আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশকে ঘিরে নিজ দলের নেতাকর্মীদের আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা যদি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়, তাহলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে পাল্টা হামলা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। আওয়ামী লীগ জনগণের পাশে আছে। কেউ জনগণের জানমালের ক্ষতি করতে এলে তা প্রতিহত করা হবে।
আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে কেউ তাদের হারাতে পারবে না উল্লেখ করে ভেদাভেদ ভুলে দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ারও আহ্বান জানান তিনি। নির্বাচনের আগে সরকারের নানা উন্নয়ন কর্মকা- বেশি বেশি করে জনগণের সামনে তুলে ধরার পরামর্শও দেন ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) নেত্রকোনা ও নোয়াখালী জেলায় অনুষ্ঠিত দলের দুটি পৃথক সম্মেলনে যোগ দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসব কথা বলেন।
বিকেলে নেত্রকোনায় মোক্তারপাড়া মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘এই উন্নয়ন টিকে রাখতে হলে বারবার শেখ হাসিনা সরকারকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনতে হবে। তা না হলে এই বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে আবার ধ্বংসযজ্ঞ হয়ে যাবে। আমাদের ক্ষমতার উৎস বন্দুকের নলে নয়। জনগণের সমর্থনেই আওয়ামী লীগ টিকে আছে।’ তিনি বলেন, ‘যারা টাকা পাচার করে ৭ বছরের দ-িত হয়েছে তারা আবার নির্বাচন করবে! মুক্তিযুদ্ধকে বাঁচাতে হলে, গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে।’ আগামী নির্বাচনে খেলা হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘যারা আমাদের নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে, তাদের ক্ষমা নেই।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নেত্রকোনায় এসে দেখে যান, সম্মেলনে মানুষের ঢল কাকে বলে। আওয়ামী লীগ জনগণের দল। আওয়ামী লীগের শেকড় অনেক গভীরে গাঁথা। কয়েকটি সমাবেশ করে বিএনপির নেতারা আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা থেকে টেনেহিঁচড়ে নামানোর হুমকি দিচ্ছে। আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে কেউ নির্বাচনে পরাজিত করতে পারবে না। তাই এই মুহূর্তে দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ওইদিন সারাদেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সতর্ক থাকবেন।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপি কর্মীরা কোন ঝামেলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে বা আগুন নিয়ে খেলার চেষ্টা করলে, দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা তাদের অশুভ পরিকল্পনা নস্যাৎ করে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে বাধা দেব।’
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান খানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক, শিক্ষামন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, মির্জা আজম ও শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া প্রমুখ।
নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল ২০১৬ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি। এবার সম্মেলনে নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগের নতুন সভাপতি হিসেবে অ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম এবং নতুন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলাম লিটনের নাম ঘোষণা করেন ওবায়দুল কাদের।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে নোয়াখালী শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে অনুষ্ঠিত নোয়াখালী পৌরসভা ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে ঢাকার সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ওবায়দুল কাদের।
মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি নেতাকর্মীরা ষড়যন্ত্র করছেন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, ‘একটা কথা মনে রাখবেন। আমরা কাজ করে এর জবাব দেব। জনগণ আমাদের সঙ্গে আছেন।’
স্থানীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নোয়াখালীতে আমি আর বিভেদ দেখতে চাই না।’ এ সময় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মুজিব কোট পরলেই মুজিব সৈনিক হওয়া যায় না। মুজিব কোট খুনি খন্দকার মোশতাকও পরেছে। ’৭৫-এর সেই বিশ্বাস ঘাতকেরা পরেছে। মুজিব সৈনিক হতে হলে মুজিবের আদর্শের সৈনিক হতে হবে।’
সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, স্থানীয় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক এএইচএম খায়রুল আনম চৌধুরী প্রমুখ। নোয়াখালী পৌরসভা আওয়ামী লীগের বিদায়ী কমিটির সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টুর সভাপতিত্বে সম্মেলন সঞ্চালনা করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান।
মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর ২০২২
আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশকে ঘিরে নিজ দলের নেতাকর্মীদের আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা যদি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়, তাহলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে পাল্টা হামলা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। আওয়ামী লীগ জনগণের পাশে আছে। কেউ জনগণের জানমালের ক্ষতি করতে এলে তা প্রতিহত করা হবে।
আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে কেউ তাদের হারাতে পারবে না উল্লেখ করে ভেদাভেদ ভুলে দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ারও আহ্বান জানান তিনি। নির্বাচনের আগে সরকারের নানা উন্নয়ন কর্মকা- বেশি বেশি করে জনগণের সামনে তুলে ধরার পরামর্শও দেন ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) নেত্রকোনা ও নোয়াখালী জেলায় অনুষ্ঠিত দলের দুটি পৃথক সম্মেলনে যোগ দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসব কথা বলেন।
বিকেলে নেত্রকোনায় মোক্তারপাড়া মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘এই উন্নয়ন টিকে রাখতে হলে বারবার শেখ হাসিনা সরকারকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনতে হবে। তা না হলে এই বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে আবার ধ্বংসযজ্ঞ হয়ে যাবে। আমাদের ক্ষমতার উৎস বন্দুকের নলে নয়। জনগণের সমর্থনেই আওয়ামী লীগ টিকে আছে।’ তিনি বলেন, ‘যারা টাকা পাচার করে ৭ বছরের দ-িত হয়েছে তারা আবার নির্বাচন করবে! মুক্তিযুদ্ধকে বাঁচাতে হলে, গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে।’ আগামী নির্বাচনে খেলা হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘যারা আমাদের নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে, তাদের ক্ষমা নেই।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নেত্রকোনায় এসে দেখে যান, সম্মেলনে মানুষের ঢল কাকে বলে। আওয়ামী লীগ জনগণের দল। আওয়ামী লীগের শেকড় অনেক গভীরে গাঁথা। কয়েকটি সমাবেশ করে বিএনপির নেতারা আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা থেকে টেনেহিঁচড়ে নামানোর হুমকি দিচ্ছে। আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে কেউ নির্বাচনে পরাজিত করতে পারবে না। তাই এই মুহূর্তে দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ওইদিন সারাদেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সতর্ক থাকবেন।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপি কর্মীরা কোন ঝামেলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে বা আগুন নিয়ে খেলার চেষ্টা করলে, দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা তাদের অশুভ পরিকল্পনা নস্যাৎ করে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে বাধা দেব।’
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান খানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক, শিক্ষামন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, মির্জা আজম ও শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া প্রমুখ।
নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল ২০১৬ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি। এবার সম্মেলনে নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগের নতুন সভাপতি হিসেবে অ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম এবং নতুন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলাম লিটনের নাম ঘোষণা করেন ওবায়দুল কাদের।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে নোয়াখালী শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে অনুষ্ঠিত নোয়াখালী পৌরসভা ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে ঢাকার সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ওবায়দুল কাদের।
মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি নেতাকর্মীরা ষড়যন্ত্র করছেন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, ‘একটা কথা মনে রাখবেন। আমরা কাজ করে এর জবাব দেব। জনগণ আমাদের সঙ্গে আছেন।’
স্থানীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নোয়াখালীতে আমি আর বিভেদ দেখতে চাই না।’ এ সময় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মুজিব কোট পরলেই মুজিব সৈনিক হওয়া যায় না। মুজিব কোট খুনি খন্দকার মোশতাকও পরেছে। ’৭৫-এর সেই বিশ্বাস ঘাতকেরা পরেছে। মুজিব সৈনিক হতে হলে মুজিবের আদর্শের সৈনিক হতে হবে।’
সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, স্থানীয় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক এএইচএম খায়রুল আনম চৌধুরী প্রমুখ। নোয়াখালী পৌরসভা আওয়ামী লীগের বিদায়ী কমিটির সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টুর সভাপতিত্বে সম্মেলন সঞ্চালনা করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান।