আজ দ্বিতীয় কোয়ালিফাইয়ারে লড়বে চট্টগ্রাম ও খুলনা
মোহাম্মদ আলীর হ্যাটট্রিক উদযাপন
বিপিএলে সোমবার পর্যন্ত হ্যাটট্রিক হয়েছে আটটি। তবে এক ওভারে চার উইকেট শিকারের নজির ছিল না এতদিন। মোহাম্মদ আলীর সৌজন্যে এই নজির দেখেছেন বাংলাদেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগ। ফরচুন বরিশালের এই পেসার নিজ দেশ পাকিস্তানে আগেও এই স্বাদ তিনি একাধিকবার পেয়েছেন বলে জানান।
সোমবার রাতে বিপিএলের কোয়ালিফায়ার ম্যাচে চিটাগং কিংসের বিপক্ষে প্রথম কোয়ালিফাইয়ারে ফুরচুন বরিশালের ৯ উইকেটে জয়ী ম্যাচে ২৪ রানে ৫ উইকেট শিকার করে ম্যাচসেরা হন আলী। এর মধ্যে ৪টি উইকেট নিয়েছেন তিনি এক ওভারেই।
ম্যাচের ১৯তম ওভারে তিনি আউট করেন সৈয়দ খালেদ আহমেদ, শামীম হোসেন, আরাফাত সানি ও আলিস ইসলামকে।
আলির ওই দুর্দান্ত ওভার চিটাগংয়ের স্কোর আরও বড় হওয়ার সম্ভাবনা শেষ করে দেয়। শেষের ওভারগুলোয় দক্ষতার ছাপ রেখেছেন তিনি পাকিস্তান সুপার লীগেও।
ম্যাচের পর আলী বললেন, দলের জয়ে অবদান রাখতে পেরে তার ভালো লাগছে।
‘দলের জন্য পারফর্ম করলে সবসময়ই ভালো লাগে। পাকিস্তানের এই ধরনের কিছু আমি গোটা দুয়েকবার করেছি আগেও। আমার জন্য এটা নতুন কিছু নয়। বিপিএলে এক ওভারে চার উইকেট শিকারি প্রথম বোলার হতে পেরে ভালো লাগছে।’
‘এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলোয় আমি আরও বেশি ধৈর্য ধরতে চাই, আরও ধারাবাহিক হতে চাই। চেষ্টা করি পরিস্থিতির দাবি মেটাতে।’
এই ম্যাচে তার পারফরম্যান্স নিয়ে যতটা আলোচনা, ততটাই আলোচনা তার সুযোগ পাওয়া নিয়েও। টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই তিনি দলের সঙ্গে ছিলেন। অথচ প্রথম ম্যাচ খেলার সুযোগ পেলেন কোয়ালিফায়ারে এসে!
পাকিস্তান সুপার লীগে তার বোলিং দেখেই তাকে মনে ধরে যায় তামিম ইকবালের। ফরচুন বরিশালে খেলার জন্য বিপিএল শুরুর বেশ আগেই তাকে চুক্তিবদ্ধ করে রাখেন অধিনায়ক। কিন্তু একাদশে সুযোগ পাচ্ছিলেন না আলী। এর মধ্যে কিছুদিনে জন্য অবশ্য তাকে দেশেও ফিরতে হয়েছিল পাকিস্তানের টেস্ট স্কোয়াডে থাকায়। দিনের পর দিন একাদশের বাইরে থেকে অপেক্ষা করে গেছেন সুযোগের আর চেষ্টা করে গেছেন অনুশীলনে নিজেকে প্রস্তুত রাখতে।
‘আমি শুধু আমার সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম, আমার পালা কখন আসবে। সবসময়ই বিশ্বাস করি, আমি খেলি বা না খেলি, দলকে জিততেই হবে। পাশাপাশি এটিও বিশ্বাস করি, যখন সুযোগটি আসবে, তখন অপ্রস্তুত হয়ে পড়ার চেয়ে একদম তৈরি থাকা ভালো। এই ‘টাইমলি’ পারফরম্যান্সের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছিলাম আমি। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এমন পারফরম্যান্স করতে পেরে আমি খুশি।’
‘টাইমলি’ পারফরম্যান্সের কথা তিনি বলেছেন ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণীয় আয়োজনেও। এত দিন ধরে তাকে ম্যাচ খেলার অপেক্ষা করতে হলো। শেষ পর্যন্ত যে ম্যাচে সুযোগ পেয়ে আলো ছড়ালেন, তার নিজের কাছেই সেটিকে মনে হচ্ছে সময়োচিত।
