ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি দলের নভেম্বরে গণভোটের দাবি ‘অন্য কোনো মাস্টারপ্ল্যান’ কি না- এমন প্রশ্ন তুলে বলেছেন, ‘গণভোট নভেম্বরে করার পেছনে আপনাদের অন্য কোনো মাস্টারপ্ল্যান আছে কি না? যারা নভেম্বরে গণভোটের কথা বলছেন।’
রিজভী বলেন, ‘অনেক আলাপ-আলোচনা, অনেক যুক্তিতর্ক, অনেক বাদানুবাদ, অনেক বিতর্কের পরে জুলাই সনদের জায়গায় সবাই একটা ঐকমত্যে এসেছেন। সেক্ষেত্রে একটা শর্ত দিয়ে এখানে একটা বিশৃঙ্খলা তৈরি করা, জনমনে একটা বিভ্রান্তি তৈরি করাটা কেন? এই প্রশ্ন তো আজকে মানুষের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে।’
মঙ্গলবার,(১৪ অক্টোবর ২০২৫) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী ওলামা দল আয়োজিত ‘কোরআন অবমাননা এবং রাসুল (সা.) কে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদ’ শীর্ষক এক সভায় রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।
জামায়াতের নাম না নিয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সচিব রিজভী বলেন, ‘ওই রাজনৈতিক দলসহ কিছু রাজনৈতিক দল তারা বোধহয় কোনোভাবেই নির্বাচন চাচ্ছে না। কারণ অতীত ইতিহাসে নির্বাচন-গণতন্ত্রের প্রশ্নে এদের কোনো অঙ্গীকার নাই। এটা প্রমাণিত যে, একটি রাজনৈতিক দল বলেই যে আমরা শুধু বলছি, এটা তা না।’
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে জনগণের মতামত জানতে জাতীয় নির্বাচনে ভোটের দিন আলাদা ব্যালটে ‘গণভোট’ চায় বিএনপি। সংসদ ও গণভোট একসঙ্গে করার বিষয়ে যেমন আলোচনা চলছে, তেমনি আলাদা সময়ে গণভোটের দাবিও উঠছে। অন্যদিকে জামায়াতের দাবি সংসদ নির্বাচনের আগে নভেম্বরেই তা করতে হবে। গতকাল সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দলটির প্রতিনিধি দল বৈঠক করে এ সংক্রান্ত যুক্তি তুলে ধরেছে।
বিএনপি নেতা রিজভী বলেন, ‘যে কাজটি সহজ হবে, যে কাজটি সহজ সাধ্য হবে, যে কাজটি ভোটারদের দ্রুত সমাধান করা সম্ভব হবে, সেই কাজটি করতে সবাই একমত হচ্ছেন যে, একইদিনে পার্লামেন্ট নির্বাচন এবং গণভোট হয়ে যাবে, একই ব্যালটে একই সময়ে, ভোটাররা যখন ভোট দিতে যাবেন তখনই দেয়া হবে। সময় বাঁচিয়ে এই কাজটা হচ্ছে। তা না করে আপনি নভেম্বরে করতে চাচ্ছেন কেন?
