গণতন্ত্র মঞ্চের বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল
সরকার ও শাসনব্যবস্থা বদলাতে জনগণকে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ।
‘ফ্যাসিবাদ হটাও, শাসনব্যবস্থা বদলাও এবং জ্বালানি তেলের অযৌক্তিক দাম বৃদ্ধি রুখে দাঁড়াও’ এ স্লোগান সামনে রেখে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ আহ্বান জানান সংগঠনটির নেতারা।
আজ ১১ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না।
সভাপতির ভাষণে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এখন যারা ক্ষমতায় আছে তারা ভোট ডাকাত, চোর, লুটেরা; এরা জনগণের সাথে প্রতারণা করে জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। আমরা (গণতন্ত্র মঞ্চ) এই গণবিরোধী সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে দিতে চাই।
তিনি আরো বলেন, আমাদের লক্ষ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ে তুলতে চাই; দেশে যাতে আইনের শাসন থাকে সে-রকম একটি সমাজ নির্মাণ করতে চাই। তখনকার রাষ্ট্র তখনকার সমাজ এই লুটেরা সরকারের বিচার করবে। ন্যায্যতা, সামাজিক মূল্যবোধ, সামাজিক ন্যায়বিচারের সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য লড়ছে গণতন্ত্র মঞ্চ। এই সরকারকে উচ্ছেদ করা ছাড়া সেই বিনির্মাণ সম্ভব নয়।
আ স ম আব্দুর রব বলেন, সরকার জনগণকে জিম্মি করে গ্যাস তেলের দাম বাড়িয়ে এখন গ্যাস-পানির দাম বাড়ানোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। এই সরকার টিকে আছে তার হেলমেট বাহিনী, রক্ষীবাহিনী এবং গুম-হত্যা করে। আমাদের এই আন্দোলন কোনো ব্যক্তি বা দলের বিরুদ্ধে নয়। এই আন্দোলন একটি ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে।
সাইফুল হক বলেন, এই সরকার কি দেশ চালাতে পারছে? এই সরকার কি নির্বাচিত সরকার- না। এই সরকার যদি ক্ষমতায় থাকে মানুষ তার জানমাল নিয়ে বেঁচে থাকতে পারবে না। এই সরকারকে ক্ষমতায় রেখে মানুষ ভোট দিতে পারবে না, ভোটকেন্দ্রেও যেতে পারবে না। এই সরকারের অধীনে দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যতও নাই। গণতন্ত্র মঞ্চ রাজপথে নামার আগে সরকারি দলের বেসামাল পরিস্থিতি। তাদের হাঁটুকাঁপা শুরু হয়েছে, বুকে দুরু দুরু শুরু হয়েছে।
সমাবেশে জোনায়েদ সাকি বলেন, ভোটডাকাতির সরকার মধ্যরাতে জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে দিয়ে সারা বাংলাদেশের মানুষের জীবনকে নাভিশ্বাস পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ইতিমধ্যেই মানুষের জীবন নাকাল, সেই নাকাল জীবনকে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিয়েছে সরকার। বর্তমান সরকার মানুষকে খুন করেছেন, গুম করেছেন, মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছেন। নাগরিকদের প্রাথমিক মর্যাদা তার ভোটের অধিকারটুকুও কেড়ে নিয়েছেন। মিথ্যাচার করে তারা গদি রক্ষা করতে চায়। যারাই বাংলাদেশে ভোট চুরিকে জায়েজ করবেন তারাই ইতিহাসের শত্রু। তারা বাংলাদেশের মানুষের শত্রু। গুম, খুন করে সরকার জনগণকে ভয় দেখায়- আমাদের প্রথম কাজ হচ্ছে ভয় কাটানো।
শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, দেশের মানুষ আজ বাঁচবে কি বাঁচবে না এমন একটি লড়াই আমাদের সামনে এসে উপস্থিত হয়েছে। এই দেশের মানুষকে বাঁচাতে হলে এই কুখ্যাত স্বৈরাচারী, কর্তৃত্ববাদী সরকারকে অবিলম্বে ক্ষমতা থেকে হটাতে হবে।
হাসনাত কাইয়ূম বলেন, বাংলাদেশের সরকার জনগণের সাথে যেসব মিথ্যাচার করে- এর জন্য তারা বিভিন্ন বিষয়কে সামনে আনে। আজকে জ্বালনি তেলের দাম বাড়ানোর জন্য তারা সামনে আনছে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কথা; অথচ কিছুদিন আগে একটি দৈনিক পত্রিকা সুষ্ঠুভাবে হিসেব দেখিয়েছে এ-সংকট তৈরি হয়েছে তাদের ডলার পাচারের জন্য, রিজার্ভ চুরির জন্য।
গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নূরুল হক নূর বলেন, জিনিসপত্রের দাম দিগুণ হয়েছে, সরকার কোনো ভ্রুক্ষেপ করছে না। কৃষি-উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে, সার, জ্বালানির দাম বাড়ায় কৃষক ব্যপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, খাদ্যঘাটতি প্রকট হবে। এই সরকার গুলি করে, পারলে কামান-ট্যাংক দিয়ে জনবিক্ষোভকে বা বিরোধী মতকে দমন করার চেষ্টা করছে। কামান-ট্যাংকের সামনে দাঁড়িয়েও যদি দেশকে রক্ষা করা না যায় তাহলে দেশের স্বাধীনতা-স্বার্বভৌমত্ব বিলীন হয়ে যাবে।
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন জেএসডির কেন্দ্রীয় নেতা তানিয়া রব, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, রাষ্ট্রসংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন, গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক রাশেদ খান প্রমুখ।
গণতন্ত্র মঞ্চের বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল
বৃহস্পতিবার, ১১ আগস্ট ২০২২
সরকার ও শাসনব্যবস্থা বদলাতে জনগণকে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ।
‘ফ্যাসিবাদ হটাও, শাসনব্যবস্থা বদলাও এবং জ্বালানি তেলের অযৌক্তিক দাম বৃদ্ধি রুখে দাঁড়াও’ এ স্লোগান সামনে রেখে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ আহ্বান জানান সংগঠনটির নেতারা।
আজ ১১ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না।
সভাপতির ভাষণে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এখন যারা ক্ষমতায় আছে তারা ভোট ডাকাত, চোর, লুটেরা; এরা জনগণের সাথে প্রতারণা করে জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। আমরা (গণতন্ত্র মঞ্চ) এই গণবিরোধী সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে দিতে চাই।
তিনি আরো বলেন, আমাদের লক্ষ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ে তুলতে চাই; দেশে যাতে আইনের শাসন থাকে সে-রকম একটি সমাজ নির্মাণ করতে চাই। তখনকার রাষ্ট্র তখনকার সমাজ এই লুটেরা সরকারের বিচার করবে। ন্যায্যতা, সামাজিক মূল্যবোধ, সামাজিক ন্যায়বিচারের সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য লড়ছে গণতন্ত্র মঞ্চ। এই সরকারকে উচ্ছেদ করা ছাড়া সেই বিনির্মাণ সম্ভব নয়।
আ স ম আব্দুর রব বলেন, সরকার জনগণকে জিম্মি করে গ্যাস তেলের দাম বাড়িয়ে এখন গ্যাস-পানির দাম বাড়ানোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। এই সরকার টিকে আছে তার হেলমেট বাহিনী, রক্ষীবাহিনী এবং গুম-হত্যা করে। আমাদের এই আন্দোলন কোনো ব্যক্তি বা দলের বিরুদ্ধে নয়। এই আন্দোলন একটি ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে।
সাইফুল হক বলেন, এই সরকার কি দেশ চালাতে পারছে? এই সরকার কি নির্বাচিত সরকার- না। এই সরকার যদি ক্ষমতায় থাকে মানুষ তার জানমাল নিয়ে বেঁচে থাকতে পারবে না। এই সরকারকে ক্ষমতায় রেখে মানুষ ভোট দিতে পারবে না, ভোটকেন্দ্রেও যেতে পারবে না। এই সরকারের অধীনে দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যতও নাই। গণতন্ত্র মঞ্চ রাজপথে নামার আগে সরকারি দলের বেসামাল পরিস্থিতি। তাদের হাঁটুকাঁপা শুরু হয়েছে, বুকে দুরু দুরু শুরু হয়েছে।
সমাবেশে জোনায়েদ সাকি বলেন, ভোটডাকাতির সরকার মধ্যরাতে জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে দিয়ে সারা বাংলাদেশের মানুষের জীবনকে নাভিশ্বাস পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ইতিমধ্যেই মানুষের জীবন নাকাল, সেই নাকাল জীবনকে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিয়েছে সরকার। বর্তমান সরকার মানুষকে খুন করেছেন, গুম করেছেন, মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছেন। নাগরিকদের প্রাথমিক মর্যাদা তার ভোটের অধিকারটুকুও কেড়ে নিয়েছেন। মিথ্যাচার করে তারা গদি রক্ষা করতে চায়। যারাই বাংলাদেশে ভোট চুরিকে জায়েজ করবেন তারাই ইতিহাসের শত্রু। তারা বাংলাদেশের মানুষের শত্রু। গুম, খুন করে সরকার জনগণকে ভয় দেখায়- আমাদের প্রথম কাজ হচ্ছে ভয় কাটানো।
শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, দেশের মানুষ আজ বাঁচবে কি বাঁচবে না এমন একটি লড়াই আমাদের সামনে এসে উপস্থিত হয়েছে। এই দেশের মানুষকে বাঁচাতে হলে এই কুখ্যাত স্বৈরাচারী, কর্তৃত্ববাদী সরকারকে অবিলম্বে ক্ষমতা থেকে হটাতে হবে।
হাসনাত কাইয়ূম বলেন, বাংলাদেশের সরকার জনগণের সাথে যেসব মিথ্যাচার করে- এর জন্য তারা বিভিন্ন বিষয়কে সামনে আনে। আজকে জ্বালনি তেলের দাম বাড়ানোর জন্য তারা সামনে আনছে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কথা; অথচ কিছুদিন আগে একটি দৈনিক পত্রিকা সুষ্ঠুভাবে হিসেব দেখিয়েছে এ-সংকট তৈরি হয়েছে তাদের ডলার পাচারের জন্য, রিজার্ভ চুরির জন্য।
গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নূরুল হক নূর বলেন, জিনিসপত্রের দাম দিগুণ হয়েছে, সরকার কোনো ভ্রুক্ষেপ করছে না। কৃষি-উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে, সার, জ্বালানির দাম বাড়ায় কৃষক ব্যপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, খাদ্যঘাটতি প্রকট হবে। এই সরকার গুলি করে, পারলে কামান-ট্যাংক দিয়ে জনবিক্ষোভকে বা বিরোধী মতকে দমন করার চেষ্টা করছে। কামান-ট্যাংকের সামনে দাঁড়িয়েও যদি দেশকে রক্ষা করা না যায় তাহলে দেশের স্বাধীনতা-স্বার্বভৌমত্ব বিলীন হয়ে যাবে।
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন জেএসডির কেন্দ্রীয় নেতা তানিয়া রব, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, রাষ্ট্রসংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন, গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক রাশেদ খান প্রমুখ।