়ী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে পারি।”
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, বদিউল আলম মজুমদার ও ইফতেখারুজ্জামান।
বিএনপির প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তার সঙ্গে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিহউল্লাহ ও কেন্দ্রীয় সদস্য ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ টেনে নজরুল ইসলাম খান বলেন, “আমাদের সামনে আরেকবার একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, আমরা তা কাজে লাগাতে চাই। আমরা এই কমিশনকে সহযোগিতা করছি, এই সরকারকে সহযোগিতা করছি—সেই প্রত্যাশা নিয়েই।”
তিনি বলেন, “আমরা গতকাল প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি, বিএনপির চেয়ে বেশি সংস্কার বাংলাদেশে কোন রাজনৈতিক দল করেছে? কাজেই বিএনপি সংস্কারের বিপক্ষে নয়, বিএনপি সংস্কারেই দল।
“কিন্তু কেউ কেউ নানান কথা বলেন, তারা যখন সংস্কারের দন্ত্যস উচ্চারণ করেননি—তখন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ভিশন ২০-৩০ দিয়েছেন।”
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সনদ না থাকলেও বিএনপির ৩১ দফার সনদ রয়েছে উল্লেখ করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, “বিএনপির জন্য সনদ তো আছে একটা। সংস্কারের সনদ। কাজেই আমরা এর পক্ষে।
“আমরা শুধু একটা জিনিস বলব যে—সবকিছুর মূলে জনগণ; জনগণের সম্মতিতে যেন সব হয়। আর জনগণ কার মাধ্যমে সম্মতি জানায়—আমরা জানি।”
গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দেশের হাল ধরতে অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে দুই ধাপে ১১টি কমিশন গঠন করে।
কমিশনগুলোর সুপারিশ নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের উদ্দেশ্যে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কার্যক্রম শুরু হয়।
সেদিন ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এরপর সংবিধান সংস্কার, জনপ্রশাসন সংস্কার, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার, বিচার বিভাগ সংস্কার এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলো নিয়ে ৩৯টি রাজনৈতিক দলের মতামত চায় ঐকমত্য কমিশন।
পরে ৩৪টি দল মতামত তুলে ধরে, যাদের সঙ্গে এখন আলাদাভাবে বৈঠক করছে কমিশন।
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বারবার বাধাগ্রস্ত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
তিনি বলেন, “বারবার আমরা দেখছি—এ দেশে গণতন্ত্র হোঁচট খেয়েছে, ব্যক্তিতান্ত্রিক স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এ দেশে; সেগুলো যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে। এর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো সংগ্রাম করেছে, বিএনপি অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করেছে।”
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের শুরুতে তিনি এ কথা বলেন।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ আরও বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে জাতীয় সনদ তৈরি করা; যাতে করে বাংলাদেশে একটি স্থায়ী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে পারি।”
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, বদিউল আলম মজুমদার ও ইফতেখারুজ্জামান।
বিএনপির প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তার সঙ্গে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিহউল্লাহ ও কেন্দ্রীয় সদস্য ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ টেনে নজরুল ইসলাম খান বলেন, “আমাদের সামনে আরেকবার একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, আমরা তা কাজে লাগাতে চাই। আমরা এই কমিশনকে সহযোগিতা করছি, এই সরকারকে সহযোগিতা করছি—সেই প্রত্যাশা নিয়েই।”
তিনি বলেন, “আমরা গতকাল প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি, বিএনপির চেয়ে বেশি সংস্কার বাংলাদেশে কোন রাজনৈতিক দল করেছে? কাজেই বিএনপি সংস্কারের বিপক্ষে নয়, বিএনপি সংস্কারেই দল।
“কিন্তু কেউ কেউ নানান কথা বলেন, তারা যখন সংস্কারের দন্ত্যস উচ্চারণ করেননি—তখন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ভিশন ২০-৩০ দিয়েছেন।”
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সনদ না থাকলেও বিএনপির ৩১ দফার সনদ রয়েছে উল্লেখ করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, “বিএনপির জন্য সনদ তো আছে একটা। সংস্কারের সনদ। কাজেই আমরা এর পক্ষে।
“আমরা শুধু একটা জিনিস বলব যে—সবকিছুর মূলে জনগণ; জনগণের সম্মতিতে যেন সব হয়। আর জনগণ কার মাধ্যমে সম্মতি জানায়—আমরা জানি।”
গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দেশের হাল ধরতে অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে দুই ধাপে ১১টি কমিশন গঠন করে।
কমিশনগুলোর সুপারিশ নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের উদ্দেশ্যে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কার্যক্রম শুরু হয়।
সেদিন ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এরপর সংবিধান সংস্কার, জনপ্রশাসন সংস্কার, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার, বিচার বিভাগ সংস্কার এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলো নিয়ে ৩৯টি রাজনৈতিক দলের মতামত চায় ঐকমত্য কমিশন।
পরে ৩৪টি দল মতামত তুলে ধরে, যাদের সঙ্গে এখন আলাদাভাবে বৈঠক করছে কমিশন।