আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য শেরপুরের তিনটি সংসদীয় আসনের বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে দলটি।

ঘোষণা অনুযায়ী শেরপুর-১ (সদর) আসনে ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকা, শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) ইঞ্জিনিয়ার ফাহিম চৌধুরী ও শেরপুর-৩ আসনে (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) মাহমুদুল হক রুবেল রয়েছে।

জানা গেছে, এই তিনজনই ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নিয়ে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এরমধ্যে প্রিয়াংকা শেরপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক হযরত আলীর কন্যা। আর ফাহিম চৌধুরী সাবেক হুইপ প্রয়াত জাহেদ আলী চৌধুরীর ছেলে এবংমাহমুদুল হক রুবেল সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত ডা. সিরাজুল হকের ছেলে।

এদিকে, দলীয় মনোনয়ন পাওয়ায় এসব প্রার্থীর কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে আনন্দ-উচ্ছ্বাস দেখা গেছে।

শেরপুর-১ আসনের বিএনপির ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকা বলেন, আমাকে বিএনপি দল থেকে মনোনয়নন দেয়ায় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়া ও দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমি সবাইকে নিয়ে শেরপুরের উন্নয়নে কাজ করে যেতে চাই।

শেরপুর-২ আসনের বিএনপির ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ফাহিম চৌধুরী বলেন, আমার বাবা মা এবং জনগণের দোয়া কবুল হয়েছে, এজন্য আমার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলের হাই কমান্ডের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ এবং ধন্যবাদ জানাই। আমরা আগামীতে যাতে এই নকলা-নালিতাবাড়ী আসনে উন্নয়নমূলক কাজ করতে পারি সেজন্য সবার দোয়া এবং সহযোগিতা চাই।

শেরপুর-৩ আসনের বিএনপির ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী মাহমুদুল হক রুবেল বলেন, বিগত ১৭বছর আন্দোলনে এবং দলীয় সকল কর্মকান্ডে ও সুখে-দুঃখে দলের নেতাকর্মীদের পাশে ছিলাম, তাই দল আমাকে মূল্যায়ন করেছেন। এজন্য আমি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ মনোনয়ন বোর্ডের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। একইসাথে যারা যারা মনোনয়ন চেয়েছিল ইতোমধ্যে আমি তাদের সাথে ফোনে কথা বলেছি এবং আমি তাদের সাথে দেখা করবো বলে জানিয়েছি। এখন আমরা সবাই মিলে শেরপুর-৩ আসনে কাজ করে এই আসন থেকে জয়লাভ করতে চাই।