নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, ‘আমার জনগণ কখনো কোনো সন্ত্রাসী, খুনি, গডফাদারকে গ্রহণ করেনি। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এটা বারবার প্রমাণিত হয়েছে। আমার জনগণ এটা কখনো গ্রহণ করে না আর করবেও না। কেন্দ্র কেন্দ্রের কাজ করবে, দল দলের কাজ করবে, জনতা জনতার কাজ করবে।’
রোববার (৯ জানুয়ারি) সকালে ২২নং ওয়ার্ডে প্রচারণা শুরুর পূর্বে বন্দর খেয়াঘাটে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন৷
তিনি আরও বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের ভোটাররা আমার কথা বলে, ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা আমার কথা বলে। আমার বিরুদ্ধে প্রচুর অপপ্রচার চালানো হয়েছে, বিভ্রান্ত করা হয়েছে। ধর্মীয় উসকানি দেয়া হয়েছে। কোনোটাতেই কাজ হয়নি। আগেও হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না। আমি বিভিন্ন ধর্মের জন্য কাজ করেছি। আশাকরি মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান কেউ অপপ্রচারে কান দিবে না। সাধারণ মানুষ আমার পাশে থাকবে। তারা ভয় পাবে না।’
শামীম ওসমান প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি শামীম ওসমানকে ‘গডফাদার’ উপাধি দেইনি। এটা তার দীর্ঘদিনের উপাধি। শুধু নারায়ণগঞ্জ না সারা বাংলাদেশ তা জানে। আওয়ামী লীগ একটি বিশাল বড় দল। এখানে সবার স্থান আছে। যারা চলে যাওয়ার তারা চলে যাবে আর যারা টিকে থাকার তারা থাকবে৷ কে কী বলল, কে কী করল তাতে প্রধানমন্ত্রীর কিছু যায় আসে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘জনপ্রতিনিধি জনগণের। গত তিনবার পাশ করার পর আমি বলেছি, আমি সকলের ভোটে পাশ করেছি কিন্তু আমার পরিচয় আমি আওয়ামী লীগ। আমি বংশগতভাবে আওয়ামী লীগ করি, আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী। কিন্তু আমি কাজ করবো সকলের জন্য। আমি যখন রাস্তা করি তখন আওয়ামী লীগ, বিএনপি দেখি না। সুতরাং আমি দলমতের উর্ধ্বে উঠে কাজ করবো। এখনো করছি, ভবিষ্যতেও করবো।’
নির্বাচনে শামীম ওসমানের সমর্থন বিষয়ে আইভী বলেন, ‘উনি আমার দলের লোক। সমর্থন দিলে দিবে, না দিলে না দিবে। দলে থাকতেই পারে, আমাকে অপছন্দ করতেই পারে। এটা কোনো ব্যাপার না। আমি আমার বড় ভাইকে সম্মানিত করার চেষ্টা করেছি। উনি যদি উনার দায়িত্ব পালন না করে, তাহলে আমার কিছু করার নাই। জনতা যে রায় দিবে সেটাই রায়। ষড়যন্ত্র তো করবেই কিন্তু ধ্বংস করে দিবে জনগণ।’
প্রচারণায় আইভীর সাথে ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল কাদির, যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ান, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রানু খন্দকার, নাসিকের ২২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান আহমেদ ভূঁইয়া, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর শাওন অংকন, মহানগর যুবলীগের সহসভাপতি কামরুল হুদা বাবু, যুবলীগ নেতা আব্দুল মোতালিব, শরীফ হীরা, হিমেল খানসহ স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ৷
রোববার, ০৯ জানুয়ারী ২০২২
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, ‘আমার জনগণ কখনো কোনো সন্ত্রাসী, খুনি, গডফাদারকে গ্রহণ করেনি। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এটা বারবার প্রমাণিত হয়েছে। আমার জনগণ এটা কখনো গ্রহণ করে না আর করবেও না। কেন্দ্র কেন্দ্রের কাজ করবে, দল দলের কাজ করবে, জনতা জনতার কাজ করবে।’
রোববার (৯ জানুয়ারি) সকালে ২২নং ওয়ার্ডে প্রচারণা শুরুর পূর্বে বন্দর খেয়াঘাটে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন৷
তিনি আরও বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের ভোটাররা আমার কথা বলে, ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা আমার কথা বলে। আমার বিরুদ্ধে প্রচুর অপপ্রচার চালানো হয়েছে, বিভ্রান্ত করা হয়েছে। ধর্মীয় উসকানি দেয়া হয়েছে। কোনোটাতেই কাজ হয়নি। আগেও হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না। আমি বিভিন্ন ধর্মের জন্য কাজ করেছি। আশাকরি মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান কেউ অপপ্রচারে কান দিবে না। সাধারণ মানুষ আমার পাশে থাকবে। তারা ভয় পাবে না।’
শামীম ওসমান প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি শামীম ওসমানকে ‘গডফাদার’ উপাধি দেইনি। এটা তার দীর্ঘদিনের উপাধি। শুধু নারায়ণগঞ্জ না সারা বাংলাদেশ তা জানে। আওয়ামী লীগ একটি বিশাল বড় দল। এখানে সবার স্থান আছে। যারা চলে যাওয়ার তারা চলে যাবে আর যারা টিকে থাকার তারা থাকবে৷ কে কী বলল, কে কী করল তাতে প্রধানমন্ত্রীর কিছু যায় আসে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘জনপ্রতিনিধি জনগণের। গত তিনবার পাশ করার পর আমি বলেছি, আমি সকলের ভোটে পাশ করেছি কিন্তু আমার পরিচয় আমি আওয়ামী লীগ। আমি বংশগতভাবে আওয়ামী লীগ করি, আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী। কিন্তু আমি কাজ করবো সকলের জন্য। আমি যখন রাস্তা করি তখন আওয়ামী লীগ, বিএনপি দেখি না। সুতরাং আমি দলমতের উর্ধ্বে উঠে কাজ করবো। এখনো করছি, ভবিষ্যতেও করবো।’
নির্বাচনে শামীম ওসমানের সমর্থন বিষয়ে আইভী বলেন, ‘উনি আমার দলের লোক। সমর্থন দিলে দিবে, না দিলে না দিবে। দলে থাকতেই পারে, আমাকে অপছন্দ করতেই পারে। এটা কোনো ব্যাপার না। আমি আমার বড় ভাইকে সম্মানিত করার চেষ্টা করেছি। উনি যদি উনার দায়িত্ব পালন না করে, তাহলে আমার কিছু করার নাই। জনতা যে রায় দিবে সেটাই রায়। ষড়যন্ত্র তো করবেই কিন্তু ধ্বংস করে দিবে জনগণ।’
প্রচারণায় আইভীর সাথে ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল কাদির, যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ান, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রানু খন্দকার, নাসিকের ২২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান আহমেদ ভূঁইয়া, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর শাওন অংকন, মহানগর যুবলীগের সহসভাপতি কামরুল হুদা বাবু, যুবলীগ নেতা আব্দুল মোতালিব, শরীফ হীরা, হিমেল খানসহ স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ৷