রিজভী বলেন, ‘গণভোট করলেও তো তার একটা প্রস্তুতি আছে, এখন অক্টোবর মাস আগামী মাস নভেম্বর, নভেম্বরে একটা গণভোট করতে গেলে এর আয়োজন, এর যে প্রস্তুতি আছে, যেমন সারাদেশের মানুষকে সচেতন করা, ওটা তো এক মাসে সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা জবরদস্তি করে বলছেন যে, আগাম গণভোট দিতে হবে। কেন? মানুষ তো এই প্রশ্ন আপনাদেরকে করছে, যে কাজটা সহজে করা সম্ভব সেই কাজটাকে আপনারা টেনে-হিঁচড়ে বিলম্বিত করানোর চেষ্টা করছেন। অর্থাৎ মনে হচ্ছে যে জাতীয় নির্বাচন, সেই নির্বাচনটাকেই আপনারা প্রলম্বিত করতে চাচ্ছেন বা কোনোভাবে এটাকে বিলম্ব করতে চাচ্ছেন।’
রিজভী বলেন, ‘আমাদের এই সমাজকে কিছু ভ্রান্ত মানুষ ইসলামের নাম করে বিপথগামী করার চেষ্টা করছে। এই বিপথগামী করার চেষ্টা করে তারা ডুবিয়ে দিতে চাচ্ছে। এইটা তো খ্রিস্টান পাদ্রীরা মধ্যযুগে, তাদের অন্ধকার যুগে করেছে। জামায়াতে ইসলাম কী আবার অন্ধকার যুগ নিয়ে আসতে চাচ্ছে, এই জান্নাতের টিকেট বিক্রি করে। বাড়িতে বাড়িতে তাদের কর্মীদের পাঠিয়ে বলছেন, দাঁড়িপাল্লায় সামনে ভোট দিলে পরে এটি আপনি বেহেশতের রাস্তা সুগম করলেন।’
তিনি বলেন, ‘রাকসুর নির্বাচন একদিন পর। সেখানে আচরণবিধি, নিয়ম ভেঙে ছাত্র শিবিরের নেতারা সব ছেলে-মেয়েদেরকে খাবার দিচ্ছে। ইউনিভার্সিটির নির্বাচন কি কোনো ওরশ মোবারক নাকি ওরশ শরীফ, যে তারা খাবার দেবে এবং আশপাশের মেসগুলোতে তারা ছাগল জবাই করছে। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি ভিপি ছিলাম, আমাদের সময় তো এগুলো দেখিনি।’
রিজভী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে জ্ঞান চর্চার জায়গা, শিক্ষক-ছাত্রদের সম্মিলিত পড়াশোনার জায়গা। এই জ্ঞান চর্চার জায়গাকে যদি আপনি পীর সাহেবের ওরশ শরীফ বানাতে চান তাহলে তো এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনসেপ্টের সঙ্গে মিলবে না।’
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি দলের নভেম্বরে গণভোটের দাবি ‘অন্য কোনো মাস্টারপ্ল্যান’ কি না- এমন প্রশ্ন তুলে বলেছেন, ‘গণভোট নভেম্বরে করার পেছনে আপনাদের অন্য কোনো মাস্টারপ্ল্যান আছে কি না? যারা নভেম্বরে গণভোটের কথা বলছেন।’
রিজভী বলেন, ‘অনেক আলাপ-আলোচনা, অনেক যুক্তিতর্ক, অনেক বাদানুবাদ, অনেক বিতর্কের পরে জুলাই সনদের জায়গায় সবাই একটা ঐকমত্যে এসেছেন। সেক্ষেত্রে একটা শর্ত দিয়ে এখানে একটা বিশৃঙ্খলা তৈরি করা, জনমনে একটা বিভ্রান্তি তৈরি করাটা কেন? এই প্রশ্ন তো আজকে মানুষের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে।’
মঙ্গলবার,(১৪ অক্টোবর ২০২৫) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী ওলামা দল আয়োজিত ‘কোরআন অবমাননা এবং রাসুল (সা.) কে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদ’ শীর্ষক এক সভায় রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।
জামায়াতের নাম না নিয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সচিব রিজভী বলেন, ‘ওই রাজনৈতিক দলসহ কিছু রাজনৈতিক দল তারা বোধহয় কোনোভাবেই নির্বাচন চাচ্ছে না। কারণ অতীত ইতিহাসে নির্বাচন-গণতন্ত্রের প্রশ্নে এদের কোনো অঙ্গীকার নাই। এটা প্রমাণিত যে, একটি রাজনৈতিক দল বলেই যে আমরা শুধু বলছি, এটা তা না।’
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে জনগণের মতামত জানতে জাতীয় নির্বাচনে ভোটের দিন আলাদা ব্যালটে ‘গণভোট’ চায় বিএনপি। সংসদ ও গণভোট একসঙ্গে করার বিষয়ে যেমন আলোচনা চলছে, তেমনি আলাদা সময়ে গণভোটের দাবিও উঠছে। অন্যদিকে জামায়াতের দাবি সংসদ নির্বাচনের আগে নভেম্বরেই তা করতে হবে। গতকাল সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দলটির প্রতিনিধি দল বৈঠক করে এ সংক্রান্ত যুক্তি তুলে ধরেছে।
বিএনপি নেতা রিজভী বলেন, ‘যে কাজটি সহজ হবে, যে কাজটি সহজ সাধ্য হবে, যে কাজটি ভোটারদের দ্রুত সমাধান করা সম্ভব হবে, সেই কাজটি করতে সবাই একমত হচ্ছেন যে, একইদিনে পার্লামেন্ট নির্বাচন এবং গণভোট হয়ে যাবে, একই ব্যালটে একই সময়ে, ভোটাররা যখন ভোট দিতে যাবেন তখনই দেয়া হবে। সময় বাঁচিয়ে এই কাজটা হচ্ছে। তা না করে আপনি নভেম্বরে করতে চাচ্ছেন কেন?
