৭ ডিসেম্বর আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ হাসিনা আগামী ৭ ডিসেম্বর কক্সবাজার সফরে আসছেন। প্রধানমন্ত্রীর টানা সাড়ে ৫ বছরের বেশি সময় পর কক্সবাজারের এবারের সফরকে অত্যন্ত গুরুত্বের সহকারে নিয়ে জনসভা সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন দলীয় নেতৃবৃন্দ। একই সঙ্গে প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নেওয়া হচ্ছে নানা প্রস্তুতি।
দলীয় সূত্র জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক নৌ মহড়ায় অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজার আসবেন ৭ ডিসেম্বর। ওই দিন উখিয়ার ইনানীস্থ বঙ্গোপসাগরের পাড়ে দাঁড়িয়ে আন্তর্জাতিক নৌ মহড়ায় অংশ গ্রহণ শেষে কক্সবাজার সৈকতের নিকটবর্তী লাবনী পয়েন্টের শহীদ শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিশাল জনসভায় ভাষণ দিবেন প্রধানমন্ত্রী।
ইতোমধ্যে জনসভাস্থলের সকল প্রস্তুতি এগিয়ে চলছে। দিনরাতে টানা চলছে এর সার্বিক প্রস্তুতি। সভাস্থলের আশে-পাশে তোরণ নির্মাণ, ব্যানার প্যাস্টুন দেখা যাচ্ছে সপ্তাহ আগে থেকে।
জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর এবারের জনসভা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের অন্য এলাকার চাইতে কক্সবাজারে বেশি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। কক্সবাজারে রয়েছে মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র, গভীর সমুদ্র বন্দর, কক্সবাজার রেল লাইন প্রকল্প, কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর, মেরিন ড্রাইভ প্রস্থশকরণ, সাব মেরিনের মাধ্যমে কুতুবদিয়ায় বিদ্যুৎ প্রকল্প, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ, সাবরাং এক্সক্লোসিভ ট্যুরিজম জোন, মহেশখালী এলএমজি টার্মিনালসহ অসংখ্য মেঘা প্রকল্প। ৭ ডিসেম্বর কক্সবাজারবাসী তার প্রতিফলন হিসেবে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানানোর জন্য জনসভাস্থলে আসতে প্রস্তুতি শুরু করেছে।
তিনি জানান, কেবল সভাস্থল শহীদ শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়াম নয়; এর আশে-পাশে পুরো কক্সবাজার শহর হবে জনারণ্য। এবারের জনসভায় সাড়ে ৪ লাখ মানুষের জমায়েত হতে পারে। প্রাথমিকভাবে শহীদ শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামের অভ্যন্তরে আড়াই লাখের বেশি মানুষের উপস্থিত হওয়ার উপযুক্ত স্থান। এর আগে সৈকতের লাবণী পয়েন্ট, সুগন্ধা পয়েন্ট, বাহারছড়ার মুক্তিযোদ্ধা চত্বর, হলিডের মোড়, শহীদ সরণী এলাকা, কলাতলীর হোটেল মোটেল জোন হয়ে কলাতলীর ডলফিন মোড় পর্যন্ত মানুষের জমায়েত হবে। এর জন্য পুরো এলাকা জুড়ে দুই শতাধিক মাইক ব্যবহার করা হবে।
ইতোমধ্যে রাতে ও দিনে সভাস্থলেরর সার্বিক প্রস্তুতি এগিয়ে চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সভাস্থলে প্রধানমন্ত্রীর মুল মঞ্চটি হবে নৌকা আকৃতির। এর সাথে থাকবে ৪টি উপ মঞ্চ। যেখানে কেন্দ্রীয় নেতা, জেলা নেতৃবৃন্দ পৃথকভাবে অবস্থান নেবেন। একই সঙ্গে উদ্বোধন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য থাকবে আলাদা মঞ্চ।
কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল আলম চৌধুরী জানান, শহীদ শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সকাল ১০টা থেকে মানুষ সমাগম শুরু হবে। জেলার বিভিন্ন দূরের উপজেলা থেকে অনেকেই আগের দিন ৬ ডিসেম্বর কক্সবাজার শহরে আসবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম জানান, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর আগমণ উপলক্ষে ধারাবাহিকভাবে প্রস্তুতি শেষ করছে। সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সকল প্রকার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর সফরকে প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের প্রস্তুতিমুলক সভা হচ্ছে প্রতিদিন।
উল্লেখ্য, গত ২০১৭ সালের ৬ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বশেষ কক্সবাজার এসেছিলেন। দীর্ঘ সাড়ে ৫ বছরের বেশি সময়ের পর আগামী ৭ ডিসেম্বর আবারও তিনি কক্সবাজার আসছেন।
৭ ডিসেম্বর আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
