তৃতীয় স্পিনার হিসেবে দলে নেয়া হয়েছে তানভীর ইসলামকে
প্রথম টেস্টে পরাজয়ের পর পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনছে বাংলাদেশ। একাদশে তিন পেসারের বদলে তিন স্পিনার নিয়ে খেলবে চট্টগ্রামে। আগামী সোমবার শুরু হবে চট্টগ্রাম টেস্ট।
সিলেটে সহায়ক কন্ডিশনের তেমন ফায়দা নিতে পারেনি বাংলাদেশের পেসাররা। নাহিদ রানা ছাড়া বাকি দু’জন পাননি তেমন সাফল্য। পরের ম্যাচে বদলে যাচ্ছে কৌশল। বাড়তি স্পিনার নিয়ে খেলায় ভাবনায় চট্টগ্রাম টেস্টের দলে নেয়া হয়েছে তানভির ইসলামকে।
২য় টেস্টের বাংলাদেশ দল
সোমবার চট্টগ্রামে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে
পিএসএল খেলার ছাড়পত্র পাওয়া নাহিদ রানা প্রথম টেস্টের পর পাকিস্তানে চলে যাওয়া নিশ্চিত ছিল আগে থেকেই। কিন্তু তার জায়গায় কোনো পেসার না নিয়ে বাঁহাতি স্পিনার তানভিরকে নিয়েছেন নির্বাচকরা। চট্টগ্রামের উইকেটের সম্ভাব্য চরিত্র ও বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণের সম্ভাব্য ছবি ফুটে উঠছে এতে।
জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন আভাস দিয়েছেন, ‘সব কিছুর স্ট্র্যাটেজিক ব্যাখ্যা আসলে আমাদের জায়গা থেকে দিতে পারব না। কিছু পরিবর্তন এমনিতেই বোঝা যায়। রানার জায়গায় আরেকজন পেসার নেয়া হয়নি। তার মানে, এটি পরোক্ষ বার্তা যে সামনের টেস্টে দুই পেসার নিয়ে খেলব। তাহলে একাদশে স্পিনার বাড়বে একজন।’
প্রথম টেস্টের স্কোয়াডে তাইজুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজ সঙ্গে ছিলেন নাঈম হাসান। নতুন করে আরেকজন স্পিনার নেয়ার ব্যাখ্যা দিলেন প্রধান নির্বাচক। ‘স্কোয়াডে আগেই একজন স্পিনার আছে। কিন্তু কনকাশন বদলি বা অনুশীলনের সময় কারও চোটের শঙ্কাই হোক, একজন বিকল্প থাকা উচিত। এর আগে আমরা হাসান মুরাদকে ক্যারি করেছি।’
‘মাঝে হাতের চিড়ের কারণে তানভির বাইরে ছিল। মুরাদকেও আমরা তৈরি করছি। লাল বলে তাকে দারুণ প্রতিভা মনে করি আমরা। তাকেও (মুরাদ) নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে দেখা যাবে।’
গত বছরের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের দলে তাইজুলের সঙ্গে দ্বিতীয় বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে ছিলেন হাসান মুরাদ। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে তার রেকর্ড বেশ ভালো। বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটে বাংলাদেশের স্পিনের ভবিষ্যৎ ভাবা হচ্ছে তাকে অনেক দিন ধরেই। কিন্তু চলতি সিরিজের দল থেকে বাদ দেয়া হয় তাকে। দ্বিতীয় টেস্টেও তাকে না ফিরিয়ে নেওয়া হলো তানভিরকে, যাকে এতদিন মূলত সীমিত ওভারের জন্য বিবেচনা করা হয়েছে।
নির্বাচকদের মনে হয়েছে, তানভির এখন টেস্টে বেশি কার্যকর হতে পারেন। ‘তানভিরের লুপ, ফ্লাইট দেয়ার সামর্থ্য তুলনামূলক ভালো মনে হয়েছে। আমরা মনে করি, সে তুলনামূলক ভালো বিকল্প হবে। হাসান মুরাদও খুব কাছাকাছি থাকবে। তবে এই মুহূর্তে আমাদের মনে হয়েছে, যদি কোনো কারণে লাগে... কারণ প্রথম টেস্টে তাইজুল নিজের সেরা বোলিংটা করতে পারেনি। আশা করি, সে ঘুরে দাঁড়াবে। তবে কোনো কারণে যদি লাগে, তানভিরকেই সম্ভাব্য বিকল্প মনে হয়েছে।’
তিনটি এক দিনের ও দুটি চার দিনের ম্যাচ খেলতে আগামী বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে আসবে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দল। ওই সিরিজে মুরাদকে রাখা হবে জানিয়ে গাজী আশরাফ নিশ্চিত করে দিলেন চট্টগ্রাম টেস্টে তানভিরের অভিষেকের সম্ভাবনা তেমন নেই।
‘হাসান মুরাদকে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে দেখতে পাবেন। সেখানে স্ট্রাইক বোলার হবে সে। আর এখানে মূলত তানভিরকে মূলত বিকল্প হিসেবে নেয়া হয়েছে। যদি দরকার পড়ে তাহলে সেও আন্তর্জাতিক মানের বোলিং করার জন্য প্রস্তুত আছে। আর মুরাদকে ক্ষেত্রে আরও কিছু দিন পর্যবেক্ষণ করতে চাই আমরা।’
