ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি) তার মূলনীতি থেকে সরে গেছে দাবি করে দলটির প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক ও উপদেষ্টা এএফএম সোলায়মান চৌধুরী পদত্যাগ করে ফিরেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে।
সোমবার,(২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫) জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে সহযোগী সদস্য পদে ফরম পূরণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে দলটিতে ফেরেন সাবে এ সচিব।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ফেইসবুক লাইভে এসে এবি পার্টি থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন সোলায়মান চৌধুরী।
তিনি বলেন, সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার- এই তিন মূলনীতি নিয়ে ২০২০ সালের ২ মে এবি পার্টি আত্মপ্রকাশ করে। এরপর নিবন্ধনের সব শর্ত পূরণ করেও নির্বাচন কমিশন নিবন্ধন দেয়নি। আওয়ামী লীগের ক্ষমতাচ্যুতির পর তার নামে এবি পার্টি নিবন্ধন পায়।
গত ১১ জানুয়ারি দলটির প্রথম জাতীয় কাউন্সিলে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মঞ্জু। জেনারেল সেক্রেটারি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।
এবি পার্টি ছাড়ার বিষয়ে সোলায়মান চৌধুরী বলেন, ‘যে মহান ব্রত নিয়ে আমরা এবি পার্টি গঠন করেছি, তার কিছুই এখন হচ্ছে না। এবি পার্টি এখন ঢাকাকেন্দ্রিক একটি রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। দেশের কোথাও জনসম্পৃক্ততা নাই। বরং দিন দিন এবি পার্টি বিভিন্ন জেলার নেতৃবৃন্দ পদত্যাগ করে এবি পার্টি ছেড়ে চলে যাচ্ছেন।’
ফেইসবুক লাইভে সোলায়মান চৌধুরী বলেন, ‘এরই মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর মুহতারাম, আমির ডক্টর শফিকুর রহমান সাহেবের সঙ্গে আমার প্রাথমিক কথাবার্তা হয়েছে। তিনিই প্রাথমিকভাবে আমাকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং আমি উনার সামনে আল্লাহকে সাক্ষী রেখে ঘোষণা দিয়েছি যে, আমি আবার জামায়াতে ইসলামীতে দোগদান করব। এখন কেবল মাত্র লিখিত আনুষ্ঠানিকতা বাকি আছে।’
নিজের দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের ফিরিস্তিও ওই পোস্টে তুলে ধরে সোলায়মান চৌধুরী বলেন, ‘আমি ১৯৬৪ সালের মাঝামাঝি নবম শ্রেণীর ছাত্র থাকা অবস্থায় ইসলামী ছাত্রসংঘে যোগদান করি। এসএসসি পরীক্ষার পর সাথী হিসেবে শপথ গ্রহণ করি। চট্টগ্রাম সরকারী কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে থাকাকালীন ১৯৬৭ সালে ইসলামী ছাত্রসংঘের
রোকনিয়াতের শপথ গ্রহণ করি। কিছু দিন পর অভাব অনটনে পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায়। বাড়িতে এসে ১৯৬৮ সালে ভোলৈন উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পাই। কিছু দিন পর লক্ষণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পাই।’
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি) তার মূলনীতি থেকে সরে গেছে দাবি করে দলটির প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক ও উপদেষ্টা এএফএম সোলায়মান চৌধুরী পদত্যাগ করে ফিরেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে।
সোমবার,(২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫) জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে সহযোগী সদস্য পদে ফরম পূরণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে দলটিতে ফেরেন সাবে এ সচিব।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ফেইসবুক লাইভে এসে এবি পার্টি থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন সোলায়মান চৌধুরী।
তিনি বলেন, সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার- এই তিন মূলনীতি নিয়ে ২০২০ সালের ২ মে এবি পার্টি আত্মপ্রকাশ করে। এরপর নিবন্ধনের সব শর্ত পূরণ করেও নির্বাচন কমিশন নিবন্ধন দেয়নি। আওয়ামী লীগের ক্ষমতাচ্যুতির পর তার নামে এবি পার্টি নিবন্ধন পায়।
গত ১১ জানুয়ারি দলটির প্রথম জাতীয় কাউন্সিলে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মঞ্জু। জেনারেল সেক্রেটারি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।
এবি পার্টি ছাড়ার বিষয়ে সোলায়মান চৌধুরী বলেন, ‘যে মহান ব্রত নিয়ে আমরা এবি পার্টি গঠন করেছি, তার কিছুই এখন হচ্ছে না। এবি পার্টি এখন ঢাকাকেন্দ্রিক একটি রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। দেশের কোথাও জনসম্পৃক্ততা নাই। বরং দিন দিন এবি পার্টি বিভিন্ন জেলার নেতৃবৃন্দ পদত্যাগ করে এবি পার্টি ছেড়ে চলে যাচ্ছেন।’
ফেইসবুক লাইভে সোলায়মান চৌধুরী বলেন, ‘এরই মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর মুহতারাম, আমির ডক্টর শফিকুর রহমান সাহেবের সঙ্গে আমার প্রাথমিক কথাবার্তা হয়েছে। তিনিই প্রাথমিকভাবে আমাকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং আমি উনার সামনে আল্লাহকে সাক্ষী রেখে ঘোষণা দিয়েছি যে, আমি আবার জামায়াতে ইসলামীতে দোগদান করব। এখন কেবল মাত্র লিখিত আনুষ্ঠানিকতা বাকি আছে।’
নিজের দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের ফিরিস্তিও ওই পোস্টে তুলে ধরে সোলায়মান চৌধুরী বলেন, ‘আমি ১৯৬৪ সালের মাঝামাঝি নবম শ্রেণীর ছাত্র থাকা অবস্থায় ইসলামী ছাত্রসংঘে যোগদান করি। এসএসসি পরীক্ষার পর সাথী হিসেবে শপথ গ্রহণ করি। চট্টগ্রাম সরকারী কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে থাকাকালীন ১৯৬৭ সালে ইসলামী ছাত্রসংঘের
রোকনিয়াতের শপথ গ্রহণ করি। কিছু দিন পর অভাব অনটনে পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায়। বাড়িতে এসে ১৯৬৮ সালে ভোলৈন উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পাই। কিছু দিন পর লক্ষণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পাই।’