শুক্রবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২২
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ হাসিনা আগামী ৭ ডিসেম্বর কক্সবাজার সফরে আসছেন। প্রধানমন্ত্রীর টানা সাড়ে ৫ বছরের বেশি সময় পর কক্সবাজারের এবারের সফরকে অত্যন্ত গুরুত্বের সহকারে নিয়ে জনসভা সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন দলীয় নেতৃবৃন্দ। একই সঙ্গে প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নেওয়া হচ্ছে নানা প্রস্তুতি।
দলীয় সূত্র জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক নৌ মহড়ায় অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজার আসবেন ৭ ডিসেম্বর। ওই দিন উখিয়ার ইনানীস্থ বঙ্গোপসাগরের পাড়ে দাঁড়িয়ে আন্তর্জাতিক নৌ মহড়ায় অংশ গ্রহণ শেষে কক্সবাজার সৈকতের নিকটবর্তী লাবনী পয়েন্টের শহীদ শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিশাল জনসভায় ভাষণ দিবেন প্রধানমন্ত্রী।
ইতোমধ্যে জনসভাস্থলের সকল প্রস্তুতি এগিয়ে চলছে। দিনরাতে টানা চলছে এর সার্বিক প্রস্তুতি। সভাস্থলের আশে-পাশে তোরণ নির্মাণ, ব্যানার প্যাস্টুন দেখা যাচ্ছে সপ্তাহ আগে থেকে।
জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর এবারের জনসভা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের অন্য এলাকার চাইতে কক্সবাজারে বেশি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। কক্সবাজারে রয়েছে মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র, গভীর সমুদ্র বন্দর, কক্সবাজার রেল লাইন প্রকল্প, কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর, মেরিন ড্রাইভ প্রস্থশকরণ, সাব মেরিনের মাধ্যমে কুতুবদিয়ায় বিদ্যুৎ প্রকল্প, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ, সাবরাং এক্সক্লোসিভ ট্যুরিজম জোন, মহেশখালী এলএমজি টার্মিনালসহ অসংখ্য মেঘা প্রকল্প। ৭ ডিসেম্বর কক্সবাজারবাসী তার প্রতিফলন হিসেবে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানানোর জন্য জনসভাস্থলে আসতে প্রস্তুতি শুরু করেছে।
তিনি জানান, কেবল সভাস্থল শহীদ শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়াম নয়; এর আশে-পাশে পুরো কক্সবাজার শহর হবে জনারণ্য। এবারের জনসভায় সাড়ে ৪ লাখ মানুষের জমায়েত হতে পারে। প্রাথমিকভাবে শহীদ শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামের অভ্যন্তরে আড়াই লাখের বেশি মানুষের উপস্থিত হওয়ার উপযুক্ত স্থান। এর আগে সৈকতের লাবণী পয়েন্ট, সুগন্ধা পয়েন্ট, বাহারছড়ার মুক্তিযোদ্ধা চত্বর, হলিডের মোড়, শহীদ সরণী এলাকা, কলাতলীর হোটেল মোটেল জোন হয়ে কলাতলীর ডলফিন মোড় পর্যন্ত মানুষের জমায়েত হবে। এর জন্য পুরো এলাকা জুড়ে দুই শতাধিক মাইক ব্যবহার করা হবে।
ইতোমধ্যে রাতে ও দিনে সভাস্থলেরর সার্বিক প্রস্তুতি এগিয়ে চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সভাস্থলে প্রধানমন্ত্রীর মুল মঞ্চটি হবে নৌকা আকৃতির। এর সাথে থাকবে ৪টি উপ মঞ্চ। যেখানে কেন্দ্রীয় নেতা, জেলা নেতৃবৃন্দ পৃথকভাবে অবস্থান নেবেন। একই সঙ্গে উদ্বোধন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য থাকবে আলাদা মঞ্চ।
কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল আলম চৌধুরী জানান, শহীদ শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সকাল ১০টা থেকে মানুষ সমাগম শুরু হবে। জেলার বিভিন্ন দূরের উপজেলা থেকে অনেকেই আগের দিন ৬ ডিসেম্বর কক্সবাজার শহরে আসবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম জানান, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর আগমণ উপলক্ষে ধারাবাহিকভাবে প্রস্তুতি শেষ করছে। সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সকল প্রকার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর সফরকে প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের প্রস্তুতিমুলক সভা হচ্ছে প্রতিদিন।
উল্লেখ্য, গত ২০১৭ সালের ৬ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বশেষ কক্সবাজার এসেছিলেন। দীর্ঘ সাড়ে ৫ বছরের বেশি সময়ের পর আগামী ৭ ডিসেম্বর আবারও তিনি কক্সবাজার আসছেন।