alt

‘শাপলা কলি’তেই রাজি এনসিপি

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : রোববার, ০২ নভেম্বর ২০২৫

গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের সংগঠন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) অবশেষে তাদের বহুদিনের দাবি ‘শাপলা’ প্রতীকের অবস্থান থেকে সরে এসেছে। দলটি এখন ‘শাপলা কলি’ প্রতীক গ্রহণে রাজি হয়েছে।

রবিবার বিকেলে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক শেষে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন,

> “শাপলা, সাদা শাপলা ও শাপলা কলি — এই তিনটি প্রতীক চেয়ে আমরা কমিশনে আবেদন করেছিলাম। এখন শাপলা কলি প্রতীক পাওয়া গেলে সেটাই নেব। তৃণমূল পর্যায় থেকেও এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে।”

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি এনসিপিসহ দুটি দলকে নিবন্ধন দিয়েছে। নিবন্ধনের পর ইসি এনসিপিকে তফসিলে থাকা ৫০টি প্রতীকের মধ্যে থেকে বেছে নিতে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দিয়েছিল।

তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতীক না বেছে নিয়ে এনসিপি ‘শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে বিধি সংশোধনের আবেদন জানায়। কিন্তু কমিশন জানায়, তালিকাভুক্ত না থাকায় ‘শাপলা’ দেওয়া সম্ভব নয়।

এই অবস্থায় এনসিপি নেতারা ঘোষণা দেন, তারা ‘শাপলা’ প্রতীকেই ভোট করবেন, নচেৎ কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামবেন।

এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন ‘শাপলা কলি’সহ চারটি নতুন প্রতীক যুক্ত করে। এ নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা বলেন,

> “আমরা যখন শাপলা চেয়েছিলাম, তখন বলা হয়েছিল তালিকায় নেই। এখন হঠাৎ ‘শাপলা কলি’ তালিকায় এল কীভাবে, সেটি কমিশনকে ব্যাখ্যা করতে হবে।”

রবিবারের বৈঠকে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন,

> “এটাকে আমরা ইঞ্জিনিয়ারিং কমিশন বলতে পারি। এখানে অনেক কিছু ইঞ্জিনিয়ারিং হচ্ছে। আমরা সেই বাস্তবতায় লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি, তাই শাপলা কলি প্রতীকে আবেদন করেছি।”

তিনি আরও যোগ করেন,

> “আমরা শাপলা বলেছিলাম, এখনো এর ব্যাখ্যা পাইনি। কমিশনের স্বেচ্ছাচারী আচরণের মধ্যেও আমাদের বৃহত্তর রাজনৈতিক স্বার্থ চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। আমরা প্রতীকের জন্য থেমে থাকব না, নির্বাচনী লড়াইয়ে অংশ নেব।”

এর পাশাপাশি এনসিপি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের সাম্প্রতিক অধ্যাদেশে দেওয়া বিধান বহাল রাখার দাবি জানিয়েছে—যেখানে বলা হয়েছে, জোটে থাকলেও প্রতিটি দলকে নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে।

গত ২৩ অক্টোবর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই বিধানের চূড়ান্ত অনুমোদন হয়। তবে বিএনপি চিঠি দিয়ে এ বিধান বাতিলের দাবি জানায়। অপরদিকে জামায়াতে ইসলামী বিধান বহাল রাখার পক্ষে মত দেয়।

রবিবার সিইসির কাছে জমা দেওয়া এক লিখিত আর্জিতে এনসিপি জানায়,

> “নিবন্ধিত দলগুলোর নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচনের সিদ্ধান্তটি ঐতিহাসিক ও নীতিগতভাবে সঠিক। যদি বিএনপির চাপে সরকার বা নির্বাচন কমিশন এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে, তা কমিশনের স্বাধীনতা ও পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়ার বিশ্বাসযোগ্যতার ওপর আঘাত হিসেবে বিবেচিত হবে।”

তাদের মতে, বিএনপির চাপে অবস্থান পরিবর্তন করলে নির্বাচন কমিশনের ‘নিরপেক্ষতা, সক্ষমতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা’ নিয়ে জনগণের সন্দেহ আরও গভীর হবে।

রবিবারের বৈঠকে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, যুগ্ম আহ্বায়ক খালে খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় নির্বাচন কমিশনের সচিব আখতার আহমেদও বৈঠকে অংশ নেন।

ছবি

শত্রুরা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে, দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা চলছে: ফখরুল

