চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাষণ দেবেন আজ। তাকে স্বাগত জানাতে ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। রেলওয়ে পলোগ্রাউন্ড ময়দানে আয়োজিত এই জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
জনসভায় যোগ দিতে সকাল থেকেই পোস্টার, ব্যানার হাতে মিছিল নিয়ে জনসভাস্থলে যাচ্ছেন নেতাকর্মীরা। চট্টগ্রাম ও আশপাশের জেলা থেকে বাস ও ট্রাকযোগে লোকজন রওনা হয়েছেন।
স্মরণকালের সবচেয়ে বড় জনসভা করার আশাবাদ নিয়ে মাঠে নেমেছে আওয়ামী লীগ ও এর সংগঠনগুলো। চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রায় ১১ বছর পরে অংশ নেয়া এ জনসভা নিয়ে তাদের জল্পনা-কল্পনা অনেক। সকাল থেকেই এর প্রতিফলন দেখা যায়। নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশে দলে দলে লোক মাঠে ঢুকতে শুরু করেছে।
সরেজমিনে জনসভাস্থল পরিদর্শন করে দেখা যায়, মাঠজুড়ে প্রচারণায় রাখা হয়েছে প্রায় ৬০টি বেলুন। প্রচারণার জন্য ওড়তে থাকা বেলুনগুলো বাড়িয়েছে সভাস্থলের সৌন্দর্যও। মাঠে চারটি স্তরে বাঁশ ব্যারিকেড রাখা হয়েছে নিরাপত্তার স্বার্থে। তৈরি করা হয়েছে পাঁচটি ফটক (গেট) এরমধ্যে পুরুষ ও নারীদের জন্য পৃথকভাবে দুইটি প্রবেশের ও দুইটি বাইরে যাওয়ায় ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়া মঞ্চের পেছনে রাখা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর প্রবেশ ও বাইরে যাওয়ার ফটক। এছাড়া রয়েছে একটি মেডিকেল পয়েন্টসহ প্রায় ৫০টি ভ্রাম্যমাণ টয়লেট ও একটি শরবতের গাড়ি।
আরও দেখা যায়, অবাধে নেতাকর্মীদের মাঠে প্রবেশ করার ব্যবস্থা রাখা হলেও নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যেই সবাইকে প্রবেশ করতে হচ্ছে। পুরুষদের জন্য পলোগ্রাউন্ড মাঠের মূল ফটকটি প্রবেশমুখ হিসেবে রাখা হয়েছে। আর রেলওয়ে পাবলিক স্কুলের পাশে রাখা হয়েছে তাদের বেরিয়ে যাওয়ার পথ। আর নারীদের জন্য পলোগ্রাউন্ড বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের একপাশে প্রবেশের ও অন্যপাশে বেরিয়ে যাওয়ার পথ রাখা হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে ব্যান্ডের বাজনার সঙ্গে নেতাকর্মীরা প্রবেশ করতে শুরু করে। দলে দলে লোক স্লোগান নিয়ে ছোট ছোট মিছিলে প্রবেশ করতে থাকে। তবে ভিড় বাড়তে শুরু করে সকাল সাড়ে নয়টা থেকে।
নিরাপত্তা বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এখানে বিভিন্ন স্তরের নিরাপত্তা বাহিনী রয়েছে। পুলিশও সবার সঙ্গে একসাথে দায়িত্ব পালন করছেন। যে গেট দিয়ে যাদের প্রবেশের অনুমতি রয়েছে, সবাইকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। তবে নিরাপত্তা নিয়ে কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া হচ্ছে না। এখনও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে জেনেছি।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় ১০ লক্ষাধিক মানুষ সমবেত হবে। পলোগ্রাউন্ড ছাপিয়ে জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হবে।’
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা আশা করছি পলোগ্রাউন্ডের মাঠ পূর্ণ হয়ে যাবে। মাঠের বাইরে আরও আট-দশগুণ মানুষের জমায়েত হবে ইনশাআল্লাহ।’
চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে নগরীর পলোগ্রাউন্ডে আয়োজিত এ জনসভায় সকাল ১০টা থেকে মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। দুপুর ১২টায় স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেবেন। বেলা ৩টার দিকে সভাস্থলে প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিত হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার দিনব্যাপী সফরে সকাল ১০টায় চট্টগ্রামে এসেছেন। তিনি ভাটিয়ারিতে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে সামরিক বাহিনীর একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন।
তিনি সেখানে কুচকাওয়াজের সালাম গ্রহণ করবেন। সেখান থেকে দুপুরে হেলিকপ্টারে চট্টগ্রাম স্টেডিয়ামে আসবেন। স্টেডিয়াম থেকে গাড়িতে করে প্রধানমন্ত্রী পলোগ্রাউন্ডে জনসভায় যোগ দেবেন। চট্টগ্রাম নগর, চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যেগে একটি ১৬০ ফুট লম্বা নৌকার আদলে সভা মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে পলোগ্রাউন্ড মাঠে।
প্রসঙ্গত, ১০ বছর ৯ মাস পর নগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে ২০১২ সালের ২৮ মার্চ প্রধানমন্ত্রী পলোগ্রাউন্ড মাঠে বিশাল জনসমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন। অবশ্য বছর চারেক আগে ২০১৮ সালের ২১ মার্চ তিনি পটিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত এক জনসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন।
