বিশ্বকাপের দুই-তিন সপ্তাহ আগেও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ছিলেন বাতিলের খাতায়। শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় বিশ্বকাপ স্কোয়াডে ডাকা হয় তাকে। সেই রিয়াদই ভারত বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক, সেরা পারফর্মার। বাংলাদেশের হয়ে একমাত্র সেঞ্চুরিটিও এসেছে তার ব্যাট থেকে। বোলিংয়ে বাংলাদেশ মোটেও ভালো করেনি। তার মধ্য থেকে যা একটু উজ্জ্বল মেহেদি হাসান মিরাজ।
ব্যাটিংয়ে আট ম্যাচ খেলে ৭ ইনিংসে ব্যাট করার সুযোগ পান মাহমুদউল্লাহ। ৫৪ দশমিক ৬৬ গড়ে ৩২৮ রান করেছেন তিনি। স্ট্রাইকরেট ৯১ দশমিক ৬২। সেঞ্চুরি এবং পঞ্চাশোর্ধ রানের ইনিংস আছে একটি করে। ব্যাটারদের মধ্যে শীর্ষে তিনিই। তার নিচে আছেন লিটন দাস। এই ওপেনার ৯ ইনিংসে ব্যাট করে ৩১ দশমিক ৫৫ ব্যাটিং গড়ে করেছেন ২৮৪ রান। ফিফটি আছে দুটি। ব্যাটারদের তালিকায় তিনে আছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। বিশ্বকাপের আগে ধারাবাহিক রান করা এই ব্যাটার টুর্নামেন্টে সেভাবে রাঙাতে পারেননি। ৯ ইনিংসে ব্যাট করে ২২২ রান করেন ২৭ দশমিক ৭৫ গড়ে। ফিফটি পেয়েছেন দুটি খেলায়। ২০২ রান নিয়ে চার নম্বরে আছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। তার ব্যাটিং গড় ২৫ দশমিক ২৫। এরপরই আছে মুশফিকুর রহিম। নিজের ‘শেষ’ বিশ্বকাপটা স্মরণীয় করতে পারেননি অভিজ্ঞ এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। ৯ ইনিংসে ব্যাট করে ২২ দশমিক ৩৩ গড়ে কেবল ২০১ রান করেছেন তিনি।
ব্যাটিংয়ে এবার অনেক আশা ছিল তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে। কিন্তু তিনিও নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। চূড়ান্ত ফ্লপ ছিলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও। দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পুরোপুরি ব্যর্থ ছিলেন বাহাতি এই অলরাউন্ডার। বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে শীর্ষ পাঁচেও নেই তিনি।
বোলিংয়ে যা একটু মন্দের ভালো করেছেন মিরাজ এবং শরিফুল ইসলাম। দু’জনেই নিয়েছেন ১০টি করে উইকেট। তবে এর জন্য রান খরচ করেছেন অনেক বেশি। বোলিংয়ে শীর্ষ পারফরমারদের মধ্যে তিনে রয়েছেন সাকিব। ৭ ম্যাচে তার উইকেট কেবল ৯টি।
বোলিংয়ে যিনি সবচেয়ে ভালো ছিলেন সেই শেখ মাহেদিই খেলেছেন কেবল তিন ম্যাচে। ৩ ইনিংসে ২৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে নিয়েছেন ৬ উইকেট। আসরে সেরা বোলিংটাও তিনিই করেছেন। এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। বাংলাদেশের আর কোনো বোলার ইনিংসে ৩ উইকেটের বেশি পাননি। পাঁচে থাকা তাসকিন আহমেদ ৭ ম্যাচ খেলে পেয়েছেন স্রেফ ৫ উইকেট।
রোববার, ১২ নভেম্বর ২০২৩
বিশ্বকাপের দুই-তিন সপ্তাহ আগেও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ছিলেন বাতিলের খাতায়। শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় বিশ্বকাপ স্কোয়াডে ডাকা হয় তাকে। সেই রিয়াদই ভারত বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক, সেরা পারফর্মার। বাংলাদেশের হয়ে একমাত্র সেঞ্চুরিটিও এসেছে তার ব্যাট থেকে। বোলিংয়ে বাংলাদেশ মোটেও ভালো করেনি। তার মধ্য থেকে যা একটু উজ্জ্বল মেহেদি হাসান মিরাজ।
ব্যাটিংয়ে আট ম্যাচ খেলে ৭ ইনিংসে ব্যাট করার সুযোগ পান মাহমুদউল্লাহ। ৫৪ দশমিক ৬৬ গড়ে ৩২৮ রান করেছেন তিনি। স্ট্রাইকরেট ৯১ দশমিক ৬২। সেঞ্চুরি এবং পঞ্চাশোর্ধ রানের ইনিংস আছে একটি করে। ব্যাটারদের মধ্যে শীর্ষে তিনিই। তার নিচে আছেন লিটন দাস। এই ওপেনার ৯ ইনিংসে ব্যাট করে ৩১ দশমিক ৫৫ ব্যাটিং গড়ে করেছেন ২৮৪ রান। ফিফটি আছে দুটি। ব্যাটারদের তালিকায় তিনে আছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। বিশ্বকাপের আগে ধারাবাহিক রান করা এই ব্যাটার টুর্নামেন্টে সেভাবে রাঙাতে পারেননি। ৯ ইনিংসে ব্যাট করে ২২২ রান করেন ২৭ দশমিক ৭৫ গড়ে। ফিফটি পেয়েছেন দুটি খেলায়। ২০২ রান নিয়ে চার নম্বরে আছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। তার ব্যাটিং গড় ২৫ দশমিক ২৫। এরপরই আছে মুশফিকুর রহিম। নিজের ‘শেষ’ বিশ্বকাপটা স্মরণীয় করতে পারেননি অভিজ্ঞ এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। ৯ ইনিংসে ব্যাট করে ২২ দশমিক ৩৩ গড়ে কেবল ২০১ রান করেছেন তিনি।
ব্যাটিংয়ে এবার অনেক আশা ছিল তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে। কিন্তু তিনিও নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। চূড়ান্ত ফ্লপ ছিলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও। দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পুরোপুরি ব্যর্থ ছিলেন বাহাতি এই অলরাউন্ডার। বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে শীর্ষ পাঁচেও নেই তিনি।
বোলিংয়ে যা একটু মন্দের ভালো করেছেন মিরাজ এবং শরিফুল ইসলাম। দু’জনেই নিয়েছেন ১০টি করে উইকেট। তবে এর জন্য রান খরচ করেছেন অনেক বেশি। বোলিংয়ে শীর্ষ পারফরমারদের মধ্যে তিনে রয়েছেন সাকিব। ৭ ম্যাচে তার উইকেট কেবল ৯টি।
বোলিংয়ে যিনি সবচেয়ে ভালো ছিলেন সেই শেখ মাহেদিই খেলেছেন কেবল তিন ম্যাচে। ৩ ইনিংসে ২৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে নিয়েছেন ৬ উইকেট। আসরে সেরা বোলিংটাও তিনিই করেছেন। এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। বাংলাদেশের আর কোনো বোলার ইনিংসে ৩ উইকেটের বেশি পাননি। পাঁচে থাকা তাসকিন আহমেদ ৭ ম্যাচ খেলে পেয়েছেন স্রেফ ৫ উইকেট।