গায়েবি মামলার ঝড়ে বিধ্বস্ত, রাজনৈতিক আক্রোশের শিকার: ট্রাইব্যুনালে ইনু

ছবি

সিপিবি নেতাকে দ্রুত বিচার আইন ও বিভিন্ন মামলায় বাসদের ২২ নেতাকর্মী কারাগারে

ছবি

বিএনপি সংস্কার ‘ভেস্তে দিচ্ছে’, জামায়াত নির্বাচন পেছানোর ‘দুরভিসন্ধি করছে’: নাহিদ ইসলাম

ছবি

‘হুক্কা’ প্রতীকসহ আবারও নিবন্ধিত হলো জাগপা

ছবি

আরপিও সংশোধন নিয়ে আইন উপদেষ্টার ভূমিকায় এনসিপির উদ্বেগ

ছবি

একাত্তরকে ভুলিয়ে দিতে চব্বিশকে বড় করতে চায় একটি মহল: বিএনপি

বঙ্গভবন থেকে মুজিবের ছবি নামানো ‘অন্যায়’ হয়েছে: সেলিম

ছবি

ভোলায় বিজেপি-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত অর্ধশত

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ ‘অশ্বডিম্ব’: সিপিবি সভাপতি

ছবি

নির্বাচনের আগে একটি দল জাতির মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করতে চায়: সালাহউদ্দিন আহমদ

ছবি

গণভোটের আদেশ দিতে হবে মুহাম্মদ ইউনূসকে, অধ্যাদেশ নয়–হাসনাত আব্দুল্লাহ

ছবি

ঐকমত্য কমিশনসহ কয়েকটি দল বিএনপির ওপর মত চাপিয়ে দিতে চায়: আমীর খসরু

ছবি

স্বাধীনতা যুদ্ধ ভুলিয়ে দিতে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে বড় করে দেখানো হচ্ছে’: ফখরুল

ছবি

বিএনপি অন্যায়ভাবে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে: জামায়াত নেতা তাহের

ছবি

বিদেশে যেতে দেয়া হলো না কেন, সরকারের ব্যাখ্যা চান মিলন

ছবি

ঝটিকা মিছিল থেকে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ৪৬ জন গ্রেপ্তার: ডিএমপি

ছবি

সরকারে তিন দলের প্রভাব, জামায়াতের কর্তৃত্ব সবচেয়ে বেশি: আনু মুহাম্মদ

ছবি

অন্তর্বর্তী সরকার ও ঐক্যমত্য কমিশন ‘সংকট সৃষ্টি’ করেছে: মির্জা ফখরুল

ছবি

বিএনপি সরকারের ওপর ‘অন্যায়ভাবে চাপ সৃষ্টি’ করছে: জামায়াত নেতা তাহের

ঢাকায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলে পুলিশের অভিযান, আটক ৩০ নেতা-কর্মী

ছবি

বিদেশে যেতে না দেওয়ায় সরকারের কাছে ব্যাখ্যা চাইলেন বিএনপি নেতা মিলন

ছবি

অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে: মির্জা ফখরুল

ছবি

সনদ বাস্তবায়নে প্রথম প্রস্তাবটি গ্রহণ করতে হবে: সরকারকে এনসিপি

ছবি

ক্ষমা চাইতে নারাজ, সমর্থকদের ভোট বর্জনের হুঁশিয়ারি হাসিনার

ছবি

ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ: হতাশ বিএনপি, বললো ‘প্রতারণা’

ছবি

উখিয়া-টেকনাফে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধ হোন

ছবি

জুলাই সনদে সইয়ে যেসব শর্ত দিলো এনসিপি

ছবি

গণভোট আয়োজনের প্রস্তাবসহ নির্বাচন কমিশনকে জামায়াতের ১৮ দফা সুপারিশ

ছবি

আইসিসিতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর ‘সহিংসতা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের’ অভিযোগ

ছবি

জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের সুযোগ নেই: আমীর খসরু

ছবি

ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশে ‘বহির্ভূত বিষয়’ যুক্তের অভিযোগ বিএনপির সালাহউদ্দিনের

ছবি

বিএনপির অবস্থান স্পষ্ট: নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে

ছবি

এনসিপির শর্তে জুলাই সনদে সইয়ের ঘোষণা

ছবি

গণভোটে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ, সাংবিধানিক আদেশ চায় ঐকমত্য কমিশন

