খেলা হবে স্লোগান নিয়ে তোফায়েল
আওয়ামী লীগের প্রাবীণ নেতা তোফায়েল আহমেদ বলেছেন,
“কেউ অসন্তুষ্ট হতে পারেন, তবে আমার বিবেক বলে এই স্লোগানটা এভাবে না দেওয়া উচিত”।
রাজনৈতিক অন্গনে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা ‘খেলা হবে’ স্লোগানের বিরোধিতা করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, এটি কোনো রাজনৈতিক স্লোগান হতে পারে না।
শনিবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মণির ৮৪তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সম্প্রতি আবার আওয়ামী লীগের এক সভায় স্লোগানটি ফিরিয়ে আনেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির সাংসদ কাজী ফিরোজ রশিদ এ স্লোগানের বিরোধিতা করার পর তা নিয়ে ব্যাখাও দেন ওবায়দুল কাদের।
তখন তিনি বলেছিলেন, “এটা একটা পাবলিক হিউমার। রাস্তায় ফুল বিক্রি করে যে শিশু, সেও আমার গাড়ি দেখলে বলে ‘খেলা হবে’। এটা মানুষ একসেপ্ট (গ্রহণ) করে ফেলেছে।
“খেলা হবে কথাটা ভারতের নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্লোগান ছিল। মমতা ব্যানার্জিও বলেছে, নরেন্দ্র মোদিও বলেছে। তারা বক্তৃতা শুরু করেছেন ‘খেলা হবে’। সেখানে পুরো নির্বাচনটিই ডমিনেট করেছে খেলা হবে।”
শনিবার স্লোগানের প্রসঙ্গটি তুলে আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা তোফায়েল বলেন, “আমরা আজকাল একটা স্লোগান বের করেছি, খেলা হবে, খেলা হবে। আমার দৃষ্টিতে এটা রাজনৈতিক স্লোগান না, এটা রাজনৈতিক স্লোগান হতে পারে না-খেলা হবে।
“পলিটিক্সে মারপিট হবে, আমার বক্তব্য আমি দিব। কিন্তু কী একটা কথা, শুনতেও কেমন শোনা যায়, খেলা হবে, খেলা হবে। কেউ অসন্তুষ্ট হতে পারেন, তবে আমার বিবেক বলে এই স্লোগানটা এভাবে না দেওয়া উচিত।”
বক্তব্যে তিনি ১০ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির সমাবেশ না করার প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, “আজকে বিএনপি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সভা করবে না। তারা বলছে পল্টনে সভা করবে। পল্টনে করার মানে হচ্ছে, বিএনপি অফিসের সামনে ১০-২০ হাজার লোক হলেই ভরে যায়। তখন বলতে পারবে লক্ষ লক্ষ লোক হয়েছে। ব্লাফ দেবার জন্য বিএনপি এটা করতে চায়।”
দেশের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে জানিয়ে বিএনপির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “এই যে তারা একটা সমাবেশ করবে তারা বিশৃঙ্খলা করবে বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যুবলীগের কর্মীরা সবাই সজাগ থাকবেন সতর্ক থাকবেন যে কেউ যাতে আমাদের দেশ নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে। এই যে আমাদের কর্ণফুলী টানেল, মেট্রো রেল, পদ্মা ব্রিজ, পায়রা বন্দর। এই উন্নয়নমূলক কাজগুলোকে ক্ষতি করার জন্যই এমন শুরু করেছে।”
বর্ষীয়ান এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, “ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রত্যেক দিন সরকারের পতন ঘটায়। পতন শব্দটা এতবার উচ্চারণ করেছে, কথায় কথায় সরকারের পতন। সরকারের পতন কী এত সহজ।
“এই সরকার, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তৃণমূল পর্যন্ত একটা সংগঠন- যার নেতৃত্বে ছিলেন বঙ্গবন্ধু। এবং তার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার জন্য এখন নেতৃত্ব দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।“
সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সতর্ক থাকবেন যাতে কেউ যেন দেশ নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে। আমরা রেসকোর্স ময়দান ছেড়ে দিয়েছি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের সম্মেলন ছিল সেটা এগিয়ে আনা হয়েছে। কিন্তু তারা পল্টনেই করবে কারণ সেখানে কম লোক হলে বেশি লোক দেখায়।”
খেলা হবে স্লোগান নিয়ে তোফায়েল
শনিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২২
আওয়ামী লীগের প্রাবীণ নেতা তোফায়েল আহমেদ বলেছেন,
“কেউ অসন্তুষ্ট হতে পারেন, তবে আমার বিবেক বলে এই স্লোগানটা এভাবে না দেওয়া উচিত”।
রাজনৈতিক অন্গনে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা ‘খেলা হবে’ স্লোগানের বিরোধিতা করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, এটি কোনো রাজনৈতিক স্লোগান হতে পারে না।
শনিবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মণির ৮৪তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সম্প্রতি আবার আওয়ামী লীগের এক সভায় স্লোগানটি ফিরিয়ে আনেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির সাংসদ কাজী ফিরোজ রশিদ এ স্লোগানের বিরোধিতা করার পর তা নিয়ে ব্যাখাও দেন ওবায়দুল কাদের।
তখন তিনি বলেছিলেন, “এটা একটা পাবলিক হিউমার। রাস্তায় ফুল বিক্রি করে যে শিশু, সেও আমার গাড়ি দেখলে বলে ‘খেলা হবে’। এটা মানুষ একসেপ্ট (গ্রহণ) করে ফেলেছে।
“খেলা হবে কথাটা ভারতের নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্লোগান ছিল। মমতা ব্যানার্জিও বলেছে, নরেন্দ্র মোদিও বলেছে। তারা বক্তৃতা শুরু করেছেন ‘খেলা হবে’। সেখানে পুরো নির্বাচনটিই ডমিনেট করেছে খেলা হবে।”
শনিবার স্লোগানের প্রসঙ্গটি তুলে আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা তোফায়েল বলেন, “আমরা আজকাল একটা স্লোগান বের করেছি, খেলা হবে, খেলা হবে। আমার দৃষ্টিতে এটা রাজনৈতিক স্লোগান না, এটা রাজনৈতিক স্লোগান হতে পারে না-খেলা হবে।
“পলিটিক্সে মারপিট হবে, আমার বক্তব্য আমি দিব। কিন্তু কী একটা কথা, শুনতেও কেমন শোনা যায়, খেলা হবে, খেলা হবে। কেউ অসন্তুষ্ট হতে পারেন, তবে আমার বিবেক বলে এই স্লোগানটা এভাবে না দেওয়া উচিত।”
বক্তব্যে তিনি ১০ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির সমাবেশ না করার প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, “আজকে বিএনপি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সভা করবে না। তারা বলছে পল্টনে সভা করবে। পল্টনে করার মানে হচ্ছে, বিএনপি অফিসের সামনে ১০-২০ হাজার লোক হলেই ভরে যায়। তখন বলতে পারবে লক্ষ লক্ষ লোক হয়েছে। ব্লাফ দেবার জন্য বিএনপি এটা করতে চায়।”
দেশের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে জানিয়ে বিএনপির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “এই যে তারা একটা সমাবেশ করবে তারা বিশৃঙ্খলা করবে বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যুবলীগের কর্মীরা সবাই সজাগ থাকবেন সতর্ক থাকবেন যে কেউ যাতে আমাদের দেশ নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে। এই যে আমাদের কর্ণফুলী টানেল, মেট্রো রেল, পদ্মা ব্রিজ, পায়রা বন্দর। এই উন্নয়নমূলক কাজগুলোকে ক্ষতি করার জন্যই এমন শুরু করেছে।”
বর্ষীয়ান এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, “ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রত্যেক দিন সরকারের পতন ঘটায়। পতন শব্দটা এতবার উচ্চারণ করেছে, কথায় কথায় সরকারের পতন। সরকারের পতন কী এত সহজ।
“এই সরকার, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তৃণমূল পর্যন্ত একটা সংগঠন- যার নেতৃত্বে ছিলেন বঙ্গবন্ধু। এবং তার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার জন্য এখন নেতৃত্ব দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।“
সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সতর্ক থাকবেন যাতে কেউ যেন দেশ নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে। আমরা রেসকোর্স ময়দান ছেড়ে দিয়েছি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের সম্মেলন ছিল সেটা এগিয়ে আনা হয়েছে। কিন্তু তারা পল্টনেই করবে কারণ সেখানে কম লোক হলে বেশি লোক দেখায়।”