‘আমার জন্য এটা ‘টাইমলি’ পারফরম্যান্স। কোয়ালিফায়ারের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আমার কাছ থেকে এরকম পারফরম্যান্স এলো। খুবই খুশি আমি।’
পাকিস্তানের ক্রিকেটে তার মূল পরিচিতি লাল বলের ক্রিকেটার হিসেবে। পাকিস্তানের হয়ে চারটি টেস্ট খেলেছেন। গত আগস্ট-সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুটি টেস্টেও তিনি খেলেছেন। লাল বলের বোলার তকমার কারণে পিএসএলেও খেলার সুযোগ পাননি দীর্ঘদিন। অবশেষে বয়স ৩১ পেরিয়ে গত পিএসএলে খেলার সুযোগ পান। মুলতান সুলতান্সের হয়ে ১৯ উইকেট নিয়ে নজর কাড়েন দারুণভাবে।
পরে ডিসেম্বরে আরেক টি-২০ টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন্স টি-২০ কাপে ২২ উইকেট শিকার করেন কেবল ৯ ম্যাচ খেলেই। এখন তো দেশের বাইরের লীগে অভিষেকে বাজিমাত করলেন।
‘টেস্ট ক্রিকেট বা চারদিনের ম্যাচ হলো সবচেয়ে কঠিন ক্রিকেট। চারদিনের ম্যাচে বা টেস্ট ক্রিকেটে ভালো বোলার হলে সংক্ষিপ্ত সংস্করণ সবার জন্যই সহজ হয়ে ওঠে।’
‘বিশ্বের সব জায়গাতেই, লোকে মনে করে, লাল বলের বোলাররা সাদা বলে ভালো পারফর্ম করতে পারে না। আমি শুধু নিজের ক্রিকেট উপভোগ করি, সেটা চারদিনে ম্যাচ হোক বা ওয়ানডে কিংবা টি-২০। পাকিস্তান দলে সুযোগ পেলাম বা না পেলাম, আমি শুধু খেলা উপভোগ করতে চাই, সব সংস্করণই।’
সব সংস্করণে ভালো করার জন্য বোলিং নিয়ে অনেক কাজও করে চলেছেন তিনি। বেশ কিছু ত্রুটি শুধরে নিয়ে নিজেকে আরও পোক্ত করেছেন। এই প্রক্রিয়ায় পাশে পেয়েছেন তিনি সাবেক লেগ স্পিনার ও এখনকার কোচ মানসুর আমজাদকে।
‘গত তিন বছরে আমার বোলিং কোচ মানসুর আমজাদের সঙ্গে কাজ করছি আমি। আমার মতো তিনিও শিয়ালকোটের। আমার বোলিংয়ে যা কিছু শুধরে নিয়েছি, সেসব কেবল তার কৃতিত্ব।’
এখন ফাইনালেও আলীর কাছ থেকে দারুণ কিছুর অপেক্ষায় থাকবে বরিশাল।
চিটাগংকে ৯ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে বরিশাল
সোমবার রাতে প্রথম কোয়ালিফাইয়ারে বরিশাল ৯ উইকেটে হারিয়েছে চিটাগং কিংসকে। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান করে চিটাগং। পেসার মোহাম্মদ আলী ২৪ রানে ৫ উইকেট নেন। জয়ের জন্য দেড়শ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামা বরিশালকে ৫২ বলে ৫৫ রানের সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও হৃদয়। ২৯ রান করে ফিরেন তামিম।
এরপর ডেভিড মালানকে নিয়ে জয়ের পথ তৈরি করেন হৃদয়। ৪৫ বলে এবারের আসরে প্রথম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন হৃদয়।
হাফ-সেঞ্চুরির রানের গতি বাড়িয়ে ১৮তম ওভারেই বরিশালের জয় নিশ্চিত করেন হৃদয়। দ্বিতীয় উইকেটে মালানের সঙ্গে ৫২ বলে ৯৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন হৃদয়। ৯টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫৬ বলে অপরাজিত ৮২ রান করেন হৃদয়। ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ২২ বলে অনবদ্য ৩৪ রান করেন মালান। ১৬ বল হাতে রেখেই ১ উইকেটে ১৫০ রান তুলে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে বরিশাল। এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পেয়ে পাওয়ার-প্লেতে ৪২ রানে ৪ উইকেট হারায় চিটাগং।
