alt

আলাদাভাবে গণভোটের তারিখসহ তিন দাবি ৮ দলের

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

রাজধানীতে শুক্রবার আট দলের যৌথ সংবাদ সম্মেলন -সংবাদ

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে তিনজন উপদেষ্টা ‘বিপথে চালিত’ করছেন বলে দাবি করেছেন জামায়াতের ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। এই উপদেষ্টাদের কারও নাম না বলে আট দলের তরফে তাদের অপসারণ, আলাদাভাবে গণভোটের তারিখ ঘোষণাসহ তিন দফা দাবি তুলে ধরেছেন তিনি। শুক্রবার,(১৪ নভেম্বর ২০২৫) সকালে আট দলের যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের নায়েবে আমির এসব দাবি করেন।

আটদল ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত, কিন্তু প্রশাসনের নিরপেক্ষ ভূমিকা নিশ্চিতের দাবি

আবারও তিন উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের দাবিতে আট দলের কর্মসূচির ফাঁকে গতকাল বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস একই দিনে জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে গণভোট আয়োজনের ঘোষণা দেন। এর পরপরই জামায়াত তাদের প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে ‘জনআকাক্সক্ষা পূরণ’ হয়নি।

শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে দলটির নায়েবে আমির তিন দফা দাবি তুল ধরে বলেন, ‘এক. প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে যে ভাষণ দিয়েছেন একই দিনে গণভোট এবং জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান, সেটা পরিবর্তন করে অনতিবিলম্বে আলাদাভাবে গণভোট করার তারিখ উনি ঘোষণা করবেন, এটা আমরা আশা করি।’ ‘দুই. সরকারে কমপক্ষে তিনজন উপদেষ্টা আছেন যারা প্রধান উপদেষ্টাকে মিসগাইড করছেন, আমরা তাদের অপসারণ দাবি করছি। আপনারা হয়তো প্রশ্ন করবেন যে তাদের নাম বলেন। আমরা আজকেও নাম বলতে চাই না। তবে প্রধান উপদেষ্টার কাছে তাদের নাম আমরা প্রেরণ করবো।’ তিন নম্বর দাবি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘প্রশাসনের যে সব পরিবর্তন হচ্ছে সেখানে নিরপেক্ষ, বিশেষ করে সৎ এবং জবাবদিহির আওতায় থাকতে পারে এরকম মনোভাবের লোকদেরকেই নিয়োগ করতে হবে। নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করার জন্য সেখানে চেষ্টা করতে হবে আমরা এই তিন দাবি জানাচ্ছি।’

গত মঙ্গলবার ঢাকায় সমাবেশ করে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি, জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজনসহ পাঁচ দাবি পূরণ না হলে রোববার প্রধান উপদেষ্টা বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করে আট দল। সংবাদ সম্মেলনে জামায়াত নেতা তাহের বলেন, আগামী ১৬ নভেম্বর ঢাকায় ৮ দলের শীর্ষ বৈঠকে পরবর্তী কর্মকৌশল ঠিক করে তা জানানো হবে।

প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে শুক্রবার মগবাজারে আল-ফালাহ মিলনায়তনে আট দলের উদ্যোগে এই সংবাদ সম্মেলন হয়।

জামায়াত ছাড়া অন্য দলগুলো হলো- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) একাংশ ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি (বিডিপি)।

‘ব্যালেন্স করা সরকারের কাজ না’

এক প্রশ্নের জবাবে তাহের বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে একটি দলের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ পেয়েছে। এর মাধ্যমে জাতি যে একটি নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করেছিল জাতির সে আকাক্সক্ষা ব্যাহত হয়েছে।’ ‘বিএনপি শুরু থেকে উচ্চকক্ষ, নিম্নকক্ষ, কোথাও পিআর মানে না বলেছিল। শুক্রবার ভাষণে পিআর সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন যে, এক্সেপ্টেড হবে।’ প্রধান উপদেষ্টা বিএনপি ও জামায়াতের দাবি পূরণ করে দুইপক্ষের কথা রাখার চেষ্টা করেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আসলে কোনো ব্যক্তির বা রাষ্ট্রের বা কোনো সরকার প্রধানের কোনো দলের সঙ্গে ‘ব্যালেন্স’ করা, তার কোনো কাজ না, এটা দায়িত্বও না। যেটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা হচ্ছে- দেশের জন্য, জাতির জন্য যেটা উত্তম, কোনো সরকারকে সেটাই করতে হবে।’

গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একদিনে করার পেছনে ব্যয় সাশ্রয়ের যে কথা বলা হচ্ছে তা ‘খোঁড়া যুক্তি’ বলে মন্তব্য করে জামায়াত নেতা তাহের বলেন, ‘আমরা আবার বলছিÑ আমরা চাই, গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন যদি একই দিনে করা হয়, তাহলে গণভোটের গুরুত্ব একেবারেই ম্লান হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে যে সংস্কার ইস্যুটি আছে সেটাও প্রশ্নবোধক হতে পারে, এমনকি ‘মাইরও’ খেয়ে যেতে পারে।’

‘প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ হতাশাজনক’

তাহের বলেন, ‘গতকালকে উনার (প্রধান উপদেষ্টা) ভাষণে আমরা বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি, সরকার তার নিয়োজিত কমিশনের সুপারিশকে গ্রহণ না করে সেখানে যথেষ্ট কাটছাট দিয়ে, একটি দলের সঙ্গে ব্যাপক সমঝোতা করে জনগণের স্বার্থে নয়, একটি বিশেষ দলের স্বার্থে অনেক পরিবর্তন এনে তিনি ভাষণ দিয়েছেন। যার ফলে জনগণ এবং দেশবাসী অত্যন্ত হতাশ হয়েছে। ‘একটা বিষয়ে উনি কিছুটা দৃঢ়তা প্রদর্শন করতে পেরেছেন। সেটা হচ্ছে আদেশের বিষয়। বিএনপি কখনোই আদেশের মাধ্যমে এটাকে সাংবিধানিক ভিত্তি দেয়ার ব্যাপারে একমত ছিল না, তারা বিরোধিত করেছিলেন, তারা একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে এই সংস্কারগুলোকে গ্রহণ করার জন্য প্রস্তাব করেছিল। এখানে প্রধান উপদেষ্টা সংস্কার কমিশন প্রস্তাবিত আদেশ দেয়ার যে সুপারিশ, সেটার ওপরে উনি দৃঢ় ছিলেন। এজন্য উনাকে আমরা ধন্যবাদ জানাই।’

তিনি বলেন, ‘তবে আমাদের সংস্কার কমিশন যে আঙ্গিকে প্রস্তাব করেছিল, সেখান থেকে তার (প্রধান উপদেষ্টার) ভাষণে সনদের ব্যাপারে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। সেটা সঠিক হয়েছে বলে আমরা মনে করি না। ‘আমরা মনে করি, আমাদের সংস্কার কমিশন যে প্রস্তাব দিচ্ছিল হুবহু সেটার ভিত্তিতে আদেশ দেয়াটা বাঞ্ছনীয় ছিল। তারপরও যতটুকু আদেশ দিয়েছেন সেটাকে আমরা গ্রহণ করছি এবং সেজন্য তাকে আমরা সাধুবাদ জানাচ্ছি।’

গণভোটের প্রশ্ন নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হবে মন্তব্য করে জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘আমাদের যে সংস্কার কমিশন ছিল, তারা প্রস্তাব দিয়েছিল ‘ওয়ান সেট অফ ওয়ান প্যাকেজিং’ ‘হ্যাঁ’/‘না’ ভোট নেয়ার জন্য। কিন্তু কালকে আমরা বিস্ময়ের সঙ্গে দেখলাম যে, সংস্কার কমিশনের একটি প্যাকেজকে চারটা ভাগে ভাগ করে দেয়া হয়েছে। যেটি জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে অনেকটাই জটিলতার ভেতরে ফেলে দেবে। ‘কারণ আমাদের দেশের মানুষ এতগুলো পয়েন্টে বিশ্লেষণ করে তাদের মতস্থির করাটা, এটা কঠিন হবে এবং এখানে একটা জটিলতা তৈরি করা হয়েছে।’

‘একটি দলের অবৈধ আবদার’

তাহের বলেন, ‘ঐক্যমত্য কমিশন যে প্রস্তাব করেছিল যে সেখানে নোট অব ডিসেন্ট দেয়ার কোনো সুযোগ তারা রাখে নাই। এটি একটি দল তার নোট অব ডিসেন্টকে ভোটে আনার জন্য প্রস্তাব করেছিল। আপনারা জানেন যেটা একেবারেই একটি অবৈধ আবদার ছিল। কারণ নোট অব ডিসেন্ট হচ্ছে, কোনো একটি দলের তার মত ভিন্নতা আছে।’

