সোমবার নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের জন্য দলের ২৩৭ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন -সংবাদ
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩৭টি আসনে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। সোমবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া দিনাজপুর-৩, বগুড়া-৭ এবং ফেনী-১ এই তিন আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লড়বেন বগুড়া-৬ আসনে। আর ঠাকুরগাঁও-১ আসনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল প্রার্থী হচ্ছেন।
দলটি ১২ আসনে ১০ জন নারী প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। তাদের মধ্যে খালেদা জিয়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিন আসনে। এর বাইরে ঢাকা-১৪ আসনে প্রার্থী করা হয়েছে সানজিদা ইসলাম তুলিকে। তার ভাই আওয়ামী লীগ শাসন আমলে গুম হন। তুলি গুম হওয়া পরিবারগুলোর প্রতিবাদের প্ল্যাটফর্ম ‘মায়ের ডাক’ এর সমন্বয়ক।
সিলেট-২ আসনে তাহসিনা রুশদীর লুনা। তিনি এই আসনেরই সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াস আলীর স্ত্রী। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১২ সালে গুমের শিকার হন ইলিয়াস। এরপর থেকে রাজনীতিতে সক্রিয় হন তার স্ত্রী লুনা।
প্রার্থী ঘোষণার আগে দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে গুলশান কার্যালয়ে শুরু হয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক। বৈঠকটি চলে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা। লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও এ জেড এম জাহিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আসন্ন নির্বাচনে আমরা অংশ নিচ্ছি জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে। যারা একদলীয় শাসন চাপিয়ে দিতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে এই নির্বাচন হবে গণমানুষের প্রতিরোধ।’
স্থায়ী কমিটির প্রায় সকল
সদস্যই প্রার্থী
ঘোষিত তালিকা অনুযায়ী বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রায় সকল প্রার্থীই জাতীয় সংসদ নির্কাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও সেলিমা রহমানের নাম দেথা যায়নি। নজরুল ইসলাম খান কখনোই জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করনেনি। বিএনপির পরিচিত আরেক মুখ রিজভী আহমেদের নামও তালিকায় নেই। যদিও সে স্থায়ী কমিটির সদস্য নয়। তিনি দরে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব। তিনিও কখনো সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি।
তালিকা অনুযায়ী ঢাকা-৮ থেকে মির্জা আব্বাস, ঢাকা-৩ থেকে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নরসিংদী-২ থেকে আব্দুল মঈন খান, সিরাজগঞ্জ-২ থেকে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, কুমিল্লা-১ থেকে খন্দকার মোশাররফ
হোসেন, চট্টগ্রাম-১০ থেকে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভোলা-৩ থেকে হাফিজ উদ্দিন আহমেদের দেখা গেছে।
##### যেসব আসনে প্রর্থীদের নাম পরে ঘোষণা করা হবে
বিএনপি মহাসচিব মোট ২৩৮টি আসনের নামের তালিকা প্রকাশ করেন। এরমধ্যে ময়মনসিংহ-৪ আসনে প্রর্থীর নাম স্থগিত করা হয়। এছাড়া রংপুর বিভাগের ৬টি আসন, রাজশাহী বিভাগের ৪টি আসন, খুলনা বিভাগের ৯টি আসন, বরিশাল বিভাগের ৫টি, ময়মনসিংহ বিভাগের ৪টি (স্থগিত আসন সহ), ঢাকা বিভাগের ১৬টি এবং চট্টগ্রাম বিভাগের ১৮টি আসনে প্রার্থীর নামের তালিকা পরে জানানো হবে বলে জানান মির্জা ফখরুল।
### প্রার্থী তালিকা পরিবর্তন হতে পারে
প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণার সময় বিএনপি মহাসচিব জানান, এটি একটি ‘প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা’ যা পরিস্থিতি অনুযায়ী পরিবর্তন হতে পারে। তিনি বলেন, ‘দলীয় ফোরামে আলোচনা ও মাঠপর্যায়ের জরিপের ফলাফলের ভিত্তিতে এই তালিকা সংশোধন করা হতে পারে। বাকি আসনগুলো নিয়েও দ্রুত সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’
#### নারী আরও যারা ধানের শীষের প্রার্থী
মানিকগঞ্জ-৩ আসনে আফরোজা খানম রিতা। তিনি মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও দেশের অন্যতম শিল্পগোষ্ঠী মুন্নুর চেয়ারওম্যান। রিতার বাবা হারুনার রশীদ খান মুন্নু এ শিল্পগোষ্ঠী প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি বিএনপি-জামায়াত সরকারে মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