জাকেরের পরিবর্তে এনামুল
আগের দিন দ্বিতীয় টেস্টের জন্য দল প্রধান নির্বাচক ওপেনার জাকের আলির পরিবর্তে এনামুল হক বিজয়কে ফেরানোর বিষয়ে বলেন, ‘বিজয় সব সময়ই আমাদের ভাবনায় ছিল।
‘প্রথম টেস্টে (ওপেনাররা) ব্যর্থ হওয়ায় একটা সুযোগ তৈরি হয়েছে। এছাড়া ঘরোয়া ক্রিকেটের সব সংস্করণেই বিজয় ছন্দে আছে। আমরা তো এমনিতে ফর্মের সংকটে ভুগি। ফর্মে থাকা কাউকে সেভাবে পাই না। এবার কিছু ক্রিকেটার ব্যতিক্রম।’ ‘বিজয় এখন খুব আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলছে। টেস্ট ওপেনারের মাঝে যে টেম্পারমেন্ট দেখতে চাই, সেটিও তার মাঝে দেখছি।
এই সিরিজ শেষে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষেও তাকে খেলাব। অনেক দিন সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে। শক্তিশালী কোনো প্রতিপক্ষের সঙ্গে খেলেনি। তাকে দলে ফেরানোর ক্ষেত্রে এটিও একটি কারণ।’
আগামী মাসের শুরুতে তিনটি এক দিনের ও দুটি চার দিনের ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশে আসবে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দল। ‘জাকিরকেও নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের সঙ্গে দেখা যাবে। কয়টা ম্যাচ খেলাব, সেটা এখন না-ই বললাম। জাতীয় দলের একজন ক্রিকেটার বের হয়ে গেলে সুযোগ পাওয়া উচিত আমরা মনে করি, যদি না তার অনেক বেশি ঘাটতি থাকে।’
‘জাকেরের জায়গায়ও নতুন নতুন প্রতিদ্বন্দ্বী আসতে পারে। তবে জাকের আমাদের নজরের বাইরে চলে যাবে না। লঙ্কার ভার্সনে সুযোগ পাবে। বিসিএলকেও আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ মনে করি। যারা দল থেকে বাদ পড়বে বা দলে আসার পথে থাকবে, তারা বিসিএলে কিছু ম্যাচ খেলতে পারবে।’
তৃতীয় স্পিনার হিসেবে দলে নেয়া হয়েছে তানভীর ইসলামকে
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
প্রথম টেস্টে পরাজয়ের পর পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনছে বাংলাদেশ। একাদশে তিন পেসারের বদলে তিন স্পিনার নিয়ে খেলবে চট্টগ্রামে। আগামী সোমবার শুরু হবে চট্টগ্রাম টেস্ট।
সিলেটে সহায়ক কন্ডিশনের তেমন ফায়দা নিতে পারেনি বাংলাদেশের পেসাররা। নাহিদ রানা ছাড়া বাকি দু’জন পাননি তেমন সাফল্য। পরের ম্যাচে বদলে যাচ্ছে কৌশল। বাড়তি স্পিনার নিয়ে খেলায় ভাবনায় চট্টগ্রাম টেস্টের দলে নেয়া হয়েছে তানভির ইসলামকে।
২য় টেস্টের বাংলাদেশ দল
সোমবার চট্টগ্রামে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে
পিএসএল খেলার ছাড়পত্র পাওয়া নাহিদ রানা প্রথম টেস্টের পর পাকিস্তানে চলে যাওয়া নিশ্চিত ছিল আগে থেকেই। কিন্তু তার জায়গায় কোনো পেসার না নিয়ে বাঁহাতি স্পিনার তানভিরকে নিয়েছেন নির্বাচকরা। চট্টগ্রামের উইকেটের সম্ভাব্য চরিত্র ও বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণের সম্ভাব্য ছবি ফুটে উঠছে এতে।
জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন আভাস দিয়েছেন, ‘সব কিছুর স্ট্র্যাটেজিক ব্যাখ্যা আসলে আমাদের জায়গা থেকে দিতে পারব না। কিছু পরিবর্তন এমনিতেই বোঝা যায়। রানার জায়গায় আরেকজন পেসার নেয়া হয়নি। তার মানে, এটি পরোক্ষ বার্তা যে সামনের টেস্টে দুই পেসার নিয়ে খেলব। তাহলে একাদশে স্পিনার বাড়বে একজন।’
প্রথম টেস্টের স্কোয়াডে তাইজুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজ সঙ্গে ছিলেন নাঈম হাসান। নতুন করে আরেকজন স্পিনার নেয়ার ব্যাখ্যা দিলেন প্রধান নির্বাচক। ‘স্কোয়াডে আগেই একজন স্পিনার আছে। কিন্তু কনকাশন বদলি বা অনুশীলনের সময় কারও চোটের শঙ্কাই হোক, একজন বিকল্প থাকা উচিত। এর আগে আমরা হাসান মুরাদকে ক্যারি করেছি।’
