alt

রাজনীতি

বিএনপিকে নিশ্চিহ্নের পাঁয়তারা বন্ধের হুঁশিয়ারি আব্বাসের

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫

অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে ‘পক্ষপাতমূলক’ আচরণের অভিযোগ তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

শুক্রবার রাজধানীর নয়া পল্টনে দলের এক সমাবেশে তিনি বলেন, “আজ এ সরকারকে বলতে চাই, আপনারা দয়া করে একটু পক্ষপাতমূলক আচরণটা বন্ধ করেন। এতে দেশের ক্ষতি হচ্ছে।”

কোনো দলের নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, “একটি দলকে আপনি কোলে রেখেছেন, আর একটি দলকে রেখেছেন কাঁধে। এক দলকে কোলে রাখবেন, আরেক দলকে কাঁধে রাখবেন, আর বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার পাঁয়তারা করবেন—এই চিন্তা কখনো কইরেন না।”

মির্জা আব্বাস বলেন, “আপনারা সরকারে এসেছেন, আমরা স্বাগত জানিয়েছি, আমরা সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি, সার্বিক সহযোগিতা দিচ্ছি। আপনারা খুব তাড়াতাড়ি একটি নির্বাচন দেন। দিলে দেশে যে অশান্ত পরিস্থিতি আছে, তা ঠান্ডা হয়ে যাবে। না দিলে আমরা ভাবব, দেশ অশান্ত করার প্রক্রিয়া আপনারাই করছেন দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার জন্য।”

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের স্মরণে দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে এদিন নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মৌন মিছিল বের করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি। অন্যদিকে ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে মিছিল বের হয় মিরপুরের পল্লবী ১২ নম্বর বিআরটিসি বাস ডিপোর কাছ থেকে।

নয়া পল্টনের মিছিলে মির্জা আব্বাস এবং পল্লবীর মিছিলে স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, “যে জামায়াত এক সময়ে বিএনপির কাঁধে পা দিয়ে মন্ত্রিত্ব পেয়েছে, এক সময় আওয়ামী লীগের কাঁধে পা দিয়ে দালালি করেছে, বিভিন্ন সময়ে দালালি করেছে, তারাও এই আমার শাহাদাত বরণকারী ভাইদের ওপরে চেপে বসেছে। তাদেরকে বেঁচেই, তাদেরকে বিক্রি করেই তাদের আজকের পুঁজি। শাহাদাতবরণকারী ভাইয়েরা সবসময়ে একটি ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ চেয়েছিল, আমরাও ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ চাই।”

তিনি আরও বলেন, “একজন তথাকথিত পীর সাহেব, তার নাম বলতে চাই না। তিনি বলেছিলেন, জামায়াতের ছোঁয়া যেখানে লাগবে, সেই জায়গা পচে যাবে। উনি আজ জামায়াতের কোলে গিয়ে বসেছেন।”

বিএনপির বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ তুলে মির্জা আব্বাস বলেন, “বিএনপিকে আজকে অনেকে আওয়ামী লীগের কাতারে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। ওই দিন দেখলাম, একটা ছেলে বিএনপি সম্পর্কে বলছে যে, গিনেস বুকে লেখা থাকবে, কীভাবে একটি দল সারা বাংলাদেশ থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। অর্থাৎ, তারা আমাদেরকে বাংলাদেশ থেকে নিশ্চিহ্ন করে দেবে। আমি বলব, ভাইয়েরা দয়া করে জিহ্বায় একটু লাগাম দেন। এমন কোনো কথা বলবেন না, যে কথা শুনে মানুষের রক্তে আগুন ধরে যায়।”

তিনি বলেন, “আমাদের অন্য কোনো দিকে নেওয়ার চেষ্টা করবেন না। আপনারা পায়ে পারা দিয়ে বিএনপির সঙ্গে ঝগড়া-ঝাঁটি চালানোর চেষ্টা করছেন। বিএনপি ঝগড়া করবে না, বিএনপি ঝগড়া করার দল নয়। বিএনপি একটি গণতন্ত্রকামী দল, বিএনপি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে, মানুষকে সঙ্গে নিয়ে। সেখানে যদি আপনারা বাটে পড়ে যান, তখন আমাদের কিছু করার থাকবে না।”

