নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)’র নেতাদের নিরাপত্তা দেয়ার কারণে দূর্ভোগের শিকার হয়েছেন জনসাধারণ। মহাসড়ক পারাপারে ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারে দেয়া হয় বাঁধা। নিরাপত্তার অযুহাতে রহস্যজনক কারণে সাংবাদিকদের অবস্থান করতে দেয়া হয়নি ওভারব্রিজে। এনসিপি’র জুলাই পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনারগাঁয়ে সভা করার স্থলকে নিরাপত্তা দেয়ার নামে এই জনদূর্ভোগের সৃস্টি করা হয়। এছাড়াও মসজিদের পাশে মঞ্চ তৈরি করে মসজিদে সাঁটানো হয় এনসিপি নেতার ফেস্টুন। নামাজ চলাকালিন দেয়া হয় স্লোগান।
এনসিপি’র জুলাই পদযাত্রায় বিভিন্ন স্থানের মতো নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়েও শুক্রবার (১৮ জুলাই) সমাবেশ করার মঞ্চ তৈরি করেন এনসিপির নেতৃবৃন্দ। মঞ্চটি তৈরি করা হয় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপরে (এক লেইনের কিছু অংশ দখল করে) মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় ভাংচুর হওয়া আওয়ামী লীগ কার্যালয় ও চৌরাস্তা জামে মসজিদের সামনে। বিকেল ৫ টায় সমাবেশের কথা জানায় এনসিপি ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো। সরেজমিনে প্রত্যক্ষ করা যায়, র্যাব, ডিবি পুলিশ, থানা পুলিশ, এনএসআই সহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা ও সদস্যরা কঠোর নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেন। তারা ইউনিফর্ম ও সাদা পোষাকে মহাসড়কের পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সাদীপুর ও মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকার চারপাশে কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলেন।
এদিকে মঞ্চের কাছে থাকা মহাসড়ক পারাপারের জন্য ফুটওভার ব্রিজে অবস্থান নেয়া থানা পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা বিকেল ৫ টা থেকে জনসাধারণের চলাচলে ওভার ব্রিজ ব্যবহারে বাঁধা প্রদান করে। মহাসড়ক পারাপারের জন্য ওভার ব্রিজ ব্যবহারে বাঁধা দেয়ায় ছোট ছোট বাচ্চাসহ চরম দূর্ভোগে পড়েন বিশেষ করে মহিলা পথচারীরা। তাদের সাথে পলিশ সদস্যদের বাকবিতন্ডা করতেও দেখা যায়। পথচারী রোকেয়া, সোনিয়া, নার্গিছ, সুলতানা, কামাল, রাসেল, সোহানসহ অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, মসজিদ ও বাস স্ট্যান্ডের সাথে থাকা ওভার ব্রিজ ব্যবহার করতে না দিয়ে নিরাপত্তার অযুহাতে পুলিশ সাধারণ জনগণের চরম দূর্ভোগের সৃস্টি করেছে।
এছাড়াও মহাসড়কের উপর মঞ্চ তৈরির লেইনে পরিবহনও চলাচল করতে না দেয়ায় স্থানীয় যাত্রীরা পড়েছেন দূর্ভোগে। নির্ধারিত স্থানের পরিবতে অনেকটা দূরে গিয়ে নামতে হয়েছে তাদের।
এসময় সাংবাদিকরা বিভিন্ন ছবি নেয়ার জন্য ওভার ব্রিজে অবস্থান করলে রহস্যজনক কারণে নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে তাদেরকেও ওভার ব্রিজ ছেড়ে দিতে বলে গোয়েন্দা সংস্থা ডিএসবি, ডিবি ও এনএসআই’র সদস্যরা।
কিন্তু সাংবাদিকরা নেমে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর দেখা যায় সেখানে পুলিশ ও গোয়েন্দাদের সাথেই ওভার ব্রিজে তরুন যুবকরা অবস্থান করছেন।
