রিজার্ভ কমে যাওয়ায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ এর কাছে ঋণ চেয়েছে সরকার। আইএমএফের ঋণ পেতে সরকার জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে জনগণকে বিপদে ফেলেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (৬ আগস্ট) নয়াপল্টনে বিদ্যুৎখাতে দুর্নীতি বিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশের গুলিতে ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিমকে হত্যার প্রতিবাদে ছাত্রদলের প্রতিবাদী ছাত্র সমাবেশ এ মন্তব্য করেন তিনি।
জ্বালানি সঙ্কটের মধ্যে ডলার বাঁচাতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমিয়েছে সরকার। এরমধ্যে আইএমএফের কাছে সরকারের ঋণ চাওয়ার পরপরই জ্বালানি তেলের দাম বাড়ল।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকার আইএমমএফের কাছে ঋণ চেয়েছে প্রায় ৪০০ কোটি ডলার। কারণ তারা এত মিথ্যাচার করে এসেছে যে, রিজার্ভে এত এত ডলার জমা আছে, চিন্তার কারণ নেই। আজকে রিজার্ভ কমে যাওয়ার কারণে আইএমএফ, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, এডিবির কাছে ঋণ চেয়েছে। আইএমএফের ঋণের শর্ত খুব শক্ত। তারা বলেছে যে, কোথাও কোনো অধিক ব্যয় করা যাবে না…তারা বলেছে, আজকে যেসব সমস্ত খাতে ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে, সেই ভর্তুকিগুলো প্রত্যাহার করা হোক।
মির্জা ফখরুল বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের জীবনযাত্রা যখন সঙ্কটে, তখন জ্বালানি তেলের দাম বাড়াকে ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ বলে মন্তব্য করেন। জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির একটা ভয়ঙ্ককর প্রভাব ফেলবে সমগ্র দেশের অর্থনীতির উপরে। এটা বাংলাদেশের মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। এই জ্বালানি তেলে মূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যাবে পরিবহন ভাড়া। একই সঙ্গে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য চাল-ডাল-আটা-তেলের দাম আবার দ্বিগুণ হয়ে যাবে। মাঝ খান থেকে ক্ষতিগ্রস্থ হবে কে? ক্ষতিগ্রস্থ হবে আমাদের সাধারণ মানুষ, যারা দিন আনে দিন খায়।
আওয়ামী লীগের শাসনে দেশ সঙ্কটে রয়েছে দাবি করে তাদের ক্ষমা থেকে হটাতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।
তিনি আরও বলেন, আর সময় নেই। আমাদের সকলকে জেগে উঠতে হবে, জেগে উঠে সরকারকে পরাজিত করতে হবে। আসুন আমরা আজকে সেই লক্ষ্যে আরো দৃঢ় ঐক্য গড়ে তুলি।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি কোন ষড়যন্ত করে না, রাজপথে আন্দোলন করে। ষড়যন্ত্র করে আওয়ামী লীগ।
ছাত্রদলের এই সমাবেশে সংগঠনের ঢাকা মহানগর ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নেতা-কর্মীরা যোগ দেন। ছাত্রদল সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ এবং সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিবের পরিচালনায় ছাত্র সমাবেশে বিএনপির শামসুজ্জামান দুদু, আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, রুহুল কবির রিজভীসহ প্রমূখ নেতারা বক্তব্য রাখেন।
শনিবার, ০৬ আগস্ট ২০২২
রিজার্ভ কমে যাওয়ায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ এর কাছে ঋণ চেয়েছে সরকার। আইএমএফের ঋণ পেতে সরকার জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে জনগণকে বিপদে ফেলেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (৬ আগস্ট) নয়াপল্টনে বিদ্যুৎখাতে দুর্নীতি বিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশের গুলিতে ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিমকে হত্যার প্রতিবাদে ছাত্রদলের প্রতিবাদী ছাত্র সমাবেশ এ মন্তব্য করেন তিনি।
জ্বালানি সঙ্কটের মধ্যে ডলার বাঁচাতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমিয়েছে সরকার। এরমধ্যে আইএমএফের কাছে সরকারের ঋণ চাওয়ার পরপরই জ্বালানি তেলের দাম বাড়ল।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকার আইএমমএফের কাছে ঋণ চেয়েছে প্রায় ৪০০ কোটি ডলার। কারণ তারা এত মিথ্যাচার করে এসেছে যে, রিজার্ভে এত এত ডলার জমা আছে, চিন্তার কারণ নেই। আজকে রিজার্ভ কমে যাওয়ার কারণে আইএমএফ, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, এডিবির কাছে ঋণ চেয়েছে। আইএমএফের ঋণের শর্ত খুব শক্ত। তারা বলেছে যে, কোথাও কোনো অধিক ব্যয় করা যাবে না…তারা বলেছে, আজকে যেসব সমস্ত খাতে ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে, সেই ভর্তুকিগুলো প্রত্যাহার করা হোক।
মির্জা ফখরুল বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের জীবনযাত্রা যখন সঙ্কটে, তখন জ্বালানি তেলের দাম বাড়াকে ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ বলে মন্তব্য করেন। জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির একটা ভয়ঙ্ককর প্রভাব ফেলবে সমগ্র দেশের অর্থনীতির উপরে। এটা বাংলাদেশের মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। এই জ্বালানি তেলে মূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যাবে পরিবহন ভাড়া। একই সঙ্গে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য চাল-ডাল-আটা-তেলের দাম আবার দ্বিগুণ হয়ে যাবে। মাঝ খান থেকে ক্ষতিগ্রস্থ হবে কে? ক্ষতিগ্রস্থ হবে আমাদের সাধারণ মানুষ, যারা দিন আনে দিন খায়।
আওয়ামী লীগের শাসনে দেশ সঙ্কটে রয়েছে দাবি করে তাদের ক্ষমা থেকে হটাতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।
তিনি আরও বলেন, আর সময় নেই। আমাদের সকলকে জেগে উঠতে হবে, জেগে উঠে সরকারকে পরাজিত করতে হবে। আসুন আমরা আজকে সেই লক্ষ্যে আরো দৃঢ় ঐক্য গড়ে তুলি।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি কোন ষড়যন্ত করে না, রাজপথে আন্দোলন করে। ষড়যন্ত্র করে আওয়ামী লীগ।
ছাত্রদলের এই সমাবেশে সংগঠনের ঢাকা মহানগর ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নেতা-কর্মীরা যোগ দেন। ছাত্রদল সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ এবং সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিবের পরিচালনায় ছাত্র সমাবেশে বিএনপির শামসুজ্জামান দুদু, আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, রুহুল কবির রিজভীসহ প্রমূখ নেতারা বক্তব্য রাখেন।