টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে কোনঠাসা বাংলাদেশ দল জয়ের ধারায় ফেরার লক্ষ্য নিয়ে মঙ্গলবার বিশ্বকাপে নিজেদের সপ্তম ম্যাচে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে।
প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৬ উইকেটে জয়ের পর, বাজে পারফরমেন্সের কারনে হারের বৃত্তে বন্দী হয়ে পড়ে বাংলাদেশ দল। একই মাঠে সর্বশেষ ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের কাছে হারসহ টানা পাঁচটিতে পরাজিত হয়েছে টাইগাররা।
বাজে পারফরমেন্সের কারণে বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে কঠোর সমালোচনায় মেতে উঠে ক্রিকেট বিশ্ব। টাইগারদের খেলা দেখতে কলকাতায় আসা বাংলাদেশি সমর্থকরা গ্যালারি থেকে অধিনায়ক সাকিবকে উদ্দেশ্য করে দুয়োধ্বনি দেয়। এমনকি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও সমালোচনার ঝড় তুলে ভক্তরা।
বিশ্বকাপের আগ মুর্হূতে তামিম ইকবাল এবং সাকিব আল হাসানের বিরোধের প্রভাব পড়ে বাংলাদেশ দলের ওপর। ডাচদের কাছে হারের পর এমনটাই আকার ইঙ্গিতে মেনে নেন অধিনায়ক সাকিব।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বাজে পারফরমেন্স সত্ত্বেও গত দুই মাস নীরব ছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। ইডেন গার্ডেন্সে বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস ম্যাচে দেখার পর পাপন বলেন, এমন পারফরমেন্স অগ্রহণযোগ্য-হতাশাজনক এবং জনসাধারণের সমালোচনা খুবই স্বাভাবিক। তারপরও জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের পাশে থাকবে বিসিবি। কারণ এখনও তিনটি ম্যাচ বাকি আছে টাইগারদের। ২০২৫ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার যোগ্যতা অর্জনের জন্য বিশ্বকাপে আরও অন্তত দুটি ম্যাচ জিততে হবে বাংলাদেশকে। আইসিসির নিয়ম অনুসারে, বিশ্বকাপের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ সাত দল এবং স্বাগতিক হিসেবে পাকিস্তান টুর্নামেন্টে খেলার জন্য যোগ্যতা অর্জন করবে।
নিজেদের সেরাটা খেলতে পারলে এই মুহূর্তে বাংলাদেশের জন্য আনপ্রেডিক্টেবল পাকিস্তানকে সহজ প্রতিপক্ষ হিসেবে বিবেচনা করা যায়। নেদারল্যান্ডস এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচ জয়ের পর পাকিস্তান পথ হারায়। বাংলাদেশের মতো হারের বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে পাকরাও। ভারত-অস্ট্রেলিয়া-আফগানিস্তান এবং দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে টানা চার ম্যাচ হেরেছে বাবর আজমের নেতৃত্বাধীন দলটি।
আফগানিস্তানের কাছে পরাজিত হয়ে বড় ধাক্কা খাওয়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিশ্চিত জয় হাতছাড়া হওয়ায় মনোবল অনেকটাই ভেঙে গেছে পাকিস্তানের।
তৃতীয়বারের মতো বিশ^কাপের মঞ্চে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ১৯৯৯ সালে বিশ^কাপ অভিষেকে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম মোকাবিলায় ৬২ রানের জয়ে সারাবিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয়ে ২০০০ সালে টেস্ট মর্যাদা পাওয়া সহজ হয়েছিল টাইগারদের। গত আসরে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিতীয় সাক্ষাৎতে ৯৪ রানের জয়ে ১৯৯৯ বিশ^কাপে হারের প্রতিশোধ নেয় পাকিস্তান।
সব মিলিয়ে ওয়ানডেতে ৩৮বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান। এর মধ্যে বাংলাদেশ মাত্র ৫টিতে জয় পায় এবং ৩৩টিতে হেরে যায়। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের পর চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপে দেখা হয়েছিল দুই দলের। ওই ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৭ উইকেটের সহজ জয় পেয়েছিল পাকিস্তান।
জয়ের জন্য মরিয়া হয়েই মাঠে নামতে যাওয়া বাংলাদেশ-পাকিস্তান উভয় দলেই আসতে পারে কিছু পরিবর্তন।
সোমবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৩
টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে কোনঠাসা বাংলাদেশ দল জয়ের ধারায় ফেরার লক্ষ্য নিয়ে মঙ্গলবার বিশ্বকাপে নিজেদের সপ্তম ম্যাচে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে।
প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৬ উইকেটে জয়ের পর, বাজে পারফরমেন্সের কারনে হারের বৃত্তে বন্দী হয়ে পড়ে বাংলাদেশ দল। একই মাঠে সর্বশেষ ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের কাছে হারসহ টানা পাঁচটিতে পরাজিত হয়েছে টাইগাররা।
বাজে পারফরমেন্সের কারণে বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে কঠোর সমালোচনায় মেতে উঠে ক্রিকেট বিশ্ব। টাইগারদের খেলা দেখতে কলকাতায় আসা বাংলাদেশি সমর্থকরা গ্যালারি থেকে অধিনায়ক সাকিবকে উদ্দেশ্য করে দুয়োধ্বনি দেয়। এমনকি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও সমালোচনার ঝড় তুলে ভক্তরা।
বিশ্বকাপের আগ মুর্হূতে তামিম ইকবাল এবং সাকিব আল হাসানের বিরোধের প্রভাব পড়ে বাংলাদেশ দলের ওপর। ডাচদের কাছে হারের পর এমনটাই আকার ইঙ্গিতে মেনে নেন অধিনায়ক সাকিব।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বাজে পারফরমেন্স সত্ত্বেও গত দুই মাস নীরব ছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। ইডেন গার্ডেন্সে বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস ম্যাচে দেখার পর পাপন বলেন, এমন পারফরমেন্স অগ্রহণযোগ্য-হতাশাজনক এবং জনসাধারণের সমালোচনা খুবই স্বাভাবিক। তারপরও জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের পাশে থাকবে বিসিবি। কারণ এখনও তিনটি ম্যাচ বাকি আছে টাইগারদের। ২০২৫ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার যোগ্যতা অর্জনের জন্য বিশ্বকাপে আরও অন্তত দুটি ম্যাচ জিততে হবে বাংলাদেশকে। আইসিসির নিয়ম অনুসারে, বিশ্বকাপের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ সাত দল এবং স্বাগতিক হিসেবে পাকিস্তান টুর্নামেন্টে খেলার জন্য যোগ্যতা অর্জন করবে।
নিজেদের সেরাটা খেলতে পারলে এই মুহূর্তে বাংলাদেশের জন্য আনপ্রেডিক্টেবল পাকিস্তানকে সহজ প্রতিপক্ষ হিসেবে বিবেচনা করা যায়। নেদারল্যান্ডস এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচ জয়ের পর পাকিস্তান পথ হারায়। বাংলাদেশের মতো হারের বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে পাকরাও। ভারত-অস্ট্রেলিয়া-আফগানিস্তান এবং দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে টানা চার ম্যাচ হেরেছে বাবর আজমের নেতৃত্বাধীন দলটি।
আফগানিস্তানের কাছে পরাজিত হয়ে বড় ধাক্কা খাওয়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিশ্চিত জয় হাতছাড়া হওয়ায় মনোবল অনেকটাই ভেঙে গেছে পাকিস্তানের।
তৃতীয়বারের মতো বিশ^কাপের মঞ্চে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ১৯৯৯ সালে বিশ^কাপ অভিষেকে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম মোকাবিলায় ৬২ রানের জয়ে সারাবিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয়ে ২০০০ সালে টেস্ট মর্যাদা পাওয়া সহজ হয়েছিল টাইগারদের। গত আসরে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিতীয় সাক্ষাৎতে ৯৪ রানের জয়ে ১৯৯৯ বিশ^কাপে হারের প্রতিশোধ নেয় পাকিস্তান।
সব মিলিয়ে ওয়ানডেতে ৩৮বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান। এর মধ্যে বাংলাদেশ মাত্র ৫টিতে জয় পায় এবং ৩৩টিতে হেরে যায়। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের পর চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপে দেখা হয়েছিল দুই দলের। ওই ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৭ উইকেটের সহজ জয় পেয়েছিল পাকিস্তান।
জয়ের জন্য মরিয়া হয়েই মাঠে নামতে যাওয়া বাংলাদেশ-পাকিস্তান উভয় দলেই আসতে পারে কিছু পরিবর্তন।