ময়মনসিংহে বিএনপির মতবিনিময় সভা
ময়মনসিংহে বিএনপি মিডিয়া সেল আয়োজিত ‘জবাবদিহি মূলক রাষ্ট্র গঠনে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনোত্তর জাতীয় সরকার ও দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট জাতীয় সংসদ অপরিহার্য’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকালে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপি মিডিয়া সেলের আহবায়ক জহির উদ্দিন স্বপন। মিডিয়া সেলের সদস্য কাদের গণি চৌধুরীর সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব শহিদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি।
তিনি এক লিখিত বক্তব্যে বিনা ভোটে নির্বাচিত সরকার দেশে আইনশৃংখলা বাহিনী দিয়ে গুম-খুন আর মানবাধিকার লংগনের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতায় টিকে রয়েছে বলে উল্লেখ করে বলেন, সরকার রাষ্ট্রের বিচার ব্যবস্থাসহ সকল সাংবিধানিক ও বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানকে অকার্যকর করে রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করে ফ্যাসিবাদ শাসন ব্যবস্থা চলমান রেখেছে।
তিনি আওয়ামী লীগ সরকারকে মাফিয়া সরকার আখ্যায়িত করে বলেন, দূদক ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ক্ষুন্ন করে দেশকে লুটপাট ও দূর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে। গত এক যুগে অবৈধভাবে বিদেশে ১০ লক্ষ কোটি টাকা পাচার করে দিয়ে তার প্রমাণ করেছে।
অন্য বক্তারা বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মূলমন্ত্র গণতন্ত্র, সাম্য, মানবাধিকার আর সামাজিক সুবিচার আজ ভূলুন্ঠিত। দেশের মানুষ গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার হারিয়ে নিজ দেশেই যেন পরাধীন। সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে প্রকাশ্যে অন্য দেশের করুনা ভিক্ষা করে। দেশকে আওয়ামী দুশাসন থেকে রক্ষা করতে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশের প্রতিটি নাগরিকের পবিত্র দায়িত্ব পালন করতে হবে।
নেতারা বলেন, এই আন্দোলনে বিএনপি অতিতের চেয়ে আরও সচেতনভাবে সকল গণতন্ত্র শক্তিকে ঐক্যবদ্ব করে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। এই আন্দোলনের নেতৃত্বকে প্রতিহত করতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রনোদিত মামলা দিয়ে বিএনপির নেত্রী দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বেড়াজালে বন্দি করে রাখা হয়েছে। শুধু তাই নয় সারা দেশে বিএনপি বিএনপির নেতাকর্মীদের হামলা ও মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রতিহত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাই গণতন্ত্রকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে ও জণগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে জনপ্রতিনিধিত্বশীল জাতীয় ঐক্য অতীব জরুরী বলে মনে করে বিএনপি। এই জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমেই পার্লামেন্টারি কাঠামোতে পরিবর্তণ এনে তারেক রহমান ঘোষিত দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট গঠন করতে চায় বিএনপি।
সভায় শহিদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি একটি সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে জয়লাভের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিএনপির অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কার্যকরি উদ্যোগ গ্রহনের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। তারমধ্যে সাংবিধানিক সংস্কার, প্রশাসনিক সংস্কারের লক্ষ্যে সংস্কার কমিশন গঠন, ন্যায়বিচারের লক্ষ্যে জুডিশিয়াল কমিশন গঠন, ‘নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার’ ব্যবস্থা স্থায়ীভাবে প্রবর্তন ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার লক্ষ্যে মিডিয়া কমিশন গঠনসহ ১৮টি প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করেন।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সাবেক উপাচার্য প্রফেসর মোশাররফ হোসেন মিয়া, ব্যারিষ্টার মীর হেলাল উদ্দিন, প্রফেসর মোর্শেদ হাসান খান, সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আক্তার, এডভোকেট আব্দুল বারী, এডভোকেট বাধন কুমার গোস্বামী, বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী, প্রফেসার এএসএম গোলাম হাফিজ কেনেডি, প্রফেসার ডা. একেএম মুসা শাহিন, সাংবাদিক সুপ্রিয় ধর বাচ্চু, সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম, প্রফেসর একেএম ফজলুল হক ভূঞা, ড. মোহাম্মদ আবুল হাসেম., ডা. সায়েম মনোয়ার, প্রফেসর ড. সাদেকা হক শম্পা, প্রফেসর ড. জি কে মোস্তাফিজুর রহমান, এডভোকেট নূরুল হক, এডভোকেট এফ আই এম মঞ্জুরুল হক বাচ্চু, গণফোরামের এডভোকেট রায়হান উদ্দিন, সুনিল বর্মণ। এছাড়াও সভায় ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন শ্রেণীপেশার বিশিষ্টজনেরা অংশ নেন।
ময়মনসিংহে বিএনপির মতবিনিময় সভা
শনিবার, ০১ অক্টোবর ২০২২
ময়মনসিংহে বিএনপি মিডিয়া সেল আয়োজিত ‘জবাবদিহি মূলক রাষ্ট্র গঠনে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনোত্তর জাতীয় সরকার ও দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট জাতীয় সংসদ অপরিহার্য’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকালে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপি মিডিয়া সেলের আহবায়ক জহির উদ্দিন স্বপন। মিডিয়া সেলের সদস্য কাদের গণি চৌধুরীর সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব শহিদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি।
তিনি এক লিখিত বক্তব্যে বিনা ভোটে নির্বাচিত সরকার দেশে আইনশৃংখলা বাহিনী দিয়ে গুম-খুন আর মানবাধিকার লংগনের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতায় টিকে রয়েছে বলে উল্লেখ করে বলেন, সরকার রাষ্ট্রের বিচার ব্যবস্থাসহ সকল সাংবিধানিক ও বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানকে অকার্যকর করে রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করে ফ্যাসিবাদ শাসন ব্যবস্থা চলমান রেখেছে।
তিনি আওয়ামী লীগ সরকারকে মাফিয়া সরকার আখ্যায়িত করে বলেন, দূদক ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ক্ষুন্ন করে দেশকে লুটপাট ও দূর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে। গত এক যুগে অবৈধভাবে বিদেশে ১০ লক্ষ কোটি টাকা পাচার করে দিয়ে তার প্রমাণ করেছে।
অন্য বক্তারা বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মূলমন্ত্র গণতন্ত্র, সাম্য, মানবাধিকার আর সামাজিক সুবিচার আজ ভূলুন্ঠিত। দেশের মানুষ গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার হারিয়ে নিজ দেশেই যেন পরাধীন। সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে প্রকাশ্যে অন্য দেশের করুনা ভিক্ষা করে। দেশকে আওয়ামী দুশাসন থেকে রক্ষা করতে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশের প্রতিটি নাগরিকের পবিত্র দায়িত্ব পালন করতে হবে।
নেতারা বলেন, এই আন্দোলনে বিএনপি অতিতের চেয়ে আরও সচেতনভাবে সকল গণতন্ত্র শক্তিকে ঐক্যবদ্ব করে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। এই আন্দোলনের নেতৃত্বকে প্রতিহত করতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রনোদিত মামলা দিয়ে বিএনপির নেত্রী দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বেড়াজালে বন্দি করে রাখা হয়েছে। শুধু তাই নয় সারা দেশে বিএনপি বিএনপির নেতাকর্মীদের হামলা ও মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রতিহত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাই গণতন্ত্রকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে ও জণগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে জনপ্রতিনিধিত্বশীল জাতীয় ঐক্য অতীব জরুরী বলে মনে করে বিএনপি। এই জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমেই পার্লামেন্টারি কাঠামোতে পরিবর্তণ এনে তারেক রহমান ঘোষিত দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট গঠন করতে চায় বিএনপি।
সভায় শহিদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি একটি সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে জয়লাভের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিএনপির অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কার্যকরি উদ্যোগ গ্রহনের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। তারমধ্যে সাংবিধানিক সংস্কার, প্রশাসনিক সংস্কারের লক্ষ্যে সংস্কার কমিশন গঠন, ন্যায়বিচারের লক্ষ্যে জুডিশিয়াল কমিশন গঠন, ‘নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার’ ব্যবস্থা স্থায়ীভাবে প্রবর্তন ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার লক্ষ্যে মিডিয়া কমিশন গঠনসহ ১৮টি প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করেন।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সাবেক উপাচার্য প্রফেসর মোশাররফ হোসেন মিয়া, ব্যারিষ্টার মীর হেলাল উদ্দিন, প্রফেসর মোর্শেদ হাসান খান, সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আক্তার, এডভোকেট আব্দুল বারী, এডভোকেট বাধন কুমার গোস্বামী, বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী, প্রফেসার এএসএম গোলাম হাফিজ কেনেডি, প্রফেসার ডা. একেএম মুসা শাহিন, সাংবাদিক সুপ্রিয় ধর বাচ্চু, সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম, প্রফেসর একেএম ফজলুল হক ভূঞা, ড. মোহাম্মদ আবুল হাসেম., ডা. সায়েম মনোয়ার, প্রফেসর ড. সাদেকা হক শম্পা, প্রফেসর ড. জি কে মোস্তাফিজুর রহমান, এডভোকেট নূরুল হক, এডভোকেট এফ আই এম মঞ্জুরুল হক বাচ্চু, গণফোরামের এডভোকেট রায়হান উদ্দিন, সুনিল বর্মণ। এছাড়াও সভায় ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন শ্রেণীপেশার বিশিষ্টজনেরা অংশ নেন।