শুরুর ধাক্কা সামলে উঠতে পাল্টা আক্রমণের পথ বেছে নেন শামীম হোসেন। ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনের সঙ্গে ৫০ বলে ৭৭ রানের জুটিতে দলের রান ১শ’ পার করেন।
১৪তম ওভারে দলীয় ১১১ রানে পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে আউট হন ইমন। স্পিনার রিশাদ হোসেনের শিকার হবার আগে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩৬ বলে ৩৬ রান করেন ইমন।
ইমন ফেরার পর চিটাগংয়ের রান সচল রাখেন শামীম। মাত্র ২৯ বলে টি-২০তে সপ্তম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। শামীমের ঝড়ো অর্ধশতকে ১৮ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ১৪৩ রান করে চিটাগং। ১৯তম ওভারে শেষবারের মতো আক্রমণে এসে মাত্র ২ রানে ৪ উইকেট শিকার করে চিটাগংয়ের রানের গতি আটকে দেন আলী। এতে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪৯ রানের বেশি তুলতে পারেনি চিটাগং। ৯টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৪৭ বলে ক্যারিয়ার সেরা ৭৯ রানের ইনিংস খেলেন শামীম।
আজ দ্বিতীয় কোয়ালিফাইয়ারে লড়বে চট্টগ্রাম ও খুলনা
মোহাম্মদ আলীর হ্যাটট্রিক উদযাপন
মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
বিপিএলে সোমবার পর্যন্ত হ্যাটট্রিক হয়েছে আটটি। তবে এক ওভারে চার উইকেট শিকারের নজির ছিল না এতদিন। মোহাম্মদ আলীর সৌজন্যে এই নজির দেখেছেন বাংলাদেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগ। ফরচুন বরিশালের এই পেসার নিজ দেশ পাকিস্তানে আগেও এই স্বাদ তিনি একাধিকবার পেয়েছেন বলে জানান।
সোমবার রাতে বিপিএলের কোয়ালিফায়ার ম্যাচে চিটাগং কিংসের বিপক্ষে প্রথম কোয়ালিফাইয়ারে ফুরচুন বরিশালের ৯ উইকেটে জয়ী ম্যাচে ২৪ রানে ৫ উইকেট শিকার করে ম্যাচসেরা হন আলী। এর মধ্যে ৪টি উইকেট নিয়েছেন তিনি এক ওভারেই।
ম্যাচের ১৯তম ওভারে তিনি আউট করেন সৈয়দ খালেদ আহমেদ, শামীম হোসেন, আরাফাত সানি ও আলিস ইসলামকে।
আলির ওই দুর্দান্ত ওভার চিটাগংয়ের স্কোর আরও বড় হওয়ার সম্ভাবনা শেষ করে দেয়। শেষের ওভারগুলোয় দক্ষতার ছাপ রেখেছেন তিনি পাকিস্তান সুপার লীগেও।
ম্যাচের পর আলী বললেন, দলের জয়ে অবদান রাখতে পেরে তার ভালো লাগছে।
‘দলের জন্য পারফর্ম করলে সবসময়ই ভালো লাগে। পাকিস্তানের এই ধরনের কিছু আমি গোটা দুয়েকবার করেছি আগেও। আমার জন্য এটা নতুন কিছু নয়। বিপিএলে এক ওভারে চার উইকেট শিকারি প্রথম বোলার হতে পেরে ভালো লাগছে।’
‘এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলোয় আমি আরও বেশি ধৈর্য ধরতে চাই, আরও ধারাবাহিক হতে চাই। চেষ্টা করি পরিস্থিতির দাবি মেটাতে।’
এই ম্যাচে তার পারফরম্যান্স নিয়ে যতটা আলোচনা, ততটাই আলোচনা তার সুযোগ পাওয়া নিয়েও। টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই তিনি দলের সঙ্গে ছিলেন। অথচ প্রথম ম্যাচ খেলার সুযোগ পেলেন কোয়ালিফায়ারে এসে!
