মঙ্গলবার মিরপুর স্টেডিয়ামে বিস্ময় বালক মুস্তাকিম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে মঙ্গলবার প্রাইম ব্যাংক স্কুল ক্রিকেট টুর্নামেন্টের বিভাগীয় পর্যায়ের খেলায় সেন্ট গ্রেগরি হাই স্কুল এন্ড কলেজ দলের পিক্ষে দুই ব্যাটার মুস্তাকিম হাওলাদার ও সোয়াদ পারভেজ ইতিহাস সৃষ্টি করেন। মুস্তাকিম খেললেন ৪০৪ রানের ইনিংস, সোয়াদ করেন ২৫৬ রান। দুজনের ৬৯৯ জুটিতে ক্যামব্রিয়ান স্কুল এন্ড কলেজ পায় ৭৭০ রানের সংগ্রহ। জবাবে মাত্র ১১.৪ ওভারে ৩২ রানে গুটিয়ে যায় সেন্ট গ্রেগরি। ৭৩৮ রানের জয় পায় ক্যামব্রিয়ান।
দেশের যে কোনও পর্যায়ের ক্রিকেটেই ব্যক্তিগত ৪০০ বা দলীয় ৭০০ রান বিরল। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৫ ওভারে দুই উইকেট হারায় ক্যামব্রিয়ান। স্কোরবোর্ডে ততক্ষণে অবশ্য ৭১ রান যোগ করে ফেলে তারা। এরপর জুটি বেঁধে বানের জলের মতো রান বাড়াতে থাকেন মুস্তাকিম ও সোয়াদ। শেষ পর্যন্ত খেলে দলকে ৭৭০ রানে নিয়ে যান দুই ব্যাটসম্যান। অবিচ্ছিন্ন জুটিতে আসে ৬৯৯ রান। ১৭০ বলের ইনিংসে চার-ছক্কার পসরা সাজান মুস্তাকিম। ২৩৭.৬৪ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসে ৫০টি চারের সঙ্গে ২২টি ছক্কা মারেন তিনি। ম্যারাথন জুটিতে তার সঙ্গী সোয়াদের ব্যাট থেকে আসে ৩২ চার ও ১৩ ছক্কা। তার ২৫৬ রান এসেছে ১২৪ বলে।
আড়াই’শ রানের ইনিংস খেলার পর বল হাতেও ৪ উইকেট নেন সোয়াদ। তার দলের হাসান হৃদয় পান ১১ রানে ৬ উইকেট।
ম্যাচ শেষে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আসেন মুস্তাকিম ও পারভেজ। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে চার’শ রানের ইনিংস খেলার পথে সঙ্গীর সমর্থন পাওয়ায় কৃতজ্ঞতা জানান মুস্তাকিম।
‘দুইজনেরই আজকে ভালো ব্যাটে লাগছিল বল। তাই দুজন মিলেই শেষ করার পরিকল্পনা ছিল।’
‘ও (সাদ পারভেজ) আর আমি অনেক ছোটবেলা থেকে একসঙ্গে খেলছি। ও আমাকে অনেক সহায়তা করেছে। শেষ দিকে তো ওভার কম ছিল। ও আমাকে স্ট্রাইক দিয়ে দিয়ে রানটা বেশি করাতে সাহায্য করেছিল। তাই ওকে ধন্যবাদ।’
এরই মধ্যে অনূর্ধ্ব-১৮ বিভাগীয় পর্যায়ে খেলেছেন মুস্তাকিম। চলতি তৃতীয় বিভাগ বাছাই লীগে তেজকুনিপাড়া ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে খেলছেন তিনি। এবার স্কুল ক্রিকেটে অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলার পর তিনি মুস্তাকিম বললেন, বড় কিছু করার বিশ্বাস ছিল তার। ‘নিজের ওপর আত্মবিশ্বাস ছিল আজকে কিছু একটা করার। ব্যাটে-বলে ঠিকঠাক সংযোগ করার চেষ্টা করছিলাম। পরে দেখলাম যে ভালো লাগছে, তখন মনে হচ্ছিল পারবো। আগে অনেক জায়গায়, অনেক টুর্নামেন্টে এমন বড় বড় ইনিংস খেলেছি। তাই বিশ্বাস ছিল যে পারবো।’
