সংস্কার প্রশ্নে প্রয়োজনে গণভোটে যাওয়ার দাবি করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। এনসিসি (জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল) গঠনে ঐক্যমত্য কমিশনের প্রস্তাবের সঙ্গে তাদের সমর্থনের কথা জানিয়েছেন দলটির যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান।
বুধবার ইসলামী আন্দোলনের মুখপাত্র আতাউর রহমান সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি বলেন, ‘মৌলিক সংস্কারে রাজনৈতিক দলগুলো একমত না হলে প্রয়োজনে গণভোটে যেতে হবে।’
‘কিছু বামপন্থী সংগঠন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের উপর নির্বাহী বিভাগের হস্তক্ষেপ বন্ধের বিরোধীতা করছে’ এমন অভিযোগ করে তাদের প্রতি বিষোদগার করেন ইসলামী আন্দোলনের নেতারা। দলটির মুখপাত্র অভিযোগ করে বলেন, ‘আজকের বৈঠকে বিস্ময়ের সাথে লক্ষ করেছি কিছু রাজনৈতিক সংগঠন যারা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহের স্বকীয়তা, স্বাধীনতা ও শক্তিশালীকরণের কথা বলতেন এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের উপরে নির্বাহী বিভাগের হস্তক্ষেপ বন্ধের কথা বলতেন তারাও আজকে এনসিসি গঠনের প্রস্তাবে বিরোধীতা করেছেন।’
এনসিসি নিয়ে আতংকের কিছু নাই দাবি করে আতাউর রহমান জানান , এনসিসি নির্বাহী বিভাগের উপর হস্তক্ষেপ না করে শুধু সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সদস্য নিয়োগে কাজ করবে। চরমোনাই পীরের এই দলটির আরও অভিযোগ, ‘যারা দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে অনাগ্রহী তারাই কেবল এনসিসি নিয়ে দ্বিমত করতে পারে।’
দলটির দাবি, বিগত সরকারই শুধু নয় বরং স্বাধীনতার পরে অতিতের সকল সরকারই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয়করণের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। আর এই দলীয়করণ রোধ করতেই সংবিধান সংস্কার কমিটি এনসিসি গঠনের প্রস্তাব করেছে বলে মনে করে ইসলামপন্থী এই দলটি।
বাংলাদেশের অতীত বিবেচনায় দেশকে ভবিষ্যত স্বৈরতন্ত্রের কবল থেকে রক্ষা করতে এনসিসি জরুরী বলে দাবি করেছে দলটি। লিখিতভাবে এনসিসি গঠনের প্রস্তাব করেছে বলেও জানায় তারা। তবে এনসিসির কাঠামোর মধ্যে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা, সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান নিয়োগসহ বেশ কিছু বিষয়ে ইসলামী আন্দোলনের ভিন্ন মত রয়েছে বলে জানান দলটির মুখপাত্র।
স্বাধীন বিচার বিভাগের ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের বিষয়ে এনসিসির কার্যপরিধির মধ্যে থাকার বিষয়ে ইসলামী আন্দোলন মত দিয়েছে বলে জানিয়েছেন
গাজী আতাউর রহমান।
‘প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার হতেই হবে’ এমন জোর দাবি জানিয়ে ইসলামী আন্দোলনের এই নেতা বলেন, ‘আমরা খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই, জুলাই অভ্যুত্থানের প্রধান দাবিই হলো, ‘দেশকে ভবিষ্যতের যে কোন স্বৈরতন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা করা। যদি কোন রাজনৈতিক দল দ্বিমত করে বা দলগুলো একমত হতে না পারে তাহলে গণভোটে যেতে হবে।’
আতাউর রহমান বলেন, ‘ইসলামী আন্দোলন মনে করে স্বৈরতন্ত্রের পথ উন্মুক্ত রাখার মতো কোন বিষয় সামনে আসলে জনগণকে সরাসরি মতামতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।’
বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
সংস্কার প্রশ্নে প্রয়োজনে গণভোটে যাওয়ার দাবি করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। এনসিসি (জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল) গঠনে ঐক্যমত্য কমিশনের প্রস্তাবের সঙ্গে তাদের সমর্থনের কথা জানিয়েছেন দলটির যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান।
বুধবার ইসলামী আন্দোলনের মুখপাত্র আতাউর রহমান সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি বলেন, ‘মৌলিক সংস্কারে রাজনৈতিক দলগুলো একমত না হলে প্রয়োজনে গণভোটে যেতে হবে।’
‘কিছু বামপন্থী সংগঠন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের উপর নির্বাহী বিভাগের হস্তক্ষেপ বন্ধের বিরোধীতা করছে’ এমন অভিযোগ করে তাদের প্রতি বিষোদগার করেন ইসলামী আন্দোলনের নেতারা। দলটির মুখপাত্র অভিযোগ করে বলেন, ‘আজকের বৈঠকে বিস্ময়ের সাথে লক্ষ করেছি কিছু রাজনৈতিক সংগঠন যারা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহের স্বকীয়তা, স্বাধীনতা ও শক্তিশালীকরণের কথা বলতেন এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের উপরে নির্বাহী বিভাগের হস্তক্ষেপ বন্ধের কথা বলতেন তারাও আজকে এনসিসি গঠনের প্রস্তাবে বিরোধীতা করেছেন।’
এনসিসি নিয়ে আতংকের কিছু নাই দাবি করে আতাউর রহমান জানান , এনসিসি নির্বাহী বিভাগের উপর হস্তক্ষেপ না করে শুধু সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সদস্য নিয়োগে কাজ করবে। চরমোনাই পীরের এই দলটির আরও অভিযোগ, ‘যারা দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে অনাগ্রহী তারাই কেবল এনসিসি নিয়ে দ্বিমত করতে পারে।’
দলটির দাবি, বিগত সরকারই শুধু নয় বরং স্বাধীনতার পরে অতিতের সকল সরকারই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয়করণের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। আর এই দলীয়করণ রোধ করতেই সংবিধান সংস্কার কমিটি এনসিসি গঠনের প্রস্তাব করেছে বলে মনে করে ইসলামপন্থী এই দলটি।
বাংলাদেশের অতীত বিবেচনায় দেশকে ভবিষ্যত স্বৈরতন্ত্রের কবল থেকে রক্ষা করতে এনসিসি জরুরী বলে দাবি করেছে দলটি। লিখিতভাবে এনসিসি গঠনের প্রস্তাব করেছে বলেও জানায় তারা। তবে এনসিসির কাঠামোর মধ্যে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা, সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান নিয়োগসহ বেশ কিছু বিষয়ে ইসলামী আন্দোলনের ভিন্ন মত রয়েছে বলে জানান দলটির মুখপাত্র।
স্বাধীন বিচার বিভাগের ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের বিষয়ে এনসিসির কার্যপরিধির মধ্যে থাকার বিষয়ে ইসলামী আন্দোলন মত দিয়েছে বলে জানিয়েছেন
গাজী আতাউর রহমান।
‘প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার হতেই হবে’ এমন জোর দাবি জানিয়ে ইসলামী আন্দোলনের এই নেতা বলেন, ‘আমরা খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই, জুলাই অভ্যুত্থানের প্রধান দাবিই হলো, ‘দেশকে ভবিষ্যতের যে কোন স্বৈরতন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা করা। যদি কোন রাজনৈতিক দল দ্বিমত করে বা দলগুলো একমত হতে না পারে তাহলে গণভোটে যেতে হবে।’
আতাউর রহমান বলেন, ‘ইসলামী আন্দোলন মনে করে স্বৈরতন্ত্রের পথ উন্মুক্ত রাখার মতো কোন বিষয় সামনে আসলে জনগণকে সরাসরি মতামতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।’