মির্জা আব্বাস বলেন, “৫ অগাস্টের পরে বলতেছেন লম্বা লম্বা কথা। আগে কিন্তু বলতেন না। আমি জানি না কোথায় শক্তি পেলেন, সাহস পেলেন। আপনারা শক্তিশালী হন, সাহসী হন—দোয়া করি। কিন্তু একটি সাচ্চা দেশপ্রেমিক দল বিএনপির বিরুদ্ধে অনর্থক কুৎসা রটাবেন না। সেদিন মর্মান্তিক একটি হত্যাকাণ্ড হয়েছে, সেখানে বিএনপিকর্মীকেই হত্যা করা হয়েছে। অথচ সেটিকে ঘিরে তারা বলছে, বিএনপিকে বাংলাদেশের মাটি থেকে নিশ্চিহ্ন না করা পর্যন্ত তাদের আর কোনো কাজ নেই। অর্থাৎ ক্ষমতায় যেতেই হবে।”

তিনি বলেন, “অনেকে বলছে, বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য পাগল হয়ে গেছে। আমার কথা হলো, বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য পাগল হয়নি। বিএনপি ১৭ বছর রাজপথে আন্দোলন করেছে দেশের মানুষের গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকারের জন্য। আজ সেই সুযোগ নিয়ে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে আপনারা ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছেন। ভাবছেন, বিএনপি না থাকলে আপনাদের পথ সহজ হবে। আরে ভাই, বিএনপির একজন নেতাকর্মী জীবিত থাকতে কখনোই এই খায়েশ পূরণ হবে না।

“বিএনপির নেতাকর্মীরা দেশে ছিল, আন্দোলনের প্র্যাকটিস করেছে রাস্তায়, জেলখানায় জীবন কাটিয়েছে। আমাদের ভয় দেখাবেন না। জীবন ও যৌবনের অর্ধেক সময় রাস্তায় আর জেলে কাটিয়ে দিয়েছি।”

ছবি

সোনারগাঁয়ে এনসিপি’র নিরাপত্তার কারণে জনদূর্ভোগ, ওভারব্রিজ ব্যবহারে বাঁধা, মসজিদে সাঁটানো হয় নেতার ফেস্টুন

৩ আগস্টের মধ্যে ত্রুটি সংশোধনের নির্দেশ পেল জাতীয় নাগরিক পার্টি

ছবি

গণতন্ত্র ধ্বংসের চেষ্টা চলছে, দ্রুত সংস্কার ও নির্বাচনের তাগিদ ফখরুলের

ছবি

পিআর পদ্ধতি বিরোধীদের কক্সবাজারে ঠেকানোর হুঁশিয়ারি এনসিপির

ছবি

“নতুন বাংলাদেশ গড়তে স্বচ্ছ নির্বাচন দরকার” — সোহরাওয়ার্দীতে জামায়াতের সমাবেশে তাহের

ছবি

সোহরাওয়ার্দীতে জামায়াতের সমাবেশে সারজিস আলম: মুজিববাদীদের কোমর ভেঙে দিতে হবে

ছবি

প্রবাসীর প্রজেক্টে হামলা-লুটপাট, বিএনপি নেতা দুলালসহ ২৪ জনের নামে মামলা

ছবি

গোপালগঞ্জের ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব

ছবি

‘সুযোগ হারালে বাংলাদেশ বহু বছর পিছিয়ে পড়বে’

ছবি

সোহরাওয়ার্দীতে প্রথমবারের মতো জামায়াতের সমাবেশ

ছবি

জামায়াতের সমাবেশের আগেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসমুদ্র

ছবি

‘সংস্কার নয়, শাসকশ্রেণির উচ্ছেদ প্রয়োজন’—আলোচনা সভায় বদরুদ্দিন উমর

ছবি

‘ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্তি পেতে নতুন গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করতে হবে’—চট্টগ্রামে বক্তৃতা

ছবি

‘নারায়ণগঞ্জের মাফিয়া-পরিবারতন্ত্র ভাঙতে হবে’—পথসভায় এনসিপি

ছবি

৩২ লাখ টাকায় চার জোড়া বিশেষ ট্রেন নিল জামায়াত, ‘নিয়ম লঙ্ঘন হয়নি’ বলছে রেলওয়ে

ছবি

নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে প্রাণ গেল তিন শ্রমিকের

ছবি

চট্টগ্রামের অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বিএনপির উদ্বেগ

ছবি

মুন্সীগঞ্জে এনসিপির পথসভায় সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান ঘোষণা

ছবি

গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ছাড়া বিএনপির আর কোনো উদ্দেশ্য নেই: জাহিদ

ছবি

এরা ফাঁদ পাতছে, আমাদের উসকানি দিচ্ছে: মির্জা ফখরুল

ছবি

ধর্মের নামে আরেক ফ্যাসিস্ট কড়া নাড়লে জনগণ মেনে নেবে না: রিজভী

ছবি

গোপালগঞ্জের সহিংসতা নিয়ে সরকারের সমালোচনা, এনসিপির ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন : খসরু

ছবি

নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় বৈষম্যের অভিযোগ জেপিবির

ছবি

“মুজিববাদীদের গোপালগঞ্জে ঠাঁই হবে না” — হুঁশিয়ারি এনসিপি আহ্বায়কের

ছবি

গোপালগঞ্জের প্রতিটি ঘরে ঘরে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পতাকা উড়বে: নাহিদ

ছবি

গোপালগঞ্জে যাওয়া কতটা যুক্তিসঙ্গত, এনসিপিকে প্রশ্ন ছাত্রদল নেতার

ছবি

হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম, বৃহস্পতিবার বিক্ষোভের ডাক

ছবি

সাঁজোয়া যানে করে গোপালগঞ্জ ছাড়লেন এনসিপি নেতারা, রাতে খুলনায় সংবাদ সম্মেলন

ছবি

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ ও সাঁড়াশি অভিযানের দাবি বৈষম্যবিরোধীদের, কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

ছবি

শাহবাগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অবস্থান, গোপালগঞ্জে রণক্ষেত্র

ছবি

সমাবেশ থেকে ফেরার পথে হামলায় আহত এনসিপি নেতারা পুলিশের নিরাপত্তায় আশ্রয়ে

ছবি

সারজিস আলমের আহ্বান: “গোপালগঞ্জে ছুটে আসুন, আজকেই শেষ দিন”

ছবি

‘অরাজকতা সৃষ্টির অপতৎপরতা চলছে’ — গোপালগঞ্জের ঘটনায় ফখরুলের প্রতিক্রিয়া

ছবি

আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের হামলার পর সারাদেশে অবরোধ কর্মসূচি ডেকেছে ছাত্র আন্দোলন

ছবি

গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে পুলিশের গাড়িতে আগুন, আহত ৩

ছবি

উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতিতে অনড় থাকার ঘোষণা এনসিপির

tab

রাজনীতি

বিএনপিকে নিশ্চিহ্নের পাঁয়তারা বন্ধের হুঁশিয়ারি আব্বাসের

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫

অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে ‘পক্ষপাতমূলক’ আচরণের অভিযোগ তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

শুক্রবার রাজধানীর নয়া পল্টনে দলের এক সমাবেশে তিনি বলেন, “আজ এ সরকারকে বলতে চাই, আপনারা দয়া করে একটু পক্ষপাতমূলক আচরণটা বন্ধ করেন। এতে দেশের ক্ষতি হচ্ছে।”

কোনো দলের নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, “একটি দলকে আপনি কোলে রেখেছেন, আর একটি দলকে রেখেছেন কাঁধে। এক দলকে কোলে রাখবেন, আরেক দলকে কাঁধে রাখবেন, আর বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার পাঁয়তারা করবেন—এই চিন্তা কখনো কইরেন না।”

মির্জা আব্বাস বলেন, “আপনারা সরকারে এসেছেন, আমরা স্বাগত জানিয়েছি, আমরা সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি, সার্বিক সহযোগিতা দিচ্ছি। আপনারা খুব তাড়াতাড়ি একটি নির্বাচন দেন। দিলে দেশে যে অশান্ত পরিস্থিতি আছে, তা ঠান্ডা হয়ে যাবে। না দিলে আমরা ভাবব, দেশ অশান্ত করার প্রক্রিয়া আপনারাই করছেন দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার জন্য।”

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের স্মরণে দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে এদিন নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মৌন মিছিল বের করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি। অন্যদিকে ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে মিছিল বের হয় মিরপুরের পল্লবী ১২ নম্বর বিআরটিসি বাস ডিপোর কাছ থেকে।

নয়া পল্টনের মিছিলে মির্জা আব্বাস এবং পল্লবীর মিছিলে স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, “যে জামায়াত এক সময়ে বিএনপির কাঁধে পা দিয়ে মন্ত্রিত্ব পেয়েছে, এক সময় আওয়ামী লীগের কাঁধে পা দিয়ে দালালি করেছে, বিভিন্ন সময়ে দালালি করেছে, তারাও এই আমার শাহাদাত বরণকারী ভাইদের ওপরে চেপে বসেছে। তাদেরকে বেঁচেই, তাদেরকে বিক্রি করেই তাদের আজকের পুঁজি। শাহাদাতবরণকারী ভাইয়েরা সবসময়ে একটি ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ চেয়েছিল, আমরাও ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ চাই।”

তিনি আরও বলেন, “একজন তথাকথিত পীর সাহেব, তার নাম বলতে চাই না। তিনি বলেছিলেন, জামায়াতের ছোঁয়া যেখানে লাগবে, সেই জায়গা পচে যাবে। উনি আজ জামায়াতের কোলে গিয়ে বসেছেন।”

বিএনপির বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ তুলে মির্জা আব্বাস বলেন, “বিএনপিকে আজকে অনেকে আওয়ামী লীগের কাতারে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। ওই দিন দেখলাম, একটা ছেলে বিএনপি সম্পর্কে বলছে যে, গিনেস বুকে লেখা থাকবে, কীভাবে একটি দল সারা বাংলাদেশ থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। অর্থাৎ, তারা আমাদেরকে বাংলাদেশ থেকে নিশ্চিহ্ন করে দেবে। আমি বলব, ভাইয়েরা দয়া করে জিহ্বায় একটু লাগাম দেন। এমন কোনো কথা বলবেন না, যে কথা শুনে মানুষের রক্তে আগুন ধরে যায়।”

তিনি বলেন, “আমাদের অন্য কোনো দিকে নেওয়ার চেষ্টা করবেন না। আপনারা পায়ে পারা দিয়ে বিএনপির সঙ্গে ঝগড়া-ঝাঁটি চালানোর চেষ্টা করছেন। বিএনপি ঝগড়া করবে না, বিএনপি ঝগড়া করার দল নয়। বিএনপি একটি গণতন্ত্রকামী দল, বিএনপি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে, মানুষকে সঙ্গে নিয়ে। সেখানে যদি আপনারা বাটে পড়ে যান, তখন আমাদের কিছু করার থাকবে না।”

মির্জা আব্বাস বলেন, “৫ অগাস্টের পরে বলতেছেন লম্বা লম্বা কথা। আগে কিন্তু বলতেন না। আমি জানি না কোথায় শক্তি পেলেন, সাহস পেলেন। আপনারা শক্তিশালী হন, সাহসী হন—দোয়া করি। কিন্তু একটি সাচ্চা দেশপ্রেমিক দল বিএনপির বিরুদ্ধে অনর্থক কুৎসা রটাবেন না। সেদিন মর্মান্তিক একটি হত্যাকাণ্ড হয়েছে, সেখানে বিএনপিকর্মীকেই হত্যা করা হয়েছে। অথচ সেটিকে ঘিরে তারা বলছে, বিএনপিকে বাংলাদেশের মাটি থেকে নিশ্চিহ্ন না করা পর্যন্ত তাদের আর কোনো কাজ নেই। অর্থাৎ ক্ষমতায় যেতেই হবে।”

তিনি বলেন, “অনেকে বলছে, বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য পাগল হয়ে গেছে। আমার কথা হলো, বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য পাগল হয়নি। বিএনপি ১৭ বছর রাজপথে আন্দোলন করেছে দেশের মানুষের গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকারের জন্য। আজ সেই সুযোগ নিয়ে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে আপনারা ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছেন। ভাবছেন, বিএনপি না থাকলে আপনাদের পথ সহজ হবে। আরে ভাই, বিএনপির একজন নেতাকর্মী জীবিত থাকতে কখনোই এই খায়েশ পূরণ হবে না।

“বিএনপির নেতাকর্মীরা দেশে ছিল, আন্দোলনের প্র্যাকটিস করেছে রাস্তায়, জেলখানায় জীবন কাটিয়েছে। আমাদের ভয় দেখাবেন না। জীবন ও যৌবনের অর্ধেক সময় রাস্তায় আর জেলে কাটিয়ে দিয়েছি।”

back to top