মসজিদের পাশে মঞ্চ তৈরি করে মসজিদের দেয়ালেই ছবি স্বম্বলিত ২টি ফেস্টুন সাঁটিয়েছেন এনসিপি’র যুবশক্তি’র সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কোরআনে হাফেজ তুহিন মাহমুদ। তাছাড়াও মসজিদে মাগরিবের নামাজ চলাকালিন দেয়া হয় নানান স্লোগান।
এতো নিরাপত্তা বলয়, মানুষের দূর্ভোগ, মসজিদ ও নামাজের অসুবিধা করে পদযাত্রার মঞ্চ কাপালেও শেষ পর্যন্ত (রাত ৮ টা) এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, যুগ্ম আহ্ব্য়াক সামান্তা শারমিন, মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহসহ প্রধান প্রধান নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হননি। এনসিপি’র যুবশক্তি’র সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তুহিন মাহমুদ দুঃখ প্রকাশ করে জানান, তার নেতা কর্মীরা না বুঝতে পেরে মসজিদের দেয়ালে ফেস্টুন সাঁটিয়েছেন এবং নামাজের সময় স্লোগান দিয়েছেন। তাছাড়া নারায়ণগঞ্জের সভায় দেরি হয়ে যাওয়ায় আহ্বায়কসহ নেতৃবৃন্দ আসতে পারেননি।
জনদূর্ভোগ ও নিরাপত্তার বিষয়ে সোনারগাঁ থানার ওসি (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম জানান, নিরাপত্তায় যেন কোনো ত্রুটি না থাকে সেজন্য পুলিশ সতর্ক ছিল। সাংবাদিকদের অবস্থান করতে না দেয়ার বিষয়ে দুটি গোয়েন্দা সংস্থার উর্দ্ধতন দু’জন কর্মকর্তা (নাম পদবী প্রকাশ না করার শর্তে) জানান, ওভার ব্রিজ পারাপারে নিষেধাজ্ঞা ছিল। তবে সাংবাদিকদের সেখানে থাকতে না দেয়ার কোনো নির্দেশনা ছিলনা। বিষয়টি আমরা দেখবো।
শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)’র নেতাদের নিরাপত্তা দেয়ার কারণে দূর্ভোগের শিকার হয়েছেন জনসাধারণ। মহাসড়ক পারাপারে ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারে দেয়া হয় বাঁধা। নিরাপত্তার অযুহাতে রহস্যজনক কারণে সাংবাদিকদের অবস্থান করতে দেয়া হয়নি ওভারব্রিজে। এনসিপি’র জুলাই পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনারগাঁয়ে সভা করার স্থলকে নিরাপত্তা দেয়ার নামে এই জনদূর্ভোগের সৃস্টি করা হয়। এছাড়াও মসজিদের পাশে মঞ্চ তৈরি করে মসজিদে সাঁটানো হয় এনসিপি নেতার ফেস্টুন। নামাজ চলাকালিন দেয়া হয় স্লোগান।
এনসিপি’র জুলাই পদযাত্রায় বিভিন্ন স্থানের মতো নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়েও শুক্রবার (১৮ জুলাই) সমাবেশ করার মঞ্চ তৈরি করেন এনসিপির নেতৃবৃন্দ। মঞ্চটি তৈরি করা হয় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপরে (এক লেইনের কিছু অংশ দখল করে) মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় ভাংচুর হওয়া আওয়ামী লীগ কার্যালয় ও চৌরাস্তা জামে মসজিদের সামনে। বিকেল ৫ টায় সমাবেশের কথা জানায় এনসিপি ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো। সরেজমিনে প্রত্যক্ষ করা যায়, র্যাব, ডিবি পুলিশ, থানা পুলিশ, এনএসআই সহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা ও সদস্যরা কঠোর নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেন। তারা ইউনিফর্ম ও সাদা পোষাকে মহাসড়কের পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সাদীপুর ও মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকার চারপাশে কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলেন।