ফরিদপুর-২ আসনে শামা ওবায়েদ। দলের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন শামা ওবায়েদ। তার বাবা প্রয়াত কে এম ওবায়দুর রহমান বিএনপির মহাসচিব (১৯৮৬-৮৮) ছিলেন। পালন করেছেন একাধিক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব।
ফরিদপুর-৩ আসনে চৌধুরী নায়াব ইউসুফ। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক, এবং মহিলা দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সাবেক আহ্বায়ক। তার বাবা প্রয়াত চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যানের পাশাপাশি একাধিকবার মন্ত্রী ছিলেন।
ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টো ঝালকাঠি-২ আসনে। সংসদ সদস্য জুলফিকার আলী ভুট্টো হত্যার শিকার হওয়ার পর তার স্ত্রী ইলেন ২০০০ সালে সাংসদ হোন। এরপর তিনি ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমুকে পরাজিত করে ফের জয়ের মুখ দেখেন।
ফারজানা শারমিন পুতুল নাটোর-১ আসনের প্রর্থী। তিনি দলের ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজরি কমিটির স্পেশাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ও মিডিয়া সেলের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। হাই কোর্টের এ আইনজীবী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দুর্নীতি দমন কমিশনের সংস্কার কমিশনের সদস্য ছিলেন। তার বাবা প্রয়াত ফজলুর রহমান পটল বিএনপির মনোনয়নে চারবারের এমপি ছিলেন।
সাবিরা সুলতানা মুন্নী যশোর-২ আসনে থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তিনি ঝিকরগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য স্থানীয় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। মুন্নীর স্বামী নাজমুল ইসলাম একসময় ঝিকরগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও যশোর জেলা বিএনপির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। ২০১১ সালে ঢাকায় অপহরণ হওয়ার পর নাজমুলের লাশ মিলেছিল গাজীপুরে।
সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকা শেরপুর-১ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হযরত আলীর মেয়ে তিনি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী ছিলেন প্রিয়াংকা।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
সোমবার নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের জন্য দলের ২৩৭ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন -সংবাদ
মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩৭টি আসনে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। সোমবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া দিনাজপুর-৩, বগুড়া-৭ এবং ফেনী-১ এই তিন আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লড়বেন বগুড়া-৬ আসনে। আর ঠাকুরগাঁও-১ আসনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল প্রার্থী হচ্ছেন।
দলটি ১২ আসনে ১০ জন নারী প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। তাদের মধ্যে খালেদা জিয়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিন আসনে। এর বাইরে ঢাকা-১৪ আসনে প্রার্থী করা হয়েছে সানজিদা ইসলাম তুলিকে। তার ভাই আওয়ামী লীগ শাসন আমলে গুম হন। তুলি গুম হওয়া পরিবারগুলোর প্রতিবাদের প্ল্যাটফর্ম ‘মায়ের ডাক’ এর সমন্বয়ক।
সিলেট-২ আসনে তাহসিনা রুশদীর লুনা। তিনি এই আসনেরই সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াস আলীর স্ত্রী। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১২ সালে গুমের শিকার হন ইলিয়াস। এরপর থেকে রাজনীতিতে সক্রিয় হন তার স্ত্রী লুনা।
প্রার্থী ঘোষণার আগে দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে গুলশান কার্যালয়ে শুরু হয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক। বৈঠকটি চলে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা। লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও এ জেড এম জাহিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আসন্ন নির্বাচনে আমরা অংশ নিচ্ছি জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে। যারা একদলীয় শাসন চাপিয়ে দিতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে এই নির্বাচন হবে গণমানুষের প্রতিরোধ।’
স্থায়ী কমিটির প্রায় সকল
সদস্যই প্রার্থী