ছবি

অস্ত্র মামলায় যুবলীগের সাবেক নেতা সম্রাটের যাবজ্জীবন

tab

‘শাপলা কলি’তেই রাজি এনসিপি

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

রোববার, ০২ নভেম্বর ২০২৫

গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের সংগঠন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) অবশেষে তাদের বহুদিনের দাবি ‘শাপলা’ প্রতীকের অবস্থান থেকে সরে এসেছে। দলটি এখন ‘শাপলা কলি’ প্রতীক গ্রহণে রাজি হয়েছে।

রবিবার বিকেলে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক শেষে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন,

> “শাপলা, সাদা শাপলা ও শাপলা কলি — এই তিনটি প্রতীক চেয়ে আমরা কমিশনে আবেদন করেছিলাম। এখন শাপলা কলি প্রতীক পাওয়া গেলে সেটাই নেব। তৃণমূল পর্যায় থেকেও এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে।”

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি এনসিপিসহ দুটি দলকে নিবন্ধন দিয়েছে। নিবন্ধনের পর ইসি এনসিপিকে তফসিলে থাকা ৫০টি প্রতীকের মধ্যে থেকে বেছে নিতে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দিয়েছিল।

তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতীক না বেছে নিয়ে এনসিপি ‘শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে বিধি সংশোধনের আবেদন জানায়। কিন্তু কমিশন জানায়, তালিকাভুক্ত না থাকায় ‘শাপলা’ দেওয়া সম্ভব নয়।

এই অবস্থায় এনসিপি নেতারা ঘোষণা দেন, তারা ‘শাপলা’ প্রতীকেই ভোট করবেন, নচেৎ কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামবেন।

এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন ‘শাপলা কলি’সহ চারটি নতুন প্রতীক যুক্ত করে। এ নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা বলেন,

> “আমরা যখন শাপলা চেয়েছিলাম, তখন বলা হয়েছিল তালিকায় নেই। এখন হঠাৎ ‘শাপলা কলি’ তালিকায় এল কীভাবে, সেটি কমিশনকে ব্যাখ্যা করতে হবে।”

রবিবারের বৈঠকে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন,

> “এটাকে আমরা ইঞ্জিনিয়ারিং কমিশন বলতে পারি। এখানে অনেক কিছু ইঞ্জিনিয়ারিং হচ্ছে। আমরা সেই বাস্তবতায় লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি, তাই শাপলা কলি প্রতীকে আবেদন করেছি।”

তিনি আরও যোগ করেন,

> “আমরা শাপলা বলেছিলাম, এখনো এর ব্যাখ্যা পাইনি। কমিশনের স্বেচ্ছাচারী আচরণের মধ্যেও আমাদের বৃহত্তর রাজনৈতিক স্বার্থ চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। আমরা প্রতীকের জন্য থেমে থাকব না, নির্বাচনী লড়াইয়ে অংশ নেব।”

এর পাশাপাশি এনসিপি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের সাম্প্রতিক অধ্যাদেশে দেওয়া বিধান বহাল রাখার দাবি জানিয়েছে—যেখানে বলা হয়েছে, জোটে থাকলেও প্রতিটি দলকে নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে।

গত ২৩ অক্টোবর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই বিধানের চূড়ান্ত অনুমোদন হয়। তবে বিএনপি চিঠি দিয়ে এ বিধান বাতিলের দাবি জানায়। অপরদিকে জামায়াতে ইসলামী বিধান বহাল রাখার পক্ষে মত দেয়।

রবিবার সিইসির কাছে জমা দেওয়া এক লিখিত আর্জিতে এনসিপি জানায়,

> “নিবন্ধিত দলগুলোর নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচনের সিদ্ধান্তটি ঐতিহাসিক ও নীতিগতভাবে সঠিক। যদি বিএনপির চাপে সরকার বা নির্বাচন কমিশন এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে, তা কমিশনের স্বাধীনতা ও পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়ার বিশ্বাসযোগ্যতার ওপর আঘাত হিসেবে বিবেচিত হবে।”

তাদের মতে, বিএনপির চাপে অবস্থান পরিবর্তন করলে নির্বাচন কমিশনের ‘নিরপেক্ষতা, সক্ষমতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা’ নিয়ে জনগণের সন্দেহ আরও গভীর হবে।

রবিবারের বৈঠকে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, যুগ্ম আহ্বায়ক খালে খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় নির্বাচন কমিশনের সচিব আখতার আহমেদও বৈঠকে অংশ নেন।

back to top