বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল খেলার স্বপ্ন নিয়ে ভারতে পা রাখে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় দিয়ে শুরু হয়েছিল এই আসর। তারপর থেকে কেবলই হার। তবে শনিবার কলকাতার মাঠে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জয়ের জোরালো বিশ্বাস ছিল। সাকিব আল হাসানদের সমর্থন জানাতে এদিন গ্যালারিতে ছিল অগণিত দর্শক। তাদের হতাশই করলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ২৩০ রানের লক্ষ্যে নেমে ১৪২ রানে অলআউট হয়ে গেলো তারা। ৮৭ রানের শোচনীয় পরাজয় বরণ করতে হলো। আর দক্ষিণ আফ্রিকার পর বাংলাদেশকে হারিয়ে বিশ্বকাপ স্মরণীয় করে নিলো ডাচরা।
২২৯ রানে নেদারল্যান্ডসকে আটকে দেওয়ার পর জয়ের আশায় ব্যাটিংয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ। মাত্র ১৯ রানে দুই ওপেনার লিটন দাস ও তানজিদ হাসান তামিম ফিরে গেলে বিরাট ধাক্কা লাগে। সেটা কাটিয়ে তো উঠতে পারেইনি, বরং নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাকিবরা ব্যর্থতার পরিচয় দেন। ৮০ রানে ৬ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে টেনে তোলার ব্যর্থ প্রচেষ্টা করেন মাহমুদউল্লাহ। তাকে ৩৮ রানের জুটি গড়ে সঙ্গ দেন মেহেদী হাসান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেঞ্চুরি করা মাহমুদউল্লাহও হতাশ করেন। মাত্র ২০ রান করে আউট তিনি। নবম উইকেটে মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদের ২৯ রানের জুটি কেবলই ব্যবধান কমিয়েছে। তিন বলের মধ্যে দুজনকে আউট করে নেদারল্যান্ডস ৪৩তম ওভারে জয় নিশ্চিত করে।
মোস্তাফিজ যৌথভাবে দ্বিতীয় সেরা ২০ রান করেন। ইনিংস সেরা ৩৫ রান আসে মিরাজের ব্যাটে। তাসকিনকে ১১ রানে ফিরিয়ে চতুর্থ উইকেট নিয়ে ম্যাচ শেষ করেন পল ফন মিকেরেন। মিডল অর্ডারে ধস নামানো এই ডাচ পেসার হন ম্যাচসেরা। ৭.২ ওভারে ২৩ রান দিয়ে চার উইকেট নেন মিকেরেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ ৪২.২ ওভারে ১৪২/১০ (শরিফুল ০*, তাসকিন ১১, মোস্তাফিজ ২০, মাহমুদউল্লাহ ২০, মেহেদী ১৭, মুশফিক ১, মিরাজ ৩৫, সাকিব ৫, শান্ত ৯, লিটন ৩, তানজিদ ১৫)
নেদারল্যান্ডস ৫০ ওভারে ২২৯/১০ (ফন বিক ২৩*, ফন মিকেরেন ০, আরিয়ান ৯, শারিজ ৬, এঙ্গেলব্রেখট ৩৫, স্কট এডওয়ার্ডস ৬৮, বিক্রমজিৎ ৩, ম্যাক্স ও’ডাউড ০, বারেসি ৪১, অ্যাকারম্যান ১৫, বাস ডি লিড ১৭)
শনিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৩
বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল খেলার স্বপ্ন নিয়ে ভারতে পা রাখে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় দিয়ে শুরু হয়েছিল এই আসর। তারপর থেকে কেবলই হার। তবে শনিবার কলকাতার মাঠে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জয়ের জোরালো বিশ্বাস ছিল। সাকিব আল হাসানদের সমর্থন জানাতে এদিন গ্যালারিতে ছিল অগণিত দর্শক। তাদের হতাশই করলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ২৩০ রানের লক্ষ্যে নেমে ১৪২ রানে অলআউট হয়ে গেলো তারা। ৮৭ রানের শোচনীয় পরাজয় বরণ করতে হলো। আর দক্ষিণ আফ্রিকার পর বাংলাদেশকে হারিয়ে বিশ্বকাপ স্মরণীয় করে নিলো ডাচরা।
২২৯ রানে নেদারল্যান্ডসকে আটকে দেওয়ার পর জয়ের আশায় ব্যাটিংয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ। মাত্র ১৯ রানে দুই ওপেনার লিটন দাস ও তানজিদ হাসান তামিম ফিরে গেলে বিরাট ধাক্কা লাগে। সেটা কাটিয়ে তো উঠতে পারেইনি, বরং নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাকিবরা ব্যর্থতার পরিচয় দেন। ৮০ রানে ৬ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে টেনে তোলার ব্যর্থ প্রচেষ্টা করেন মাহমুদউল্লাহ। তাকে ৩৮ রানের জুটি গড়ে সঙ্গ দেন মেহেদী হাসান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেঞ্চুরি করা মাহমুদউল্লাহও হতাশ করেন। মাত্র ২০ রান করে আউট তিনি। নবম উইকেটে মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদের ২৯ রানের জুটি কেবলই ব্যবধান কমিয়েছে। তিন বলের মধ্যে দুজনকে আউট করে নেদারল্যান্ডস ৪৩তম ওভারে জয় নিশ্চিত করে।
মোস্তাফিজ যৌথভাবে দ্বিতীয় সেরা ২০ রান করেন। ইনিংস সেরা ৩৫ রান আসে মিরাজের ব্যাটে। তাসকিনকে ১১ রানে ফিরিয়ে চতুর্থ উইকেট নিয়ে ম্যাচ শেষ করেন পল ফন মিকেরেন। মিডল অর্ডারে ধস নামানো এই ডাচ পেসার হন ম্যাচসেরা। ৭.২ ওভারে ২৩ রান দিয়ে চার উইকেট নেন মিকেরেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ ৪২.২ ওভারে ১৪২/১০ (শরিফুল ০*, তাসকিন ১১, মোস্তাফিজ ২০, মাহমুদউল্লাহ ২০, মেহেদী ১৭, মুশফিক ১, মিরাজ ৩৫, সাকিব ৫, শান্ত ৯, লিটন ৩, তানজিদ ১৫)
নেদারল্যান্ডস ৫০ ওভারে ২২৯/১০ (ফন বিক ২৩*, ফন মিকেরেন ০, আরিয়ান ৯, শারিজ ৬, এঙ্গেলব্রেখট ৩৫, স্কট এডওয়ার্ডস ৬৮, বিক্রমজিৎ ৩, ম্যাক্স ও’ডাউড ০, বারেসি ৪১, অ্যাকারম্যান ১৫, বাস ডি লিড ১৭)