গত ২২ নভেম্বর রংপুর জেলা বিএনপির শান্তিপুর্ন বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ নেতা কর্মীদের লাঠিপেটা করা এবং ২শ নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করার প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার রংপুর সদর উপজেলা সহ জেলার ৮টি উপজেলা সদরে বিএনপির উদ্যেগে মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে স্থানীয় বিএনপি।

দুপুরে রংপুরের সদর উপজেলার লাহিড়ির হাটে উপজেলা বিএনপির উদ্যেগে মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপি নেতা শফি কামাল এ্যাডভোকেট, আজাহার আলী সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। গঙ্গাচড়া উপজেলা সদরে বিক্ষোভ ও মানব বন্ধনে বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপি সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান মাবু, সাধারন সম্পাদক আখেরুজ্জামান মিলন, বিএনপি নেতা আ্ইয়ুব আলী প্রমুখ। পীরগজ্ঞ উপজেলা সদরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক মাহমুদুন্নবী পলাশ, পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, বদরগজ্ঞ উপজেলা সদরের শহীদ মিনার চত্বরের সমাবেশে বক্তব্য দেন উপজেলা সভাপতি পরিতোষ চক্রবর্তী সাধারন সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শাহাœ, মিঠাপুকুরে বক্তব্য দেন গোলাম রব্বাবনী ও নিক্সন পাইকার। পীরগাছা উপজেলা সদরে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আফসার আলী বিএনপি নেতা আমিনুল ইস লাম রাঙ্গা প্রমুখ।

বক্তারা অভিযোগ করেন ২২ নভেম্বর ব্রাক্ষ্মনবাড়িয়ায় ছাত্রদল নেতা নয়নকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে সারাদেশের বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে রংপুর জেলা বিএনপির শান্তিপুর্ন মিছিল নগরীর শাপলা চত্বর থেকে গ্রান্ড হোটেল মোড়স্থ দলীয় কার্যালয়ে আসার সময় স্যালো মার্কেটের সামনে পুলিশ বিনা উস্কানীতে মিছিলে হামলা চালিয়ে বেদম লাঠি চার্জ করে। মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে দলীয় কার্যালয়ে নেতা কর্মীরা আশ্রয় নিলে পুলিশ দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করে রাইফেলের বাট আর লাঠি দিয়ে নেতা কর্মীদের মারধর করে। এতে দুই নেতার মাথা ফেটে য্য়া এবং কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়। এ ঘটনায় জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম তার আত্মীয়র ওপেন হার্ট সার্জারী অপারেশনে ঢাকায় অবস্থান করলেও তাকে প্রধান আসামী জেলা সম্পাদক লাকু সহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত নামা আরো ২শ জনের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ২৬ নভেম্বর মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ৪৮ ঘন্টার আলটিমেটাম দেয়া হয়। সেই সাথে প্রতিটি উপজেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষনা করা হয়। বক্তারা বলেন কর্মসূটির অংশ হিসেবে জেলার সব উপজেলায় শান্তিপুর্ন বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। এরপরেও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার পুলিশের গন গ্রেফতার অভিযান বন্ধ না হওয়ায় বিএনপি পুরো জেলা অচল করে দেবার কর্মসূচি ঘোষনা করতে বাধ্য হবে বলে ঘোষনা দেয়া হয়।