ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, গণভোটের মধ্য দিয়ে আইন প্রণয়ন হয়ে যাবে না, গণভোটের মধ্য দিয়ে সংবিধান সংশোধনও হয়ে যাবে না। তার জন্য অবশ্যই জাতীয় সংসদ গঠিত হতে হবে। সেজন্য ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি করায় বিএনপির পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টাকে সাধুবাদ জানান তিনি।
শুক্রবার,(১৪ নভেম্বর ২০২৫) রাজধানীর শাহবাগে ‘নারীর ওপর ক্রমবর্ধমান সহিংসতা ও অসম্মান : প্রতিরোধে প্রস্তুত সচেতন নারী সমাজ’ শীর্ষক মৌন মিছিল পূর্ব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘গণভোটের মাধ্যমে আইন প্রণয়ন করা যাবে না, সংবিধান সংশোধনও হয়ে যাবে না। তার জন্য অবশ্যই জাতীয় সংসদ গঠিত হতে হবে।’ সালাহউদ্দিন আরও বলেন, ‘দেশে একটি রাজনৈতিক দল যারা ধর্মের নামে রাজনীতির ব্যবসা করে জান্নাতের টিকেট বিক্রি করে ভোটের বৈতরণী পার হতে চায়, তাদের হাতে নারীরা নির্যাতিত হয়।’
বিএনপির এ নেতা বলেন, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব মানেই হচ্ছে সবার নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করা। নাগরিক হিসেবে যেন আমরা সমান অধিকার ভোগ করতে পারি। আমাদের একটাই পরিচয় আমরা বাংলাদেশের নাগরিক। আমাদের মধ্যে ধর্মীয় ও সংস্কৃতির বিভাজন থাকবে না। তিনি বলেন, যে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য জুলাই আন্দোলন হয়েছে সেই বাংলাদেশ নির্মাণে কাজ করতে হবে। আমরা একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ করতে চাই, যেখানে কোনো বৈষম্য থাকবে না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ যেভাবে স্বাক্ষরিত হয়েছে, সেটা আমরা প্রতিপালনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর বাইরে চাপিয়ে দিয়ে যেকোনো প্রস্তাব দেয়া হলে জনগণ তা বিবেচনা করবে।
নারী নির্যাতন প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে না পারার হতাশা ব্যাক্ত করে তিনি বলেন, ‘সারা বাংলাদেশে বর্তমানে যে নারী নির্যাতন হচ্ছে বা অতীতে হয়েছে তার কোনো কার্যকর প্রতিবাদ এখনো গড়ে তুলতে পারিনি। কিছু কিছু আইনপ্রণয়ন হয়, কোনো ঘটনার প্রেক্ষিতে আইন কঠিন হলে সঠিকভাবে কার্যকর হয় না। আইনের ফাঁকফোকর গলিয়ে নারী নির্যতনকারী ধর্ষকরা বেরিয়ে যেতে পারে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে শক্ত আইনের অপব্যবহার করে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী করে থাকেন, সদিকেও আমরা নজর দেবো।’
সমাবেশ শেষে মুখে কালো কাপড় বেঁধে শাহবাগ থেকে মৌন মিছিল করেন নারীরা, যা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। সমাবেশে নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের আহ্বায়ক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমানের সভাপতিত্বে এবং ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীর পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন শিরীন সুলতানা, নিলোফার চৌধুরী মনি, সানজিদা ইসলাম তুলি, রেহানা আক্তার শিরীন প্রমুখ।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, গণভোটের মধ্য দিয়ে আইন প্রণয়ন হয়ে যাবে না, গণভোটের মধ্য দিয়ে সংবিধান সংশোধনও হয়ে যাবে না। তার জন্য অবশ্যই জাতীয় সংসদ গঠিত হতে হবে। সেজন্য ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি করায় বিএনপির পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টাকে সাধুবাদ জানান তিনি।
শুক্রবার,(১৪ নভেম্বর ২০২৫) রাজধানীর শাহবাগে ‘নারীর ওপর ক্রমবর্ধমান সহিংসতা ও অসম্মান : প্রতিরোধে প্রস্তুত সচেতন নারী সমাজ’ শীর্ষক মৌন মিছিল পূর্ব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘গণভোটের মাধ্যমে আইন প্রণয়ন করা যাবে না, সংবিধান সংশোধনও হয়ে যাবে না। তার জন্য অবশ্যই জাতীয় সংসদ গঠিত হতে হবে।’ সালাহউদ্দিন আরও বলেন, ‘দেশে একটি রাজনৈতিক দল যারা ধর্মের নামে রাজনীতির ব্যবসা করে জান্নাতের টিকেট বিক্রি করে ভোটের বৈতরণী পার হতে চায়, তাদের হাতে নারীরা নির্যাতিত হয়।’
বিএনপির এ নেতা বলেন, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব মানেই হচ্ছে সবার নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করা। নাগরিক হিসেবে যেন আমরা সমান অধিকার ভোগ করতে পারি। আমাদের একটাই পরিচয় আমরা বাংলাদেশের নাগরিক। আমাদের মধ্যে ধর্মীয় ও সংস্কৃতির বিভাজন থাকবে না। তিনি বলেন, যে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য জুলাই আন্দোলন হয়েছে সেই বাংলাদেশ নির্মাণে কাজ করতে হবে। আমরা একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ করতে চাই, যেখানে কোনো বৈষম্য থাকবে না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ যেভাবে স্বাক্ষরিত হয়েছে, সেটা আমরা প্রতিপালনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর বাইরে চাপিয়ে দিয়ে যেকোনো প্রস্তাব দেয়া হলে জনগণ তা বিবেচনা করবে।
নারী নির্যাতন প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে না পারার হতাশা ব্যাক্ত করে তিনি বলেন, ‘সারা বাংলাদেশে বর্তমানে যে নারী নির্যাতন হচ্ছে বা অতীতে হয়েছে তার কোনো কার্যকর প্রতিবাদ এখনো গড়ে তুলতে পারিনি। কিছু কিছু আইনপ্রণয়ন হয়, কোনো ঘটনার প্রেক্ষিতে আইন কঠিন হলে সঠিকভাবে কার্যকর হয় না। আইনের ফাঁকফোকর গলিয়ে নারী নির্যতনকারী ধর্ষকরা বেরিয়ে যেতে পারে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে শক্ত আইনের অপব্যবহার করে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী করে থাকেন, সদিকেও আমরা নজর দেবো।’
সমাবেশ শেষে মুখে কালো কাপড় বেঁধে শাহবাগ থেকে মৌন মিছিল করেন নারীরা, যা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। সমাবেশে নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের আহ্বায়ক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমানের সভাপতিত্বে এবং ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীর পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন শিরীন সুলতানা, নিলোফার চৌধুরী মনি, সানজিদা ইসলাম তুলি, রেহানা আক্তার শিরীন প্রমুখ।