এদিকে মঞ্চের কাছে থাকা মহাসড়ক পারাপারের জন্য ফুটওভার ব্রিজে অবস্থান নেয়া থানা পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা বিকেল ৫ টা থেকে জনসাধারণের চলাচলে ওভার ব্রিজ ব্যবহারে বাঁধা প্রদান করে। মহাসড়ক পারাপারের জন্য ওভার ব্রিজ ব্যবহারে বাঁধা দেয়ায় ছোট ছোট বাচ্চাসহ চরম দূর্ভোগে পড়েন বিশেষ করে মহিলা পথচারীরা। তাদের সাথে পলিশ সদস্যদের বাকবিতন্ডা করতেও দেখা যায়। পথচারী রোকেয়া, সোনিয়া, নার্গিছ, সুলতানা, কামাল, রাসেল, সোহানসহ অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, মসজিদ ও বাস স্ট্যান্ডের সাথে থাকা ওভার ব্রিজ ব্যবহার করতে না দিয়ে নিরাপত্তার অযুহাতে পুলিশ সাধারণ জনগণের চরম দূর্ভোগের সৃস্টি করেছে।
এছাড়াও মহাসড়কের উপর মঞ্চ তৈরির লেইনে পরিবহনও চলাচল করতে না দেয়ায় স্থানীয় যাত্রীরা পড়েছেন দূর্ভোগে। নির্ধারিত স্থানের পরিবতে অনেকটা দূরে গিয়ে নামতে হয়েছে তাদের।
এসময় সাংবাদিকরা বিভিন্ন ছবি নেয়ার জন্য ওভার ব্রিজে অবস্থান করলে রহস্যজনক কারণে নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে তাদেরকেও ওভার ব্রিজ ছেড়ে দিতে বলে গোয়েন্দা সংস্থা ডিএসবি, ডিবি ও এনএসআই’র সদস্যরা।
কিন্তু সাংবাদিকরা নেমে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর দেখা যায় সেখানে পুলিশ ও গোয়েন্দাদের সাথেই ওভার ব্রিজে তরুন যুবকরা অবস্থান করছেন।
মসজিদের পাশে মঞ্চ তৈরি করে মসজিদের দেয়ালেই ছবি স্বম্বলিত ২টি ফেস্টুন সাঁটিয়েছেন এনসিপি’র যুবশক্তি’র সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কোরআনে হাফেজ তুহিন মাহমুদ। তাছাড়াও মসজিদে মাগরিবের নামাজ চলাকালিন দেয়া হয় নানান স্লোগান।
এতো নিরাপত্তা বলয়, মানুষের দূর্ভোগ, মসজিদ ও নামাজের অসুবিধা করে পদযাত্রার মঞ্চ কাপালেও শেষ পর্যন্ত (রাত ৮ টা) এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, যুগ্ম আহ্ব্য়াক সামান্তা শারমিন, মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহসহ প্রধান প্রধান নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হননি। এনসিপি’র যুবশক্তি’র সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তুহিন মাহমুদ দুঃখ প্রকাশ করে জানান, তার নেতা কর্মীরা না বুঝতে পেরে মসজিদের দেয়ালে ফেস্টুন সাঁটিয়েছেন এবং নামাজের সময় স্লোগান দিয়েছেন। তাছাড়া নারায়ণগঞ্জের সভায় দেরি হয়ে যাওয়ায় আহ্বায়কসহ নেতৃবৃন্দ আসতে পারেননি।
জনদূর্ভোগ ও নিরাপত্তার বিষয়ে সোনারগাঁ থানার ওসি (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম জানান, নিরাপত্তায় যেন কোনো ত্রুটি না থাকে সেজন্য পুলিশ সতর্ক ছিল। সাংবাদিকদের অবস্থান করতে না দেয়ার বিষয়ে দুটি গোয়েন্দা সংস্থার উর্দ্ধতন দু’জন কর্মকর্তা (নাম পদবী প্রকাশ না করার শর্তে) জানান, ওভার ব্রিজ পারাপারে নিষেধাজ্ঞা ছিল। তবে সাংবাদিকদের সেখানে থাকতে না দেয়ার কোনো নির্দেশনা ছিলনা। বিষয়টি আমরা দেখবো।