রোববার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২২
চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাষণ দেবেন আজ। তাকে স্বাগত জানাতে ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। রেলওয়ে পলোগ্রাউন্ড ময়দানে আয়োজিত এই জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
জনসভায় যোগ দিতে সকাল থেকেই পোস্টার, ব্যানার হাতে মিছিল নিয়ে জনসভাস্থলে যাচ্ছেন নেতাকর্মীরা। চট্টগ্রাম ও আশপাশের জেলা থেকে বাস ও ট্রাকযোগে লোকজন রওনা হয়েছেন।
স্মরণকালের সবচেয়ে বড় জনসভা করার আশাবাদ নিয়ে মাঠে নেমেছে আওয়ামী লীগ ও এর সংগঠনগুলো। চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রায় ১১ বছর পরে অংশ নেয়া এ জনসভা নিয়ে তাদের জল্পনা-কল্পনা অনেক। সকাল থেকেই এর প্রতিফলন দেখা যায়। নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশে দলে দলে লোক মাঠে ঢুকতে শুরু করেছে।
সরেজমিনে জনসভাস্থল পরিদর্শন করে দেখা যায়, মাঠজুড়ে প্রচারণায় রাখা হয়েছে প্রায় ৬০টি বেলুন। প্রচারণার জন্য ওড়তে থাকা বেলুনগুলো বাড়িয়েছে সভাস্থলের সৌন্দর্যও। মাঠে চারটি স্তরে বাঁশ ব্যারিকেড রাখা হয়েছে নিরাপত্তার স্বার্থে। তৈরি করা হয়েছে পাঁচটি ফটক (গেট) এরমধ্যে পুরুষ ও নারীদের জন্য পৃথকভাবে দুইটি প্রবেশের ও দুইটি বাইরে যাওয়ায় ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়া মঞ্চের পেছনে রাখা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর প্রবেশ ও বাইরে যাওয়ার ফটক। এছাড়া রয়েছে একটি মেডিকেল পয়েন্টসহ প্রায় ৫০টি ভ্রাম্যমাণ টয়লেট ও একটি শরবতের গাড়ি।
আরও দেখা যায়, অবাধে নেতাকর্মীদের মাঠে প্রবেশ করার ব্যবস্থা রাখা হলেও নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যেই সবাইকে প্রবেশ করতে হচ্ছে। পুরুষদের জন্য পলোগ্রাউন্ড মাঠের মূল ফটকটি প্রবেশমুখ হিসেবে রাখা হয়েছে। আর রেলওয়ে পাবলিক স্কুলের পাশে রাখা হয়েছে তাদের বেরিয়ে যাওয়ার পথ। আর নারীদের জন্য পলোগ্রাউন্ড বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের একপাশে প্রবেশের ও অন্যপাশে বেরিয়ে যাওয়ার পথ রাখা হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে ব্যান্ডের বাজনার সঙ্গে নেতাকর্মীরা প্রবেশ করতে শুরু করে। দলে দলে লোক স্লোগান নিয়ে ছোট ছোট মিছিলে প্রবেশ করতে থাকে। তবে ভিড় বাড়তে শুরু করে সকাল সাড়ে নয়টা থেকে।
নিরাপত্তা বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এখানে বিভিন্ন স্তরের নিরাপত্তা বাহিনী রয়েছে। পুলিশও সবার সঙ্গে একসাথে দায়িত্ব পালন করছেন। যে গেট দিয়ে যাদের প্রবেশের অনুমতি রয়েছে, সবাইকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। তবে নিরাপত্তা নিয়ে কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া হচ্ছে না। এখনও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে জেনেছি।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় ১০ লক্ষাধিক মানুষ সমবেত হবে। পলোগ্রাউন্ড ছাপিয়ে জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হবে।’
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা আশা করছি পলোগ্রাউন্ডের মাঠ পূর্ণ হয়ে যাবে। মাঠের বাইরে আরও আট-দশগুণ মানুষের জমায়েত হবে ইনশাআল্লাহ।’
চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে নগরীর পলোগ্রাউন্ডে আয়োজিত এ জনসভায় সকাল ১০টা থেকে মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। দুপুর ১২টায় স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেবেন। বেলা ৩টার দিকে সভাস্থলে প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিত হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার দিনব্যাপী সফরে সকাল ১০টায় চট্টগ্রামে এসেছেন। তিনি ভাটিয়ারিতে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে সামরিক বাহিনীর একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন।
তিনি সেখানে কুচকাওয়াজের সালাম গ্রহণ করবেন। সেখান থেকে দুপুরে হেলিকপ্টারে চট্টগ্রাম স্টেডিয়ামে আসবেন। স্টেডিয়াম থেকে গাড়িতে করে প্রধানমন্ত্রী পলোগ্রাউন্ডে জনসভায় যোগ দেবেন। চট্টগ্রাম নগর, চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যেগে একটি ১৬০ ফুট লম্বা নৌকার আদলে সভা মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে পলোগ্রাউন্ড মাঠে।
প্রসঙ্গত, ১০ বছর ৯ মাস পর নগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে ২০১২ সালের ২৮ মার্চ প্রধানমন্ত্রী পলোগ্রাউন্ড মাঠে বিশাল জনসমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন। অবশ্য বছর চারেক আগে ২০১৮ সালের ২১ মার্চ তিনি পটিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত এক জনসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন।