গত শনিবার ইডেনে কমলা জার্সির উৎসবের মাঝে বেদনায় পুড়েছে বাংলাদেশ দল। আইসিসি সহযোগী সদস্য দেশ নেদারল্যান্ডসের কাছে ৮৭ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ এখন সবচেয়ে খারাপ পারফর্ম করা দল।
চলমান বিম্বকাপে দলের ব্যাটিং পারফরমেন্সে হতাশ বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। হারের পর তিনি জানান, আমরা যেভাবে খেলছি আসলে বাংলাদেশের ব্যাটিং এতটা খারাপ নয়।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেদের তুলে ধরার চেষ্টারত নেদারল্যান্ডসের কাছে লজ্জাজনক হারের পর দল নিয়ে এমন মন্তব্য করেন সাকিব। কলকাতার মাঠে নেদারল্যান্ডসের কাছে ৮৭ রানে হারের পর সাকিব বলেন, ‘পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই ব্যাটিংয়ে আমাদের করুণদশা চলছে এবং সময়ের সঙ্গে এটি আরও খারাপ হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই আমরা ধুঁকছি আমি জানি না খেলোয়াড়দের মনে কি চলছে । এমনটা বাংলাদেশ দলের সঙ্গে একেবারেই বেমানান।’
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জয়ের ব্যাপারে অনেক বেশি আত্মবিশ^াসী ছিল বাংলাদেশ। ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে ২২৯ রানে অলআউট করে জয়ের স্বপ্ন বিভোর হয়ে উঠে তারা। কেননা এমন উইকেটে টাইগারদের জন্য রান তাড়া করা সহজ হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছিল।
কিন্তু বাজে ব্যাটিংয়ের কারণে মাত্র ১৪২ রানে অলআউট হয়ে টুর্নামেন্টে টানা পঞ্চম হার বরণ করতে হয় বাংলাদেশকে।
ব্যাটিংয়ের সঙ্গে দলের বাজে ফিল্ডিংকেও দায়ী করে সাকিব বলেন, নেদারল্যান্ডসকে ২শ’র নিচে গুটিয়ে দেয়া উচিত ছিল। মোস্তাফিজের একই ওভারে দুইবার জীবন পান নেদারল্যান্ডস অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস। এরপর ৬৮ রানের ইনিংস খেলে নেদারল্যান্ডসের স্কোর ২শ’ পার হতে অবদান রাখেন এডওয়ার্ডস।
সাকিব বলেন, ‘আমরা সত্যিই ভালো বোলিং করেছি কিন্তু ফিল্ডিং খুবই বাজে হয়েছে।’
সাকিব জানান, এমন হতাশাজনক পারফরমেন্সের পর দলকে অনুপ্রাণিত করা কঠিন। কিন্তু শেষ তিন ম্যাচ জিতে সাফল্য নিয়ে বিশ^কাপ শেষ করতে চান।
সাকিব বলেন, ‘সামনে আরও ম্যাচ খেলতে হবে এবং নিজেদের সেরাটা প্রদর্শন করতে হবে। আমি জানি, এটি বেশ কঠিন কিন্তু আমাদের ভালো অবস্থায় থেকে আসর শেষ করার চেষ্টা করতে হবে।’
গত শনিবার ইডেন গার্ডেন্সের গ্যালারিতে বাংলাদেশি ভক্তদের উপস্থিতি বেশি ছিল। ৫ রানে আউট হওয়ার পর ভক্তরা দুয়োধ্বনি দেয় সাকিবকে।
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচের আগে শৈশবের কোচ নাজমুল আবেদিন ফাহিমের কাছে নিজের ভুলগুলো শুধরাতে ঢাকায় এসে ভক্তদের কাছে একইভাবে দুয়োধ্বনি শুনেছিলেন সাকিব।
তবে ভক্তদের প্রতি কোনো ক্ষোভ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দলের উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে আমাদের সমর্থন করে আসছে ভক্তরা।’
এখনও বিশ্বকাপে তিন ম্যাচ বাকি। প্রতিপক্ষ পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা আর অস্ট্রেলিয়া। দল বিধ্বস্ত অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে এমন মনে করতে পারছেন না সাকিব, ‘সত্যি বলতে, এখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো খুব কঠিন। যেহেতু তিন ম্যাচ আছে। সুযোগ এখনও আছে আমাদের কাছে (কিছু ম্যাচ জেতার), তবে খুবই কঠিন। কিন্তু চেষ্টা করতে হবে। চেষ্টা ছাড়া আমাদের এখন কিছু করার নেই। আজকের দিনটা আমরা যদি ভুলে যেতে পারি এবং সামনের ম্যাচগুলোর জন্য মনোযোগ দিতে পারি ভালোভাবে, খুবই কঠিন এই জিনিসটা করা। যে পরিস্থিতির ভেতরে এখন আমরা আছি সেখান থেকে কামব্যাক করা কঠিন।’
১৯৯৯ বিশ্বকাপ দিয়ে শুরু বাংলাদেশের। ওই বিশ্বকাপে পাকিস্তান ও স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে মিলেছিল দুই জয়। তবে তখনকার বাস্তবতায় সেটা ছিল স্মরণীয় বিশ্বকাপ। ২০০৩ বিশ্বকাপে সবগুলো ম্যাচেই হারে বাংলাদেশ। হেরেছিল কেনিয়া, কানাডার মতো দলের বিপক্ষেও। ২০০৭ থেকে এরপরের সবগুলো বিশ্বকাপে তিনটা করে ম্যাচ জেতে দল।
বড় মঞ্চে কখনো তিনটার বেশি ম্যাচ জিততে না পারায় বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স আহামরি না বলে বিশ্বকাপের আগে বলেছিলেন সাকিব। তবে এবারের পারফরম্যান্স আগের চেয়েও নাজুক হতে যাচ্ছে কিনা, এমন প্রশ্ন হলে তা স্বীকার করে নেন সাকিব, ‘নির্দ্বিধায় বলতে পারেন (সবচেয়ে বাজে)। আমি দ্বিমত করব না।’
রোববার, ২৯ অক্টোবর ২০২৩
গত শনিবার ইডেনে কমলা জার্সির উৎসবের মাঝে বেদনায় পুড়েছে বাংলাদেশ দল। আইসিসি সহযোগী সদস্য দেশ নেদারল্যান্ডসের কাছে ৮৭ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ এখন সবচেয়ে খারাপ পারফর্ম করা দল।
চলমান বিম্বকাপে দলের ব্যাটিং পারফরমেন্সে হতাশ বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। হারের পর তিনি জানান, আমরা যেভাবে খেলছি আসলে বাংলাদেশের ব্যাটিং এতটা খারাপ নয়।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেদের তুলে ধরার চেষ্টারত নেদারল্যান্ডসের কাছে লজ্জাজনক হারের পর দল নিয়ে এমন মন্তব্য করেন সাকিব। কলকাতার মাঠে নেদারল্যান্ডসের কাছে ৮৭ রানে হারের পর সাকিব বলেন, ‘পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই ব্যাটিংয়ে আমাদের করুণদশা চলছে এবং সময়ের সঙ্গে এটি আরও খারাপ হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই আমরা ধুঁকছি আমি জানি না খেলোয়াড়দের মনে কি চলছে । এমনটা বাংলাদেশ দলের সঙ্গে একেবারেই বেমানান।’
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জয়ের ব্যাপারে অনেক বেশি আত্মবিশ^াসী ছিল বাংলাদেশ। ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে ২২৯ রানে অলআউট করে জয়ের স্বপ্ন বিভোর হয়ে উঠে তারা। কেননা এমন উইকেটে টাইগারদের জন্য রান তাড়া করা সহজ হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছিল।