মঙ্গলবার মিরপুর স্টেডিয়ামে বিস্ময় বালক মুস্তাকিম
মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে মঙ্গলবার প্রাইম ব্যাংক স্কুল ক্রিকেট টুর্নামেন্টের বিভাগীয় পর্যায়ের খেলায় সেন্ট গ্রেগরি হাই স্কুল এন্ড কলেজ দলের পিক্ষে দুই ব্যাটার মুস্তাকিম হাওলাদার ও সোয়াদ পারভেজ ইতিহাস সৃষ্টি করেন। মুস্তাকিম খেললেন ৪০৪ রানের ইনিংস, সোয়াদ করেন ২৫৬ রান। দুজনের ৬৯৯ জুটিতে ক্যামব্রিয়ান স্কুল এন্ড কলেজ পায় ৭৭০ রানের সংগ্রহ। জবাবে মাত্র ১১.৪ ওভারে ৩২ রানে গুটিয়ে যায় সেন্ট গ্রেগরি। ৭৩৮ রানের জয় পায় ক্যামব্রিয়ান।
দেশের যে কোনও পর্যায়ের ক্রিকেটেই ব্যক্তিগত ৪০০ বা দলীয় ৭০০ রান বিরল। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৫ ওভারে দুই উইকেট হারায় ক্যামব্রিয়ান। স্কোরবোর্ডে ততক্ষণে অবশ্য ৭১ রান যোগ করে ফেলে তারা। এরপর জুটি বেঁধে বানের জলের মতো রান বাড়াতে থাকেন মুস্তাকিম ও সোয়াদ। শেষ পর্যন্ত খেলে দলকে ৭৭০ রানে নিয়ে যান দুই ব্যাটসম্যান। অবিচ্ছিন্ন জুটিতে আসে ৬৯৯ রান। ১৭০ বলের ইনিংসে চার-ছক্কার পসরা সাজান মুস্তাকিম। ২৩৭.৬৪ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসে ৫০টি চারের সঙ্গে ২২টি ছক্কা মারেন তিনি। ম্যারাথন জুটিতে তার সঙ্গী সোয়াদের ব্যাট থেকে আসে ৩২ চার ও ১৩ ছক্কা। তার ২৫৬ রান এসেছে ১২৪ বলে।
আড়াই’শ রানের ইনিংস খেলার পর বল হাতেও ৪ উইকেট নেন সোয়াদ। তার দলের হাসান হৃদয় পান ১১ রানে ৬ উইকেট।
ম্যাচ শেষে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আসেন মুস্তাকিম ও পারভেজ। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে চার’শ রানের ইনিংস খেলার পথে সঙ্গীর সমর্থন পাওয়ায় কৃতজ্ঞতা জানান মুস্তাকিম।
‘দুইজনেরই আজকে ভালো ব্যাটে লাগছিল বল। তাই দুজন মিলেই শেষ করার পরিকল্পনা ছিল।’
‘ও (সাদ পারভেজ) আর আমি অনেক ছোটবেলা থেকে একসঙ্গে খেলছি। ও আমাকে অনেক সহায়তা করেছে। শেষ দিকে তো ওভার কম ছিল। ও আমাকে স্ট্রাইক দিয়ে দিয়ে রানটা বেশি করাতে সাহায্য করেছিল। তাই ওকে ধন্যবাদ।’
এরই মধ্যে অনূর্ধ্ব-১৮ বিভাগীয় পর্যায়ে খেলেছেন মুস্তাকিম। চলতি তৃতীয় বিভাগ বাছাই লীগে তেজকুনিপাড়া ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে খেলছেন তিনি। এবার স্কুল ক্রিকেটে অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলার পর তিনি মুস্তাকিম বললেন, বড় কিছু করার বিশ্বাস ছিল তার। ‘নিজের ওপর আত্মবিশ্বাস ছিল আজকে কিছু একটা করার। ব্যাটে-বলে ঠিকঠাক সংযোগ করার চেষ্টা করছিলাম। পরে দেখলাম যে ভালো লাগছে, তখন মনে হচ্ছিল পারবো। আগে অনেক জায়গায়, অনেক টুর্নামেন্টে এমন বড় বড় ইনিংস খেলেছি। তাই বিশ্বাস ছিল যে পারবো।’