ঢাকায় স্মরণকালের সবচেয়ে বড় জনসমাবেশ আয়োজনে প্রস্তুতি নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। শনিবার দুপুর ২টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল ৯টার মধ্যেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পরিণত হয় জনসমুদ্রে।
ভোর থেকেই দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মিছিলসহ যোগ দেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা। সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে মঞ্চের চারপাশ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। সকাল ১০টা থেকে মঞ্চে পরিবেশিত হয় সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠীর সঙ্গীত।
উদ্যানজুড়ে বসানো হয়েছে জামায়াতের প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’। বিশাল মঞ্চের পেছনে টানানো ব্যানারে লেখা ‘জাতীয় সমাবেশ ২০২৫’। লাল কার্পেটে ঢাকা মঞ্চের সামনের আসনগুলো বরাদ্দ রাখা হয়েছে আমন্ত্রিত অতিথি, ‘জুলাই যোদ্ধা’ ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের জন্য।
এবারই প্রথম জামায়াতের জাতীয় সমাবেশ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগের সমাবেশগুলো হতো বায়তুল মোকাররম বা পুরানা পল্টন এলাকায়।
দলটির নায়েবে আমীর সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, “আমরা দেশের সাধারণ মানুষের ন্যায্য দাবিগুলো জাতির সামনে তুলে ধরতে চাই। স্মরণকালের বৃহত্তম সমাবেশ হবে আজ। উদ্যান ছাড়িয়ে আশপাশেও জনতার ঢল নামছে।”
সমাবেশকে কেন্দ্র করে উদ্যানজুড়ে তৈরি হয়েছে মঞ্চ, বসানো হয়েছে ৩৩টি এলইডি স্ক্রিন, প্রায় তিন শতাধিক মাইক এবং ৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন মাঠে। অস্থায়ী টয়লেট, মেডিকেল সেবা ও নামাজের ব্যবস্থাও রয়েছে।
জামায়াতের ৭ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—দলটির দাবির মধ্যে রয়েছে- সব গণহত্যার বিচার, প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার, জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন, জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ ও আহতদের পরিবারে পূনর্বাসন, সংখ্যানুপাতিক(পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন, প্রবাসীদের ভোট প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ এবং জাতীয় নির্বাচনের আগে সমতাভিত্তিক রাজনৈতিক পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) নিশ্চিত করা।
হবিগঞ্জ থেকে আসা সোহরাব খন্দকার বলেন, “আমাদের বিশ্বাস, একদিন জামায়াত ইসলামী শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করবে। আজকের এই জনসমাগম সেই বার্তা দিচ্ছে।”
নীলফামারী থেকে আসা আবদুল হাকিম জোয়ার্দার বলেন, “আমরা সকাল ৮টায় মাঠে ঢুকে দেখি—মঞ্চের সামনে জায়গা নেই। গাছের ছায়ায় বসেছি। আবহাওয়াও অনুকূলে আছে। এই সফর আমার কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।”
জামায়াত নেতারা বলছেন, ঢাকায় এই বিশাল জমায়েতের মাধ্যমে দলের সাংগঠনিক শক্তি ও জনসমর্থনের জানান দেওয়া হবে। সমাবেশে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী’ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও শহীদ পরিবারগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, শাহবাগ, মৎস্যভবন, মতিঝিল, কারওয়ান বাজারসহ আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে জনতার ঢল। একের পর এক মিছিল আসছে, স্লোগান উঠছে— “নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবর”।
শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫
ঢাকায় স্মরণকালের সবচেয়ে বড় জনসমাবেশ আয়োজনে প্রস্তুতি নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। শনিবার দুপুর ২টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল ৯টার মধ্যেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পরিণত হয় জনসমুদ্রে।
ভোর থেকেই দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মিছিলসহ যোগ দেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা। সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে মঞ্চের চারপাশ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। সকাল ১০টা থেকে মঞ্চে পরিবেশিত হয় সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠীর সঙ্গীত।
উদ্যানজুড়ে বসানো হয়েছে জামায়াতের প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’। বিশাল মঞ্চের পেছনে টানানো ব্যানারে লেখা ‘জাতীয় সমাবেশ ২০২৫’। লাল কার্পেটে ঢাকা মঞ্চের সামনের আসনগুলো বরাদ্দ রাখা হয়েছে আমন্ত্রিত অতিথি, ‘জুলাই যোদ্ধা’ ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের জন্য।
এবারই প্রথম জামায়াতের জাতীয় সমাবেশ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগের সমাবেশগুলো হতো বায়তুল মোকাররম বা পুরানা পল্টন এলাকায়।
দলটির নায়েবে আমীর সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, “আমরা দেশের সাধারণ মানুষের ন্যায্য দাবিগুলো জাতির সামনে তুলে ধরতে চাই। স্মরণকালের বৃহত্তম সমাবেশ হবে আজ। উদ্যান ছাড়িয়ে আশপাশেও জনতার ঢল নামছে।”
সমাবেশকে কেন্দ্র করে উদ্যানজুড়ে তৈরি হয়েছে মঞ্চ, বসানো হয়েছে ৩৩টি এলইডি স্ক্রিন, প্রায় তিন শতাধিক মাইক এবং ৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন মাঠে। অস্থায়ী টয়লেট, মেডিকেল সেবা ও নামাজের ব্যবস্থাও রয়েছে।
জামায়াতের ৭ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—দলটির দাবির মধ্যে রয়েছে- সব গণহত্যার বিচার, প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার, জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন, জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ ও আহতদের পরিবারে পূনর্বাসন, সংখ্যানুপাতিক(পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন, প্রবাসীদের ভোট প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ এবং জাতীয় নির্বাচনের আগে সমতাভিত্তিক রাজনৈতিক পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) নিশ্চিত করা।
হবিগঞ্জ থেকে আসা সোহরাব খন্দকার বলেন, “আমাদের বিশ্বাস, একদিন জামায়াত ইসলামী শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করবে। আজকের এই জনসমাগম সেই বার্তা দিচ্ছে।”
নীলফামারী থেকে আসা আবদুল হাকিম জোয়ার্দার বলেন, “আমরা সকাল ৮টায় মাঠে ঢুকে দেখি—মঞ্চের সামনে জায়গা নেই। গাছের ছায়ায় বসেছি। আবহাওয়াও অনুকূলে আছে। এই সফর আমার কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।”
জামায়াত নেতারা বলছেন, ঢাকায় এই বিশাল জমায়েতের মাধ্যমে দলের সাংগঠনিক শক্তি ও জনসমর্থনের জানান দেওয়া হবে। সমাবেশে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী’ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও শহীদ পরিবারগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, শাহবাগ, মৎস্যভবন, মতিঝিল, কারওয়ান বাজারসহ আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে জনতার ঢল। একের পর এক মিছিল আসছে, স্লোগান উঠছে— “নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবর”।