কিন্তু বাজে ব্যাটিংয়ের কারণে মাত্র ১৪২ রানে অলআউট হয়ে টুর্নামেন্টে টানা পঞ্চম হার বরণ করতে হয় বাংলাদেশকে।
ব্যাটিংয়ের সঙ্গে দলের বাজে ফিল্ডিংকেও দায়ী করে সাকিব বলেন, নেদারল্যান্ডসকে ২শ’র নিচে গুটিয়ে দেয়া উচিত ছিল। মোস্তাফিজের একই ওভারে দুইবার জীবন পান নেদারল্যান্ডস অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস। এরপর ৬৮ রানের ইনিংস খেলে নেদারল্যান্ডসের স্কোর ২শ’ পার হতে অবদান রাখেন এডওয়ার্ডস।
সাকিব বলেন, ‘আমরা সত্যিই ভালো বোলিং করেছি কিন্তু ফিল্ডিং খুবই বাজে হয়েছে।’
সাকিব জানান, এমন হতাশাজনক পারফরমেন্সের পর দলকে অনুপ্রাণিত করা কঠিন। কিন্তু শেষ তিন ম্যাচ জিতে সাফল্য নিয়ে বিশ^কাপ শেষ করতে চান।
সাকিব বলেন, ‘সামনে আরও ম্যাচ খেলতে হবে এবং নিজেদের সেরাটা প্রদর্শন করতে হবে। আমি জানি, এটি বেশ কঠিন কিন্তু আমাদের ভালো অবস্থায় থেকে আসর শেষ করার চেষ্টা করতে হবে।’
গত শনিবার ইডেন গার্ডেন্সের গ্যালারিতে বাংলাদেশি ভক্তদের উপস্থিতি বেশি ছিল। ৫ রানে আউট হওয়ার পর ভক্তরা দুয়োধ্বনি দেয় সাকিবকে।
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচের আগে শৈশবের কোচ নাজমুল আবেদিন ফাহিমের কাছে নিজের ভুলগুলো শুধরাতে ঢাকায় এসে ভক্তদের কাছে একইভাবে দুয়োধ্বনি শুনেছিলেন সাকিব।
তবে ভক্তদের প্রতি কোনো ক্ষোভ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দলের উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে আমাদের সমর্থন করে আসছে ভক্তরা।’
এখনও বিশ্বকাপে তিন ম্যাচ বাকি। প্রতিপক্ষ পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা আর অস্ট্রেলিয়া। দল বিধ্বস্ত অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে এমন মনে করতে পারছেন না সাকিব, ‘সত্যি বলতে, এখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো খুব কঠিন। যেহেতু তিন ম্যাচ আছে। সুযোগ এখনও আছে আমাদের কাছে (কিছু ম্যাচ জেতার), তবে খুবই কঠিন। কিন্তু চেষ্টা করতে হবে। চেষ্টা ছাড়া আমাদের এখন কিছু করার নেই। আজকের দিনটা আমরা যদি ভুলে যেতে পারি এবং সামনের ম্যাচগুলোর জন্য মনোযোগ দিতে পারি ভালোভাবে, খুবই কঠিন এই জিনিসটা করা। যে পরিস্থিতির ভেতরে এখন আমরা আছি সেখান থেকে কামব্যাক করা কঠিন।’
১৯৯৯ বিশ্বকাপ দিয়ে শুরু বাংলাদেশের। ওই বিশ্বকাপে পাকিস্তান ও স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে মিলেছিল দুই জয়। তবে তখনকার বাস্তবতায় সেটা ছিল স্মরণীয় বিশ্বকাপ। ২০০৩ বিশ্বকাপে সবগুলো ম্যাচেই হারে বাংলাদেশ। হেরেছিল কেনিয়া, কানাডার মতো দলের বিপক্ষেও। ২০০৭ থেকে এরপরের সবগুলো বিশ্বকাপে তিনটা করে ম্যাচ জেতে দল।
বড় মঞ্চে কখনো তিনটার বেশি ম্যাচ জিততে না পারায় বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স আহামরি না বলে বিশ্বকাপের আগে বলেছিলেন সাকিব। তবে এবারের পারফরম্যান্স আগের চেয়েও নাজুক হতে যাচ্ছে কিনা, এমন প্রশ্ন হলে তা স্বীকার করে নেন সাকিব, ‘নির্দ্বিধায় বলতে পারেন (সবচেয়ে বাজে)। আমি দ্বিমত করব না।’