পাকিস্তান সুপার লীগে তার বোলিং দেখেই তাকে মনে ধরে যায় তামিম ইকবালের। ফরচুন বরিশালে খেলার জন্য বিপিএল শুরুর বেশ আগেই তাকে চুক্তিবদ্ধ করে রাখেন অধিনায়ক। কিন্তু একাদশে সুযোগ পাচ্ছিলেন না আলী। এর মধ্যে কিছুদিনে জন্য অবশ্য তাকে দেশেও ফিরতে হয়েছিল পাকিস্তানের টেস্ট স্কোয়াডে থাকায়। দিনের পর দিন একাদশের বাইরে থেকে অপেক্ষা করে গেছেন সুযোগের আর চেষ্টা করে গেছেন অনুশীলনে নিজেকে প্রস্তুত রাখতে।
‘আমি শুধু আমার সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম, আমার পালা কখন আসবে। সবসময়ই বিশ্বাস করি, আমি খেলি বা না খেলি, দলকে জিততেই হবে। পাশাপাশি এটিও বিশ্বাস করি, যখন সুযোগটি আসবে, তখন অপ্রস্তুত হয়ে পড়ার চেয়ে একদম তৈরি থাকা ভালো। এই ‘টাইমলি’ পারফরম্যান্সের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছিলাম আমি। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এমন পারফরম্যান্স করতে পেরে আমি খুশি।’
‘টাইমলি’ পারফরম্যান্সের কথা তিনি বলেছেন ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণীয় আয়োজনেও। এত দিন ধরে তাকে ম্যাচ খেলার অপেক্ষা করতে হলো। শেষ পর্যন্ত যে ম্যাচে সুযোগ পেয়ে আলো ছড়ালেন, তার নিজের কাছেই সেটিকে মনে হচ্ছে সময়োচিত।
‘আমার জন্য এটা ‘টাইমলি’ পারফরম্যান্স। কোয়ালিফায়ারের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আমার কাছ থেকে এরকম পারফরম্যান্স এলো। খুবই খুশি আমি।’
পাকিস্তানের ক্রিকেটে তার মূল পরিচিতি লাল বলের ক্রিকেটার হিসেবে। পাকিস্তানের হয়ে চারটি টেস্ট খেলেছেন। গত আগস্ট-সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুটি টেস্টেও তিনি খেলেছেন। লাল বলের বোলার তকমার কারণে পিএসএলেও খেলার সুযোগ পাননি দীর্ঘদিন। অবশেষে বয়স ৩১ পেরিয়ে গত পিএসএলে খেলার সুযোগ পান। মুলতান সুলতান্সের হয়ে ১৯ উইকেট নিয়ে নজর কাড়েন দারুণভাবে।
পরে ডিসেম্বরে আরেক টি-২০ টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন্স টি-২০ কাপে ২২ উইকেট শিকার করেন কেবল ৯ ম্যাচ খেলেই। এখন তো দেশের বাইরের লীগে অভিষেকে বাজিমাত করলেন।
‘টেস্ট ক্রিকেট বা চারদিনের ম্যাচ হলো সবচেয়ে কঠিন ক্রিকেট। চারদিনের ম্যাচে বা টেস্ট ক্রিকেটে ভালো বোলার হলে সংক্ষিপ্ত সংস্করণ সবার জন্যই সহজ হয়ে ওঠে।’
‘বিশ্বের সব জায়গাতেই, লোকে মনে করে, লাল বলের বোলাররা সাদা বলে ভালো পারফর্ম করতে পারে না। আমি শুধু নিজের ক্রিকেট উপভোগ করি, সেটা চারদিনে ম্যাচ হোক বা ওয়ানডে কিংবা টি-২০। পাকিস্তান দলে সুযোগ পেলাম বা না পেলাম, আমি শুধু খেলা উপভোগ করতে চাই, সব সংস্করণই।’
সব সংস্করণে ভালো করার জন্য বোলিং নিয়ে অনেক কাজও করে চলেছেন তিনি। বেশ কিছু ত্রুটি শুধরে নিয়ে নিজেকে আরও পোক্ত করেছেন। এই প্রক্রিয়ায় পাশে পেয়েছেন তিনি সাবেক লেগ স্পিনার ও এখনকার কোচ মানসুর আমজাদকে।
‘গত তিন বছরে আমার বোলিং কোচ মানসুর আমজাদের সঙ্গে কাজ করছি আমি। আমার মতো তিনিও শিয়ালকোটের। আমার বোলিংয়ে যা কিছু শুধরে নিয়েছি, সেসব কেবল তার কৃতিত্ব।’
এখন ফাইনালেও আলীর কাছ থেকে দারুণ কিছুর অপেক্ষায় থাকবে বরিশাল।
চিটাগংকে ৯ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে বরিশাল
সোমবার রাতে প্রথম কোয়ালিফাইয়ারে বরিশাল ৯ উইকেটে হারিয়েছে চিটাগং কিংসকে। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান করে চিটাগং। পেসার মোহাম্মদ আলী ২৪ রানে ৫ উইকেট নেন। জয়ের জন্য দেড়শ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামা বরিশালকে ৫২ বলে ৫৫ রানের সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও হৃদয়। ২৯ রান করে ফিরেন তামিম।
এরপর ডেভিড মালানকে নিয়ে জয়ের পথ তৈরি করেন হৃদয়। ৪৫ বলে এবারের আসরে প্রথম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন হৃদয়।
হাফ-সেঞ্চুরির রানের গতি বাড়িয়ে ১৮তম ওভারেই বরিশালের জয় নিশ্চিত করেন হৃদয়। দ্বিতীয় উইকেটে মালানের সঙ্গে ৫২ বলে ৯৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন হৃদয়। ৯টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫৬ বলে অপরাজিত ৮২ রান করেন হৃদয়। ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ২২ বলে অনবদ্য ৩৪ রান করেন মালান। ১৬ বল হাতে রেখেই ১ উইকেটে ১৫০ রান তুলে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে বরিশাল। এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পেয়ে পাওয়ার-প্লেতে ৪২ রানে ৪ উইকেট হারায় চিটাগং।
শুরুর ধাক্কা সামলে উঠতে পাল্টা আক্রমণের পথ বেছে নেন শামীম হোসেন। ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনের সঙ্গে ৫০ বলে ৭৭ রানের জুটিতে দলের রান ১শ’ পার করেন।
১৪তম ওভারে দলীয় ১১১ রানে পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে আউট হন ইমন। স্পিনার রিশাদ হোসেনের শিকার হবার আগে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩৬ বলে ৩৬ রান করেন ইমন।
ইমন ফেরার পর চিটাগংয়ের রান সচল রাখেন শামীম। মাত্র ২৯ বলে টি-২০তে সপ্তম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। শামীমের ঝড়ো অর্ধশতকে ১৮ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ১৪৩ রান করে চিটাগং। ১৯তম ওভারে শেষবারের মতো আক্রমণে এসে মাত্র ২ রানে ৪ উইকেট শিকার করে চিটাগংয়ের রানের গতি আটকে দেন আলী। এতে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪৯ রানের বেশি তুলতে পারেনি চিটাগং। ৯টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৪৭ বলে ক্যারিয়ার সেরা ৭৯ রানের ইনিংস খেলেন শামীম।