‘একটি দলের দাবিই পূরণ করা হয়েছে’

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে জামায়াতের প্রতিনিধিত্ব করা তাহের বলেন, ‘ঐকমত্য কমিশন বলেছে যে, এই সনদের আদেশের পরে যারাই নির্বাচিত সরকারে আসবে তারা ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যেই এগুলোকে সাংবিধানিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আর যদি না করে এটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে গৃহীত হয়েছে বলে বিবেচিত হবে। এটা গ্রহণ করার একটা স্বয়ংক্রিয় বাধ্যবাধকতার সুযোগ এখানে ছিল এবং এটাই বাঞ্ছনীয়। ‘কোনো দল ক্ষমতায় গিয়ে যদি এটা করতে না চায়, তাইলে তার ওপরে বাধ্যবাধকতা থাকার সুযোগ না থাকলে, তাহলে এই যে সনদ এতদিনের ঐকমত্য কমিশনের যে প্রচেষ্টা সেটাই ব্যর্থ হয়ে যাবে পরিপূর্ণভাবে।’

কিন্তু প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে এই বাধ্যবাধকতা রাখা হয়নি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এটাও বিএনপির দাবিকেই পূরণ করা হয়েছে। তারা বলেছেন করতে হবে এবং করতে হওয়ার যে আইনি ব্যাখ্যাটা এটা সরকার সেখানে দেয়নি। তাহলে বাধ্যবাধকতার যে পয়েন্টটা ছিল সেখান থেকেও সরকার সরে আসছে এবং এটাও বিএনপির দাবিকেই পক্ষান্তরে পূরণ করা হয়েছে।’

‘প্রধান উপদেষ্টাকে বিভ্রান্ত করছেন তিন উপদেষ্টা’

জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, ‘আজকে আমি খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই যে, প্রধান উপদেষ্টাকে নানাভাবে বিভ্রান্ত করছেন তিনজন উপদেষ্টা। তারা ভুল তথ্য দিয়ে নানাভাবে বুঝিয়ে একটি দলের হয়ে কাজ করে সরকারকে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন যাতে হতে না পারে সেদিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি সুকৌশলে অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।’

‘আট দল ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত’

তাহের বলেন, ‘আমরা এই মুহূর্তে স্পষ্টভাবে ঘোষণা দিতে চাই, আমরা আট দল এবং আমাদের সঙ্গে আরও কিছু দল আছে যারা ফরমালি না আসলেও আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ আছে, আমরা সবাই আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে রোজার আগেই একটি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক এ ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সেজন্যই আমরা আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করার জন্য মাঠে কাজ করছি। ‘কিন্তু যে কারণে জনগণ বিগত ১৫ বছর আওয়ামী লীগের আমলে বঞ্চিত হয়েছিল ভোট থেকে এবং সেরকম অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আজকে বাংলাদেশের এই দুরবস্থা তৈরি হয়েছে। ঠিক একইভাবে আরেকটি নির্বাচনের মহড়া চলছে কিনা? আরেকটি পরিকল্পিত এবং পূর্বনির্ধারিত নির্বাচনের রায়ের ভিত্তিতে নির্বাচন হচ্ছে কিনা, এ ব্যাপারে আমাদের মনে এবং জনগণের মনে আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘সরকারের আচরণ আমাদেরকে এই কথা বিশ্বাস করতে বাধ্য করছে যে, এই সরকারের অধীনেও কোনো সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন করা সম্ভব নয়। নির্বাচন অবাধ হওয়ার ব্যাপারে আমাদের ভেতরে যথেষ্ট শঙ্কা এবং আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে। ‘আমরা দেখছি এই সরকার আসার পর থেকে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ যেটা তৈরির জন্য আমরা বলেছি সেটার ব্যাপারে সরকার আদৌ মনোযোগী নন। বরং সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টার সহযোগিতায় একটি বিশেষ দলের পক্ষ থেকে প্রশাসনকে দলীয় প্রশাসনে রূপান্তর করার জন্য চেষ্টা হচ্ছে।’