রিজভী বলেন, ‘গণভোট করলেও তো তার একটা প্রস্তুতি আছে, এখন অক্টোবর মাস আগামী মাস নভেম্বর, নভেম্বরে একটা গণভোট করতে গেলে এর আয়োজন, এর যে প্রস্তুতি আছে, যেমন সারাদেশের মানুষকে সচেতন করা, ওটা তো এক মাসে সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা জবরদস্তি করে বলছেন যে, আগাম গণভোট দিতে হবে। কেন? মানুষ তো এই প্রশ্ন আপনাদেরকে করছে, যে কাজটা সহজে করা সম্ভব সেই কাজটাকে আপনারা টেনে-হিঁচড়ে বিলম্বিত করানোর চেষ্টা করছেন। অর্থাৎ মনে হচ্ছে যে জাতীয় নির্বাচন, সেই নির্বাচনটাকেই আপনারা প্রলম্বিত করতে চাচ্ছেন বা কোনোভাবে এটাকে বিলম্ব করতে চাচ্ছেন।’
রিজভী বলেন, ‘আমাদের এই সমাজকে কিছু ভ্রান্ত মানুষ ইসলামের নাম করে বিপথগামী করার চেষ্টা করছে। এই বিপথগামী করার চেষ্টা করে তারা ডুবিয়ে দিতে চাচ্ছে। এইটা তো খ্রিস্টান পাদ্রীরা মধ্যযুগে, তাদের অন্ধকার যুগে করেছে। জামায়াতে ইসলাম কী আবার অন্ধকার যুগ নিয়ে আসতে চাচ্ছে, এই জান্নাতের টিকেট বিক্রি করে। বাড়িতে বাড়িতে তাদের কর্মীদের পাঠিয়ে বলছেন, দাঁড়িপাল্লায় সামনে ভোট দিলে পরে এটি আপনি বেহেশতের রাস্তা সুগম করলেন।’
তিনি বলেন, ‘রাকসুর নির্বাচন একদিন পর। সেখানে আচরণবিধি, নিয়ম ভেঙে ছাত্র শিবিরের নেতারা সব ছেলে-মেয়েদেরকে খাবার দিচ্ছে। ইউনিভার্সিটির নির্বাচন কি কোনো ওরশ মোবারক নাকি ওরশ শরীফ, যে তারা খাবার দেবে এবং আশপাশের মেসগুলোতে তারা ছাগল জবাই করছে। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি ভিপি ছিলাম, আমাদের সময় তো এগুলো দেখিনি।’
রিজভী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে জ্ঞান চর্চার জায়গা, শিক্ষক-ছাত্রদের সম্মিলিত পড়াশোনার জায়গা। এই জ্ঞান চর্চার জায়গাকে যদি আপনি পীর সাহেবের ওরশ শরীফ বানাতে চান তাহলে তো এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনসেপ্টের সঙ্গে মিলবে না।’