আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিদেশে অবস্থানরত দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ ও তার স্ত্রী নূরান ফাতেমার বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

সোমবার ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব দুদকের পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

এর আগে গত ১৬ জানুয়ারি আদালত সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও তার পরিবারের ৭৭টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ দেন।

গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর হাছান মাহমুদকে আর দেশে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। এর মধ্যে রোজার ঈদে লন্ডনের একটি মসজিদে ঈদের নামাজে অংশ নেওয়ার খবর প্রকাশিত হয়।

দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) তানজির আহমেদ জানান, চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাছান মাহমুদ ও তার স্ত্রী নূরান ফাতেমার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার জন্য দুটি আবেদন করেন দুদকের সহকারী পরিচালক আল-আমিন। বিচারক উক্ত আবেদন মঞ্জুর করেন।

হাছান মাহমুদের বিরুদ্ধে করা আবেদনে বলা হয়, তিনি মন্ত্রী ও এমপি থাকাকালে অবৈধভাবে এক কোটি ১১ লাখ ৫৫ হাজার ৩১৮ টাকার সম্পদের মালিক হন। তার নিজ, যৌথ ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা ৯টি ব্যাংক হিসাবে ৩৯ কোটি ৭৬ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। এই অর্থ পাচারের অভিযোগে গত ৬ এপ্রিল দুদক মামলা দায়ের করে। মামলার ‘সুষ্ঠু তদন্তের’ স্বার্থে তার বিদেশ গমন ঠেকানো প্রয়োজন।

অপরদিকে, নূরান ফাতেমার বিরুদ্ধে করা আবেদনে বলা হয়, স্বামীর ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি ৫ কোটি ৫২ লাখ টাকার সম্পদের মালিক হন। তার নিজ, যৌথ ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা ৫৬টি ব্যাংক হিসাবে ৬৮৩ কোটি ১৫ লাখ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধেও গত ৬ এপ্রিল দুদক মামলা করে। মামলার ‘সুষ্ঠু তদন্তের’ জন্য তার বিদেশ গমন রোধ জরুরি বলে উল্লেখ করা হয়।