‘মাঝে হাতের চিড়ের কারণে তানভির বাইরে ছিল। মুরাদকেও আমরা তৈরি করছি। লাল বলে তাকে দারুণ প্রতিভা মনে করি আমরা। তাকেও (মুরাদ) নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে দেখা যাবে।’
গত বছরের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের দলে তাইজুলের সঙ্গে দ্বিতীয় বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে ছিলেন হাসান মুরাদ। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে তার রেকর্ড বেশ ভালো। বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটে বাংলাদেশের স্পিনের ভবিষ্যৎ ভাবা হচ্ছে তাকে অনেক দিন ধরেই। কিন্তু চলতি সিরিজের দল থেকে বাদ দেয়া হয় তাকে। দ্বিতীয় টেস্টেও তাকে না ফিরিয়ে নেওয়া হলো তানভিরকে, যাকে এতদিন মূলত সীমিত ওভারের জন্য বিবেচনা করা হয়েছে।
নির্বাচকদের মনে হয়েছে, তানভির এখন টেস্টে বেশি কার্যকর হতে পারেন। ‘তানভিরের লুপ, ফ্লাইট দেয়ার সামর্থ্য তুলনামূলক ভালো মনে হয়েছে। আমরা মনে করি, সে তুলনামূলক ভালো বিকল্প হবে। হাসান মুরাদও খুব কাছাকাছি থাকবে। তবে এই মুহূর্তে আমাদের মনে হয়েছে, যদি কোনো কারণে লাগে... কারণ প্রথম টেস্টে তাইজুল নিজের সেরা বোলিংটা করতে পারেনি। আশা করি, সে ঘুরে দাঁড়াবে। তবে কোনো কারণে যদি লাগে, তানভিরকেই সম্ভাব্য বিকল্প মনে হয়েছে।’
তিনটি এক দিনের ও দুটি চার দিনের ম্যাচ খেলতে আগামী বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে আসবে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দল। ওই সিরিজে মুরাদকে রাখা হবে জানিয়ে গাজী আশরাফ নিশ্চিত করে দিলেন চট্টগ্রাম টেস্টে তানভিরের অভিষেকের সম্ভাবনা তেমন নেই।
‘হাসান মুরাদকে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে দেখতে পাবেন। সেখানে স্ট্রাইক বোলার হবে সে। আর এখানে মূলত তানভিরকে মূলত বিকল্প হিসেবে নেয়া হয়েছে। যদি দরকার পড়ে তাহলে সেও আন্তর্জাতিক মানের বোলিং করার জন্য প্রস্তুত আছে। আর মুরাদকে ক্ষেত্রে আরও কিছু দিন পর্যবেক্ষণ করতে চাই আমরা।’
জাকেরের পরিবর্তে এনামুল
আগের দিন দ্বিতীয় টেস্টের জন্য দল প্রধান নির্বাচক ওপেনার জাকের আলির পরিবর্তে এনামুল হক বিজয়কে ফেরানোর বিষয়ে বলেন, ‘বিজয় সব সময়ই আমাদের ভাবনায় ছিল।
‘প্রথম টেস্টে (ওপেনাররা) ব্যর্থ হওয়ায় একটা সুযোগ তৈরি হয়েছে। এছাড়া ঘরোয়া ক্রিকেটের সব সংস্করণেই বিজয় ছন্দে আছে। আমরা তো এমনিতে ফর্মের সংকটে ভুগি। ফর্মে থাকা কাউকে সেভাবে পাই না। এবার কিছু ক্রিকেটার ব্যতিক্রম।’ ‘বিজয় এখন খুব আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলছে। টেস্ট ওপেনারের মাঝে যে টেম্পারমেন্ট দেখতে চাই, সেটিও তার মাঝে দেখছি।
এই সিরিজ শেষে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষেও তাকে খেলাব। অনেক দিন সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে। শক্তিশালী কোনো প্রতিপক্ষের সঙ্গে খেলেনি। তাকে দলে ফেরানোর ক্ষেত্রে এটিও একটি কারণ।’
আগামী মাসের শুরুতে তিনটি এক দিনের ও দুটি চার দিনের ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশে আসবে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দল। ‘জাকিরকেও নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের সঙ্গে দেখা যাবে। কয়টা ম্যাচ খেলাব, সেটা এখন না-ই বললাম। জাতীয় দলের একজন ক্রিকেটার বের হয়ে গেলে সুযোগ পাওয়া উচিত আমরা মনে করি, যদি না তার অনেক বেশি ঘাটতি থাকে।’
‘জাকেরের জায়গায়ও নতুন নতুন প্রতিদ্বন্দ্বী আসতে পারে। তবে জাকের আমাদের নজরের বাইরে চলে যাবে না। লঙ্কার ভার্সনে সুযোগ পাবে। বিসিএলকেও আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ মনে করি। যারা দল থেকে বাদ পড়বে বা দলে আসার পথে থাকবে, তারা বিসিএলে কিছু ম্যাচ খেলতে পারবে।’