ছবি

গাজীপুরে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল

ছবি

গণভোটে সংবিধান সংশোধন হয়ে যাবে না, সেজন্য সংসদ লাগবে: সালাহউদ্দিন

ছবি

রাজনৈতিক দলগুলোর মিশ্র প্রতিক্রিয়া

ছবি

নাশকতার অভিযোগে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ৪৩ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

ছবি

নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে: আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পেলে মত দেবে ইসি

ছবি

জামায়াতের প্রতিক্রিয়া: একই দিনে গণভোট ও নির্বাচনে ‘জনআকাঙ্খা পূরণ হয়নি’

ছবি

নদীর মাঝখানে ইসি, নড়লেই নৌকা ডুববে: সংলাপে ভোটের পরিবেশ নিয়ে শঙ্কা, নারী কোটা কমানোর দাবি

ছবি

প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে জুলাই সনদ ‘লঙ্ঘিত’ হয়েছে: সালাহউদ্দিন

ছবি

প্রধান উপদেষ্টা তাঁর নিজের সই করা সনদ ভঙ্গ করেছেন:সালাহউদ্দিন আহমদ

ছবি

একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ‘লকডাউন’: ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আগুন ও অবরোধ

ছবি

সিলেট-৪: ‘স্বঘোষিত’ প্রার্থী আরিফুলকে নিয়ে বিএনপিতে ‘বহিরাগত’ বিতর্ক, বিক্ষোভ

ছবি

গণভোট নয়, জনগণের সমস্যা সমাধানে নজর দিন: তারেক রহমান

ছবি

আওয়ামী লীগের কেউ যেন স্বতন্ত্র প্রার্থীও হতে না পারে: সিইসিকে গণঅধিকার পরিষদ

ছবি

বিএনপি নেতা আমীর খসরু: বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা যে কেউ করতে পারে

ছবি

চোরা রাস্তা দিয়ে আওয়ামী লীগ দেশে আসার স্বপ্ন দেখছে: রিজভী

সুনামগঞ্জ-১ আসন: ‘প্রাথমিক মনোনীত প্রার্থী’ বলায় মাইক্রোফোন কেড়ে নিলেন বিএনপির প্রার্থী আনিসুল

ছবি

জুলাই সনদের বাইরে যে কোনো সিদ্ধান্তের দায় সরকারের ওপরই বর্তাবে: বিএনপি

এনসিপি কার্যালয়ের সামনে ককটেল নিক্ষেপ, দুইজন কারাগারে

ছবি

গণভোটের আগে কোনো নির্বাচন নয়, জামায়াত ও সঙ্গী-সাথীদের হুঁশিয়ারি

ছবি

অবশ্যই নির্বাচন হতে হবে, গণতান্ত্রিক রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যেতে হবে: হাসনাত

ছবি

ভোটকে এতো ভয় কেন... কারন অস্তিত্বই থাকবে না : মির্জা ফখরুল

ছবি

জামায়াত আমিরের হুঁশিয়ারি: জুলাই সনদ ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না

ছবি

‘সিটের বিনিময়ে স্বপ্ন বিক্রি’: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর ফেইসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে আলোচনা

ছবি

এনসিপি কার্যালয়ের   ককটেল হামলার দুই আসামি কারাগারে

নির্বাচন নিয়ে গভীর সংশয় তৈরি হয়েছে: হাওলাদার

ছবি

একাত্তরের ইতিহাস ভুলিয়ে দিতে চায় একটি চক্র: মির্জা ফখরুল

ছবি

সংবিধানে গণভোট নেই বললে ২০২৬ সালেও নির্বাচন নেই : জামায়াতের নেতা হামিদুর রহমান

ছবি

"পোস্টাল ভোট বিডি" অ্যাপ উদ্বোধন ১৮ নভেম্বর :  নির্বাচন কমিশন

ছবি

বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে পাল্টাপাল্টি মামলা, সাবেক দুই এমপিসহ আসামি ৮ শতাধিক

অর্থনীতি ও সংস্কার নিয়ে আইএমএফের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

ছবি

খালেদা জিয়ার আসনে এনসিপির চূড়ান্ত মনোনয়ন চান জোবায়ের

ছবি

বহিষ্কৃত ৪০ নেতার পদ ফিরিয়ে দিলো বিএনপি

নির্বাচনের অপেক্ষায় স্থবির দেশ, বিনিয়োগ ও পারিবারিক সিদ্ধান্তও থমকে গেছে: আমীর খসরু

ছবি

অর্থনীতি ও সংস্কার নিয়ে আইএমএফের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

