আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) তাদের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে। এতে জয়পুরহাট-১ (সদর ও পাঁচবিবি) আসনে মো. মাসুদ রানা প্রধান এবং জয়পুরহাট-২ (আক্কেলপুর, ক্ষেতলাল ও কালাই) আসনে আব্দুল বারীর নাম রয়েছে।
জয়পুরহাট-১ আসনে মাসুদ রানা প্রধান : জয়পুরহাট জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মাসুদ রানা প্রধান বিএনপির রাজনীতিতে পরিচিত ও অভিজ্ঞ মুখ। তিনি প্রয়াত এমপি মরহুম মোজাহার আলী প্রধান ও মোছা. রওশন আরা বেগম দম্পতির ছেলে। জেলা শহরের নতুনহাট প্রধানপাড়া মহল্লার বাসিন্দা এই নেতা বিবিএ (অনার্স) পাস করেছেন।
১৯৯৩ সালে তিনি জয়পুরহাট জেলা ছাত্রদলের সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে জয়পুরহাট সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের এজিএস ও কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ধীরে ধীরে তিনি জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, সভাপতি, পরে জেলা বিএনপির সদস্য ও ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হন।
২০১৬ সালে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলে রাজশাহী বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০১৭ সালে জেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও ২০২০ সালে যুগ্ম আহ্বায়ক হন। বর্তমানে তিনি জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
রাজনৈতিক জীবনে তার বিরুদ্ধে ২৬টি মামলা হয়েছে, যার মধ্যে দুই দফায় তিনি মোট ৮ মাস কারাভোগ করেছেন। দলের নিবেদিতপ্রাণ নেতা হিসেবে তিনি জেলা বিএনপির তরুণ নেতৃত্বে অন্যতম বলে পরিচিত।
জয়পুরহাট-২ আসনে আব্দুল বারী : অন্যদিকে জয়পুরহাট-২ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক আমলা আব্দুল বারী। তিনি কালাই উপজেলার মাত্রাই ইউনিয়নের বলি শিবসমুদ্র গ্রামের সন্তান। মরহুম জাফের আলী মন্ডল ও মরহুমা মিছিরুন্নেছা বেগম দম্পতির ছেলে বারী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এম.এ সম্পন্ন করেন।
১৯৮২ সালের বিশেষ বিসিএস ব্যাচে পাশ করে ১৯৮৩ সালে প্রশাসন ক্যাডারে যোগ দিয়ে দীর্ঘ প্রশাসনিক জীবনে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, সিনিয়র সহকারী সচিবসহ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক, মানিকগঞ্জ ও ঢাকা জেলার ডিসি এবং অবশেষে ঢাকা বিভাগের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
২০০৬ সালের নভেম্বরে ন্যাশনাল নিউট্রিশন প্রোগ্রামের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর তাকে ওএসডি করা হয়। ২০১৪ সালে তিনি অবসরে যান। কর্মজীবনে বাংলাদেশ প্রশাসনিক সেবাসংঘের (ইঅঝঅ) মহাসচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময় তিনি মুজিববাদী ছাত্রলীগের বিপরীতে রাকসু নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন। পরবর্তীতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বিএনপিতে যোগ দেন। যদিও বর্তমানে তার কোনো দলীয় পদ নেই, তবে তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পৃক্ত এবং বিএনপির নীতি ও আদর্শে আস্থাশীল।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) তাদের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে। এতে জয়পুরহাট-১ (সদর ও পাঁচবিবি) আসনে মো. মাসুদ রানা প্রধান এবং জয়পুরহাট-২ (আক্কেলপুর, ক্ষেতলাল ও কালাই) আসনে আব্দুল বারীর নাম রয়েছে।
জয়পুরহাট-১ আসনে মাসুদ রানা প্রধান : জয়পুরহাট জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মাসুদ রানা প্রধান বিএনপির রাজনীতিতে পরিচিত ও অভিজ্ঞ মুখ। তিনি প্রয়াত এমপি মরহুম মোজাহার আলী প্রধান ও মোছা. রওশন আরা বেগম দম্পতির ছেলে। জেলা শহরের নতুনহাট প্রধানপাড়া মহল্লার বাসিন্দা এই নেতা বিবিএ (অনার্স) পাস করেছেন।
১৯৯৩ সালে তিনি জয়পুরহাট জেলা ছাত্রদলের সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে জয়পুরহাট সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের এজিএস ও কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ধীরে ধীরে তিনি জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, সভাপতি, পরে জেলা বিএনপির সদস্য ও ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হন।
২০১৬ সালে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলে রাজশাহী বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০১৭ সালে জেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও ২০২০ সালে যুগ্ম আহ্বায়ক হন। বর্তমানে তিনি জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
রাজনৈতিক জীবনে তার বিরুদ্ধে ২৬টি মামলা হয়েছে, যার মধ্যে দুই দফায় তিনি মোট ৮ মাস কারাভোগ করেছেন। দলের নিবেদিতপ্রাণ নেতা হিসেবে তিনি জেলা বিএনপির তরুণ নেতৃত্বে অন্যতম বলে পরিচিত।
জয়পুরহাট-২ আসনে আব্দুল বারী : অন্যদিকে জয়পুরহাট-২ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক আমলা আব্দুল বারী। তিনি কালাই উপজেলার মাত্রাই ইউনিয়নের বলি শিবসমুদ্র গ্রামের সন্তান। মরহুম জাফের আলী মন্ডল ও মরহুমা মিছিরুন্নেছা বেগম দম্পতির ছেলে বারী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এম.এ সম্পন্ন করেন।
১৯৮২ সালের বিশেষ বিসিএস ব্যাচে পাশ করে ১৯৮৩ সালে প্রশাসন ক্যাডারে যোগ দিয়ে দীর্ঘ প্রশাসনিক জীবনে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, সিনিয়র সহকারী সচিবসহ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক, মানিকগঞ্জ ও ঢাকা জেলার ডিসি এবং অবশেষে ঢাকা বিভাগের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
২০০৬ সালের নভেম্বরে ন্যাশনাল নিউট্রিশন প্রোগ্রামের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর তাকে ওএসডি করা হয়। ২০১৪ সালে তিনি অবসরে যান। কর্মজীবনে বাংলাদেশ প্রশাসনিক সেবাসংঘের (ইঅঝঅ) মহাসচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময় তিনি মুজিববাদী ছাত্রলীগের বিপরীতে রাকসু নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন। পরবর্তীতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বিএনপিতে যোগ দেন। যদিও বর্তমানে তার কোনো দলীয় পদ নেই, তবে তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পৃক্ত এবং বিএনপির নীতি ও আদর্শে আস্থাশীল।