ঘোষিত তালিকা অনুযায়ী বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রায় সকল প্রার্থীই জাতীয় সংসদ নির্কাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও সেলিমা রহমানের নাম দেথা যায়নি। নজরুল ইসলাম খান কখনোই জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করনেনি। বিএনপির পরিচিত আরেক মুখ রিজভী আহমেদের নামও তালিকায় নেই। যদিও সে স্থায়ী কমিটির সদস্য নয়। তিনি দরে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব। তিনিও কখনো সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি।
তালিকা অনুযায়ী ঢাকা-৮ থেকে মির্জা আব্বাস, ঢাকা-৩ থেকে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নরসিংদী-২ থেকে আব্দুল মঈন খান, সিরাজগঞ্জ-২ থেকে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, কুমিল্লা-১ থেকে খন্দকার মোশাররফ
হোসেন, চট্টগ্রাম-১০ থেকে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভোলা-৩ থেকে হাফিজ উদ্দিন আহমেদের দেখা গেছে।
##### যেসব আসনে প্রর্থীদের নাম পরে ঘোষণা করা হবে
বিএনপি মহাসচিব মোট ২৩৮টি আসনের নামের তালিকা প্রকাশ করেন। এরমধ্যে ময়মনসিংহ-৪ আসনে প্রর্থীর নাম স্থগিত করা হয়। এছাড়া রংপুর বিভাগের ৬টি আসন, রাজশাহী বিভাগের ৪টি আসন, খুলনা বিভাগের ৯টি আসন, বরিশাল বিভাগের ৫টি, ময়মনসিংহ বিভাগের ৪টি (স্থগিত আসন সহ), ঢাকা বিভাগের ১৬টি এবং চট্টগ্রাম বিভাগের ১৮টি আসনে প্রার্থীর নামের তালিকা পরে জানানো হবে বলে জানান মির্জা ফখরুল।
### প্রার্থী তালিকা পরিবর্তন হতে পারে
প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণার সময় বিএনপি মহাসচিব জানান, এটি একটি ‘প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা’ যা পরিস্থিতি অনুযায়ী পরিবর্তন হতে পারে। তিনি বলেন, ‘দলীয় ফোরামে আলোচনা ও মাঠপর্যায়ের জরিপের ফলাফলের ভিত্তিতে এই তালিকা সংশোধন করা হতে পারে। বাকি আসনগুলো নিয়েও দ্রুত সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’
#### নারী আরও যারা ধানের শীষের প্রার্থী
মানিকগঞ্জ-৩ আসনে আফরোজা খানম রিতা। তিনি মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও দেশের অন্যতম শিল্পগোষ্ঠী মুন্নুর চেয়ারওম্যান। রিতার বাবা হারুনার রশীদ খান মুন্নু এ শিল্পগোষ্ঠী প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি বিএনপি-জামায়াত সরকারে মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
ফরিদপুর-২ আসনে শামা ওবায়েদ। দলের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন শামা ওবায়েদ। তার বাবা প্রয়াত কে এম ওবায়দুর রহমান বিএনপির মহাসচিব (১৯৮৬-৮৮) ছিলেন। পালন করেছেন একাধিক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব।
ফরিদপুর-৩ আসনে চৌধুরী নায়াব ইউসুফ। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক, এবং মহিলা দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সাবেক আহ্বায়ক। তার বাবা প্রয়াত চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যানের পাশাপাশি একাধিকবার মন্ত্রী ছিলেন।
ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টো ঝালকাঠি-২ আসনে। সংসদ সদস্য জুলফিকার আলী ভুট্টো হত্যার শিকার হওয়ার পর তার স্ত্রী ইলেন ২০০০ সালে সাংসদ হোন। এরপর তিনি ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমুকে পরাজিত করে ফের জয়ের মুখ দেখেন।
ফারজানা শারমিন পুতুল নাটোর-১ আসনের প্রর্থী। তিনি দলের ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজরি কমিটির স্পেশাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ও মিডিয়া সেলের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। হাই কোর্টের এ আইনজীবী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দুর্নীতি দমন কমিশনের সংস্কার কমিশনের সদস্য ছিলেন। তার বাবা প্রয়াত ফজলুর রহমান পটল বিএনপির মনোনয়নে চারবারের এমপি ছিলেন।
সাবিরা সুলতানা মুন্নী যশোর-২ আসনে থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তিনি ঝিকরগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য স্থানীয় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। মুন্নীর স্বামী নাজমুল ইসলাম একসময় ঝিকরগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও যশোর জেলা বিএনপির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। ২০১১ সালে ঢাকায় অপহরণ হওয়ার পর নাজমুলের লাশ মিলেছিল গাজীপুরে।
সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকা শেরপুর-১ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হযরত আলীর মেয়ে তিনি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী ছিলেন প্রিয়াংকা।