ছবি

নির্বাচনের অপেক্ষায় স্থবির দেশ: আমীর খসরু

tab

আলাদাভাবে গণভোটের তারিখসহ তিন দাবি ৮ দলের

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

রাজধানীতে শুক্রবার আট দলের যৌথ সংবাদ সম্মেলন -সংবাদ

শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে তিনজন উপদেষ্টা ‘বিপথে চালিত’ করছেন বলে দাবি করেছেন জামায়াতের ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। এই উপদেষ্টাদের কারও নাম না বলে আট দলের তরফে তাদের অপসারণ, আলাদাভাবে গণভোটের তারিখ ঘোষণাসহ তিন দফা দাবি তুলে ধরেছেন তিনি। শুক্রবার,(১৪ নভেম্বর ২০২৫) সকালে আট দলের যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের নায়েবে আমির এসব দাবি করেন।

আটদল ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত, কিন্তু প্রশাসনের নিরপেক্ষ ভূমিকা নিশ্চিতের দাবি

আবারও তিন উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের দাবিতে আট দলের কর্মসূচির ফাঁকে গতকাল বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস একই দিনে জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে গণভোট আয়োজনের ঘোষণা দেন। এর পরপরই জামায়াত তাদের প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে ‘জনআকাক্সক্ষা পূরণ’ হয়নি।

শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে দলটির নায়েবে আমির তিন দফা দাবি তুল ধরে বলেন, ‘এক. প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে যে ভাষণ দিয়েছেন একই দিনে গণভোট এবং জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান, সেটা পরিবর্তন করে অনতিবিলম্বে আলাদাভাবে গণভোট করার তারিখ উনি ঘোষণা করবেন, এটা আমরা আশা করি।’ ‘দুই. সরকারে কমপক্ষে তিনজন উপদেষ্টা আছেন যারা প্রধান উপদেষ্টাকে মিসগাইড করছেন, আমরা তাদের অপসারণ দাবি করছি। আপনারা হয়তো প্রশ্ন করবেন যে তাদের নাম বলেন। আমরা আজকেও নাম বলতে চাই না। তবে প্রধান উপদেষ্টার কাছে তাদের নাম আমরা প্রেরণ করবো।’ তিন নম্বর দাবি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘প্রশাসনের যে সব পরিবর্তন হচ্ছে সেখানে নিরপেক্ষ, বিশেষ করে সৎ এবং জবাবদিহির আওতায় থাকতে পারে এরকম মনোভাবের লোকদেরকেই নিয়োগ করতে হবে। নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করার জন্য সেখানে চেষ্টা করতে হবে আমরা এই তিন দাবি জানাচ্ছি।’

গত মঙ্গলবার ঢাকায় সমাবেশ করে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি, জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজনসহ পাঁচ দাবি পূরণ না হলে রোববার প্রধান উপদেষ্টা বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করে আট দল। সংবাদ সম্মেলনে জামায়াত নেতা তাহের বলেন, আগামী ১৬ নভেম্বর ঢাকায় ৮ দলের শীর্ষ বৈঠকে পরবর্তী কর্মকৌশল ঠিক করে তা জানানো হবে।

প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে শুক্রবার মগবাজারে আল-ফালাহ মিলনায়তনে আট দলের উদ্যোগে এই সংবাদ সম্মেলন হয়।

জামায়াত ছাড়া অন্য দলগুলো হলো- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) একাংশ ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি (বিডিপি)।

‘ব্যালেন্স করা সরকারের কাজ না’

এক প্রশ্নের জবাবে তাহের বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে একটি দলের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ পেয়েছে। এর মাধ্যমে জাতি যে একটি নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করেছিল জাতির সে আকাক্সক্ষা ব্যাহত হয়েছে।’ ‘বিএনপি শুরু থেকে উচ্চকক্ষ, নিম্নকক্ষ, কোথাও পিআর মানে না বলেছিল। শুক্রবার ভাষণে পিআর সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন যে, এক্সেপ্টেড হবে।’ প্রধান উপদেষ্টা বিএনপি ও জামায়াতের দাবি পূরণ করে দুইপক্ষের কথা রাখার চেষ্টা করেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আসলে কোনো ব্যক্তির বা রাষ্ট্রের বা কোনো সরকার প্রধানের কোনো দলের সঙ্গে ‘ব্যালেন্স’ করা, তার কোনো কাজ না, এটা দায়িত্বও না। যেটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা হচ্ছে- দেশের জন্য, জাতির জন্য যেটা উত্তম, কোনো সরকারকে সেটাই করতে হবে।’

গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একদিনে করার পেছনে ব্যয় সাশ্রয়ের যে কথা বলা হচ্ছে তা ‘খোঁড়া যুক্তি’ বলে মন্তব্য করে জামায়াত নেতা তাহের বলেন, ‘আমরা আবার বলছিÑ আমরা চাই, গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন যদি একই দিনে করা হয়, তাহলে গণভোটের গুরুত্ব একেবারেই ম্লান হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে যে সংস্কার ইস্যুটি আছে সেটাও প্রশ্নবোধক হতে পারে, এমনকি ‘মাইরও’ খেয়ে যেতে পারে।’

‘প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ হতাশাজনক’

তাহের বলেন, ‘গতকালকে উনার (প্রধান উপদেষ্টা) ভাষণে আমরা বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি, সরকার তার নিয়োজিত কমিশনের সুপারিশকে গ্রহণ না করে সেখানে যথেষ্ট কাটছাট দিয়ে, একটি দলের সঙ্গে ব্যাপক সমঝোতা করে জনগণের স্বার্থে নয়, একটি বিশেষ দলের স্বার্থে অনেক পরিবর্তন এনে তিনি ভাষণ দিয়েছেন। যার ফলে জনগণ এবং দেশবাসী অত্যন্ত হতাশ হয়েছে। ‘একটা বিষয়ে উনি কিছুটা দৃঢ়তা প্রদর্শন করতে পেরেছেন। সেটা হচ্ছে আদেশের বিষয়। বিএনপি কখনোই আদেশের মাধ্যমে এটাকে সাংবিধানিক ভিত্তি দেয়ার ব্যাপারে একমত ছিল না, তারা বিরোধিত করেছিলেন, তারা একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে এই সংস্কারগুলোকে গ্রহণ করার জন্য প্রস্তাব করেছিল। এখানে প্রধান উপদেষ্টা সংস্কার কমিশন প্রস্তাবিত আদেশ দেয়ার যে সুপারিশ, সেটার ওপরে উনি দৃঢ় ছিলেন। এজন্য উনাকে আমরা ধন্যবাদ জানাই।’

তিনি বলেন, ‘তবে আমাদের সংস্কার কমিশন যে আঙ্গিকে প্রস্তাব করেছিল, সেখান থেকে তার (প্রধান উপদেষ্টার) ভাষণে সনদের ব্যাপারে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। সেটা সঠিক হয়েছে বলে আমরা মনে করি না। ‘আমরা মনে করি, আমাদের সংস্কার কমিশন যে প্রস্তাব দিচ্ছিল হুবহু সেটার ভিত্তিতে আদেশ দেয়াটা বাঞ্ছনীয় ছিল। তারপরও যতটুকু আদেশ দিয়েছেন সেটাকে আমরা গ্রহণ করছি এবং সেজন্য তাকে আমরা সাধুবাদ জানাচ্ছি।’

গণভোটের প্রশ্ন নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হবে মন্তব্য করে জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘আমাদের যে সংস্কার কমিশন ছিল, তারা প্রস্তাব দিয়েছিল ‘ওয়ান সেট অফ ওয়ান প্যাকেজিং’ ‘হ্যাঁ’/‘না’ ভোট নেয়ার জন্য। কিন্তু কালকে আমরা বিস্ময়ের সঙ্গে দেখলাম যে, সংস্কার কমিশনের একটি প্যাকেজকে চারটা ভাগে ভাগ করে দেয়া হয়েছে। যেটি জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে অনেকটাই জটিলতার ভেতরে ফেলে দেবে। ‘কারণ আমাদের দেশের মানুষ এতগুলো পয়েন্টে বিশ্লেষণ করে তাদের মতস্থির করাটা, এটা কঠিন হবে এবং এখানে একটা জটিলতা তৈরি করা হয়েছে।’

‘একটি দলের অবৈধ আবদার’

তাহের বলেন, ‘ঐক্যমত্য কমিশন যে প্রস্তাব করেছিল যে সেখানে নোট অব ডিসেন্ট দেয়ার কোনো সুযোগ তারা রাখে নাই। এটি একটি দল তার নোট অব ডিসেন্টকে ভোটে আনার জন্য প্রস্তাব করেছিল। আপনারা জানেন যেটা একেবারেই একটি অবৈধ আবদার ছিল। কারণ নোট অব ডিসেন্ট হচ্ছে, কোনো একটি দলের তার মত ভিন্নতা আছে।’

‘একটি দলের দাবিই পূরণ করা হয়েছে’

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে জামায়াতের প্রতিনিধিত্ব করা তাহের বলেন, ‘ঐকমত্য কমিশন বলেছে যে, এই সনদের আদেশের পরে যারাই নির্বাচিত সরকারে আসবে তারা ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যেই এগুলোকে সাংবিধানিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আর যদি না করে এটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে গৃহীত হয়েছে বলে বিবেচিত হবে। এটা গ্রহণ করার একটা স্বয়ংক্রিয় বাধ্যবাধকতার সুযোগ এখানে ছিল এবং এটাই বাঞ্ছনীয়। ‘কোনো দল ক্ষমতায় গিয়ে যদি এটা করতে না চায়, তাইলে তার ওপরে বাধ্যবাধকতা থাকার সুযোগ না থাকলে, তাহলে এই যে সনদ এতদিনের ঐকমত্য কমিশনের যে প্রচেষ্টা সেটাই ব্যর্থ হয়ে যাবে পরিপূর্ণভাবে।’

কিন্তু প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে এই বাধ্যবাধকতা রাখা হয়নি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এটাও বিএনপির দাবিকেই পূরণ করা হয়েছে। তারা বলেছেন করতে হবে এবং করতে হওয়ার যে আইনি ব্যাখ্যাটা এটা সরকার সেখানে দেয়নি। তাহলে বাধ্যবাধকতার যে পয়েন্টটা ছিল সেখান থেকেও সরকার সরে আসছে এবং এটাও বিএনপির দাবিকেই পক্ষান্তরে পূরণ করা হয়েছে।’

‘প্রধান উপদেষ্টাকে বিভ্রান্ত করছেন তিন উপদেষ্টা’

জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, ‘আজকে আমি খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই যে, প্রধান উপদেষ্টাকে নানাভাবে বিভ্রান্ত করছেন তিনজন উপদেষ্টা। তারা ভুল তথ্য দিয়ে নানাভাবে বুঝিয়ে একটি দলের হয়ে কাজ করে সরকারকে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন যাতে হতে না পারে সেদিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি সুকৌশলে অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।’

‘আট দল ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত’

তাহের বলেন, ‘আমরা এই মুহূর্তে স্পষ্টভাবে ঘোষণা দিতে চাই, আমরা আট দল এবং আমাদের সঙ্গে আরও কিছু দল আছে যারা ফরমালি না আসলেও আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ আছে, আমরা সবাই আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে রোজার আগেই একটি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক এ ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সেজন্যই আমরা আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করার জন্য মাঠে কাজ করছি। ‘কিন্তু যে কারণে জনগণ বিগত ১৫ বছর আওয়ামী লীগের আমলে বঞ্চিত হয়েছিল ভোট থেকে এবং সেরকম অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আজকে বাংলাদেশের এই দুরবস্থা তৈরি হয়েছে। ঠিক একইভাবে আরেকটি নির্বাচনের মহড়া চলছে কিনা? আরেকটি পরিকল্পিত এবং পূর্বনির্ধারিত নির্বাচনের রায়ের ভিত্তিতে নির্বাচন হচ্ছে কিনা, এ ব্যাপারে আমাদের মনে এবং জনগণের মনে আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘সরকারের আচরণ আমাদেরকে এই কথা বিশ্বাস করতে বাধ্য করছে যে, এই সরকারের অধীনেও কোনো সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন করা সম্ভব নয়। নির্বাচন অবাধ হওয়ার ব্যাপারে আমাদের ভেতরে যথেষ্ট শঙ্কা এবং আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে। ‘আমরা দেখছি এই সরকার আসার পর থেকে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ যেটা তৈরির জন্য আমরা বলেছি সেটার ব্যাপারে সরকার আদৌ মনোযোগী নন। বরং সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টার সহযোগিতায় একটি বিশেষ দলের পক্ষ থেকে প্রশাসনকে দলীয় প্রশাসনে রূপান্তর করার জন্য চেষ্টা হচ্ছে।’

back to top